প্রবল তুষারঝড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রবল তুষারঝড়
যেখানে ঘটেনাতিশীতোষ্ণ এবং মেরু অঞ্চলে, আলপাইন জলবায়ুর উচ্চ পর্বত শিখর
ঋতুসাধারণত শীতকাল
ফলাফলবিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিপজ্জনক ভ্রমণ পরিবেশ

প্রবল তুষারঝড় বা হিমঝঁঝা হল এক ধরনের তীব্র তুষারঝড় যার বাতাসের গতিবেগ অন্তত ৫৬ কিলোমিটার / ঘণ্টা (৩৫ মাইল)এবং তা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়-সাধারণত তিন ঘণ্টা বা তার বেশি। স্থল তুষারঝড় হল একটি আবহাওয়া অবস্থা যেখানে তুষারপাত হয় না, কিন্তু মাটির উপরের হালকা তুষার শক্তিশালী বাতাসের কারণে উড়ে উঠে। প্রবল তুষারঝড় বিশাল আকারের হতে পারে এবং সাধারণত শত শত বা হাজার হাজার কিলোমিটার প্রসারিত হয়।

সংজ্ঞা এবং ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস প্রবল তুষারঝড়কে তীব্র বরফ-ঝড় হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে, যার শক্তিশালী বাতাসের ফলে তুষার উড়তে থাকে যার ফলে দৃষ্টিগোচরতা কমে যায়। প্রবল তুষারঝড় এবং তুষারঝড়ের মধ্যে পার্থক্য বায়ু গতিবেগ, তুষারের পরিমাণ নয়। প্রবল 'তুষারঝড় হতে হলে, একটি তুষার ঝড়ের বায়ুর স্থায়ী গতিবেগ বা বায়ুর ঝাপটার গতিবেগ ৫৬ কি.মি. / ঘণ্টা (৩৫ মাইল/ ঘণ্টা) এবং সাথে বাতাসে উড়ন্ত তুষার থাকতে হবে যা দৃষ্টিগোচরতা ৪০০ মিটার বা 0.২৫ মাইল বা তারও কমিয়ে আনবে এবং এমন অবস্থা দীর্ঘ সময়কাল থাকতে হবে - সাধারণত তিন ঘণ্টা বা তার বেশি।[১][২]

প্রবল তুষারঝড়ের সাথে তীব্র ঠান্ডা এবং বিশাল পরিমাণের তুষারপাত হতে পারে তবে এগুলো অপরিহায্র্য নয়। তুষারপাতগুলি শ্বেতশুভ্র অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, এবং একবারে কয়েকদিনের জন্য একটি অঞ্চলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষত যেখানে তুষারপাত হওয়া অস্বাভাবিক বা বিরল।

বেশি প্রবল 'তুষারঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ৭২ কিলোমিটার / ঘণ্টা (৪৫ মাইল/ ঘণ্টা), দৃষ্টিগোচরতা শূন্যতার কাছাকাছি, এবং তাপমাত্রা -১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা কম থাকে। দক্ষিণ মেরুদেশে, প্রবল 'তুষারঝড় বলতে, বরফ মালভূমির প্রান্ত দিয়ে ১৬০ কিলোমিটার / ঘণ্টা (৯৯ মাইল) গড় গতিবেগে বয়ে চলা বায়ুপ্রবাহকে বুঝানো হয়। [৩]

স্থল প্রবল তুষারঝড় বলতে একটি আবহাওয়ার অবস্থা বোঝায় যেখানে মাটিতে থাকা আলগা তুষার বা বরফ শক্তিশালী বাতাসের কারণে উড়ে যায়। সাধারণ রবল তুষারঝড় সাথে একটি স্থল তুষারঝড়ের প্রাথমিক পার্থক্যটি হল স্থল তুষারঝড়ের সময়ে কোন বৃষ্টিপাত হয় না, বরং সমস্ত বৃষ্টিপাত তুষার বা মাটির উপরের বরফ অবস্থায় থাকে।

অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে অনুযায়ী ব্লিজার্ড শব্দটির উতপত্তি সম্ভবত ধ্বন্যাত্মক, যা আঘাত, প্রবল বাত্যা, ফোস্কা এবং গর্জন একই অর্থ থেকে উদ্ভূত। আবহাওয়ার জন্য এটির প্রথম নথিভুক্ত ব্যবহার হয় ১৮২৯ সালে , যখন এটিকে একটি "উগ্র ঘা" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এটি ১৮৫৯ সালের মধ্যে এটির আধুনিক সংজ্ঞা অর্জন করে, যখন এটিকে পশ্চিমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার করা হয়। ১৮৮০-৮১ সালের প্রখর শীতকালীন সময়ে এই শব্দটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচলিত হয়। [৪]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্টর্ম সিস্টেম[সম্পাদনা]

ডুলুথ, মিনেসোটা প্রবল তুষারপাত, মার্চ ২০০৭
মার্চ ১৯৬৬ সালে উত্তর ডাকোটাতে প্রবল তুষারপাত।

সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জেট স্ট্রিম দক্ষিণে অনেকদূর নেমে যাওয়ার ফলে ঝড়গুলি প্রবল তুষারঝড় তৈরী করার মত শক্তিশালী হতে পারে, যখন উত্তর থেকে ঠান্ডা, শুষ্ক মেরুবায়ুকে দক্ষিণ থেকে উষ্ণ, আর্দ্র বাতাসের সাথে সংশ্পর্ষে আসে। [১][৫]

যখন প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ঠান্ডা, আর্দ্র বায়ু পূর্ব দিকে রকি পর্বতমালা এবং গ্রেট প্লেইনসের দিকে যায় এবং উষ্ণ, আর্দ্র বাতাস মেক্সিকো উপসাগর থেকে উত্তর দিকে আসে, তখন সম্ভাব্য তুষারপাত সৃষ্টি করতে যা প্রয়োজন তা হল, দক্ষিণ দিকে আসা ঠান্ডা মেরু বায়ু, যা টেক্সাস সঙ্কীর্ণ ভূভাগ হতে গ্রেট লেক এবং মধ্যপশ্চিম যুক্তরাষ্ট্ পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। ঠান্ডা বাতাস এবং উষ্ণ বাতাস একসঙ্গে মিশ্রণ হলে এবং তাদের মাঝে সীমানায় তুষারপাত গঠন করতে পারে।

আরেকটি ঝড় সিস্টেম ঘটে যদি কানাডার হাডসন বে এলাকার উপরের একটি ঠান্ডা কোর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সরে এসে দক্ষিণের কানাডা, গ্রেট লেক এবং নিউ ইংল্যান্ডের উপরে চলে আসে। মেক্সিকো উপসাগর থেকে উত্তর আসা উষ্ণ বায়ুর সাথে দ্রুতগতিতে চলমান ঠান্ডা বায়ুর সন্মুখাংশের সাথে সংঘর্ষ হলে, শক্তিশালী ভূতলের বায়ুপ্রবাহ , উল্লেখযোগ্য ঠান্ডা বাতাসের এডভেকসন এবং ব্যাপক শীতকালীন বৃষ্টিপাত ঘটে।

