বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্ভবত https://bn.banglapedia.org/index.php?curid=3444 (DupDet · অনুলিপি-লঙ্ঘন) থেকে হুবহু বা আংশিকভাবে নকল করে নিবন্ধে যুক্ত করা হয়েছে, যা উইকিপিডিয়ার কপিরাইট নীতিমালা লঙ্ঘনের শামিল। অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অংশের ভাষা সম্পাদনা করে কিংবা কপিরাইটকৃত লেখা অপসারণ করে কিংবা একই বিষয়ের জন্য লভ্য কপিরাইটমুক্ত বিষয়বস্তু যোগ করা অথবা নিবন্ধটিকে (বা অনুচ্ছেদটিকে) মুছে ফেলার জন্য ট্যাগ যোগ করে [১] এই সমস্যার সমাধান করুন। দয়া করে নিশ্চিত হোন যে কপিরাইট লঙ্ঘনের অনুমিত উৎসটি নিজেই উইকিপিডিয়ার একটি আয়না (মিরর) নয়। (মার্চ ২০২২) |
![]() | |
ধরন | রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন |
---|---|
শিল্প | ব্যাংকিং |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৮ ![]() |
সদরদপ্তর | , |
ওয়েবসাইট | basicbanklimited.com |
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড (Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited) বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। ১৯৮৯ সালে শুরু করা ব্যাংকটির বর্তমানে বাংলাদেশে ৭৮ টি শাখা রয়েছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯১৩ সালের কোম্পানি আইনের আওতায় ১৯৮৮ সালের ২ আগস্ট ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৯ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।[১] মোট ৮০ মিলিয়ন টাকার পরিশোধিত মূলধন (বিসিসি ফাউন্ডেশনের ৭০% শেয়ার এবং বাংলাদেশ সরকারের ৩০% শেয়ার) নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ব্যাংকটির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ৫,৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১,০৮৫ কোটি টাকা। ৬ জুন ১৯৯১-এ বিশ্বব্যাপী বিসিসিআই ফাউন্ডেশন অকার্যকর হয়ে গেলে উদ্ভূত অচলাবস্থা রোধ করতে বাংলাদেশ সরকার ৪ জুন ১৯৯২-এ ফাউন্ডেশনের ১০০% শেয়ার ও ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করে।[২] তবে ব্যাংকটিকে জাতীয়করণ করা হয় নি। সরকারী মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবেই ব্যাংকটি পরিচিতি লাভ করেছে।
কার্যক্রম[সম্পাদনা]
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের এক সংমিশ্রণ। ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিল্প খাত প্রসারের জন্য মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ সরবরাহ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত। সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি অনুযায়ী ব্যাংকটির মোট ঋণদানযোগ্য তহবিলের অন্তত শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়। বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে:
- ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে মেয়াদি ঋণ প্রদান;
- পুর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে আমানত গ্রহণ, চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব ব্যবস্থাপনা, ট্রেড ফাইন্যান্স, নির্মাণ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে শিল্প অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়তাকরণ;
- ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা
- নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এনজিওদের মধ্যস্থতায় ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা যাতে তারা সহজে পুঁজি সংগ্রহে সক্ষম হয়।
ব্যাংকের মৌল কর্ম পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নীতি-নির্দেশনা দিয়ে থাকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। পুরো মালিকানা সরকারের হওয়ায় সরকারই ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহীদের সমন্বয়ে পুরো পর্ষদের মনোনয়ন দিয়ে থাকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পর্ষদের একজন সদস্য। বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ৭ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।
ঋণ কর্মসূচি[সম্পাদনা]
ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিল্প খাত প্রসারের জন্য মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ সরবরাহ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত। সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি অনুযায়ী ব্যাংকটির মোট ঋণদানযোগ্য তহবিলের অন্তত শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অর্থায়নে ব্যবহূত হয়। শিল্পঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর শিল্প প্রকল্পের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে ঋণ মঞ্জুরি দেওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের ধরন হচ্ছে গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটজাত দ্রব্য, কেমিক্যাল, সিনথেটিক লেদার, এমব্রয়ডারি, পেপার প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং হার্ডবোর্ড,মৎস্য ও চিংড়ি,ফিশিং নেট,খাদ্য প্রক্রিয়া,বিস্কুট ও ব্রেড, ময়দা মিল, লুব্রিকেটিং, সিএনজি ইত্যাদি। শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বেসিক ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু রেখেছে। এ কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ঋণ গ্রহীতাদের সরাসরি বা এনজিও-এর মাধ্যমে ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৩০৯৪৭৩ জনের মধ্যে মোট ১৭৯২ মিলিয়ন টাকা বিতরণ করে। ঋণ আদায়ের হার শতকরা ৯৮ ভাগ।
প্রযুক্তিগত ব্যাংকিং[সম্পাদনা]
২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে ব্যাংকিং লেনদেন তথা সামগ্রিক কার্যক্রমকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০০৭ সালে এটিএম কার্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট ব্যাংকিং সেবা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পরিচালনা পদ্ধতি[সম্পাদনা]
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মহাব্যবস্থাপক এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মরত বিভাগীয় প্রধানগণ সহায়তা করে থাকেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকগণ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট সরাসরি এবং বিভাগীয় প্রধানের নিকট বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের রিপোর্ট করে থাকেন। ব্যাংকটির আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশান এর সেকশন ৯৫ অনুসারে ১০ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে যার প্রধান থাকবে চেয়ারম্যান। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছে আলাউদ্দিন এ. মজিদ।[৩]
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। ব্যাংকটির বর্তমান শাখার সংখা ৭০ টি। এছাড়াও ব্যাংকটির নিজস্ব একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে।[৪]
অর্জন ও পুরস্কার[সম্পাদনা]
অনিয়ম ও সমালোচনা[সম্পাদনা]
![]() | এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (মার্চ ২০২২) |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "BASIC Bank Limited. Serving people for progress"। www.basicbanklimited.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "BCCI Left Its Mark on Bangladesh : Asia: The now-defunct bank worked with former President Ershad, and 'they have plundered this country,' says the attorney general."। Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২ নভেম্বর ১৯৯১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "BASIC Bank board dissolved, new chairman named"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "BASIC Bank Limited. Serving people for progress"। www.basicbanklimited.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯।