আর্দ্রতা
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্ভবত উচ্চমাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান (অনুলিপি-লঙ্ঘন) থেকে হুবহু বা আংশিকভাবে নকল করে নিবন্ধে যুক্ত করা হয়েছে, যা উইকিপিডিয়ার কপিরাইট নীতিমালা লঙ্ঘনের শামিল। অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অংশের ভাষা সম্পাদনা করে কিংবা কপিরাইটকৃত লেখা অপসারণ করে কিংবা একই বিষয়ের জন্য লভ্য কপিরাইটমুক্ত বিষয়বস্তু যোগ করা অথবা নিবন্ধটিকে (বা অনুচ্ছেদটিকে) মুছে ফেলার জন্য ট্যাগ যোগ করে [১] এই সমস্যার সমাধান করুন। দয়া করে নিশ্চিত হোন যে কপিরাইট লঙ্ঘনের অনুমিত উৎসটি নিজেই উইকিপিডিয়ার একটি আয়না (মিরর) নয়। (নভেম্বর ২০২০) |
আর্দ্রতা এবং আর্দ্রতামিতি | |
---|---|
![]() | |
বিশেষ ধারণা | |
সাধারণ ধারণা | |
পরিমাপ ও যন্ত্রপাতি | |
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে বাতাসের আর্দ্রতা দ্বারা পরিমাপ করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে আর্দ্রতা বলতে আমরা আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে বোঝাই। আপেক্ষিক আর্দ্রতা হল কোন নির্দিষ্ট জায়গার বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্পের আংশিক চাপ ও ঐ তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্পের সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ। নির্দিষ্ট তাপে ও চাপে বাতাসে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তা সুনির্দিষ্ট। আর্দ্রতাকে পরম আর্দ্রতা ও নির্দিষ্ট আর্দ্রতাও বলা হয়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর্দ্রতা বেশি হলে গ্রীষ্মকালে বাইরে গেলে আমরা বেশি গরম অনুভব করি, কারণ তা ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপ বের করে দেবার প্রক্রিয়াটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাপ সূচক ছকে এই প্রভাব হিসাব করা হয়।
আর্দ্রতা[সম্পাদনা]
কোনো নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুতে কতটুকু জলীয়বাষ্প আছে অর্থাৎ বায়ু কতখানি শুষ্ক বা ভিজা আর্দ্রতা দিয়ে তাই নির্দেশ করা হয় ৷
পরম আর্দ্রতা[সম্পাদনা]
বায়ুর প্রতি একক আয়তনে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের ভরকে ঐ স্থানের পরম আর্দ্রতা বলে ৷ কোনো সময় কোনো নির্দিষ্ট স্থানের একক আয়তনের বায়ুতে যে পরিমান জলীয় বাষ্প থাকে তাকে ঐ বায়ুর পরম আদ্রতা (Absolute Humidity) বলে।
শিশিরাঙ্ক[সম্পাদনা]
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ ৷ তাপমাত্রা বাড়লে ঐ স্থানের জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় ৷ কোনো স্থানের তাপমাত্রা কমলে ঐ স্থানের জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে যায় ৷ তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ুমন্ডল এ স্থানের জলীয়বাষ্প দ্বারাই সম্পৃক্ত হয় ৷ ঐ তাপমাত্রায় বায়ুতে অবস্থিত জলীয়বাষ্প তখন শিশিরে পরিনত হয় ৷ এই তাপমাত্রাই শিশিরাঙ্ক ৷[১]
এখান থেকে নেয়া তথ্যঃ
বায়ুর আর্দ্রতা [Humidity]:- সূর্যের তাপে সাগর, মহাসাগর, নদনদী, হ্রদ ও অন্যান্য জলাশয় থেকে জল বাষ্পে পরিনত হারে বায়ুর সঙ্গে মিশে । ফলে বায়ু আর্দ্র হয় । শুকনো ও ভিজে কুন্ডযুক্ত হাইগ্রোমিটার [Hygrometer] যন্ত্র দিয়ে বায়ুর আর্দ্রতা নির্ণয় করা হয় । বায়ু সব সময় একই রকম আর্দ্র থাকে না । স্থান ও ঋতুভেদে বায়ুর আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে । বায়ু যত বেশি উষ্ণ হয় জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা তত বেশি হয় ।
