(ইন্ডিক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Ta
বাংলা দেবনাগরী গুরুমুখী গুজরাটি ওড়িয়া
Ta Ta Ta
তামিল তেলুগু কন্নড় মালয়ালম সিংহলী
থাই লাও তিব্বতি বর্মী খমের
 
বায়বায়িন হানুনো বুহিদ তাগবানওয়া লোনতারা
বালী সুন্দা লিম্বু তাই লে নয়া তাই লু
Limbu 'Ta'
লেপছা সৌরাষ্ট্র রেজং জাভাই চাম
থাই থম থাই ভিয়েত কায়াঽ লি ফাগ্‌স-পা সিদ্ধং
- -   Siddhaṃ 'Ta'
মহাজনি খোজকি খোদাবাদি সিলেটি মেইতেই
𑅛 𑈐 𑈑 𑋂 𑋃
Modi তিরহুতা কৈথি সোরা গ্রন্থ
𑘕 𑒖 𑂔 𑃠 𑌜
চাকমা শারদা তাকরি খরোষ্ঠী ব্রাহ্মী
𑄎 𑆘 𑚙 𐨗 Brahmi 'Ta'
ধ্বনিগ্রামিক প্রতিনিধি: /t/
আসলিব প্রতিবর্ণীকরণ: ta
ইসকি কোড পয়েন্ট: BA (186)

হলো ইন্ডিক আবুগিদার ষোলতম ব্যঞ্জনবর্ণ। আধুনিক ইন্ডিক লিপিগুলিতে ত গুপ্ত বর্ণ -এর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মী বর্ণ ng থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।

গণিতে ত (त)[সম্পাদনা]

আর্যভট্টের ব্যবহার[সম্পাদনা]

ভারতীয় সংখ্যা প্রণালী সৃষ্টির পেছনে আর্যভট্টের দেবনাগরী অক্ষর সমূহকে প্রায় গ্রীকদের দ্বারা সংখ্যা লেখার মতো ব্যবহার করা হত। त-এর বিভিন্ন রূপের মানসমূহ নিচে দেয়া হল:[১]

  • [t̪ə] = ৮ (८)
  • ति [t̪ɪ] = ৮০০ (८००)
  • तु [t̪ʊ] = ৮০,০০০ (८० ०००)
  • तृ [t̪ri] = ৮,০০০,০০০ (८० ०० ०००)
  • ते [t̪e] = ৮×১০১০ (८०१०)
  • तै [t̪ɛː] = ৮×১০১২ (८०१२)
  • तो [t̪oː] = ৮×১০১৪ (८०१४)
  • तौ [t̪ɔː] = ৮×১০১৬ (८०१६)

অসমীয়া-বাংলা [সম্পাদনা]

হল অসমীয়া ও বাংলা ভাষার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ এবং বাংলা বর্ণমালার ২৭তম বর্ণ।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

স্বরবর্ণ ত'র সাথে যুক্ত হলে
তা
তি
তী
তু
তূ
তৃ
তে
তৈ
তো
তৌ

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

  • বাংলা বর্ণমালার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ, ত বর্গের প্রথম বর্ণ এবং দন্তদ্বারা উচ্চার্য অঘোষ অল্পপ্ৰাণ ধ্বনির দ্যোতক।
  • “তত’-র সংক্ষিপ্ত কথ্য রূপ (যা-জন এসেছে ত-জন খেয়েছে)।
  • হতে, থেকে, তে প্রভৃতি (৫মী ও ৭মী) বিভক্তির স্থানে এবং হেতু অর্থে প্রযোজ্য প্রত্যয় (জ্ঞানত পাপ করিনি )।
  • ৎ বাংলা বর্ণমালার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ ত-এর ব্যঞ্জনান্ত রূপ এবং দন্ত থেকে উচ্চার্য অঘোষ অল্পপ্ৰাণ ধ্বনির দ্যোতক। শব্দের আরম্ভে ৎ-র ব্যবহার নেই।

ব্যাকরণিক প্রয়োগ[সম্পাদনা]

ত কখনো তো রূপেও উচ্চারিত হয়। নিম্নে এরকম তো/ত/ৎ এর ব্যবহার উল্লেখ করা হয়েছে; অব্যয় হিসেবে

  • প্রশ্নসূচক: সেখানে যাবে তো?
  • নিশ্চয়তা বা দৃঢ়তাসূচক: এই তো সেই বাড়ি, তাই তো আমি বলেছিলাম
  • অনুরোধসূচক: একবার দেখুন তো
  • 'যদিও বা', 'সত্ত্বেও' ইত্যাদি অর্থবোধক : তুমি তো চাও, কিন্তু সে চায় না
  • 'কিন্তু' অর্থবোধক: তারা তো খাবে না
  • 'তবে' বা 'তা হলে' অর্থবাচক: বাঁচতে চাও তো ওষুধ খাও
  • 'অন্তত' অর্থবোধক: আজ তো নয় পরে দেখা যাবে);
  • অনিশ্চয়তাসূচক: যাই তো একবার, দেখি কিছু পাই কি না
  • সন্দেহসূচক: ঠিক বলছ তো? সে একথা স্বীকার করবে তো?)
  • পরিণতি, ঘটনা, অঘটন ইত্যাদি ব্যঞ্জক: বিয়ে তো হল, কিন্তু বরপক্ষ খুশি তো হল না
  • সংশয়সূচক: হয়তো তাই, কে জানে)।
  • হতে, থেকে, তে প্রভৃতি ৫মী ও ৭মী বিভক্তির স্হানে এবং হেতু অর্থে প্রযোজ্য প্রত্যয়বিশেষ (বিশেষত, প্রথমত, কার্যত, ধর্মত)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ifrah, Georges (২০০০)। The Universal History of Numbers. From Prehistory to the Invention of the Computer (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 447–450। আইএসবিএন 0-471-39340-1