নন্দন নিলেকানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নন্দন নিলেকানি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1955-06-02) ২ জুন ১৯৫৫ (বয়স ৬৮)
ব্যাঙ্গালোর, মহীশূর রাজ্য (বর্তমান কর্নাটক), ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস[১][২]
শিক্ষাপ্রযুক্তি স্নাতক
প্রাক্তন শিক্ষার্থীভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান বোম্বে
পেশাইনফোসিসের অ-নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং আধারের চেয়ারম্যান
পুরস্কারপদ্মভূষণ (২০০৬)

নন্দন মোহনরাও নিলেকানি (জন্ম ২রা জুন ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা। তিনি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০১৭ সালের ২৪শে আগস্ট বোর্ডের সভাপতি আর সেশাসায়ীর স্থলাভিষিক্ত হয়ে[৩] অ-নির্বাহী সভাপতি হন।[৪] তিনি আধার (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন।[৫] ইনফোসিসে সফল কর্মজীবনের পর, তিনি ভারত সরকারের প্রযুক্তি কমিটি, টিএজিইউপি-এর প্রধান হন।[৬] তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সদস্য কিন্তু ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী রাজনীতিতে সক্রিয় নন।[৭]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

নন্দন নিলেকানি ১৯৫৫ সালের ২রা জুন ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন।[৮] তাঁর মা ও বাবা ছিলেন যথাক্রমে দুর্গা এবং মোহন রাও নিলেকানি। তাঁরা কর্ণাটকের শিরসিকোঙ্কনি ব্রাহ্মণ[৯] [১০] তাঁর বাবা মহীশূর এবং মিনার্ভা মিলসের একজন জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ফ্যাবিয়ান সমাজবাদের আদর্শে বিশ্বাস করতেন যা নীলেকানির শৈশব-কৈশোরকে প্রভাবিত করেছিল। নীলেকানির বড় ভাই বিজয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার এনার্জি ইনস্টিটিউটে কাজ করেন।

নিলেকানি বিদ্যালয় শিক্ষা করেছিলেন ধারওয়াড়ের বিশপ কটন বয়েজ স্কুল এবং সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে। এরপর তিনি ধারওয়াড়ের কর্ণাটক পিইউ কলেজ অধ্যয়ন করেন এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বোম্বে থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[১১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তথ্য প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালে তিনি মুম্বাই-ভিত্তিক পাটনি কম্পিউটার সিস্টেমে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন, যেখানে এন আর নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। ১৯৮১ সালে, নিলেকানি, মূর্তি এবং অন্য পাঁচজন তাদের নিজস্ব কোম্পানি ইনফোসিস শুরু করতে পাটনি ছেড়ে দেন। নিলেকানি ২০০২ সালের মার্চ মাসে ইনফোসিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন এবং ২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানির এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তাঁর সহকর্মী কৃষ গোপালকৃষ্ণনের তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন এবং তিনি পরিচালনা পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান হন। ২০০২ সালে সিইও হিসাবে নেতৃত্ব গ্রহণের আগে, নিলেকানি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার সহ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এর সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। [১২] সিইও হিসাবে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে, ইনফোসিসের রাজস্ব ছয়গুণ বেড়ে $৩ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল।

২০১৭ সালে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশাল সিক্কা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তিনি ইনফোসিসে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তিনি তাঁর মূল কেন্দ্র ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বেঙ্গালুরু সদর দফতরে পরিবর্তন করেন।[১৩]

আমলাতন্ত্র[সম্পাদনা]

নিলেকানি ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ইনফোসিস ত্যাগ করেন আধার কেন্দ্রের সভাপতি হিসেবে কাজ করার জন্য। এটি একটি ক্যাবিনেট-মর্যাদার পদ, এটি তিনি প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে গ্রহণ করেছিলেন। ইউআইডিএআই-এর সভাপতি হিসাবে তিনি ভারতে বহুমুখী জাতীয় পরিচয়পত্র, বা অনন্য পরিচয়পত্র (ইউআইডি কার্ড) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ভারতের সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য একটি অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর প্রদান করা। এটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য একে কল্যাণ পরিষেবার দক্ষ সরবরাহের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা হবে।[১২] শনাক্তকরণ পদ্ধতিটি হবে বায়োমেট্রিক, এবং ভারতের সমগ্র জনসংখ্যার এই সরকারী তথ্যশালা তৈরিকে "গ্রহের বৃহত্তম সামাজিক প্রকল্প" বলা হয়েছে।[১৪]

