ভুটানের বন্যপ্রাণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাকিন ভুটানের জাতীয় প্রাণী

ভুটান রাজ্য হল পূর্ব হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত একটি ছোট, স্থলবেষ্টিত দেশ। এর উত্তরে চিনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বে ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশ অবস্থিত।

বৈচিত্র্যময় উচ্চতাযুক্ত এই ভূখণ্ডটি বিশ্বের সবচেয়ে রুক্ষ। দক্ষিণ এবং উত্তর সীমান্তের মধ্যেকার ১৫০ মাইলের মধ্যে, ভুটানের উচ্চতা ১৫০ থেকে ৭,৫০০ মিটারেরও বেশি। এই বিশাল ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের সাথে সমানভাবে বৈচিত্র্যময় জলবায়ু ভুটানের জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুতন্ত্রে অবদান রাখে।

বাঘ, একশৃঙ্গ গণ্ডার, সোনালি বানর, মেঘলা চিতা, আসামি খরগোশ এবং স্লথ ভালুক দক্ষিণের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নভূমি এবং শক্ত কাঠের বনাঞ্চলে বাস করে। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের চওড়া পাতার এবং পাইন বনে ধূসর বানর, বাঘ, চিতাবাঘ, গরাল(goral) এবং সেরো(serow) পাওয়া যায়। ফল ধারণকারী গাছ এবং বাঁশ হিমালয়ের কালো ভাল্লুক, লাল পান্ডা, কাঠবিড়ালি, সম্বর হরিণ, বন্য শূকর এবং এক ধরণের হরিণ(barking deer)-এর জন্য বাসস্থান সরবরাহ করে। উত্তরে বিশাল হিমালয় রেঞ্জের আলপাইন আবাসস্থলে তুষার চিতা, নীল ভেড়া, মারমোট(marmot), কৃষ্ণসার হরিণ এবং হিমালয়ের কস্তুরী হরিণ -এর বাস।

৭৭০ টিরও বেশি প্রজাতির পাখি এবং ৫,৪০০ প্রজাতির গাছপালা সমগ্র রাজ্য জুড়ে দেখা যায়।

সংরক্ষণের তাৎপর্য[সম্পাদনা]

পূর্ব হিমালয়কে বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্যের হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে WWF(World Wide Fund for Nature) দ্বারা গৃহীত বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যের একটি ব্যাপক বিশ্লেষণে বিশ্বের ২৩৪টি বিশ্বব্যাপী অসামান্য বাস্তুঅঞ্চলের মধ্যে গণনা করা হয়েছে।

ভুটানকে সক্রিয় সংরক্ষণ উদ্যোগের আদর্শ হিসেবে দেখা হয়। দেশটি দায়িত্ব সহকারে তার জীববৈচিত্র্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছে। কমপক্ষে ১২ শতাংশ ভূমি এলাকাকে বনের আওতায় রাখা বজায় রাখার জন্য দেশটির এক চতুর্থাংশেরও বেশি এলাকা জাতীয় উদ্যান, সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

পরিবেশ সংরক্ষণকে দেশের উন্নয়ন কৌশলের মূলে রাখা হয়েছে।

সংরক্ষণের সমস্যা[সম্পাদনা]

বিপন্ন রামকুত্তা পৃথিবীতে এই প্রজাতির ২৫০০ টিরও কম সদস্য রয়েছে।

জনসংখ্যার চাপ, কৃষি আধুনিকীকরণ, চোরাশিকার, বড় আকারের জলবিদ্যুৎ উন্নয়ন, খনিজ উত্তোলন, শিল্পায়ন, নগরায়ণ, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য নিষ্কাশন, পর্যটন, উপলব্ধ জমির উপর রাস্তা নির্মাণের প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কিত অন্যান্য ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

প্রাণিজগত[সম্পাদনা]

স্তন্যপায়ী প্রাণী:

পাখি:

  • কালো গলার সারস

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই পৃষ্ঠায় কোন তথ্যসূত্র নেই।


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]