চার্লস ডারউইন
চার্লস ডারউইন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯ এপ্রিল ১৮৮২ | (বয়স ৭৩)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ নাগরিক |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ |
পরিচিতির কারণ | বিগলের সমুদ্রযাত্রা প্রজাতির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রাকৃতিক নির্বাচন |
পুরস্কার | রয়েল মেডেল (১৮৫৩) ওলাস্টন মেডেল (১৮৫৯) কপলে পদক (১৮৬৪) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | প্রকৃতিবিদ |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | রয়েল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটি |
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | জন স্টিভেন্স হেনশ্লো অ্যাডাম সেজউইক |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | চার্লস লায়েল জোসেফ ডাল্টন হুকার |
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন | থমাস হেনরি হাক্সলি জর্জ জন রোমানেস আর্নস্ট মায়ার |
স্বাক্ষর | |
টীকা | |
তিনি ছিলেন ইরাসমাস ডারউইন ও জোসিয়াহ ওয়েজউডের নাতি, এবং তিনি তার কাজিন এমা ওয়েজউডকে বিবাহ করেছিলেন। |
চার্লস ডারউইন (ইংরেজি: Charles Darwin; ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮০৯ – ১৯ এপ্রিল ১৮৮২) উনিশ শতকের একজন ইংরেজ জীববিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিবর্তনবাদের ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম অনুধাবন করেন যে সকল প্রকার প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ হতে উদ্ভূত হয়েছে এবং তার এ পর্যবেক্ষণটি সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন।[১][২] বিবর্তনের এই নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে অভিহিত করেন। তার জীবদ্দশাতেই বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব হিসাবে বিজ্ঞানী সমাজ ও অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কাছে স্বীকৃতি লাভ করে, তবে ১৯৩০ থেকে ১৯৫০ এর মধ্যে বিকশিত আধুনিক বিবর্তনিক সংশ্লেষের মাধ্যমে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক নির্বাচনের গুরুত্ব পূর্ণরূপে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। পরিবর্তিত রূপে ডারউইনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল জীববিজ্ঞানের একত্রীকরণ তত্ত্ব, যা জীববৈচিত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করে।[৩][৪]
প্রকৃতির প্রতি ডারউইনের গভীর আগ্রহের কারণে তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়নে মনোযোগী ছিলেন না; বরং তিনি সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন। অতঃপর ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন তার মধ্যকার প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের আগ্রহকে অনুপ্রাণিত করে।[৫] এইচ এম এস বিগলে তার পাঁচ বছরব্যাপী যাত্রা তাকে একজন ভূতাত্ত্বিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বিগলের ভ্রমণকাহিনী প্রকাশিত হলে তা তাকে জনপ্রিয় লেখকের খ্যাতি এনে দেয়।[৬]
ভ্রমণকালে তার সংগৃহীত বন্যপ্রাণ ও ফসিলের ভৌগোলিক বণ্টন দেখে কৌতূহলী হয়ে ডারউইন প্রজাতির ট্রান্সমিউটেশান নিয়ে অনুসন্ধান করেন এবং ১৮৩৮ সালে তার প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদটি দানা বেঁধে উঠতে শুরু করে।[৭] যদিও তিনি তার এ ধারণাটি নিয়ে কিছু প্রকৃতিবিদের সাথে আলোচনা করেছিলেন, তার বিস্তারিত গবেষণা কাজের জন্যে আরও সময়ের প্রয়োজন ছিল এবং তাকে তার প্রধান ক্ষেত্র ভূতত্ত্ব নিয়েও কাজ করতে হচ্ছিল।[৮] তিনি তার তত্ত্বটি লিখছিলেন যখন ১৮৫৮ সালে আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস তাকে একই ধরনের চিন্তাভাবনা সংবলিত একটি প্রবন্ধ পাঠান, যার ফলে অনতিবিলম্বে তাদের উভয়ের তত্ত্ব যৌথভাবে প্রকাশিত হয়।[৯][১০] ডারউইনের তত্ত্ব কিছু পরিবর্তিত হয়ে প্রকৃতিতে বহুল বৈচিত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।[১০] ১৮৭১ সালে তিনি মানব বিবর্তন এবং যৌন নির্বাচন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং মানুষের ক্রমনোন্নয়ন, ও তারপর পরই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীতে অনুভূতির প্রকাশ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। বৃক্ষ নিয়ে তার গবেষণা কয়েকটি গ্রন্থে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং তার শেষ বইতে তিনি কেঁচো এবং মাটির উপর এদের প্রভাব নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন।[১১]
