ফুলকী ইউনিয়ন

স্থানাঙ্ক: ২৪°১৭′৬″ উত্তর ৯০°০′৫৪″ পূর্ব / ২৪.২৮৫০০° উত্তর ৯০.০১৫০০° পূর্ব / 24.28500; 90.01500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফুলকী
ইউনিয়ন
ফুলকী ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
ফুলকী
ফুলকী
ফুলকী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ফুলকী
ফুলকী
বাংলাদেশে ফুলকী ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৭′৬″ উত্তর ৯০°০′৫৪″ পূর্ব / ২৪.২৮৫০০° উত্তর ৯০.০১৫০০° পূর্ব / 24.28500; 90.01500 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাটাঙ্গাইল জেলা
উপজেলাবাসাইল উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
মানচিত্র
মানচিত্র

ফুলকী ইউনিয়ন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত বাসাইল উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১][২]

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

ফুলকী ইউনিয়নের মোট আয়তন ২৯ বর্গ কিঃ মিঃ। উপজেলা থেকে ১২ কি.মি দূরে এর অবস্থান। ফুলকী ইউনিয়নের পূর্ব পাশে রয়েছে বাসাইল উপজেলারই আর একটি ইউনিয়ন যার নাম কাউলজানী, এর পশ্চিমে রয়েছে টাঙ্গাইল উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন, এর উত্তর পাশে রয়েছে কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়ন ও এর দক্ষিণে রয়েছ বাসাইল উপজেলারই অপর একটি ইউনিয়ন কাশিল ইউনিয়ন।[১][১][৩][৪]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ফুলকী ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩০,০৩৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫,১৬৫ জন এবং মহিলা ১৪,৮৭৪ জন।

শিক্ষার হার ৩০%।

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

ফুলকী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটঃ

১। কাশিল ইউনিয়ন অফিস- ফুলকী ইউ,পি, অফিস ভায়া ময়থা আইকপাড়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৪২ কিঃ মিঃ। এর মধ্যে ০.৩০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ১৬টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।

২। কাশিল ইউ,পি অফিস- জশিহাটী বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.০৫ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ০২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।

৩। কাশিল ইউ,পি, অফিস- আইসড়া বাজার ভায়া ঝনঝনিয়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.২৮ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ১৭টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।

৪। ফুলকী ইউ,পি অফিস (ময়থা)- জশিহাটী বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.২৫ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই কাঁচা। এই সড়কে মোট ০১টি কালভার্ট রয়েছে।

৫। ফুলকী (ঝনঝনিয়া)- কাউলজানী ইউ. পি অফিস ভায়া বাদিয়াজান সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৬০ কি.মি। যার সম্পূর্ণই কাঁচা। এই সড়কটিতে ০২ টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।

৬। কাউলজানী ইউ.পি অফিস- কাউলজানী পুরাতন বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩ কি.মি। যার সম্পূর্ণই কাঁচা। এই সড়কটিতে ০২টি কালভার্ট রয়েছে।

গ্রাম ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

১। মাইজখাড়া- বালিয়া হাট সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৪০ কি.মি., যার সম্পূর্ণ অংশ কাঁচা। এই সড়কটিতে ১টি ব্রীজ রয়েছে।

২। তারটিয়া- আইসড়া -ফুলকী সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৫০ কি.মি.। সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।

৩। ফুলকী- খাটরা সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.৫০ কি.মি.। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কটিতে ০১টি ব্রীজ রয়েছে।

৪। বালিয়া-কাশিল সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৭৮ কি.মি.। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। ১টি মাত্র কালভার্ট রয়েছে।

৫। বাসাইল-বালিয়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.০৯ কি.মি.। সড়কটিতে ১টি ব্রীজ রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। সড়কটির ০.৩০ কি.মি. পাকা। অবশিষ্ট অংশ কাঁচা।

৬। জশিহাটী-আইসড়া বাজার সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৬৪ কি.মি.। সম্পূর্ণ কাঁচা। সড়কটিতে মোট ৪টি কালভার্ট রয়েছে।

৭। করটিয়া-জশিহাটী ভায়া দেউলী সড়কঃ মোট দৈর্ঘ্য ৩.২২ কি.মি.। সড়কটিতে ২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।

ক) পাকাঃ ৫ কিঃ মিঃ (খ) এইচ বিবিঃ ১ কিঃ মিঃ (গ) কাঁচাঃ ৫০ কিঃ মিঃ ।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

বর্তমানে এখানে ১টি মহাবিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা রয়েছে।

মহাবিদ্যালয়

  • শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়

  • ১. আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • ২. জশিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়
  • ৩. টি,জে,এফ উচ্চ বিদ্যালয়
  • ৪. ময়থা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়

নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়

  • ১. বালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
  • ২. জায়েদা খানম নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

মাদ্রাসা

  • ফুলকী ঝনঝনীয়া ফাজিল মাদ্রাসা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়

