সোনালী বানর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সোনালী বানর
(Golden langur)[১]
Golden langur.jpg
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Primates
পরিবার: Cercopithecidae
গণ: Trachypithecus
প্রজাতি গোষ্ঠী: T. pileatus
প্রজাতি: T. geei
দ্বিপদী নাম
Trachypithecus geei
(Khajuria, 1956)
Trachypithecus geei distribution.svg
সোনালী বানরের বিচরণ

সোনালী বানর (ইংরেজি: Golden langur Trachypithecus geei) হচ্ছে একটি আদিম জগতের বানর যা পশ্চিম আসাম, ভারতবর্ষের কিছু অংশ,[৩][৪] ভুটানের কালো পর্ব্বতের পাদদেশের আশপাশে দেখতে পাওয়া যায়।[৫][৬] এটা ভারতের সবথেকে একটা বিপন্ন প্রজাতি।[৬] হিমালয়ের অধিবাসীদের দ্বারা পবিত্র মনে করা, সোনালী বানর সর্বপ্রথম একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড প্রিটচারডের মাধ্যমে ১৯৫০ সালে পশ্চিমা বিশ্বের নিজরে আসে।[৭][৮] ভুটানের কিছু অংশে, এই প্রাণীটি মুখপোড়া হনুমান T. pileatus এর সাথে সংকরায়িত হয়েছে।[৯]

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

সোনালী বানর (আসাম, ২০০৬)
সোনালী বানর

শ্রেণীবিভাজন[সম্পাদনা]

সোনালী বানরের দুটা উপ-প্রজাতি পাওয়া যায়[১]:-

  • Trachypithecus geei geei
  • Trachypithecus geei bhutanensis

দৈহিক বিবরণ[সম্পাদনা]

একটি প্রাপ্ত বয়স্ক সোনালী বানরের দেহের বর্ণ সোণালী; ধার এবং বুকের রং কালচে বর্ণের; এদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং নারী সোনালী বানরের দেহের বর্ণ হালকা, রূপালি সাদা থেকে ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।[১০] সোনালী বানরের মুখের রং কালো এবং একটি দীর্ঘ লেজ যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ সেমি (১৯.৬৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

মানচিত্রে সোনালী বানরের আসাম-ভুটান এবং ত্রিপুরার বিস্তৃত অঞ্চল দেখা যাচ্ছে।

সোনালী বানরের বিস্তৃত অঞ্চল খুবই সীমিত৷ ভারতের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রায় ৬০ বর্গ মাইল জুড়ে, পূর্বে মানাহ নদী, পশ্চিমে সোনকোষ নদী, আসামের সবত্র এবং উত্তরে ভুটান এর কালো পর্বত,[১১] এবং গৌণ অঞ্চল, ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের ২০০ মাইল পর্যন্ত অল্প পরিমাণে এই প্রাণীটির বিচরণস্হল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Groves, C. (২০০৫)। Wilson, D. E., & Reeder, D. M., সম্পাদক। Mammal Species of the World (3rd সংস্করণ)। Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন ০-৮০১-৮৮২২১-৪ 
  2. Das, J., Medhi, R. & Molur, S. (2008). Trachypithecus geei. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 4 January 2009.
  3. Choudhury 1988a
  4. Coudhury 1988b
  5. Choudhury 1990
  6. Srivastava এবং অন্যান্য 2001, পৃ. 15–23।
  7. Gee 1955
  8. Gee 1961
  9. Choudhury 2008
  10. Prater 1971, পৃ. 42।
  11. Srivastava এবং অন্যান্য 2001, পৃ. 15।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]