ডারউইনের বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাতির কারণে তিনি ছিলেন ১৯ শতকের মাত্র পাঁচজন রাজপরিবারবহির্ভূত ব্যক্তিদের একজন যারা রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সম্মান লাভ করেন।[১২] ডারউইনকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে সমাহিত করা হয়, বিজ্ঞানী জন হার্শেল ও আইজ্যাক নিউটনের সমাধির পাশে।[১৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]চার্লস রবার্ট ডারউইন তাঁর পরিবারিক বাড়ি, দ্য মাউন্টে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮০৯-এ শ্রপশায়ারের শ্রিউসবারিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১৪][১৫] তিনি ধনী সমাজের গন্যমান্য ডাক্তার এবং অর্থব্যবস্থাপক রবার্ট ডারউইন এবং সুজানা ডারউইন (Wedgwood বিবাহ-পূর্ব) এর ছয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ছিল। তাঁর পিতামহ এরাসমাস ডারউইন এবং জোসিয়াহ ওয়েডগউড উভয়ই বিশিষ্ট বিলোপকারী ছিলেন। ইরাসমাস ডারউইন তাঁর প্রকাশিত জুনোমিয়াতে (১৭৯৪) বিবর্তন ও সাধারণ বংশোদ্ভূতির সাধারণ ধারণাগুলির প্রশংসা করেছিলেন, পরে তাঁর প্রপৌত্রের দ্বারাই যা বিস্তার লাভ করে।[১৬]
ডারউইন ১৮২৫ সালের গ্রীষ্মকালীন একজন শিক্ষানবিশ ডাক্তার হিসাবে তাঁর পিতাকে শ্রপশায়ারের দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা দিতে সাহায্য করেছিলেন। ১৮২৫ সালের অক্টোবরে তার ভাই ইরাসমাসের সাথে এডিনবার্গ মেডিকেল স্কুলে (সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের সেরা মেডিকেল স্কুল) যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখেন। মেডিকেল স্কুলের বক্তৃতাগুলি ডারউইনের কাছে নিস্তেজ মনে হয় এবং শল্যচিকিৎসা বিরক্তিকর বলে মনে করেছিলেন, তাই তিনি তার পড়াশুনাকে অবহেলা করেছিলেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার রেইন ফরেস্টে চার্লস ওয়াটারটনের সাথে আসা একজন মুক্ত কালো দাস জন এডমনস্টনের কাছ থেকে দৈনিক প্রায় ঘন্টার হিসেবে ৪০ দিন ধরে ট্যাক্সিডারমি শিখেছিলেন।[১৭]
ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বছরে, প্লিনিয়ান সোসাইটিতে যোগ দিয়েছিলেন। যা ছাত্র -ছাত্রীর একটি প্রাকৃতিক-ইতিহাসের দল। এরা প্রাণবন্ত বিতর্কের সাথে জড়িত। বির্তকের মাধ্যমে যেখানে জড়বাদী গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবাদী ধর্মীয় ধারণাগুলিকে বিজ্ঞান দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হত। [১৮] তিনি রবার্ট এডমন্ড গ্রান্টের ফরথ অফ ফर्थ-এ সামুদ্রিক মেরুদন্ডির শারীরবৃত্ত এবং জীবনচক্র সম্পর্কে তদন্তে সহায়তা করেছিলেন। সহয়তা করতে গিয়ে তিনি দেখেন যে ঝিনুকের খোলে পাওয়া কালো বীজগুলি আসলে ছিল স্কেট নামক জোঁকের ডিম। পরে ২৭ শে মার্চ ১৮২৭ সালে প্লিনিয়ায় তাঁর নিজস্ব আবিষ্কার উপস্থাপন করেছিলেন। একদিন, গ্রান্ট লামার্কের বিবর্তনমূলক ধারণার প্রশংসা করেছিলেন। ডারউইন গ্রান্টের দু: সাহসিকতায় অবাক হয়েছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দাদা ইরসমাসের জার্নালেও একই ধরনের ধারণা পড়েছিলেন।[১৯] ডারউইন রবার্ট জেমসন এর প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে উদাস ছিলেন। যেখানে ভূতত্ত্বসহ নেপচুনিজম এবং প্লুটোনিজমের মধ্যে বিতর্ক হত। তিনি উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস শিখেছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় যাদুঘরের (তৎকালীন ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম যাদুঘর) সংগ্রহের কাজে সহায়তা করেছিলেন।[২০]
চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা ও পড়াশোনায় ডারউইনের অবহেলায় তার পিতা বিরক্ত হন। তিনি তাকে খ্রিস্টের কলেজ, কেমব্রিজে পাঠান ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি লাভের জন্য যাতে করে তিনি একজন অ্যাঙ্গলিকান কান্ট্রি পারশন হতে পারেন। ডারউইন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান-বিতরণী পরীক্ষায় অযোগ্য ছিল ফলে তিনি জানুয়ারী ১৮২৮ এ সাধারণ ডিগ্রী কোর্সে যোগদান করেন।[২১] পড়াশোনার চেয়ে তিনি ঘোড়ায় চড়া ও শুটিংকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ডারউইনের তালিকাভুক্তির প্রথম কয়েক মাসের সময় তাঁর দ্বিতীয় চাচাত ভাই উইলিয়াম ডারউইন ফক্সও খ্রিস্টের চার্চে অধ্যয়নরত ছিলেন। ফক্স তাকে তার প্রজাপতি সংগ্রহের দ্বারা মুগ্ধ করেছিল, ডারউইনকে এনটমোলজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এবং তাকে বিটল সংগ্রহের জন্য প্রভাবিত করেছিল।[২২][২৩] তিনি উদ্যোগী হয়ে এই কাজটি করেছিলেন এবং তাঁর কিছু সংগৃহিত বিটল জেমস ফ্রান্সিস স্টিফেন্সের ইলাস্ট্রেশনস অফ ব্রিটিশ এনটমোলজিতে প্রকাশিত হয়েছিল (১৮২৯–৩২)।[২৩][২৪] ফক্সের মাধ্যমে ডারউইন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জন স্টিভেন্স হেনস্লো- এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অনুগামী হয়েছিলেন।[২২] তিনি অন্যান্য অগ্রণী পারশন প্রকৃতিবিদের সাথে পরিচিত হন, যারা বৈজ্ঞানিক কাজকে প্রাকৃতিক ধর্মতত্ত্ব হিসেবে দেখেন। আস্তে আস্তে তিনি বুঝতে পারেন যে এরা হেনস্লোর সাথে মিশতে পারা ডন (যুক্তরাজ্যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ডন বলা হয়)। তাঁর নিজের পরীক্ষা যখন কাছাকাছি এসেছিল, ডারউইন তার পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছিলেন এবং উইলিয়াম প্যালির খ্রিস্টধর্মের প্রমাণাদি[২৫] (১৭৯৪) এর ভাষা ও যুক্তি দেখে আনন্দিত হন। ১৮৩১ এর জানুয়ারিতে তাঁর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ডারউইন খুব ভাল করেছিলেন, সাধারণ ডিগ্রির জন্য ১৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দশম হন।[১৯]
১৮৩১ সালের জুন পর্যন্ত ডারউইনকে কেমব্রিজে থাকতে হয়েছিল। তিনি প্যালির ন্যাচারাল থিওলজি বা দেবতার অস্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্যগুলির প্রমাণাদি (প্রথম ১৮০২ সালে প্রকাশ করেছিলেন) অধ্যয়ন করেছিলেন। উক্ত বইয়ে প্রকৃতির নিয়মের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কর্ম হিসাবে অভিযোজনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। প্রকৃতির ঐশ্বরিক নকশার পক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রদান করা হয়েছিল।[২৬] তিনি জন হার্শেলের নতুন বই, প্রাকৃতিক দর্শন নিয়ে স্টাডি অফ প্রিলিমিনারি ডিসকোর্স (১৮৩১) পড়েছিলেন যা প্রাকৃতিক দর্শনের সর্বোচ্চ লক্ষ্যকে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বোঝার জন্য ব্যাখ্যা করেছিল। ডারউইন আরো পড়েন আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ডের বৈজ্ঞানিক ভ্রমণের ব্যক্তিগত বিবরণীমূলক বই যা আলেকজান্ডার ১৭৯৯–১৮০৪ এ ভ্রমণের উপর লিখেন। ডারউইন এরূপ অবদানের জন্য অনুপ্রাণিত হন এবং তাৎক্ষণিক গ্রীষ্মকালীন অঞ্চলে প্রাকৃতিক ইতিহাস অধ্যয়নের জন্য স্নাতকোত্তর শেষে কিছু সহপাঠীর সাথে টেনেরিফ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। প্রস্তুতিতে, তিনি অ্যাডাম সেজউইকের ভূতত্ত্ব কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরে ৪ আগস্ট ওয়েলসে মাটির স্তর শিক্ষন বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাক্ষিক সময় কাটাতে তাঁর সাথে ভ্রমণ করেছিলেন।[১৯][২৭]
বিগ্ল জাহাজে যাত্রা
[সম্পাদনা]এইচএমএস বিগ্লের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা পরিচালিত হয় ইংরেজ ক্যাপ্টেন রবার্ট ফিট্জ্রয় এর নেতৃত্বে। ১৮৩১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ডেভেনপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করে ১৮৩৬ সালের ২রা অক্টোবর ফালমাউথ বন্দরে ফিরে আসে এইচএমএস বিগ্ল। এটিই দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা। প্রথম সমুদ্রযাত্রারও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফিট্জ্রয়। দ্বিতীয় যাত্রায় নিসর্গী তথা প্রকৃতিবিদ হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন তরুণ চার্লস ডারউইন। এই যাত্রায়ই তিনি বিবর্তনবাদের ভিত রচনা করেন। যাত্রার বর্ণনা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে ডারউইন একটি বই লিখেন যার নাম দ্য ভয়েজ অফ দ্য বিগ্ল।
২৭ ডিসেম্বর ১৮৩১ -এ শুরু হয়ে এ সমুদ্রসযাত্রা প্রায় পাঁচ বছর চলে এবং ডারউইন ফিটজরয়ের আকাঙ্ক্ষানুযায়ী এর প্রায় পুরোটা সময় ডাঙ্গায় ভূতাত্ত্বিক ও প্রাকৃতিক ইতিহাস সংগ্রহ করে কাটান, যখন বিগল তটভূমি জরিপ করছিল।[১০][২৮] তিনি তার পর্যবেক্ষণ ও তাত্ত্বিক ধারণাগুলো যত্ন করে লিখে রাখতেন এবং নিয়মিত বিরতিতে তার সংগৃহীত নমুনা চিঠিসহ ক্যাম্ব্রিজে পাঠাতেন, যেখানে তার পরিবারকে তার লেখা দিনলিপির অনুলিপিও অন্তর্ভুক্ত হত।[২৯] তার ভূতত্ত্ব, গুবরে পোকা সংগ্রহ এবং সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী ব্যবচ্ছেদ করায় দক্ষতা ছিল, কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে তিনি একেবারেই নবীন ছিলেন এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্যে নমুনা সংগ্রহ করতেন।[২৯][৩০] অনবরত সমুদ্রপীড়ায় ভুগলেও তিনি তার অধিকাংশ প্রাণীবিজ্ঞানগত লেখা সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী সংক্রান্ত, যার শুরু হয়েছিল ধীরস্থির প্লাংক্টন সংগ্রহের মাধ্যমে।
সেন্ট জাগোর উপকূলে তাদের প্রথম যাত্রাবিরতিকালে ডারউইন আবিষ্কার করেন আগ্নেয় শিলার উঁচু চূড়ার সাদা একটি অংশে ঝিনুক রয়েছে। ফিটজরয় তাকে চার্লস লায়েলের প্রিন্সিপালস অফ জিওলজির প্রথম খণ্ডটি দিয়েছিলেন যাতে ইউনিফির্মিটারিয়ানিজম প্রক্রিয়ায় বহু বছর ধরে ভূমির ধীরে ধীরে উঁচু হওয়া অথবা নিচু হয়ে হারিয়ে যাবার প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে[II]। ডারউইন লায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন, ভূতত্ত্বের উপর একটি বই লেখার জন্যে চিন্তাভাবনা ও তত্ত্ব তৈরি করতে শুরু করেন।[৩১] ব্রাজিলে গিয়ে ডারউইন নিরক্ষীয় বনভূমি দেখে মুগ্ধ হন,[৩২] কিন্তু সেখানকার দাসপ্রথা তাকে ব্যথিত করে।[৩৩]
পাতাগোনিয়ার পুনটা আলটায় পাহাড়চূড়ায় তিনি বিশাল সব বিলুপ্ত স্তন্যপায়ীর ফসিল আবিষ্কার করেন, পাশাপাশি তিনি আধুনিক সামুদ্রিক শামুকেরও দেখা পান, সে থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, বহুকাল পূর্বে কোনো মহাপ্লাবন বা অকস্মাৎ বিপর্যয়ের ফলে নয়। তিনি স্বল্প পরিচিত মেগাথেরিয়াম আবিষ্কার করেন, যার গায়ের অস্থিময় বর্ম দেখে তিনি প্রথমটায় স্থানীয় আর্মাডিলোর দানবাকার সংস্করণ ভেবেছিলেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর তার এসব আবিষ্কার রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়।[৩৪] ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও আরো ফসিলে অনুসন্ধান করতে তিনি স্থানীয় মানুষদের সাথে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তিনি লায়েলের দ্বিতীয় ভল্যুমটি পড়েছিলেন এবং তার প্রজাতির সৃষ্টির কেন্দ্র ধারণাটি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তার সংগৃহীত নমুনা এবং তাদের ব্যাখ্যা লায়েলের মসৃণ অবিচ্ছিনতা এবং প্রজাতির বিলুপ্তির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। [৩৫][৩৬]
first Beagle voyage|প্রথম বিগল অভিযানে ধরে আনা তিনজন ফুয়েগিয়কে এই অভিযানে সঙ্গে নেওয়া হয়। তারা একবছর ইংল্যান্ডে বসবাস করে এবং টিয়ারা ডেল ফুয়েগোতে তাদের মিশনারি হিসেবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ডারউইন তাদের বেশ মিশুক এবং সভ্য আচরণের অধিকারী মনে করতেন, কিন্তু ফুয়েগোতে তাদের আত্মীয়দের সম্পর্কে তার অভিমত ছিল করুণ, অসভ্য জংলি, গৃহপালিত পশু আর বন্য পশুর মধ্যকার পার্থক্যের মতোই ছিল সভ্য মানুষ ও তাদের ফারাক।[৩৭] ডারউইনের মনে হয় এ পার্থক্যের কারণ সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা, জাতিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নয়। তার বৈজ্ঞানিক সুহৃদদের সাথে তার মতপার্থক্য গড়ে উঠতে শুরু করে, তিনি ভাবেন হয়ত মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কিছু একটা মিল আছে। এক বছর পর ফুয়েগিয়দের সভ্য করার মিশন পরিত্যাগ করা হয়। জেরেমি বাটন নামধারী ফুয়েগিয়ান স্থানীয়দের মতো জীবনযাপন করতে শুরু করে, সে ওখানেই বিয়ে করে এবং ইংল্যান্ডে ফিরে যাবার কোনো ইচ্ছা তার মধ্যে দেখা যায় না।[৩৮]
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের সূচনা
[সম্পাদনা]১৮৮৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ডারউইন ইংল্যান্ডে ফিরে আসার আগেই, তিনি ইতিমধ্যে বৈজ্ঞানিক সমাজে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি হয়েছিলেন কারণ নির্বাচিত প্রকৃতিবিদদের জন্য ডারউইনের ভূতাত্ত্বিক চিঠিপত্র প্রকাশ করে হেনস্লো তাঁর প্রাক্তন ছাত্রের খ্যাতি বর্ধন করেছিলেন।