প্রাচীন ব্রাহ্মী "𑀠" হলো "ঢ" এবং "ঢ়" উভয়েরই পূর্বপুরুষ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণমালা বিন্যাসে "ঢ" বর্ণটির নিচে বিন্দু সহযোগে এটি সর্বপ্রথম স্থান পায়।[১] যদিও সংস্কৃত ও নব্যভারতীয় আর্যভাষাগুলোতে "ঢ" এর শব্দের মধ্যে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ কখনো কখনো "ঢ়" এর মতো হতো তবুও বাংলায় "ঢ়" কে স্বতন্ত্র বর্ণ রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে[২] যাতে "ঢ" ও "ঢ়" এর উচ্চারণের পার্থক্য উপলব্ধ হয়। "ঢ়" বর্ণটি বাংলায় শব্দের আদিতে ব্যবহৃত হয় না।
বাংলা ভাষার বৈয়াকরণগণ প্রথম থেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুসরণে ট-বর্গীয় ধ্বনি,ঢ়,ড় ইত্যাদিকে মূর্ধন্য ধ্বনি রূপে আখ্যায়িত করে আসছেন কিন্তু বাংলায় কখনো এর উচ্চারণ মূর্ধা থেকে হয় না।এটি উচ্চারণগত দিক থেকে দন্তমূলীয় ও তাড়নজাত।[৩][৪] "ঢ়" এর উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা অগ্রভাগ কিছুটা মোচড় খায় তবে তা এতটাই ক্ষীণ যে বোঝার আগেই জিহ্বার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে।[৫]এ ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা অগ্রভাগের উল্টোপিঠ উপরের পাটির দাঁতের গোড়াকে স্পর্শ করতে না করতেই জিহ্বার ডগা নিচের পাটি দাঁতের উপর উছলে পড়ে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এত দ্রুত হয় বলেই এটি তাড়নজাত ধ্বনি।[৬] সঙ্গে এটি ঘোষ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি।