বাগপ্রচণ্ড খাঁ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাগপ্রচণ্ড খাঁ
গ্রাম
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
উপজেলাবিয়ানীবাজার উপজেলা
ইউনিয়নলাউতা ইউনিয়ন
ওয়ার্ড১ নং
নামকরণের কারণপ্রচণ্ড খাঁ
সরকার
 • মেম্বারমুহম্মদ আব্দুল বারী দুদু মিঞা
সময় অঞ্চলBST (ইউটিসি+৬:০০)

বাগপ্রচণ্ড খাঁ বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি গ্রাম ও মৌজা

প্রশাসন[সম্পাদনা]

বাগপ্রচণ্ড খাঁ বিয়ানীবাজার উপজেলার ১১ নং লাউতা ইউনিয়ন পরিষদ ১নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ও মৌজা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

যাদবানন্দ পালের পাঁচ পুত্রের মধ্যে কনিষ্ঠ প্রতাপচন্দ্র পাল হিন্দুধর্ম থেকে সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর, প্রচণ্ড খাঁ নাম গ্রহণ করেন এবং এই এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। তিনি ওই এলাকায় একটি বৃহৎ দীঘি খনন করেন, যার নামকরণ করা হয় বাগ প্রচণ্ড খাঁ, যা পরে এটি মৌজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার বংশধরেরা সেগ্রামে বসবাস করে চলেছে এবং এক সময়ে পঞ্চখণ্ড পরগণার মধ্যে কালা ও বাহাদুরপুরের চৌধুরী খান্দান নামে তারা পরিচিত ছিল।[১] প্রচণ্ড খাঁর স্থলাভিষিক্ত হন তার পুত্র গওহর খাঁ, যার পুত্র মজলিস আগোয়ান, যার পুত্র মজলিস ইখতিয়ার, যার পুত্র মজলিস খাঁ, যার পুত্র মাবারিম খাঁ, যার পুত্র মাসূম খাঁ, যার পুত্র ফতেহ মুহম্মদ, যার পুত্র ফয়েজ মুহম্মদ, যার পুত্র সফর মুহম্মদ, যার পুত্র আব্দুল আলী, যার পুত্র আব্দুল মজীদ, যার পুত্র আব্দুল ওয়াহেদ, যার পুত্র ও উত্তরসূরী ছিলেন আব্দুল খালেক চৌধুরী।[২] এই পরিবারের হাজী মৌলবী মোহসেন চৌধুরী ছিলেন আমাতুল মন্নান খাঁতুনের পিতা, যিনি সৈয়দ মুজতবা আলীসৈয়দ মুর্তজা আলীর মাতা।[৩]

ইতিহাসবিদ অচ্যুতচরণ চৌধুরী এবং সৈয়দ মুর্তজা আলীর দ্বারা লিপিবদ্ধ একটি প্রবাদে প্রচণ্ড খাঁর বংশের সাধারণ শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শিত হয়েছে:[১][৪]

পাল, প্রচণ্ড, জাংদার। এই তিন মিরাশদার।

যার অর্থ দাঁড়ায়, পঞ্চখণ্ডের পাল পরিবার, প্রচণ্ড খাঁর সন্তানবর্গ ও জাংদার বংশের পরবর্তী পুরুষরাই অত্র অঞ্চলের প্রধান মিরাশদার[৫] ছিলেন।[৬]

বাগপ্রচণ্ড খাঁর বাজার পরে করিমগঞ্জ মহকুমার একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়।[৭] গ্রামটি নানকার বিদ্রোহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও ছিল।[৮][৯] ১৯৩০ এর দশকের শেষের দিকে,[১০] ভারতীয় ইম্পেরিয়াল পুলিশ বাঘপ্রচান্দা খান গ্রামে নানকার বিদ্রোহীদের নির্যাতন ও ছিনতাই করে।[১১][১২] ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ মে তারীখে, বিয়ানীবাজার থানা (বাগপ্রচণ্ড খাঁ-সহ) করিমগঞ্জ মহকুমা থেকে সিলেট মহকুমায় স্থানান্তরিত হয়।

২০১৩ সালে পশ্চিম বাগপ্রচণ্ড খাঁ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ ওঠে।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Choudhury, Achyut Charan (২০০০)। "পঞ্চখণ্ড কালার চৌধুরী বংশ"। Srihatter Itibritta: Uttorangsho (Bangla ভাষায়)। Kotha। পৃষ্ঠা 173–174।  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "achyut" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. Yogindra Kumar Nyaya Ratna, Bhattashri
  3. Ali, Syed Murtaza (১৯৬৮)। Amadera kalera katha। Baighara। পৃষ্ঠা 27। 
  4. আমাদের কালের কথা। বইঘর। ১৯৬৮। পৃষ্ঠা 27।  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)
  5. সামন্ত ভূ-মালিকদের মিরাশদার বলা হত। মিরাশদার এমন জমিদারকে নির্দেশ করে যিনি সরাসরি সরকারকে কর প্রদান করেন।
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; অচ্যুতচরণ নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. B C Allen (১৯০৫)। Assam District GazetteersGovernment of Assam। পৃষ্ঠা 300। 
  8. অজয় ভট্টাচার্য (১৯৯০)। অর্ধ শতাব্দী আগে গণ আন্দোলন এদেশে কেমন ছিল। চলন্তিকা বইঘর। পৃষ্ঠা 84। 
  9. বরীন দত্ত (১৯৯১)। সংগ্রামমুখর দিনগুলি। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী। পৃষ্ঠা 41। 
  10. তাজুল মোহম্মদ (১৯৯৫)। সিলেটের দুইশত বছরের আন্দোলন। আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা 86। আইএসবিএন 9789844012622 
  11. ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ: কতিপয় দলিলবাংলা একাডেমি। ১৯৮৫। পৃষ্ঠা 210, 216। 
  12. বদরুদ্দীন উমর (১৯৭০)। পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন ও ত​ৎকালীন রাজনীতিমাওলা ব্রাদার্স  zero width space character in |শিরোনাম= at position 29 (সাহায্য)
  13. "ঠিকাদারের পক্ষ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের হেনস্তার অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (ভিডিওসহ)"Beanibazar News 24। ৮ জানুয়ারি ২০১৩।