নিম্ন চাপ সিস্টেমগুলি রকি পর্বতমালা থেকে গ্রেট প্লেইনের উপর চলে আসে, যার বেশিরভাগ প্রাইরি, স্তেপ এবং তৃণভূমিতে আচ্ছাদিত বিস্ত্রির্ন সমতল ভূমি, দক্ষিণে বজ্রঝড় ও বৃষ্টি এবং উত্তরে ভারী তুষারঝড় ও শক্তিশালী বায়ু তৈরী করে। বায়ু ও ঝাপটা কমাতে গাছ বা অন্যান্য বাধা কম থাকায়, দেশের এই অংশটি বিশেষত খুব কম তাপমাত্রা এবং হোয়াইটআউট অবস্থা সহ প্রবল তুষারঝড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একটি আসল হোয়াইটআউট অবস্থায় দৃষ্টিগোচরতা শূণ্য হয়ে যায়। দরজা কেবলমাত্র ৩ মিটার (১০ ফুট) দূরে থাকলেও, লোকেরা তাদের নিজেদের সামনের উঠনে হারিয়ে যায়, এবং তাদের জায়গা বুঝে বুঝে ফিরে যেতে হয়। যানচালকেরা তাদের গাড়ি জায়গাতে থামাতে বাধ্য হয় কারণ রাস্তা দেখা অসম্ভব হয়ে যায়।

নরওয়েস্টার প্রবল তুষারঝড়[সম্পাদনা]

১৮৮৮ সালের দ্য গ্রেট ব্লিজার্ডের চিত্র

নরওয়েস্টার একটি বড় আকারের ঝড় যা নিউ ইংল্যান্ড এবং আটলান্টিক কানাডা উপকূল থেকে ঘটে। এটার নাম বাতাস যে দিক থেকে আসছে তার থেকে পায়। উত্তর আমেরিকায় শব্দটির ব্যবহারটি বিভিন্ন ধরনের ঝড়ের সাথে যুক্ত বায়ু থেকে আসে, যা উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হতে পারে এবং এর মধ্যে কয়েকটি দক্ষিণে হয় এমনকি মেক্সিকো উপসাগরের মতো দুর থেকে তৈরি হতে পারে। শব্দটি বেশিরভাগ সময়ই নিউ ইংল্যান্ড এবং আটলান্টিক কানাডার উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের একটি ঝড়ে, ঘুর্ণীঝড় অনুরূপ বৈশিষ্ট্য থাকে। আরো বিশেষভাবে এটি একটি নিম্ন-চাপের এলাকাকে বর্ণনা করে যার ঘূর্ণন কেন্দ্র উপকূলের একটু বাইরে অবস্থিত এবং চতুর্থাংশের বাম দিকের প্রধান বাতাস উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিকে ভূমিতে পড়ে। ঝড়ের উচু ঢেউ সমুদ্রে জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, উপকূলীয় বন্যা এবং সৈকত ক্ষয় করে। উল্লেখযোগ্য নরওয়েস্টারের মধ্যে ১৮৮৮ সালের দ্য গ্রেট ব্লিজার্ড অন্তর্ভুক্ত, যা মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রবল তুষারঝড়ের মধ্যে একটি। এটিতে ১০০-১৩০ সেমি (৪০-৫০ ইঞ্চি) তুষারপাত ঘটে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ মাইল (৭২ কিলোমিটার / ঘণ্টা) বাতাস বজায় রেখেছিল যা ৫০ ফুট (১৫ মিটার) এর বেশি বাতাসতাড়িত তুষারপুঞ্জ তৈরি করেছিল। রেলপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং এক সপ্তাহ পর্যন্ত মানুষ তাদের ঘরে বসে ছিল। এতে ৪০০ জন মারা যায় যার বেশিরভাগ নিউইয়র্কে। [৬]

ঐতিহাসিক ঘটনা[সম্পাদনা]

১৯৭২ ইরানে তুষারপাত[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালের ইরান ব্লিজার্ড, যার ফলে ৪,০০০ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক তুষারঝড় ছিল। এতে প্রায় ২৬ ফুট (৭.৯ মিটার) তুষার পড়ে, এটি ২০০ টি গ্রামকে সম্পূর্ণভাবে আচ্ছাদিত করে ফেলেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ টানা তুষারপাতের পর, উইসকনসিনের আকারের এলাকা সম্পূর্ণভাবে তুষারে আচ্ছাদিত করে ফেলেছিল। [৭][৮]

১৮৮০-১৮৮১ সালের স্নো উইন্টার[সম্পাদনা]

দক্ষিণ মিনেসোটা, কেন্দ্রীয় মার্কিন একটি বরফের অবরোধ। ২৮ শে মার্চ, ১৮৮১ সালে মিনেসোটাতে তুষারপাতের উচ্চতা রেলগাড়ির চেয়ে বেশি ছিল।

১৮৮০-১৮৮১ সালের শীতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু জায়গার জন্য ব্যাপকভাবে সর্বকালের তীব্রতম শীতকাল বলে বিবেচিত হয়। অনেক বাচ্চারা এবং তাদের বাবা-মা 'স্নো উইন্টার' সম্পর্কে লরা উইঙ্গারের শিশুদের বই লং উইন্টারের মাধ্যমে শিখেছে, যার মধ্যে লেখক বেঁচে থাকার জন্য তার পরিবারের প্রচেষ্টার কথা লিখেছিলেন। ১৮৮০ সালের অক্টোবরে তুষারপাত শুরু হয় এবং পুরো শীতকাল প্রবল তুষারঝড় হয় এবং ১৮৮১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা পুরো শীতকাল তুষারবধ্য করে ফেলেছিল। উইলডারের উপন্যাসে প্রবল তুষারঝড়ের পুনরাবৃত্তির হার এবং প্রবল ঠান্ডার সঠিক বিবরণ পাওয়া যায়, শিকাগো এবং উত্তর পশ্চিম রেলপথ কোম্পানি বসন্তের আগ পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ করে দেয় কারণ বরফ ট্র্যাকগুলিকে দুর্গম করে তোলে, নগরবাসীদের প্রায়-অনাহার অবস্থা, এবং তার ভবিষ্যত স্বামী অ্যালম্যানজোর সাহস এবং অন্য একজন মানুষ, যিনি গমের গুপ্ত ভাণ্ডার, যা আছে কিনা কেউও নিশ্চিত ছিল না, অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত প্রেইরিতে বেরিয়ে পরেছিলেন।

অক্টোবরের তুষারপাত এত বেশি ছিল যে দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার জানালা পর্যন্ত তুষারপাত উঠে এসেছিল। মৌসুমের এত আগে তুষারপাতের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না এবং এই অঞ্চলের সব কৃষকরা তাদের ফসল তোলা, শস্য ভাঙ্গানোর বা শীতের জন্য তাদের জ্বালানী সরবরাহের আগেই আটকা পড়েছিল। জানুয়ারী নাগাদ ট্রেন সার্ভিস প্রায় সম্পূর্ণভাবে ওই অঞ্চলে স্থগিত করা হয়েছিল। রেলপথের ট্র্যাক খনন করতে বেশ বহু লোককে ভাড়া দিয়েছিল কিন্তু সেটি নষ্ট প্রচেষ্টা ছিল: যত তাড়াতাড়ি তারা লাইনের একটা অংশ খুড়ে শেষ করে ফেলত, আরেকটি নতুন ঝড় এসে পৌঁছে লাইনটি ভরাট করে দিত ও তাদের পুরো কাজটি ব্যর্থ করে ফেলত।

