মহামারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহামারীর একটি উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা মহামারীর একটি লেখচিত্র, যেখানে সময়ের সাথে নতুন সংক্রমণের পরিমাণ চিত্রিত করা হয়েছে।

মহামারী হচ্ছে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কোনো নির্দিষ্ট জনসংখ্যার বড় অংশের মধ্যে কোনো রোগের বিস্তার হওয়া। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মেনিনগোকক্কাল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রমণের হার ১ লক্ষে ১৫ জনের বেশির হলে এবং এই হার দুই সপ্তাহব্যাপী বহাল থাকলে তা মহামারী হিসেবে বিবেচিত হয়।[১][২]

মহামারী কোনো নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে যদি এর বিস্তার অন্যান্য দেশ বা মহাদেশে বিস্তৃত হয় ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করে তবে তাকে বৈশ্বিক মহামারী বলা যেতে পারে।[১] কোনো রোগের বিস্তারকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কোনো ঘটনার ভূমিরেখার হার সম্পর্কে ভালো বোধগ্যমতা থাকা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের বিস্তারকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করতে হলে ভূমিরেখার উপরে ঘটনার পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হতে হয়।[২] ক্ষেত্র বিশেষে কোনো বিরল রোগের অল্প কিছু সংক্রমণকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে, যদিও সর্দি-কাশির মতো কোনো প্রচলিত রোগের ক্ষেত্রে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি হলেও তা মহামারী হিসেবে গণ্য হয় না। আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যহানি এবং জীবনহানির পাশাপাশি মহামারী বড়ো মাপের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Principles of Epidemiology, Third Edition (পিডিএফ)। Atlanta, Georgia: Centers for Disease Control and Prevention। ২০১২। 
  2. Green, M. S.; Swartz, T.; Mayshar, E.; Lev, B.; Leventhal, A.; Slater, P. E.; Shemer, J. (জানুয়ারি ২০০২)। "When is an epidemic an epidemic?" (পিডিএফ)The Israel Medical Association Journal4 (1): 3–6। পিএমআইডি 11802306 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃস্থ ভিডিও
video icon Presentation by Brown on Influenza, March 5, 2019, C-SPAN

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]