নুক্তা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নুক্তা

নুক্তা (হিন্দি: नुक़्ता, উর্দু: نقطہ‎, প্রতিবর্ণী. নুক়্তা‎), যা বিন্দু বা ফুট নামেও পরিচিত, বাংলা-অসমীয়া, দেবনাগরী ইত্যাদি লিপিতে ব্যবহৃত একধরনের চিহ্ন, যা দিয়ে মূল লিপিতে অবর্তমান এমন ধ্বনিকে প্রকাশ করা যায়।[ক][১]

বাংলা-অসমীয়া লিপি[সম্পাদনা]

বাংলা-অসমীয়া লিপিতে "", "" ও "" বর্ণের নিচে বিন্দু সহযোগে যথাক্রমে "ড়", "ঢ়" ও "য়" ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষায় "ড়" ও "ঢ়" বর্ণ দুইটি যথাক্রমে /ɽ//ɽʱ/ ধ্বনিকে প্রকাশ করে এবং "য়" বর্ণের কোনো নির্দিষ্ট উচ্চারণ নেই। অসমীয়া ভাষায় "ড়", "ঢ়" ও "য়" বর্ণ তিনটি যথাক্রমে /ɹ/, /ɹɦ//j/ ধ্বনিকে প্রকাশ করে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাংলা বর্ণমালা বিন্যাসে এরা সর্বপ্রথম বাংলা লিপিতে স্থান পায়।[২] যদিও সংস্কৃত ও নব্যভারতীয় আর্যভাষাগুলোতে "ড" ও "ঢ"-এর শব্দের মধ্যে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ কখনো কখনো যথাক্রমে "ড়" ও "ঢ়"-এর মতো হতো তবুও বাংলায় "ড়" ও "ঢ়" বর্ণদের স্বতন্ত্র বর্ণ রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।[৩] বাংলায় এদের শব্দের আদিতে ব্যবহার করা হয় না।

দেবনাগরী লিপি[সম্পাদনা]

হিন্দিতে নুক়্তা (नुक़्ता) শব্দটি নিজেই নুক্তা চিহ্নের ব্যবহারের উদাহরণ। অন্যান্য উদাহরণ হচ্ছে ক়িলা (क़िला, "কেল্লা, দুর্গ") ও আগ়া খ়ান্ (आग़ा ख़ान)।

অনুরূপ চিহ্ন[সম্পাদনা]

দেবনাগরী লিপিতে নিচে রেখা যুক্ত করে সিন্ধিসরাইকির ইমপ্লোসিভ ব্যঞ্জনধ্বনিকে প্রকাশ করা যায়। যেমন: ॻ [ɠə], ॼ [ʄə], ॾ [ɗə], ॿ [ɓə]

কম্পিউটিং কোড[সম্পাদনা]

অক্ষর
ইউনিকোড নাম বাংলা চিহ্ন নুক্তা
এনকোডিং দশমিক হেক্স
ইউনিকোড 2492 U+09BC
ইউটিএফ-৮ 224 166 188 E0 A6 BC
সংখ্যাসূচক অক্ষরের তথ্যসূত্র ় ়

টীকা[সম্পাদনা]

  1. হিন্দি-উর্দু নুক়্তা শব্দটি ফার্সি نُقطه (নোক়্তে) হতে উদ্ভূত, যা আবার আরবি نقطة (নুক়্তাহ্, "বিন্দু") হতে উদ্ভূত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kulshreshtha, Manisha; Mathur, Ramkumar (২৪ মার্চ ২০১২)। Dialect Accent Features for Establishing Speaker Identity: A Case Study (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 978-1-4614-1137-6A few sounds, borrowed from the other languages like Persian and Arabic, are written with a dot (bindu or nukta) as shown in Table 2.2. 
  2. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০। 
  3. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।