তাঁরা আধার তৈরি করেছেন, এটি ভারতীয় বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি। এটি একটি তথ্যশালা, যেখানে জনসংখ্যার তথ্য, ভারতীয়দের বাড়ির ঠিকানা রয়েছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ১১৪ কোটি ভারতীয় তাঁদের শনাক্তকরণ নম্বর পেয়েছেন। ২০১৬ সালে, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার আধারকে "বিশ্বের সবচেয়ে পরিশীলিত শনাক্তকরণ কার্যক্রম" বলে অভিহিত করেছিলেন। এই কার্যক্রমটি মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের জন্য সমালোচিত হয়েছে।[১৫]

তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনস (আইসিআরআইইআর) এর বোর্ড অফ গভর্নরস এর সদস্য এবং এনসিএইআর এর সভাপতি।[১২] এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ফাউন্ডেশন এবং বোম্বে হেরিটেজ ফান্ড সহ বেশ কয়েকটি উপদেষ্টা বোর্ডে বসেন।[১৬]

নিলেকানি দ্য ডেইলি শো-তে জন স্টুয়ার্টের সাথে তাঁর ইমাজিনিং ইন্ডিয়া: দ্য আইডিয়া অফ আ রিনিউড নেশন [১৭] বইটির প্রচারের জন্য উপস্থিত হয়েছেন এবং ভারতের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর ধারনা নিয়ে ২০০৯ সালে একটি টেড সম্মেলনে বক্তৃতা করেছেন।[১৮]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

নিলেকানি ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরু দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানে তিনি বিজেপি প্রার্থী অনন্ত কুমারের কাছে ২২৮,৫৭৫[১৯] ভোটে হেরে যান।[২০]

সাধারণ নির্বাচন ২০১৪[সম্পাদনা]

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা হলফনামায় তাঁর সম্পদ হলো ৭,৭১০ কোটি টাকা।[২১]

টেমপ্লেট:Election box hold with party link no change
২০১৪ ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন: ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণ[২২]
দল প্রার্থী ভোট %
বিজেপি অনন্ত কুমার ৬,৩৩,৮১৬ ৫৬.৯%
কংগ্রেস নন্দন নিলেকানি ৪,০৫,২৪১ ৩৬.৪%
জনতা দল (সেকুলার) রুথ মনোরমা ২৫,৬৭৭ ২.৩%
আপ নিনা পি. নায়ক ২১,৪০৩ ১.৯%
ভোটার উপস্থিতি ৫৫.৭%%

একস্টেপ[সম্পাদনা]

নিলেকানি একস্টেপের সভাপতি। এটি একটি অলাভজনক সাক্ষরতা এবং সংখ্যাতাত্ত্বিক মঞ্চ।[২৩] $১০ মিলিয়ন (প্রায় ৬৫ কোটি টাকা) প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নীলেকানি এবং আরও কিছু মানুষ এটি তৈরি করেছেন। শিশুদের 'শেখার সমস্যা'র সমাধান করার জন্য একস্টেপ একটি প্রযুক্তি-নেতৃত্বাধীন মঞ্চ তৈরি করেছে। গুগল প্লে স্টোরে উপস্থাপিত করা গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে তারা এটি করে।[২৪]

এনসিএইআর[সম্পাদনা]

নিলেকানি নতুন দিল্লি-ভিত্তিক ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চ[২৫] (এনসিএইআর) এর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, এটি ভারতের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম অলাভজনক অর্থনৈতিক গবেষণা চিন্তাকেন্দ্র। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এনসিএইআর, সরকার ও শিল্পের জন্য অনুদান-তহবিলযুক্ত স্বাধীন অর্থনৈতিক নীতি গবেষণা এবং অর্থায়িত গবেষণায় সাহায্য করে। এর উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক পূর্বাভাস থেকে দারিদ্র্য বিশ্লেষণ পর্যন্ত অর্থনীতির প্রায় সমস্ত শাখা নিয়ে কাজ করা। এনসিএইআর বিশ্বব্যাপী কয়েকটি চিন্তাকেন্দ্রর মধ্যে রয়েছে যারা পরিবার, উদ্যোগ, ভোক্তা এবং ব্যক্তিদের থেকে জাতীয় ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রাথমিক সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করে। এনসিএইআর-এর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক তথ্যগুলি ভারতে গবেষণা এবং বিশ্লেষণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

নিলেকানি একজন ধারাবাহিক বিনিয়োগকারীও বটে এবং তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১২টি নবগঠিত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন যার মধ্যে রয়েছে: শপএক্স,[২৬] জুগারনট, মাবল নেটওয়ার্ক, ফোর্টিগো, পি২এসএমই, রেলযাত্রী, অ্যাক্সিয়ম কনসাল্টিং, সিস্টেম্যান্টিক্স ইণ্ডিয়া, সেডেম্যাক মেকাট্রনিক্স, দিশা মেডিকেল সার্ভিসেস, ট্র্যাক্সন,[২৭] লেটসভেঞ্চার[২৮] এবং ট্রাভেল ট্র্যাঙ্গেল।

দাতব্য[সম্পাদনা]