শীতকালীন তুষার দ্রাবণ ছিলনা এবং ১৮৮১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় একটি প্রচণ্ড ঝড় হয় যা ৯ দিন ধরে চলছিল। শহরগুলিতে রাস্তার ভেতর কঠিন প্রবাহ থেকে শুরু করে বাড়ির ছাদ উড়ে এসে ভরে ছিল এবং শহরে চলাচলের জন্য গর্ত করার প্রয়োজন হয়েছিল। বাড়ী এবং গোলাবাড়ি সম্পূর্ণরূপে তুষার ঢাকা ছিল, কৃষকরা তাদের গবাদিপশুর কাছে যাবার জন্য ও খাওয়ানোর জন্য বাধ্য হয়ে গর্ত করে।

১৮৮১ সালের শেষ বসন্তে অবশেষে যখন বরফ গলে, তখন সমভূমির বিশাল অংশ প্লাবিত হয়। বিশাল বরফ জ্যাম মিসৌরি নদীকে আটকে রেখেছিল এবং তারা যখন গলে প্রবাহিত হয় তখন নিম্নাঞ্চল বিধ্বস্ত করে ফেলে। নদীর কূল প্লাবিত হওয়ার সময় ইয়াঙ্কটন শহরের বেশিরভাগ, যা এখন দক্ষিণ ডাকোটা শহর, নদীতে ভেসে যায়।[৯][১০]

স্টর্ম অব দি সেঞ্চুরি[সম্পাদনা]

স্টর্ম অব দি সেঞ্চুরি, যা ১৯৯৩ সালের গ্রেট ব্লিজার্ড নামেও পরিচিত, একটি বড় ঘুর্ণীঝড়ের মত ঝড় যা ১২ মার্চ, ১৯৯৩ তারিখে মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে গঠিত হয় এবং ১৫ মার্চ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে এসে শেষ হয়। এটি তার তীব্রতা, বিশালাকার এবং ব্যাপক ব্যাপ্তি জুড়ে প্রভাবের জন্য অনন্য। এটির সর্বোচ্চ তীব্রতায়, কানাডা থেকে সেন্ট্রাল আমেরিকার পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছিল, তবে এর প্রধান প্রভাব ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার উপর। ঘূর্ণিঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর দিয়ে এবং তারপর পূর্ব আমেরিকার মধ্য দিয়ে কানাডায় চলে যায়। উত্তরাঞ্চলীয় আলাবামা এবং জর্জিয়ার মতো দক্ষিণের এলাকাতে বরফের ছোয়া লেগেছিল এবং বার্মিংহাম, আলাবামার মতো যায়গাতে ১২ ইন্চ (30 সেমি) তুষারপাত হয় [12] সাথে হারিকেন-ফোর্সের বায়ুর ঝাপটা এবং সর্বনিম্ন বায়ুচাপের রেকর্ড করে। লুইসিয়ানা এবং কিউবার মধ্যে, হারিকেন-ফোর্স বায়ু উত্তর-পশ্চিম ফ্লোরিডা জুড়ে প্রচণ্ড জলোচ্ছাস সৃষ্টি করে, যার সাথে বিক্ষিপ্ত টর্নেডো হওয়ায় ডজনখানেক মানুষ মারা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ঝড়টির ফলে ১০ মিলিয়ন গ্রাহক বিদ্যুত বিভ্রাটের স্বীকার হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ সরাসরি এই অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন। এই ঝড়ের সময় কিউবা থেকে ১০ জন সহ মোট ৩১০ জন নিখোঁজ হয়। ঝড়ের ফলে ৬ থেকে ১০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার ক্ষতি হয়।

প্রবল তুষারঝড়ের তালিকা[সম্পাদনা]

উত্তর আমেরিকা[সম্পাদনা]