  • ১. ১নং বালিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ২. ২নং ময়থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৩. ৩নং ফুলকী ঝনঝনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৪. ৪নং খাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৫. ৫নং ফুলকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৬. ৬নং জশিহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৭. ৭নং আইসড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৮. ৮নং একঢালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ৯. ৯নং তিরঞ্চ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
  • ১০. ১০নং ময়থা হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

খাল ও নদী[সম্পাদনা]

ঝিনাই নদী টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী ও একঢালা গ্রাম দিয়ে বাসাইল সীমান্তে সংযুক্ত হয়। সীমান্ত থেকে জশিহাটী ও দোহার গ্রাম পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোড় গ্রাম দিয়ে কাশিল, বন্দেভাট পাড়া, বাসাইল ইউনিয়নের বালিনা, হাবলা ইউনিয়নের ভৈরপাড়া, হাবলা টেঙ্গুরিয়াপাড়া এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান কাঞ্চনপুর হয়ে মির্জাপুর উপজেলায় প্রবেশ করে। ঝিনাই নদীর একটি খাল কাশিল থেকে হাবলা, আরোহা, ভৈরপাড়া হয়ে পুনরায় ঝিনাই নদীতে পতিত হয়। এই খালের একটি শাখা কাশিল থেকে আরোহা নদীতে পতিত হয়ে পাটখাগুরী গ্রামের নিচু এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। হাবলা টেঙ্গুরিয়াপাড়া হতে আর একটি খাল মির্জাপুর সীমান্ত ঘুরে এক সময় মির্জাপুরেই প্রবেশ করে, আদাজানের পূর্বদিকে ঝিনাই নদী হতে একটি খাল কাঞ্চনপুর- ব্রাহ্মণপাড়িল হয়ে বাসাইলের নিচু এলাকায় এসে পতিত হয়েছে।

লাঙ্গুলিয়া নদী লাঙ্গুলিয়া বংশাই নদী হতে উৎপত্তি হয়ে খাটরা দিয়ে বাসাইল উপজেলায় প্রবেশ করে। অতঃপর বাদিয়াজান, সেহরাইল, ফুলবাড়ী, বালিয়া, বাঘিল, মাইজখাড়া ও সায়ের হয়ে বন্দেভাটপাড়ায় ঝিনাই নদীর সাথে মিলিত হয়। সেহরাইলের নীচু এলাকা থেকে একটি খাল বের হয়ে বাসাইল-সুন্না সড়কের পাশ দিয়ে সুন্না বাজার হয়ে বংশী নদীতে পতিত হয়। এই খালটি মইষাখালী ব্রীজের কাছে মইষাখালী খাল, সুন্না সড়কে বেংড়াখালী খাল নামে পরিচিত। খাটরার একটু উত্তর পাশে লাঙ্গুলিয়া নদী হতে একটি খাল উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে কাউলজানীর নিচু এলাকায় শেষ হয়। লাঙ্গুলিয়া নদী হতে একটি শাখা খাটরা বাদিয়াজান হয়ে কালিহাতী থানায় প্রবেশ করেছে। অপরদিকে করটিয়াপাড়া বিল থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য একটি খাল বহু পূর্বে কেটে স্থল বল্লা, সায়ের হয়ে পশ্চিমে বী্রজের তলা দিয়ে লাঙ্গুলিয়া নদী প্রবাহের সাথে সংযুক্ত করা হয়। স্থানীয়ভাবে এটি খসরুখালী খাল নামে পরিচিত। ব্রীজের পার্শ্বে একটি স্লুইস গেটের মাধ্যমে এর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেহরাইল থেকে একটি শাখা সরাসরি বাসাইল ইউনিয়নের মাইজখাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবেশ করে ঐ শাখাটি বাসাইল বাজার ফুড গোডাউনের (রায় বাড়ীর) সম্মুখ দিয়ে চাপড়া বিলে পতিত হয়। চাপড়া বিল হয়ে এই নদীটি রাসড়া সৈদামপুর হয়ে পুনরায় বংশাই নদীতে পতিত হয়। রাসড়া-সৈদামপুরের নদীর এ অংশটি কুচিয়া মারার খাল নামে পরিচেত। বাসাইল মাইজখাড়া হয়ে কাউলজানী নয়া বাজার সড়ক তৈরী হওয়ায় নদীর গতি বাধা পড়ে ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে শুকনা মৌসুমে মরা নদীতে পরিণত হয়। তাই স্থানীয় ভাবে বাসাইল ইউনিয়নে এ নদীটি মরা গাঙ হিসাবে পরিচিত।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

ময়থা বিল, নুন্দা বিল, নিরাইল বিল, আন্দারমানিক বিল, ময়থা, নেধার ও খাটরা গ্রামের গামছা, চাদর ও শাড়ি তৈরী কারখানা, জশিহাটী গ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী,,, আইসড়া জরাশাহর মাজার [৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]