২০১৭ সালে নিলেকানি এবং তাঁর স্ত্রী রোহিনী তাঁদের সম্পদের ৫০ শতাংশ গিভিং প্লেজে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এটি বিল গেটস দ্বারা সংগঠিত একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনে তাঁদের যোগদানের কারণ নিম্নরূপ: "আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বেশিরভাগ দেশে বৈষম্য তীব্রভাবে বাড়ছে। আমরা এই আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে তরুণ এবং অস্থিরদের দেখতে পাই, তারা নিজেদের ভবিষ্যত সম্পর্কে অনিশ্চিত, বেশি চায় কিন্তু কম পূর্বানুমান করে।"[২৯]

বোম্বেভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল ক্যাম্পাস পুনর্নির্মাণের জন্যও তিনি অর্থ প্রদান করেছিলেন।[৩০]

২০০৮ সালে তিনি ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান সেটলমেন্টস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এর উদ্দেশ্য হলো ভারতের শহরাঞ্চলে বসবাস সমস্যার সমাধানে সহায়তা করা।[৩১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

নীলেকানি বিবাহ করেছেন রোহিনী নিলেকানি (বিবাহপূর্ব সোমান) কে। আইআইটি-তে একটি প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় তাঁদের দেখা হয়েছিল।[৩২] তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে, নিহার এবং জাহ্নবী। তার দুজনেই ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে।[৩৩] নীলেকানির মাতৃ ভাষা কোঙ্কনি । কোঙ্কনি ছাড়াও, তিনি ইংরেজি, মারাঠি এবং হিন্দির সাথে কন্নড় ভাষাতেও সাবলীলভাবে কথা বলেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক অনুসারে ইনফোসিসে নীলেকানি পরিবারের ২.৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।[৩৪] [৩৫]