১৭০০ থেকে ১৭৯৯ সাল
  • ১৭১৭ গ্রেট স্নো ফেব্রুয়ারি ২৭ থেকে ৭ মার্চের মধ্যে টানা চারটি তুষারঝড়কে বলে। প্রথম ঝড়েই পাঁচ ফুট তুষারপাতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত তুষারপাত হয় এবং কয়েক যায়গায় ২৫ ফুট পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যাতে ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ঢুবে যায়। ঔপনিবেশিক যুগে, এইরকম ঝড়ের পর তুষার গলে না যাওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ অসম্ভব হয়ে যেত। [১১]
  • ১৭৬৫ সালের তুষারপাত। ২৪ মার্চ, ১৭৬৫। ফিলাডেলফিয়া থেকে ম্যাসাচুসেটস পর্যন্ত এলাকাতে হয়। কিছু এলাকায় প্রবল বায়ুপ্রবাহ এবং দুই ফুটের বেশি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। [১২]
  • ১৭৭২ এর তুষারপাত। "১৭৭২ সালের ওয়াশিংটন এবং জেফারসন স্নো স্টর্ম"। ২৬-২৯ জানুয়ারী, ১৭৭২। ডিসি এবং ভার্জিনিয়া এলাকায় সর্বকালের বৃহত্তম নথিভুক্ত তুষারঝড়ের একটি। এতে ৩ ফুট তুষার জমে। [১৩]
  • "১৭৭৮ এর হেসিয়ান স্টর্ম"। ডিসেম্বর ২৬, ১৭৭৮. পেনসিলভানিয়া থেকে নিউ ইংল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত তীব্র বায়ু, ভারী তুষারপাত এবং তিক্ত ঠান্ডা সহ প্রচণ্ড তুষারঝড় হয়। রোড আইল্যান্ডে তুষারপাতের হার ১৫ ফুটের বেশি ছিল। বিপ্লবী যুদ্ধ চলাকালে রোড আইল্যান্ডে বিচ্ছিন্ন হেসিয়ান সৈন্যদের নামে ঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে। [১২]
  • ১৭৮৬ সালের গ্রেট স্নো। ডিসেম্বর ৪-১০, ১৭৮৬। বরফের পরিবেশ এবং পর পর তিনটি প্রখর তুষারঝড়ের ফলে পেন্সিলভানিয়া থেকে নিউ ইংল্যান্ড পর্যন্ত ২ থেকে ৪ ফুট গভীর বরফ পড়ে। ১৭১৭ সালের তুষারঝড়ের তীব্রতাও একই রকম ছিল। [১৪]
  • ১৭৯৮ সালের লং স্টর্ম। নভেম্বর ১৯-২১, ১৭৯৮। ভারি তুষারঝড়ে মেরিল্যান্ড থেকে মেইন পর্যন্ত বরফ জমে। [১৪]
১৮০০ থেকে ১৮৫০ সাল
  • ১৮০৫ সালের তুষারপাত। ২৬-২৮ জানুয়ারী, ১৮০৫ জানুয়ারী। সাইক্লোন নিউ ইয়র্ক সিটি এবং নিউ ইংল্যান্ডে ভারী তুষারপাত ঘটে। দুই দিনের জন্য তুষারপাত ক্রমাগত হ্রাস পায় যেখানে ২ ফুট বেশি বরফ জমা হয়। [১৫]
  • ১৮১১ সালের নিউইয়র্ক সিটি ব্লিজার্ড। ২৩-২৪ ডিসেম্বর, ১৮১১। নিউইয়র্ক সিটির লং আইল্যান্ড এবং নিউ ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। শক্তিশালী বাতাস ও জোয়ারের ফলে বন্দরে রাখা জাহাজের ক্ষতির হয়। [১৫]
  • ১৮১৭ সালের লুমিনাস ব্লিজার্ড। ১৭ জানুয়ারী, ১৮১৭। ম্যাসাচুসেটস এবং ভারমন্টে, তীব্র তুষারঝড়রের সাথে বিদ্যুৎ চমক এবং ভারী বজ্রপাত হয়েছিল। সেন্ট এলমোতে আগুন ধরে গাছপালা, বেড়া পোস্ট, বাড়ির ছাদ, এমনকি মানুষও জ্বলে গিয়েছিল। হার্ভার্ডের জন ফারার প্রফেসর, ১৮২১ সালে তাঁর স্মৃতিকথায় ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে রাখেন। [১৬]
  • ১৮২১ সালের গ্রেট স্নোস্টর্ম। জানুয়ারী ৫-৭, ১৮২১। বর্ধমান তুষারঝড় এবং তুষারপাত ভার্জিনিয়া থেকে নিউ ইংল্যান্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। [১৫]
  • ১৮৩০ সালে গভীর গ্রীষ্মের শীতকালীন। ২৯ শে ডিসেম্বর, ১৮৩০। তুষারঝড়ে ইলিনয়ে ৩৬" এবং কানসাস শহরে ৩০" তুষার পরে। অঞ্চলগুলিতে ১৮৩১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর পর বেশ কিছু তুষারঝড় হয়। [১৭]
  • ১৮৩১ সালের "গ্রেট স্নো স্টর্ম" ১৮-১৬ জানুয়ারী ১৮৩১। এতে বিশাল ভৌগোলিক অঞ্চলের উপর তুষারপাত হয়েছিল যার ব্যাপ্তির তুলনা শুধু ১৯৯৩ সালের তুষারঝড়রের সাথে করা যায়, যার আকার এটির সমান বা বেশি ছিল। জর্জিয়া থেকে, ওহাইও ভ্যালিতে, এমনকি মেইন পর্যন্ত এই তুষারঝড় হয়েছিল। [১৫]
  • "১৮৩৬ সালের বিগ স্নো" ৮ জানুয়ারী, ১৮৩৬। নিউইয়র্ক, উত্তর পেনসিলভানিয়া, এবং পশ্চিম নিউ ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরে তুষারপাত ৩০ থেকে ৪০"। ফিলাডেলফিয়াতে ১৫" এবং নিউ ইয়র্ক সিটির ২ ফুট তুষারপাত হবার খবর পাওয়া গেছে। [১৫]
১৮৫১ থেকে ১৯০০ সাল
  • ১৮৫৬ সালের সমভূমির তুষারঝড়। ডিসেম্বর ৩-৫, ১৮৫৬। তুষারঝড়ের মত একটি ঝড় কানসাস এবং আইওয়াতে তিন দিনের ধরে চলে। অগ্রগামী যারা ছিল তারা সমস্যা ভোগ করে। [১৮]
  • ১৮৫৭ সালের ১৮-১৯ জানুয়ারিতে "১৮৫৭ সালের ঠান্ডা ঝড়" হয়। উত্তর ক্যারোলিনা থেকে মেইন পর্যন্ত তীব্র তুষারঝড়ের সৃষ্টি হয়। পূর্ব উপকূলীয় শহরগুলিতে ভারী তুষারপাতের সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল। [১৯]
  • ১৮৬৪ সালের মিড ওয়েস্ট তুষারঝড়। জানুয়ারী ১, ১৮৬৪। প্রবল বায়ু প্রবাহ়, চলমান তুষারপাত, এবং নিম্ন তাপমাত্রা একসাথে শিকাগো, উইসকনসিন এবং মিনেসোটাকে আঘাত করে। [২০]
  • ১৮৭৩ সালের সমভূমিতে তুষারঝড়। ১৮৭৩ সালের ৭ জানুয়ারীতে গ্রেট প্লেইনে একটি তুষারঝড় আঘাত হানে। পূর্ব থেকে আসা অনেক অগ্রগামী এই ঝড়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না এবং মিনেসোটা ও আইওয়াতে মারা যায়। [২১]
  • ১৮৭৩ সালের গ্রেট প্লেইন পূর্বের তুষারঝড়। ১৩ এপ্রিল, ১৮৭৩।
  • ১৮৮০ সালের সিয়াটল তুষারঝড়। জানুয়ারী ৬, ১৮৮০। সিয়াটল এলাকার সবচেয়ে বড় তুষারঝড় এটি। আনুমানিক চার ফুট তুষার শহরে পড়ে। অনেক গোলাবাড়ি ধসে পড়ে এবং সমস্ত পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। [২১]
  • ১৮৮০-১৮৮১ সালের তুষার শীতকাল। লরা ইঙ্গেলস উইল্ডারের বই: দ্য লং উইন্টার ১৮৮০-১৮৮১ সালের শীতকালে ডাকোটা অঞ্চলের তুষারঝড়ের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়।
  • ডিসেম্বর ১৮৮৫ থেকে মার্চ ১৮৮৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরের শীতকালে, গ্রেট প্লেইন এবং পূর্ব যুক্তরাস্ট্রে, এই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে তীব্র কিছু তুষারঝড় হয় যাদের শেষে ছিল ১৮৮৮ সালের গ্রেট এনওয়াইসি ব্লিজার্ড এবং স্কুলহাউজ ব্লিজার্ড। এই কয়েক বছরের বড় বড় তুষারঝড়ের একটি আনুমানিক কারণ হল ১৮৮৩ সালের আগস্ট মাসের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির বিশাল বিস্ফোরণ। সারা পৃথিবী জুড়ে কয়েক বছর এটি থেকে নির্গত ছাই উড়েছে। আবহাওয়ার প্যাটার্নের অবস্থা কয়েক বছর ধরে বিশৃঙ্খল, এবং তাপমাত্রা ১৮৮৮ সালের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকে ফিরে আসেনি। ১৮৮৩ সালের জুলাই মাসে ১৮৮৪ সালের মধ্যে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াতে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ক্রাকতোয়া বিস্ফোরণের ফলে অস্বাভাবিকভাবে বেশা পরিমাণে সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) আন্তর-আকাশে ছড়িয়ে যায় যা সূর্যালোককে প্রতিফলিত করে এবং পরবর্তী কয়েক বছরে বায়ুমণ্ডলীয় সালফার পতিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রহটিকে ঠান্ডা করতে সহায়তা করে।