সম্পৃক্ত বায়ু :- এক নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু নির্দিষ্ট উষ্ণতায় এক নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করে । যখন তার চেয়ে বেশি জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বায়ুর থাকে না তখন সেই বাতাসকে সম্পৃক্ত বায়ু বা পরিপৃক্ত [Saturated] বায়ু বলে ।
আপেক্ষিক আর্দ্রতা :- সাধারণভাবে কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপে এক নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে, তাকে ঐ বায়ুর নিরপেক্ষ আর্দ্রতা বা চরম আর্দ্রতা [Absolute Humidity] বলে । আর যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঐ নির্দিষ্ট তাপে বায়ুতে থাকা সম্ভবপর [অর্থাৎ ঐ বায়ুকে সম্পৃক্ত বা পরিপৃক্ত করার জন্য যে পরিমাণ জলীয় বাষ্পের প্রয়োজন] তার সঙ্গে ঐ প্রকৃত পরিমাণের অনুপাতকে সাপেক্ষ আর্দ্রতা বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা [Relative Humidity] বলে ।
অর্থাৎ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা = নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প X ১০০
ওই তাপমাত্রায় সমপরিমাণ বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় জলীয়বাষ্পের পরিমাণ
[i] আপেক্ষিক আর্দ্রতা একটি অনুপাত ।
[ii] সাধারণত এই অনুপাতকে শতকরা হিসাবে প্রকাশ করা হয় ।
[iii] বায়ুর উষ্ণতা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক – অর্থাৎ বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে এবং বায়ুর উষ্ণতা কমলে আপেক্ষিক আদ্রতা বাড়ে ।
[iv] আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাহায্যে কোনও স্থানের বায়ুর আপেক্ষিক স্যাঁতস্যাঁতে ভাব মাপা হয় ।
[v] কোনো স্থানের আপেক্ষিক আদ্রতা জানার ফলে সেই স্থানে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপ বিকিরণের হার, ঝড়বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রভৃতির পূর্বাভাষ পাওয়া যায় ।
[vi] শুষ্ক ও আদ্রকুণ্ড-যুক্ত হাইগ্রোমিটার (Dry & Wet Bulb Hygrometre) -এর সাহায্যে কোনো স্থানের বায়ুর আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাপ করা হয় ।
বায়ুর আর্দ্রতার সঙ্গে আবহাওয়া ও জলবায়ুর অন্যান্য উপাদানের সম্পর্ক :- বায়ুর তাপ, চাপ, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ ও বৃষ্টির সঙ্গে আর্দ্রতার সম্পর্ক বর্তমান ।
[ক] তাপে জল বাস্পীভূত হয় । বায়ু উত্তপ্ত হলে তার জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে ।
[খ] জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু হালকা । এই বায়ুর চাপ কম । ফলে সহজেই উপরে উঠে যায় ।
[গ] সেখানে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে মেঘ ও বৃষ্টির উত্পত্তি ঘটায় । কৃষ্ণবর্ণের কিউমিউলাস মেঘে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় ।
[ঘ] বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্পের পরিমাণের ওপর স্থানীয় আবহাওয়া অনেকাংশে নির্ভরশীল । মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা প্রভৃতি হল জলীয়বাষ্পের ঘনীভবনের ফল ।
[ঙ] কোনো স্থানের বায়ুতে দীর্ঘকাল ধরে জলীয়বাষ্পের অভাব হলে (অর্থাৎ আর্দ্রতা কম হলে) সেখানে মরুভূমির সৃষ্টি হয় ।
[চ] অন্যদিকে কোনো স্থানের বায়ুতে পরে দীর্ঘসময় ধরে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ (অর্থাৎ আর্দ্রতা) বৃদ্ধি পেলে সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং মরুপ্রায় অঞ্চল শস্য শ্যামলা হয়ে হয়ে ওঠে ।
***
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিঅভিধানে আর্দ্রতা শব্দটি খুঁজুন। |
![]() |
Wikisource has the text of the 1905 New International Encyclopedia article আর্দ্রতা. |