[৩৯] ১৮৩৬ সালের ২ অক্টোবর জাহাজটি কর্নওয়ালের ফালমাউথে নোঙর করে। ডারউইন তত্ক্ষণাত্ শ্রুজবারীতে তাঁর বাড়ি যাবার জন্য এবং আত্মীয়স্বজনদের দেখার জন্য দীর্ঘ কোচ যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপরে তিনি হেনস্লোকে দেখার জন্য কেমব্রিজের দিকে তড়িঘড়ি করে ছুটে যান। হেনস্লো তাকে ডারউইনের প্রাণীর সংগ্রহগুলি তালিকাভুক্ত করার জন্য এবং বোটানিকাল নমুনাগুলি গ্রহণের জন্য বিভিন্ন প্রকৃতিবিদদের আমন্ত্রণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ডারউইনের বাবা বিনিয়োগের আয়োজন করেছিলেন, তার পুত্রকে একটি স্ব-অর্থায়িত ভদ্রলোক বিজ্ঞানী হিসাবে সক্ষম করেছিলেন, এবং উচ্ছ্বসিত ডারউইন লন্ডনের সংস্থাগুলির কাছে গিয়েছিলেন এবং সংগ্রহগুলি বর্ণনা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সন্ধান করেছিলেন। ব্রিটিশ প্রাণিবিজ্ঞানীদের সেই সময়ে প্রচুর কাজের ঘাটতি ছিল। প্রাকৃতিক ইতিহাস সংগ্রহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বত্র উত্সাহিত হওয়ার এবং নমুনাগুলি কেবল সংরক্ষণের মধ্যেই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।[২০]
চার্লস লাইল ২৯ ই অক্টোবর আগ্রহের সাথে প্রথমবারের মতো ডারউইনের সাথে দেখা করেছিলেন এবং শীঘ্রই তাকে আসন্ন শারীরবৃত্তবিদ রিচার্ড ওউনের সাথে পরিচয় করান, যিনি রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনসের ডারউইনের জীবাশ্মের হাড়ের কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। হাড়গুলো পরে চিহ্নিত করা হয় - বিশাল বিলুপ্ত স্থল স্লথ সেই সাথে মেগাথেরিয়াম (Megatherium), অজানা একটি প্রায় সম্পূর্ণ কঙ্কাল পাওয়া যায় স্কিলিডোথেরিয়াম (Scelidotherium) এবং একটি জলহস্তী আকারের তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণীর মস্তক যা টক্সোডন (Toxodon) নামক একটি দৈত্য প্রতিম ক্যাপিবারার (Capybara) সদৃশ। বর্মসদৃশ খণ্ডগুলি প্রকৃতপক্ষে গ্লিপডডনের মত একটি বিশাল আর্মাদিলো জাতীয় প্রাণীর, যেমন ডারউইন প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন।[৪০][৪১] এই বিলুপ্ত প্রাণীগুলি দক্ষিণ আমেরিকার জীবিত প্রজাতির সাথে সম্পর্কিত ছিল।[৪২]
মার্চের গোড়ার দিকে, ডারউইন এই কর্মক্ষেত্রের নিকটবর্তী হবার জন্য লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন, লাইলের বিজ্ঞানী বিশেষজ্ঞদের সামাজিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন।[৪৩] সেখানে চার্লস ব্যাবেজের মতো বিজ্ঞানী ছিল যিনি ঈশ্বরকে আইনের প্রোগ্রামার হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। ডারউইন তাঁর মুক্তচিন্তার ভাই ইরাসমাসের সাথে ছিলেন।
অতিরিক্ত কাজ, অসুস্থতা এবং বিবাহ
[সম্পাদনা]এই নিবিড় অধ্যয়নের বিকাশ করার সময় ডারউইন আরও বেশি কাজে নিরস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবুও তার জার্নালে পুনরায় লেখালেখি করার পাশাপাশি তিনি তার সংগ্রহগুলি সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদন সম্পাদনা এবং প্রকাশ করতে পেরেছিলেন এবং হেনস্লোর সহায়তায় জুওলজি অব দ্যা এইচএমএস বিগলের ভয়েজ -এর এই বহু-ভলিউমের বই স্পনসর করার জন্য £১০০০ পাউন্ডের একটি ট্রেজারি অনুদান পেয়েছিলেন, যা ২০১৯ সালের হিসেবে প্রায় £৯২০০০ পাউন্ডের সমান। [৪৪] তিনি ভূতত্ত্ব সম্পর্কিত তাঁর পরিকল্পনামূলক বইগুলিও উক্ত তহবিলে অর্ন্তগত করেছিলেন এবং প্রকাশকের সাথে অবাস্তব তারিখগুলিতে সম্মত হন।[১৯] ভিক্টোরিয়ার যুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ডারউইন তার জার্নালটি লিখতে চাপ দিয়েছিলেন এবং ১৮৩৭ সালের আগস্টে প্রিন্টিং প্রুফ সংশোধন শুরু করেন।[৪১]
ডারউইন চাপের মধ্যে কাজ করার সাথে সাথে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি "হৃদযন্ত্রের অস্বস্তিকর ধড়ফড়ানিতে" আক্রান্ত হন, তাই তার চিকিত্সকরা তাকে "সমস্ত কাজ বন্ধ করে" এবং কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। শ্র্যসবারীর সাথে দেখা করার পরে তিনি স্টাফোর্ডশায়ারের মেয়ার হলে তার ওয়েডগউড আত্মীয়দের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, তবে তারা তাঁকে অনেক বিশ্রাম দেওয়ার থেকেও তাঁর ভ্রমণের গল্পের জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। ডারউইনের চেয়ে নয় মাস বড় তার কমনীয়, বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতীবান চাচাত বোন এমা ওয়েডগউড তাঁর অক্ষম চাচীকে নার্সিং করছিলেন। তাঁর চাচা জোশিয়া একটি এলাকা দেখান যেখানে সিন্ডার (একধরনের আগ্নেয়গিরি পাথর) দোআশ মাটিতে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং ইঙ্গিত করে বলেন যে এই কাজ কেঁচোর হতে পারে। এ থেকে ডারউইন "একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব" সম্পর্কে উৎসাহিত হন। পরে ডারউইন মাটি গঠনে কেচোর ভূমিকার উপর জিওলজিক্যাল সোসাইটিতে তত্ত্ব উপস্থাপন করেন ১ নভেম্বর ১৮৩৭ সালে।[৪৫]