  • ১৮৮৫ সালের শেষের দিকের সমভূমির তুষারঝড়। কানসাসে ১৮৮৫ সালের শেষের দিকে ভারী তুষারপাত হয় যা দশ ফুট উঁচু হয়ে পড়েছিল। [২২]
  • ১৮৮৬ সালের কানসাস তুষারঝড়। ১৮৮৬ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। রিপোর্ট করা হয়েছে যে ৮০% গবাদি পশু ঠান্ডা ও তুষারের ফলে কেবল ওই রাজ্যেই মারা যায়। [২২]
  • জানুয়ারী ১৮৮৬ তুষারঝড়। জানুয়ারী ৯, ১৮৮৬। একই কানসাস ১৮৮৬ তুষারঝড় পূর্বদিকে ভ্রমণ করেছিল।
  • ১৮৮৬ সালের শেষের দিকে গ্রেট প্লেইন ব্লিজার্ড। ১৩ নভেম্বর, ১৮৮৬ তারিখে তুষারপাত শুরু হয় এবং গ্রেট প্লেইন অঞ্চলে এক মাসের জন্যও থামেনি। [২৩]
  • ১৮৮৭ সালের গ্রেট প্লেইন ব্লিজার্ড। জানুয়ারী ৯-১১, ১৮৮৭। ৭২ ঘণ্টার তুষারঝড় যা ১৬ ইঞ্চিরও বেশি বরফের নিচে গ্রেট প্লেইনের কিছু অংশ আচ্ছাদিত করে ফেলে। বায়ুর ঝাপটা বয় এবং তাপমাত্রা প্রায় -৫০ ফারেনহাইটে নামে। যেসব গরু ঠান্ডায় মারা যায়নি তারা দ্রুতই অনাহারে মারা যায়। যখন বসন্ত পৌঁছেছিল, লক্ষ লক্ষ প্রাণী মারা গিয়েছিল, প্রায় ৯০ শতাংশ খোলা পরিসরের গবাদি পশুগুলি যেখানে তারা ঘুরছিল সেখানে পড়ে পচছিল। যারা উপস্থিত ছিল তারা যতদূর দেখা যায় ততদূর মৃতদেহ দেখতে পায় বলে জানায়। পশুর মৃতদেহ নদীর পানি প্রবাহ আটকিয়ে ফেলে ও দূষিত করে দেয়। অনেক পশু খামার দেউলিয়া হয়ে যায় এবং অন্যরা এই ব্যবসা ছেড়ে পূর্ব দিকে ফিরে যায়। তুষারঝড় থেকে "গ্রেট ডাই-আপ" হয় যা কার্যকরীভাবে গ্রেট প্লেইনের গবাদি পশুর চালনার কল্পনাবিলাসী যুগ শেষ করে। [২৪]
  • ১৮৮৮ উত্তর আমেরিকার গ্রেট প্লেইনে স্কুলহাউস ব্লিজার্ড। জানুয়ারী ১২-১৩, ১৮৮৮। ঝড়টি আসার সময়টা (কাজের এবং স্কুলের সময়), আকস্মিকতা এবং এটির আগে উষ্ণ আবহাওয়া এর সংক্ষিপ্ত ঝাপটা এটিকে মারাত্মক করেছিল। এছাড়া, ঠান্ডা বায়ুর পিছনে খুব শক্তিশালী বায়ু প্রবাহের ক্ষেত্র এবং গুঁড়ো তুষারের ফলে খোলা সমভূমিতে দৃষ্টিগোচরতা শূন্য করে ফেলতো। লোকেরা তাদের বাড়ির নিরাপত্তা ছেড়ে কাজে যেত, শহরে যেত, স্কুলে উপস্থিত হয়, অথবা কেবল দিনের আপেক্ষিক উষ্ণতা উপভোগ করতে যেত। ফলস্বরূপ, হাজার হাজার মানুষ-সহ বহু স্কুলছাত্র ঝড়ের মধ্যে পড়তো।
  • মার্চ ১৮৮৮ সালের গ্রেট ব্লিজার্ড। মার্চ ১১-১৪, ১৮৮৮। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর রেকর্ডকৃত তুষারঝড়। ১২ই মার্চ, একটি অপ্রত্যাশিত নর্থইস্টার নিউ ইংল্যান্ড এবং মিডল-আটলান্টিক আঘাত করে, তিন দিনের মধ্যে ৫০ ইঞ্চি(১৩০ সেমি) তুষারপাত হয়ে যায়। নিউইয়র্ক শহরে এ যাবতের সব থেকে বেশি তুষারপাতের সম্মুখীন হয়েছিল, সেই সময়ে সব রাস্তার রেলকার পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল, এবং এই ঝড়ের কারণে এন ওআই সি সাবওয়ে সিস্টেম তৈরির হয়েছিল। তুষার কিছু বাড়ির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এই তুষারঝড় থেকে প্রায় ৪০০ জন মারা যায়, যার মধ্যে অনেক নাবিক ছিল যারা, বায়ু প্রবাহের ফলে অশান্ত সমুদ্রে জাহাজে ছিল।
  • ১৮৯৯ সালের গ্রেট ব্লিজার্ড, ১১-১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯। এটির একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক তুষারঝড় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে এটি আঘাত হানে এবং ওয়াশিংটন, ডিসি এর আশেপাশের এলাকা ৫১ ঘণ্টার টানা তুষারপাত ভোগ করে। নিউ অর্লিন্স বন্দর সম্পূর্ণরূপে বরফে ঢাকা ছিল; নিউ অর্লিন্স মার্দি গ্রা তে অংশগ্রহণকারীরা পার্শ্বীয় রুটগুলি তুষার থেকে মুক্ত করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এই তুষারঝড়ের সঙ্গে অত্যন্ত ঠান্ডা আর্কটিক বায়ু ছিল। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণের এলাকার জন্য সর্বকালের কম তাপমাত্রার রেকর্ড সহ, অনেক শহর ও রাজ্যে সবথেকে কম তাপমাত্রা এই তুষারঝড়ের সময়ই হয়েছিল। রাজ্য রেকর্ড নিম্ন: নেব্রাস্কা -৪৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট (-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এ পৌঁছেছিল, ওহাইও -৩৯ °ফারেনহাইট (-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস), লুইসিয়ানা -১৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) হয়েছিল এবং ফ্লোরিডা শূন্যের নিচে -২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছিল।
১৯০১ থেকে ১৯৩৯ সাল
  • ১৯১৩ সালের গ্রেট লেক স্টর্ম, নভেম্বর ৭-১০, ১৯১৩। ১৯১৩ সালের "হোয়াইট হারিকেন" ছিল মধ্যপশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট লেক বেসিনে ও কানাডার প্রদেশ ওনটারিওতে আঘাত করা সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে ৯০ মাইল (১৪০ কিমি / ঘণ্টা) দমকা বায়ু , ৩৫ ফুট (১১ মিটার) উচ্চ ঢেউ ও তুষারশভ্র ঝড়ো হাওয়া ছিল। এটি ২৫০ এরও বেশি লোককে হত্যা করে ১৯ টি জাহাজ ধ্বংস করে ও আরও ১৯টিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
  • ১৯১৮ সালের তুষারঝড়। ১১ জানুয়ারি, ১৯১৮। প্রচণ্ড তুষারঝড় মতো ঝড়টি গ্রেট লেক ও ওহাইও ভ্যালির মধ্য দিয়ে চলে যায়। [২১]
  • ১৯২০ উত্তর ডাকোটা তুষারঝড়, ১৫-১৮, ১৯২০।
  • ২৭-২৮ জানুয়ারী, ১৯২২ সালের জানুয়ারিতে নিকারব্যাকার স্টর্ম।
১৯৪০ থেকে ১৯৪৯ সাল
