উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত হলো ইন্ডিক আবুগিদার ষোলতম ব্যঞ্জনবর্ণ। আধুনিক ইন্ডিক লিপিগুলিতে ত গুপ্ত বর্ণ -এর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মী বর্ণ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
ভারতীয় সংখ্যা প্রণালী সৃষ্টির পেছনে আর্যভট্টের দেবনাগরী অক্ষর সমূহকে প্রায় গ্রীকদের দ্বারা সংখ্যা লেখার মতো ব্যবহার করা হত। त-এর বিভিন্ন রূপের মানসমূহ নিচে দেয়া হল:[ ১]
ত হল অসমীয়া ও বাংলা ভাষার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ এবং বাংলা বর্ণমালার ২৭তম বর্ণ।
স্বরবর্ণ
ত'র সাথে যুক্ত হলে
অ
ত
আ
তা
ই
তি
ঈ
তী
উ
তু
ঊ
তূ
ঋ
তৃ
এ
তে
ঐ
তৈ
ও
তো
ঔ
তৌ
বাংলা বর্ণমালার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ, ত বর্গের প্রথম বর্ণ এবং দন্তদ্বারা উচ্চার্য অঘোষ অল্পপ্ৰাণ ধ্বনির দ্যোতক।
“তত’-র সংক্ষিপ্ত কথ্য রূপ (যা-জন এসেছে ত-জন খেয়েছে)।
হতে, থেকে, তে প্রভৃতি (৫মী ও ৭মী) বিভক্তির স্থানে এবং হেতু অর্থে প্রযোজ্য প্রত্যয় (জ্ঞানত পাপ করিনি )।
ৎ বাংলা বর্ণমালার ষোড়শ ব্যঞ্জনবর্ণ ত-এর ব্যঞ্জনান্ত রূপ এবং দন্ত থেকে উচ্চার্য অঘোষ অল্পপ্ৰাণ ধ্বনির দ্যোতক। শব্দের আরম্ভে ৎ-র ব্যবহার নেই।
ত কখনো তো রূপেও উচ্চারিত হয়। নিম্নে এরকম তো/ত/ৎ এর ব্যবহার উল্লেখ করা হয়েছে;
অব্যয় হিসেবে
প্রশ্নসূচক: সেখানে যাবে তো?
নিশ্চয়তা বা দৃঢ়তাসূচক: এই তো সেই বাড়ি, তাই তো আমি বলেছিলাম
অনুরোধসূচক: একবার দেখুন তো
'যদিও বা', 'সত্ত্বেও' ইত্যাদি অর্থবোধক : তুমি তো চাও, কিন্তু সে চায় না
'কিন্তু' অর্থবোধক: তারা তো খাবে না
'তবে' বা 'তা হলে' অর্থবাচক: বাঁচতে চাও তো ওষুধ খাও
'অন্তত' অর্থবোধক: আজ তো নয় পরে দেখা যাবে);
অনিশ্চয়তাসূচক: যাই তো একবার, দেখি কিছু পাই কি না
সন্দেহসূচক: ঠিক বলছ তো? সে একথা স্বীকার করবে তো?)
পরিণতি, ঘটনা, অঘটন ইত্যাদি ব্যঞ্জক: বিয়ে তো হল, কিন্তু বরপক্ষ খুশি তো হল না
সংশয়সূচক: হয়তো তাই, কে জানে)।
হতে, থেকে, তে প্রভৃতি ৫মী ও ৭মী বিভক্তির স্হানে এবং হেতু অর্থে প্রযোজ্য প্রত্যয়বিশেষ (বিশেষত, প্রথমত, কার্যত, ধর্মত)।