উইলিয়াম হিওয়েল ডারউইনকে ভূতাত্ত্বিক সোসাইটির সেক্রেটারির দায়িত্ব নিতে চাপ দিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে কাজটি নিতে অস্বীকার করার পরে, তিনি ১৮৩৮ সালের মার্চ মাসে এই পদটি গ্রহণ করেন।[৪৬] বিগল রিপোর্টগুলি লেখার ও সম্পাদনার ঝামেলা সত্ত্বেও ডারউইন বিশেষজ্ঞ প্রকৃতিবিদদের এবং প্রশ্নহীনভাবে কৃষক এবং কবুতর ফ্যানসিয়ারদের মতো বাছাই প্রজননে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের জিজ্ঞাসা করার প্রতিটি সুযোগ নিয়ে ট্রান্সমিউটেশন নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছিলেন।[১০][২০] সময়ের সাথে সাথে, তার গবেষণা তার আত্মীয় এবং শিশু, পরিবারের কর্মচারী, প্রতিবেশী, উপনিবেশবাদী এবং প্রাক্তন শিপমেটদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।[১৯] তিনি শুরু থেকেই তাঁর অনুমানগুলিতে মানবজাতির অন্তর্ভুক্তি করেছিলেন এবং ১৮৩৮ সালের ২৮ শে মার্চ চিড়িয়াখানায় একটি ওরাংওটাং দেখে তার শিশুসুলভ আচরণের বিষয়টি টীকা নিয়েছিলেন।[২০]
এই মারাত্মক চাপের ফলে তিনি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এবং জুনের মধ্যেই তিনি পেটের সমস্যা, মাথা ব্যথা এবং হার্টের অসুবিধার লক্ষণগুলি দেখতে পান। তিনি শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকদিন ধরে বিছানায় শায়িত ছিলেন। এরপর থেকে সারাজীবনই, তিনি বার বার পাকস্থলীর ব্যথা, বমি বমি ভাব, গুরুতর ফোঁড়া, বুক ধড়ফড়ানি, কাঁপুনি এবং অন্যান্য উপসর্গগুলিতে ভুগতে থাকেন। বিশেষত স্ট্রেসের সময় যেমন সভাগুলিতে যোগ দেওয়া বা সামাজিক যোগাযোগের সময়। ডারউইনের অসুস্থতার কারণ অজানা থেকে যায়, এবং চিকিৎসা করার চেষ্টা করে কেবলমাত্র ক্ষণিকের সাফল্য আসে।[২৫]
২৩ শে জুন, তিনি বিরতি নিয়ে স্কটল্যান্ডে "ভূতাত্ত্বিকীকরণ" করেছিলেন। তিনি তিনটি উচ্চতায় পাহাড়ের সমান্তরাল "রাস্তা" কাটা দেখতে গৌরবময় আবহাওয়ায় গ্লেন রায়ের সাথে দেখা করেছিলেন। পরে তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছিলেন যে এগুলি সামুদ্রিক উত্থিত সৈকত ছিল, তবে তার পরে মেনে নিতে হয়েছিল যে এগুলি আসলে একটি অগ্রবর্তী হ্রদের তীর ছিল।[৪৭]
ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বের প্রারম্ভ
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ডারউইন অ্যাডভেঞ্চারে ডারউইনের জীবনী
- চার্লস ডারউইন অনলাইন এর সম্পূর্ণ কাজ - ডারউইন অনলাইন ; ডারউইনের প্রকাশনা, ব্যক্তিগত কাগজপত্র এবং গ্রন্থপঞ্জি, জীবনী, শ্রুতিমধু এবং পর্যালোচনা সহ পরিপূরক কাজ
- ডারউইন সংবাদপত্রের প্রকল্প 1867 এ সম্পূর্ণ চিঠিপত্রের জন্য সম্পূর্ণ পাঠ্য এবং নোটস, বাকী সমস্ত সংক্ষিপ্তসার এবং ভাষ্য পৃষ্ঠা সহ
- Works by Charles Darwin
- Works by or about Charles Robert Darwin
- Works by Charles Darwin </img>
- ডারউইন পাণ্ডুলিপি প্রকল্প
- "Archival material relating to চার্লস ডারউইন"। UK National Archives। </img>
- অনলাইন বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ লাইব্রেরিতে চার্লস ডারউইনের মালিকানাধীন এবং টীকৃত বইগুলি দেখুন।
- কেমব্রিজ ডিজিটাল লাইব্রেরিতে ডিজিটাইজড ডারউইন পান্ডুলিপি
- Portraits of Charles Darwin </img>
- Newspaper clippings about Charles Darwin
- চার্লস ডারউইন ব্রিটিশ উদ্যানতত্ত্বের প্রেসে - আরএইচএস লিন্ডলি গ্রন্থাগার থেকে মাঝে মধ্যে কাগজপত্র, আয়তন 3 জুলাই 2010
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- Creation–evolution controversy
- European and American voyages of scientific exploration
- জীববিজ্ঞানের ইতিহাস
- History of evolutionary thought
- List of coupled cousins
- List of multiple discoveries
- একাধিক আবিষ্কার
- Portraits of Charles Darwin
- Tinamou egg
- Universal Darwinism
- ডারউইন ১৯৯১
- Creation (biographical drama film)
টীকা
[সম্পাদনা]I. ^ ডারউইন একজন বিশিষ্ট প্রকৃতিবিদ, ভূতত্ত্ববিদ, জীববিজ্ঞানী এবং লেখক ছিলেন। গ্রীষ্মের পরে একজন চিকিত্সক সহকারী (তার বাবাকে সহায়তা করা) হিসেবে কাজ করেন এবং দুই বছর মেডিকেল ছাত্র থাকার পরে, তিনি একজন ধর্মযাজক হিসাবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ও সাধারণ ডিগ্রির জন্য ক্যামব্রিজে গিয়েছিলেন। তিনি ট্যাক্সাইডারমি বিষয়েও প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।[৪৮]