  • ১৯৪০ সালের যুদ্ধবিরতি দিবস ব্লিজার্ড, নভেম্বর ১০-১২, ১৯৪০। যুদ্ধবিরতি দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপশ্চিম অঞ্চলে এই প্রবল তুষারঝড় ঘটে। এই "প্যানহ্যান্ডল হুক" শীতকালীন ঝড়টি দেশটির মধ্য দিয়ে কানসাস থেকে মিশিগান পর্যন্ত ১,০০০ মাইল প্রশস্ত জায়গা নিয়ে (১,৬০০ কি.মি.) এগিয়েছে। ঝড়ের সকালে শীতকাল অনুযায়ী উষ্ণ ছিল কিন্তু মধ্য বিকেলে পরিস্থিতি দ্রুত একটি বর্ধমান প্রবল তুষারঝড়ে রুপ নেয় যা পরের দিন পর্যন্ত চলে। ঝড়ের কারণে মোট ১৪৫ জন মারা যায়, প্রায় এক তৃতীয়াংশ হাঁস শিকারী যারা শিকারের আদর্শ অবস্থার সদ্ব্যবহারের জন্য বের হয়। আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীরা আসন্ন ঝড়ের তীব্রতার পূর্বাভাস দেয়নি এবং ফলস্বরূপ শিকারীদের কাছে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য পোশাক ছিল না। ঝড় শুরু হলে, তারা মিসিসিপি নদীর ছোট ছোট দ্বীপে আশ্রয় নেয় এবং ৫০ মাইল (৮০ কিমি / ঘণ্টা) বায়ু এবং ৫ ফুট (১.৫ মি) ঢেউ তাদের আস্তানা ডুবিয়ে দেয়। তাদের কিছু দ্বীপে আটকা পড়ে এবং সারারাতের একক ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডায় জমে মারা যায়। অন্যরা তীরে সাতরে যাবার চেষ্টায় ডুবে যায়।
  • ১৯৪৭ সালের উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড়, ১৯৪৭ সালের ২৫শে জানুয়ারী। ক্রিসমাস ডে-তে শুরু হওয়া এই প্রবল তুষারঝড়ে রেকর্ড-ভাঙা তুষারপাত হয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জীবনযাত্রা স্থবির করে দেয়। নিউইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল পার্কে ২৪ ঘণ্টায় ২৬ ইঞ্চি গভীর তুষারপাত হয় যেখানে শহরতলির দিকে তুষারপাত আরো বেশি ছিল। এটির সাথে প্রবল বাতাসের ছিল না, তবে ক্রমাগত তুষারপাত হয় যা ১০ ফুট (৩.০ মিটার) হয়। সাতাত্তর জনের মৃত্যুর কারণ ছিল এই প্রবল তুষারঝড়। [১৭]
  • ১৮৪৯ সালের প্রবল তুষারঝড়, প্রথমটি রোববার ২ জানুয়ারি, ১৯৪৯ সালে শুরু হয়; এটা তিন দিনের জন্য স্থায়ী হয়। পরের দুই মাস প্রবল বায়ু এবং তিক্ত ঠান্ডার সঙ্গে একের পর এক তুষারঝড় হয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ-পূর্ব ওয়াইওমিং, উত্তর কলোরাডো, পশ্চিমা সাউথ ডাকোটা এবং পশ্চিমা নেব্রাস্কার গভীর তুষারের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। সব রেলপথ এবং সড়কপথ ২০ ফুট তুষারে ডুবে ছিল। ট্রেনে ভ্রমণরত শত শত লোক আটক পড়েছিল। মোটরযাত্রীরা যারা ২ জানুয়ারিতে রওনা দিয়েছিল তারা গ্রামীণ এলাকার খামার বাড়িতে এবং হোটেলে ও শহরের অন্যান্য বিল্ডিংএ থাকতে হয়; কিছু কিছু থাকার জায়গা এত বেশি লোক ছিল যে সবার ঘুমানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল না। বরফ কেটে সড়াতে সপ্তাহখানেক সময় লাগে। কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত সাহায্য, খাদ্য এবং গবাদি পশুর জন্য খড় পাঠায়। মোট উদ্ধার অভিযানে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় সংস্থা যুক্ত ছিল এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস থেকে অন্তত দশটি প্রধান রাষ্ট্রীয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এতে জড়িত ছিল। রেলপথ ও তেল কোম্পানি সহ বেসরকারী ব্যবসাগুলিও কাজ করার জন্য জনশক্তি ও ভারী সরঞ্জাম সরবরাহ করে। সরকারিভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয় ৭৬ জন এবং দশলক্ষ গবাদি পশু। [২৫][২৬]
১৯৫০ থেকে ১৯৫৯ সাল
  • ১৯৫০ সালের নভেম্বর এর গ্রেট অ্যা্পাল্যাচিয়ান স্টর্ম, ১৯৫০ সালের নভেম্বর ২৮-৩০।
  • মার্চ ১৯৫৮ নরইস্টার তুষারঝড় মার্চ ১৮-২১, ১৯৫৮।
  • ১৯৫৯ সালের মাউন্ট শাস্টা ক্যালিফোর্নিয়ার তুষারঝড় - এই ঝড়টি মাউন্ট শাস্টায় ১৮৯ ইঞ্চি বরফ ফেলে। বরফের বেশিরভাগ অংশ জনহীন পাহাড়ী এলাকাগুলিতে পড়েছিল, যা শাস্টা এলাকার অধিবাসীদের তেমন সমস্যা সৃষ্টি করেনি। রেকর্ডকৃত তুষারপাত উত্তর আমেরিকার একটি ঝড়ের জন্য সবচেয়ে বেশি।
১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল
  • মার্চ ১৯৬০ সালের নরইস্টার তুষারঝড় মার্চ ২-৫, ১৯৬০
  • ডিসেম্বর ১৯৬০ নর্দার ঝিল্লি ডিসেম্বর ১২-১৪, ১৯৬০. দমকা বায়ু ঘণ্টা প্রতি ৫০ মাইল পর্যন্ত গতিবেগে বয়। [২৭]
  • মার্চ ১৯৬২ গ্রেট নরইস্টার তুষারঝড় মার্চ ১৯৬২- অ্যাস বুধবার। উত্তর ক্যারোলিনা এবং ভার্জিনিয়া তুষারঝড়। বসন্তের ভরা জোয়ারের ঋতুতে আঘাত হানে এবং প্রায় ৫ দিন পর্যন্ত স্থির ছিল এবং পূর্বের উপকূল বরাবর উল্লেখযোগ্য ক্ষতির করে, অ্যাসেটেগ দ্বীপটি পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং ভার্জিনিয়াতে ৪২ ইঞ্চি বরফ জমিয়ে ফেলে।
  • ১৯৬৬ এর উত্তর আমেরিকার তুষারঝড়, ১৯৬৬ জানুয়ারী ২৭-৩১
  • শিকাগো ব্লিজার্ড ১৯৬৭ জানুয়ারী ২৬-২৭, ১৯৬৭
  • ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ নরইস্টার ফেব্রুয়ারি ৮-১০, ১৯৬৯
  • মার্চ ১৯৬৯ নরইস্টার তুষারঝড় ৯ মার্চ, ১৯৬৯
  • ডিসেম্বর ১৯৬৯ নরইস্টার তুষারঝড় ডিসেম্বর ২৫-২৮, ১৯৬৯।
১৯৭০ থেকে ১৯৭৯ সাল
  • ১৯৭৫ সালের গ্রেট স্টর্ম "সুপার বোল ব্লিজার্ড" বা "মিনেসোটার স্ট্রর্ম অফ দ্য সেঞ্চুরি" নামে পরিচিত। জানুয়ারি ৯-১২, ১৯৭৫. -৫০ ফারেনহাইট থেকে - ৮০ ফারেনহাইট এর বাতাসের তাপমাত্রা, গভীর তুষারপাত। [২১]
  • ১৯৭৬ সালের গ্রাউন্ডহগ ডে গেল, ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬
  • ১৯৭৭ এর বাফালো ব্লিজার্ড, জানুয়ারী ২৮ - ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৭৭। মাটির উপর ইতিমধ্যে কয়েক ফুট বরফ জমে ছিল এবং ঝড়ের ফলে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত জন্য রেকর্ডে করেছিল - ১৯৯.৪ ইঞ্চি। [১১]
  • ১৯৭৮ সালের গ্রেট ব্লিজার্ডটি "ক্লিভল্যান্ড সুপারবোম" নামেও পরিচিত। ২৫-২৭ জানুয়ারী, ১৯৭৮। মধ্যপশ্চিমের সবচেয়ে খারাপ তুষারপাতের একটি । বায়ু ঝাপটার গতিবেগ ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার / ঘণ্টা) পৌঁছে, যার ফলে কিছু এলাকায় তুষারপাত ২৫ ফুট (৭.৬ মিটার) উচ্চতায় পৌঁছে, যা রাস্তাঘাটকে দুর্গম করে তোলে। কানাডার দক্ষিণ অন্টারিওর উপর ঝড় সর্বোচ্চ তীব্রতা পৌঁছে।
  • ১৯৭৮ সালের উত্তর-পূর্ব আমেরিকা ব্লিজার্ড - ফেব্রুয়ারি ৬-৭, ১৯৭৮। ক্লিভল্যান্ড সুপারবোম ব্লিজার্ডর মাত্র এক সপ্তাহ পরে নিউইয়র্কে ১৮৮৮ সাল থেকে ৯০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তুষারঝড় ছিল এটি। [২৮]
