জন ক্যামেরন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ! |
অ বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকার ক্রিকেটার সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকান ক্রিকেটার স্থাপন |
||
১১৯ নং লাইন: | ১১৯ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার]] |
[[বিষয়শ্রেণী:কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকান ক্রিকেটার]] |
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকান ক্রিকেটার]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী: |
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকান ক্রিকেটার]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার]] |
[[বিষয়শ্রেণী:জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:সমারসেটের ক্রিকেটার]] |
[[বিষয়শ্রেণী:সমারসেটের ক্রিকেটার]] |
০৯:২০, ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন হেমস্লি ক্যামেরন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিংস্টন, জ্যামাইকা | ৮ এপ্রিল ১৯১৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০০ চিচেস্টার, সাসেক্স, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জন যোসেফ ক্যামেরন (পিতা); ইজি হাল (কাকা); জিমি ক্যামেরন (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৫) | ২৪ জুন ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জুলাই ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩২–১৯৪৭ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৬ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪–১৯৩৭ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
জন হেমস্লি ক্যামেরন (ইংরেজি: John Cameron; জন্ম: ৮ এপ্রিল, ১৯১৪ - মৃত্যু: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০০) জ্যামাইকার কিংস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে অফ ব্রেক কিংবা লেগ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপহার দিয়েছেন জন ক্যামেরন।
শৈশবকাল
১৯২৮ থেকে ১৯৩১ সময়কালে টানটন স্কুল, সমারসেট জুনিয়র্স ও ওল্ড টানটনিয়ান্সের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৩১ সালে বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছেন। এ পর্যায়ে তিনি টানটনের স্কুলে অধ্যয়ন করতেন। ইংল্যান্ডের বাদ-বাকী একাদশের সদস্যরূপে পাবলিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত একাদশে দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ১৯.১ ওভারে ১০/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন তিনি। এছাড়াও দ্বিতীয় ইনিংসে ২/২৩ পান। এরপর কেমব্রিজের সেন্ট ক্যাথরিন্স কলেজে ভর্তি হন।[১]
এর অল্প কয়েকদিন পরই পরের মৌসুমে ১৯৩২ সালে সমারসেটের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৩৪ সাল থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চার মৌসুম খেলেন। তন্মধ্যে তিনবার ব্লুধারী হন। এ পর্যায়ে ছুটির দিনগুলোয় সমারসেটের পক্ষে খেলতেন। ১৯৩৫ সালে বোলার হিসেবে স্বর্ণালী সময়ে অতিবাহিত করেন। ৬০ উইকেট লাভ করেন তিনি। অন্যদিকে, ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯৩৭ সালে ৮৬৩ রান তুলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
জ্যামাইকায় জন্মগ্রহণ করলেও কেবলমাত্র একবারই জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন জন ক্যামেরন। বাদ-বাকী প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন ইংল্যান্ডে অতিবাহিত তিনি। ১৯৩২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জন ক্যামেরনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। নিচেরসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সহজভাবে ব্যাটিং করতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে বিস্ময়করভাবে লেগ স্পিন ও গুগলি বোলিং করতেন। তবে, স্পিনের কার্যকারিতা নষ্ট হলে অফ ব্রেকের দিকে ঝুঁকে পড়েন। খেলায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে অমূল্য ছিলেন।
সমারসেট দলের সদস্যরূপে কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[২] এ দলটির পক্ষে ৪৮টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলায় তিনি দুই উইকেট পান। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ৬৩ রান জয় পেয়েছিল। সমারসেটের পক্ষে সর্বমোট ৪৮ খেলায় অংশ নিয়ে ১৩৭৩ রান তুলেন। সর্বোচ্চ করেন ১১৩ রান। এছাড়াও, কাউন্টি দলটির পক্ষে ৪৫ উইকেট দখল করেন।
চার সেঞ্চুরি সহযোগে ১৮.২৩ গড়ে ২,৭৭২ রান করেন। ১৯৩৭ সালে ইস্টবোর্নে সমারসেটের সদস্যরূপে সাসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৩ রান তুলেন। এর পাঁচদিন পর কেন্টের বিপক্ষে আরও একটি সেঞ্চুরির সন্ধান পান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩০.৭৭ গড়ে ১৮৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন। ১৯৩৫ সালে লর্ডসে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের সদস্যরূপে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৭৩ গড়েন। এরফলে, তার দল খুব সহজেই খেলায় জয়লাভে সমর্থ হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জন ক্যামেরন। ২৪ জুন, ১৯৩৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ জুলাই, ১৯৩৯ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩৮ সালে জ্যামাইকায় অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত দলের সদস্যরূপে দুই খেলায় অংশ নেন। তবে, ১৯৩৯ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সহঃঅধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন তিনি। সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন ক্যামেরন। লর্ডসে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের প্রথম তিনটি উইকেট পান। হ্যারল্ড গিম্বলেট, এডি পেন্টার ও ওয়ালি হ্যামন্ডের ঐ তিন উইকেটই পরবর্তীতে তার একমাত্র উইকেট হিসেবে রয়ে যায়। নিজস্ব দ্বিতীয় বলে হ্যারল্ড গিম্বলেটের উইকেট পান।
১৯৪০ সালে উইজডেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ব্যাট কিংবা বল হাতে কোন বিভাগেই তিনি তার দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরতে পারেননি। সফরের শেষদিকে আঘাতগ্রস্ত ছিলেন জন ক্যামেরন।
ব্যক্তিগত জীবন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে জন ক্যামেরন জ্যামাইকার পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত সমারসেটের পক্ষে চমৎকার খেলে গেছেন। পেশাগত দিক দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন।[২] মিলফিল্ড স্কুলে কাজ করার পর চিগওয়েল স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে সাসেক্সের চিচেস্টার এলাকায় জন ক্যামেরনের দেহাবসান ঘটে। তার পিতা জন যোসেফ ক্যামেরন চিকিৎসক ছিলেন এবং জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণসহ ১৯০৬ সালে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জিমি ক্যামেরন টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণসহ জ্যামাইকা ও কানাডা দলের পক্ষে খেলেছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
- লিওন গারিক
- ডেভিড হলফোর্ড
- ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
- ১৯২৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন ক্যামেরন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন ক্যামেরন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)