II. ^ Robert FitzRoy was to become known after the voyage for biblical literalism, but at this time he had considerable interest in Lyell's ideas, and they met before the voyage when Lyell asked for observations to be made in South America. FitzRoy's diary during the ascent of the River Santa Cruz in Patagonia recorded his opinion that the plains were raised beaches, but on return, newly married to a very religious lady, he recanted these ideas.(Browne 1995, পৃ. 186, 414)
III. ^ In the section "Morphology" of Chapter XIII of On the Origin of Species, Darwin commented on homologous bone patterns between humans and other mammals, writing: "What can be more curious than that the hand of a man, formed for grasping, that of a mole for digging, the leg of the horse, the paddle of the porpoise, and the wing of the bat, should all be constructed on the same pattern, and should include the same bones, in the same relative positions?"[৪৯] and in the concluding chapter: "The framework of bones being the same in the hand of a man, wing of a bat, fin of the porpoise, and leg of the horse … at once explain themselves on the theory of descent with slow and slight successive modifications."[৫০]
IV. 1 2 3 In On the Origin of Species Darwin mentioned human origins in his concluding remark that "In the distant future I see open fields for far more important researches. Psychology will be based on a new foundation, that of the necessary acquirement of each mental power and capacity by gradation. Light will be thrown on the origin of man and his history."[৫১]
In "Chapter VI: Difficulties on Theory" he referred to sexual selection: "I might have adduced for this same purpose the differences between the races of man, which are so strongly marked; I may add that some little light can apparently be thrown on the origin of these differences, chiefly through sexual selection of a particular kind, but without here entering on copious details my reasoning would appear frivolous."[৫২]
In The Descent of Man of 1871, Darwin discussed the first passage: "During many years I collected notes on the origin or descent of man, without any intention of publishing on the subject, but rather with the determination not to publish, as I thought that I should thus only add to the prejudices against my views. It seemed to me sufficient to indicate, in the first edition of my 'Origin of Species,' that by this work 'light would be thrown on the origin of man and his history;' and this implies that man must be included with other organic beings in any general conclusion respecting his manner of appearance on this earth."[৫৩] In a preface to the 1874 second edition, he added a reference to the second point: "it has been said by several critics, that when I found that many details of structure in man could not be explained through natural selection, I invented sexual selection; I gave, however, a tolerably clear sketch of this principle in the first edition of the 'Origin of Species,' and I there stated that it was applicable to man."[৫৪]
V. ^ See, for example, WILLA volume 4, Charlotte Perkins Gilman and the Feminization of Education by Deborah M. De Simone: "Gilman shared many basic educational ideas with the generation of thinkers who matured during the period of "intellectual chaos" caused by Darwin's Origin of the Species. Marked by the belief that individuals can direct human and social evolution, many progressives came to view education as the panacea for advancing social progress and for solving such problems as urbanisation, poverty, or immigration."
VI. ^ See, for example, the song "A lady fair of lineage high" from Gilbert and Sullivan's Princess Ida, which describes the descent of man (but not woman!) from apes.