  • শিকাগো ব্লিজার্ড ১৯৭৯ জানুয়ারী ১৩-১৪, ১৯৭৯
১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল
  • ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ নরইস্টার তুষারঝড়, ফেব্রুয়ারি ২২-২৪, ১৯৮৭
১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল
  • ১৯৯১ হ্যালোইন ব্লিজার্ড উচ্চ মধ্য-পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অক্টোবর ৩১ - নভেম্বর ৩, ১৯৯১
  • ডিসেম্বর ১৯৯২ নরইস্টার তুষারঝড় ডিসেম্বর ১০-১২, ১৯৯২
  • ১৯৯৩ সালের স্ট্রর্ম অফ দ্য সেঞ্চুরি, ১২-১৫ মার্চ, ১৯৯৩। দক্ষিণ ও পূর্ব আমেরিকা ও কিউবার উপর দিয়ে এই বিশাল তুষারঝড়ের আসল ধকল যায়, তবে স্ট্রর্ম অফ দ্য সেঞ্চুরি রেকর্ডকৃত ইতিহাসের যেকোন ঝড়ের তুলনায় বিস্তৃত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিল।
  • ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ নরইস্টার তুষারঝড়, ফেব্রুয়ারি ৩-৬, ১৯৯৫
  • ১৯৯৬ সালের জানুয়ারী ৬-১০, ১৯৯৬ এর তুষারপাত
  • এপ্রিল ফুল ডে ব্লিজার্ড, ৩১ মার্চ - ১ এপ্রিল, ১৯৯৭. মার্কিন পূর্ব উপকূল
  • ১৯৯৭ পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীতকালীন ঝড়, অক্টোবর ২৪-২৬, ১৯৯৭
  • জানুয়ারী মিড ওয়েস্ট ব্লিজার্ড, ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারী
২০০০ থেকে ২০০৯ সাল
  • জানুয়ারি ২৫, ২০০০ সালের দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকা শীতকালীন ঝড়, ২৫ জানুয়ারি , ২০০০। উত্তর ক্যারোলিনা এবং ভার্জিনিয়া
  • ২০০০ সালের ডিসেম্বরে নরইস্টার তুষারঝড় ডিসেম্বর ২৭-৩১, ২০০০
  • ২০০৩ এর উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় (রাষ্ট্রপতি দিবসের ঝড় ২), ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি ১৪-১৯
  • ডিসেম্বর ২০০৩ সালের নরইস্টার তুষারঝড়, ডিসেম্বর ৬-৭, ২০০৩
  • ২০০৫ এর উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড়, ২০০৫ সালের জানুয়ারী ২০-২৩
  • ২০০৬ সালের ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড়
  • প্রথম শীতকালে ২০০৬ সালের উত্তর আমেরিকার ঝড়, নভেম্বর ২০০৬
  • কলোরাডো হলিডে তুষারঝড় (২০০৬-০৭) ডিসেম্বর ২০-২৯, ২০০৬ কলোরাডো
  • ফেব্রুয়ারি ২০০৭ উত্তর আমেরিকা প্রবল তুষারঝড় ফেব্রুয়ারি ১২-২০, ২০০৭
  • ২০০৮ সালের জানুয়ারী উত্তর আমেরিকার ঝড়, জানুয়ারী, ২০০৮ ওয়েস্ট কোস্ট মার্কিন
  • ২০০৮ সালের ৬ষ্ঠ মার্চ, ২০০৮ এর উত্তর আমেরিকার তুষারঝড়
  • ২০০৯ সালের মিডওয়েস্ট ব্লিজার্ড, ৬-৮ ডিসেম্বর ২০০৯, একটি বোমা সাইক্লোজেনেসিস ঘটনা যা কানাডার কিছু অংশকে প্রভাবিত করে
  • ২০০৯ -এর ডিসেম্বর ১৬-২০, ২০০৯ এর উত্তর আমেরিকার তুষারঝড়
  • ২০০৯ -এর ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৯ -এর উত্তর আমেরিকার ক্রিসমাসের তুষারঝড়
২০০০ থেকে ২০০৯ সাল
  • ২০১০ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড়, ফেব্রুয়ারি ৫-৬, ২০১০। টাইম পত্রিকাতে একে বরফ কেয়ামত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল, যা একটি ক্যাটেগরি ৩ ("মেজর") নরইস্টার এবং মারাত্মক আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনা।
  • ফেব্রুয়ারি ৯-১০, ২০১০ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় ফেব্রুয়ারি ৯-১০, ২০১০
  • ফেব্রুয়ারি ২৫-২৭, ২০১০ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় ফেব্রুয়ারি ২৫-২৭, ২০১০
  • অক্টোবর ২০১০ অক্টোবর ২৩-২৮, ২০১০ অক্টোবর উত্তর আমেরিকার ঝড়
  • ডিসেম্বর ২০১০ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় ডিসেম্বর ২৬-২৯, ২০১০
  • জানুয়ারী ৩১- ফেব্রুয়ারি ২, ২০১১ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় জানুয়ারী ৩১- ফেব্রুয়ারি ২, ২০১১। গ্রাউন্ডহগ ডে ব্লিজার্ড ২০১১
  • ২০১১ হ্যালোইন নরইস্টার অক্টোবর ২৮ - নভেম্বর ১, ২০১১
  • ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি অক্টোবর ২৯-৩১, ২০১২. পশ্চিম ভার্জিনিয়া, পশ্চিম উত্তর ক্যারোলিনা, এবং দক্ষিণ-পশ্চিম পেনসিলভানিয়া ভারী তুষারপাত এবং প্রবল তুষারঝড়ের মত পরিস্থিতি হয়।
  • নভেম্বর ২০১২ নরইস্টার নভেম্বর ৭-১০, ২০১২
  • ১৭-২২ ডিসেম্বর, ২০১২ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় ডিসেম্বর ১৭-২২, ২০১২
  • ২০১২ সালের ডিসেম্বরের শেষের উত্তর আমেরিকান ঝড় কমপ্লেক্স ডিসেম্বর ২৫-২৮, ২০১২
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৩ নরইস্টার ফেব্রুয়ারি ৭-২০, ২০১৩
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৩ গ্রেট প্লেইন প্রবল তুষারঝড় ফেব্রুয়ারি ১৯- মার্চ ৬, ২০১৩
  • মার্চ ২০১৩ নরইস্টার মার্চ ৬, ২০১৩
  • অক্টোবর ২০১৩ উত্তর আমেরিকান ঝড় কমপ্লেক্স অক্টোবর ৩-৫, ২০১৩
  • ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে বাফেলো, এনওয়াই এর প্রবল তুষারঝড়। বাফেলোতে ১৮ নভেম্বর, ২০১৪ তে ৬ ফুটের বেশি বরফ পড়েছিল
  • জানুয়ারী ২০১৫ উত্তর আমেরিকার ঝড় জানুয়ারী ২৬-২৭, ২০১৫
  • ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শেষের উত্তর আমেরিকার ঝড়, ডিসেম্বর ২৬-১৭, ২০১৫, নিউ মেক্সিকোর ও পশ্চিম টেক্সাস রাজ্যের সবচেয়ে কুখ্যাত প্রবল তুষারঝড় মধ্যে একটি। এটি ঘণ্টা প্রতি ৩০ মাইলের বেশি বাতাসের গতিবেগ বজায় রেখেছিল এবং ক্রমাগত ৩০ ঘণ্টা তুষারপাত হয়। হবস, রসওয়েল, এবং কার্লসব্যাড নিউ মেক্সিকো অঞ্চলে ছোট কাউন্টি রাস্তায় কয়েক ডজন যানবাহন আটকা পড়ে। শক্তিশালী স্থায়ী বাতাস বিভিন্ন অস্থায়ী বাড়ি ধ্বংস করে।
  • জানুয়ারী ২০১৬ যুক্তরাষ্ট্রের ব্লিজার্ড, জানুয়ারী ২০-২৩, ২০১৬
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৬ উত্তর আমেরিকান ঝড় কমপ্লেক্স, ফেব্রুয়ারি ১-৮, ২০১৬
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৭ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড় ফেব্রুয়ারি ৬-১১, ২০১৭
  • মার্চ ২০১৭ উত্তর আমেরিকার প্রবল তুষারঝড়, মার্চ ৯-১৬, ২০১৭
  • জানুয়ারী ২০১৮ নরইস্টার - জানুয়ারী ৩-৬, ২০১৮