সম্মান ও পুরস্কার[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রপতি, ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম ২০০৬ সালের ২০শে মার্চ তারিখে নতুনদিল্লিতে ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নন্দন মোহন নিলেকানিকে পদ্মভূষণ পুরস্কার-২০০৬ প্রদান করছেন
  • ২০১১ সালের ৩১শে মে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটম্যান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ ল ডিগ্রি প্রদান করে[৩৬]
  • তিনি[৩৭] সালে এনডিটিভি ইন্ডিয়ান অফ দ্য ইয়ার'স ট্রান্সফরমেশনাল আইডিয়া অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার পান।
  • সিএনবিসি আয়োজিত এশিয়া বিজনেস লিডারস অ্যাওয়ার্ডে (২০০৪) তিনি বছরের সেরা কর্পোরেট নাগরিক মনোনীত হন।[৩৮]
  • অর্থনীতি, অর্থনৈতিক বিজ্ঞান এবং রাজনীতিতে উদ্ভাবনী পরিষেবার জন্য জোসেফ শুম্পেটার পুরস্কার – ২০০৫।[৩৯]
  • ২০০৯ সালে, টাইম ম্যাগাজিন নিলেকানিকে 'বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের' টাইম ১০০ তালিকায় স্থান দেয়[৪০]
  • ২০০৯ সালের নভেম্বরে ইয়েল ইউনিভার্সিটি দ্বারা 'লেজেন্ড ইন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড' উপস্থাপিত হয়। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন[৪১]
  • ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে, নিলেকানি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ফাউন্ডেশন বোর্ডে ২০ জন বিশ্বনেতাদের সাথে যোগদানকারী সর্বকনিষ্ঠ উদ্যোক্তাদের একজন ছিলেন[১৬]
  • নিলেকানি ২০০৬ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হন[৪২]
  • এছাড়াও ২০০৬ সালে, তিনি ফোর্বস এশিয়া কর্তৃক বছরের সেরা ব্যবসায়ী নির্বাচিত হন[৪৩]
  • ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন তাঁকে ২০১৭ সালের ভারতের ৫০ সবচেয়ে শক্তিশালী লোকের তালিকায় ১২তম স্থান দিয়েছে[৪৪]
  • ২০১৭ সালে তিনি ইঅ্যাণ্ডওয়াই থেকে আজীবন অর্জন পুরস্কার পান। সিএনবিসি-টিভি ১৮ ইন্ডিয়ান ইকোনমি-২০১৭-এ অসামান্য অবদানের জন্য ইন্ডিয়া বিজনেস লিডার পুরস্কার প্রদান করে[৪৫]
  • তিনি অর্থনৈতিক ও ব্যবসা উদ্ভাবনের জন্য ২২তম নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার ২০১৭ পেয়েছেন[৪৫]
  • ২০১৯ সালে ইনস্টিটিউটের ৫৭তম সমাবর্তনের সময় আইআইটি বোম্বে দ্বারা ডক্টর অফ সায়েন্স (অনারিস কসা) পুরস্কৃত করা হয় [৪৬]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Election Results 2014: Karnataka's Nandan Nilekani Loses on Political Debut"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Failing at politics--successfully, the Nandan Nilekani way"VCCIRCLE। ৬ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. "Infosys - Nandan M. Nilekani: Co-founder and Non-Executive Chairman of the Board | Management Profiles"www.infosys.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০ 
  4. Limited, Infosys। "Infosys' Mr. Nilekani is Non Executive Chairman of Board"www.Infosys.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  5. Infosys Technologies Limited। "Nandan M Nilekani Appointed as Chairperson of Unique Identification Authority of India"। Infosys। 
  6. Special Correspondent (৭ জুন ২০১০)। "Finance Ministry sets up technology advisory group"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 
  7. "BBMP polls: Nandan Nilekani says he's 'inactive in politics', asks voters to elect the best candidates"IBNLive। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  8. Self। "About Nandan Nilekani"। self। ১৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৪ 
  9. Srinivasaraju, Sugata (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "Tongue In A Twist"Outlook। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৩ 
  10. "Times of India" 
  11. "Nandan Nilekani | Alumni and Corporate Relations"www.iitb.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০ 
  12. Background. uidai.gov.in
  13. Nandan Nilekani may announce a fresh strategy for Infosys
  14. Parker, Ian (৩ অক্টোবর ২০১১)। The New Yorker। Condé Nast https://www.newyorker.com/reporting/2011/10/03/111003fa_fact_parker। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  15. "It Looks Like the Creator of India's Invasive National ID Accidentally Tweeted His Personal Info"gizmodo.com 
  16. Nandan M. Nilekani | World Economic Forum – Nandan M. Nilekani. Weforum.org. Retrieved on 13 December 2012.
  17. "The Daily Show with Jon Stewart Official Website | Current Events & Pop Culture, Comedy & Fake News | Comedy Central"। Thedailyshow.com। ১৮ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৯ 
  18. TED2009। "Nandan Mohan Nilekani's ideas for India's future | Video on"। Ted.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 
  19. "Page Not Found"ECIResults.nic.in। ১৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  20. "Congress's first list for LS polls: Rahul, Sonia, Nilekani among 194 candidates named"The Times of India। PTI। ৮ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৪ 
  21. Reporter, B. S. (৯ এপ্রিল ২০১৪)। "Nilekani richest candidate in 2014 polls"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ – Business Standard-এর মাধ্যমে। 
  22. "Constituency wise detailed result"। ECI। 
  23. "EkStep"www.ekstep.org। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  24. Mishra, Bibhu Ranjan (১৪ নভেম্বর ২০১৫)। "Nilekanis' EkStep clicks education with its first app"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  25. "NCAER - Quality. Relevance. Impact"www.NCAER.org। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  26. "ShopX - Changing the face of Ecommerce, Enabling Every Town to Shop"SHOPX - Organising Commerce Through Technology For Everyone। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  27. "Tracxn"www.Tracxn.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  28. "Want to invest in start-ups? Nandan Nilekani reveals how he chooses them"HindustanTimes.com/। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  29. Nandan Nilekani, wife Rohini to donate half of their wealth under Giving Pledge
  30. "Hostel 8 – Upgradation and Maintenance | Alumni and Corporate Relations"www.alumni.iitb.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১ 
  31. |title= Board & Founding Members
  32. "School and IIT"। Imagining India। ২৫ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৯ 
  33. "Nilekeni's daughter to wed her Yale senior"The Indian Express। ১৭ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪ 
  34. "Nandan Nilekani likely to return as Infosys head: Sources"Moneycontrol। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  35. "Infosys Investor Relations"Infosys 
  36. "Watch Nandan Mohan Nilekani's address to Convocation"alumni.utoronto.ca/। ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৪ 
  37. "NDTV Indian of the Year 2011"ndtv.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১১ 
  38. India Today Youth Summit 2010, 25 September, New Delhi. Indiatoday.intoday.in (25 September 2010). Retrieved on 13 December 2012.
  39. "The story continues"। Imagining India। ২৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৯ 
  40. The 2009 TIME 100 – Nandan Mohan Nilekani Time.
  41. "Nandan Nilekani to be given Legend in Leadership award by Yale - Times of India"IndiaTimes.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  42. Padma Bhushan Awardees – Padma Awards – My India, My Pride – Know India: National Portal of India. India.gov.in. Retrieved on 13 December 2012.
  43. Nilekani as Businessman of the Year: Forbes Asia – Oneindia News ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে. News.oneindia.in (1 December 2006). Retrieved on 13 December 2012.
  44. "India's 50 powerful people"India Today। ১৪ এপ্রিল ২০১৭। 
  45. "Infosys - Nandan M. Nilekani: Co-founder and Chairman of the Board | Management Profiles" 
  46. "IIT Bombay 57th Convocation Ceremony"। IIT Bombay। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Infosys