কানাডা[সম্পাদনা]

  • ১৯৭১ সালের পূর্ব কানাডিয়ান প্রবল তুষারঝড় - মন্ট্রিয়ালে দেড় ফুট (৪৫.৭ সেমি) এবং এই অঞ্চলের অন্য এলাকাতে দুই ফুটের (৬১ সেমি) বেশি তুষারপাত হয়। ১৯১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এই প্রবল তুষারঝড়ের জন্য মন্ট্রিয়াল কানাডার হকি খেলা বাতিল করার হয়। [২৯]
  • ২০০৭ সালের সাসকাচোয়ান প্রবল তুষারঝড় - ১০ জানুয়ারী, ২০০৭ কানাডা

যুক্তরাজ্য[সম্পাদনা]

  • ১৮০৯ এর গ্রেট ফ্রস্ট
  • ১৮৮১ সালের জানুয়ারির প্রবল তুষারঝড়
  • যুক্তরাজ্যের ১৮৯৪-৯৫ সালের শীতকাল
  • যুক্তরাজ্যের ১৯৪৬-৪৭ সালের শীতকাল
  • ফেব্রুয়ারি ৩, ১৯৪৭, (ঐতিহাসিক প্রবল তুষারঝড়)
  • যুক্তরাজ্যের ১৯৬২-৬৩ সালের শীতকাল
  • ১৯৮৭ সালের জানুয়ারীর দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের তুষারপাত
  • পশ্চিম ইউরোপে ১৯৯০-৯১ এর শীতকাল
  • ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের তুষারপাত
  • গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ২০০৯-১০ এর শীতকাল
  • গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ২০১০-১১ এর শীতকাল
  • ২০১২ এর প্রথম দিকের ইউরোপীয় শৈত্য প্রবাহ
  • ডিসেম্বর ২০১৩ এবং জানুয়ারী ২০১৪ সালের শীতকালীন ঝড়
  • মার্চ ৮, ২০১৩ সালের প্রবল তুষারঝড় (৮ ফুট তুষার পড়েছিল)
  • ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ উত্তর ইংল্যান্ড প্রবল তুষারঝড় (৫০ এর বেশি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মার্চ মাসের তুষারপাত)
  • ফেব্রুয়ারি – মার্চ ২০১৮ - পূর্ব খেকে আসা প্রবল তুষারঝড়, ১৯৯০-১৯৯১ সালের পর থেকে সবচেয়ে প্রবল ইউকে তুষারঝড়
  • মার্চ ২০১৮- পূর্ব খেকে আসা দ্বিতীয় প্রবল তুষারঝড়

অন্যান্য অবস্থান[সম্পাদনা]

  • ১৯৫৪ রোমানিয়ান প্রবল তুষারঝড়
  • ১৯৭২ ইরানের প্রবল তুষারঝড়
  • পশ্চিম ইউরোপের ১৯৯০-১৯৯১ এর শীতকাল
  • ২০০৮ সালের চীনা শীতকালীন ঝড়
  • পূর্ব এশিয়ায় ২০০৯-২০১০ সালের শীতকালীন ঝড়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Blizzards"www.ussartf.org। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  2. Service, NOAA's National Weather। "Glossary - NOAA's National Weather Service"w1.weather.gov (ইংরেজি ভাষায়)। 
  3. "Blizzard" Encyclopædia Britannica Online retrieved 17 March 2012
  4. Entry for BlizzardOxford English Dictionary 
  5. "weather.com - Storm Encyclopedia"। ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৮, ২০১৯ 
  6. New York
  7. "40 Years Ago, Iran Was Hit by the Deadliest Blizzard in History"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  8. "بوران ۱۳۵۰: شدیدترین بوران تاریخ معاصر ایران و جهان"www.skyandweather.net। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  9. "Prologue"archives.gov। ৮ মার্চ ২০১২। 
  10. Doane Robinson (১৯০৪), "Chapter LIII: Dakota Territory History – 1880–1881", History of South Dakota, 1, পৃষ্ঠা 306–309 
  11. "15 of the Worst Snowstorms in History"। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  12. Northeast Snowstorms, Vol II. Kocin/Uccellini pg 299
  13. "Weather Events: The Washington and Jefferson Snowstorm of 1772"www.islandnet.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  14. Northeast Snowstorms, Vol II. Kocin/Uccellini pg 301
  15. Northeast Snowstorms, Vol II. Kocin/Uccellini pg 303
  16. Extreme Weather record book, 2007 edition, pg 91, Christopher Burt
  17. The American Weather Book. David Ludlum pg 265
  18. The American Weather Book. David Ludlum pg 263
  19. Northeast Snowstorms, Vol II. Kocin/Uccellini pg 304
  20. The American Weather Book. David Ludlum pg 6
  21. The American Weather Book. David Ludlum pg 7
  22. "Blizzard of 1886 - Kansapedia - Kansas Historical Society"www.kshs.org। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  23. "Blizzard Years"www.acsu.buffalo.edu। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  24. Clark, Laura (জানুয়ারি ৯, ২০১৫)। "The 1887 Blizzard That Changed the American Frontier Forever"smithsonianmag.comSmithsonian 
  25. "Blizzard of '49 - Wyoming History"। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ 
  26. Hein, Rebecca। "The Notorious Blizzard of 1949"The Wyoming State Historical Society। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২০, ২০১৭ 
  27. The American Weather Book. David Ludlum pg 264
  28. Extreme Weather record book, 2007 edition, pg 241, Christopher Burt
  29. "10 Biggest Snowstorms of All Time"। ১২ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