VII. ^ Darwin's belief that black people had the same essential humanity as Europeans, and had many mental similarities, was reinforced by the lessons he had from John Edmonstone in 1826.[১৭] Early in the Beagle voyage, Darwin nearly lost his position on the ship when he criticised FitzRoy's defence and praise of slavery. (Darwin 1958, পৃ. 74) He wrote home about "how steadily the general feeling, as shown at elections, has been rising against Slavery. What a proud thing for England if she is the first European nation which utterly abolishes it! I was told before leaving England that after living in slave countries all my opinions would be altered; the only alteration I am aware of is forming a much higher estimate of the negro character." (Darwin 1887, পৃ. 246) Regarding Fuegians, he "could not have believed how wide was the difference between savage and civilized man: it is greater than between a wild and domesticated animal, inasmuch as in man there is a greater power of improvement", but he knew and liked civilised Fuegians like Jemmy Button: "It seems yet wonderful to me, when I think over all his many good qualities, that he should have been of the same race, and doubtless partaken of the same character, with the miserable, degraded savages whom we first met here."(Darwin 1845, পৃ. 205, 207–208)
In the Descent of Man, he mentioned the similarity of Fuegians' and Edmonstone's minds to Europeans' when arguing against "ranking the so-called races of man as distinct species".[৫৫]
He rejected the ill-treatment of native people, and for example wrote of massacres of Patagonian men, women, and children, "Every one here is fully convinced that this is the most just war, because it is against barbarians. Who would believe in this age that such atrocities could be committed in a Christian civilized country?"(Darwin 1845, পৃ. 102)
VIII. 1 2 Geneticists studied human heredity as Mendelian inheritance, while eugenics movements sought to manage society, with a focus on social class in the United Kingdom, and on disability and ethnicity in the United States, leading to geneticists seeing this as impractical pseudoscience. A shift from voluntary arrangements to "negative" eugenics included compulsory sterilisation laws in the United States, copied by Nazi Germany as the basis for Nazi eugenics based on virulent racism and "racial hygiene".
(Thurtle, Phillip (১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬)। "the creation of genetic identity"। SEHR। 5 (Supplement: Cultural and Technological Incubations of Fascism)। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০০৮। Edwards, A. W. F. (১ এপ্রিল ২০০০)। "The Genetical Theory of Natural Selection"। Genetics। 154 (April 2000)। পৃষ্ঠা 1419–1426। পিএমআইডি 10747041। পিএমসি 1461012 । সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০০৮।
Wilkins, John। "Evolving Thoughts: Darwin and the Holocaust 3: eugenics"। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০০৮।)
IX. ^ David Quammen writes of his "theory that [Darwin] turned to these arcane botanical studies – producing more than one book that was solidly empirical, discreetly evolutionary, yet a 'horrid bore' – at least partly so that the clamorous controversialists, fighting about apes and angels and souls, would leave him... alone". David Quammen, "The Brilliant Plodder" (review of Ken Thompson, Darwin's Most Wonderful Plants: A Tour of His Botanical Legacy, University of Chicago Press, 255 pp.; Elizabeth Hennessy, On the Backs of Tortoises: Darwin, the Galápagos, and the Fate of an Evolutionary Eden, Yale University Press, 310 pp.; Bill Jenkins, Evolution Before Darwin: Theories of the Transmutation of Species in Edinburgh, 1804–1834, Edinburgh University Press, 222 pp.), The New York Review of Books, vol. LXVII, no. 7 (23 April 2020), pp. 22–24. Quammen, quoted from p. 24 of his review.
উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ Coyne, Jerry A. (২০০৯)। Why Evolution is True। Oxford: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 0-199-23084-6।
In The Origin, Darwin provided an alternative hypothesis for the development, diversification, and design of life. Much of that book presents evidence that not only supports evolution but at the same time refutes creationism. In Darwin's day, the evidence for his theories was compelling but not completely decisive.
- ↑ Glass, Bentley (১৯৫৯)। Forerunners of Darwin। Baltimore, MD: Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা iv। আইএসবিএন 0801802229।
Darwin's solution is a magnificent synthesis of evidence...a synthesis...compelling in honesty and comprehensiveness
- ↑ The Complete Works of Darwin Online - Biography. darwin-online.org.uk. Retrieved on 2006-12-15
Dobzhansky 1973 - ↑ As Darwinian scholar Joseph Carroll of the University of Missouri–St. Louis puts it in his introduction to a modern reprint of Darwin's work: "The Origin of Species has special claims on our attention. It is one of the two or three most significant works of all time—one of those works that fundamentally and permanently alter our vision of the world....It is argued with a singularly rigorous consistency but it is also eloquent, imaginatively evocative, and rhetorically compelling." Carroll, Joseph, সম্পাদক (২০০৩)। On the origin of species by means of natural selection। Peterborough, Ontario: Broadview। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 1551113376।
- ↑ Leff 2000, About Charles Darwin
- ↑ Desmond ও Moore 1991, পৃ. 210, 284–285
- ↑ Desmond ও Moore 1991, পৃ. 263–274
- ↑ van Wyhe 2007, পৃ. 184, 187
- ↑ Darwin - At last. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে American Museum of Natural History. Retrieved on 2007-03-21
- ↑ ক খ গ ঘ van Wyhe 2008
- ↑ Freeman 1977
- ↑ "BBC NEWS : Politics : Thatcher state funeral undecided"। ২০০৮-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-১০।
- ↑ Leff 2000, Darwin's Burial
- ↑ Encyclopædia Britannica।
- ↑ John H. Wahlert (১১ জুন ২০০১)। "The Mount House, Shrewsbury, England (Charles Darwin)"। Darwin and Darwinism। Baruch College। ৬ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ Smith, Homer W. (১৯৫২)। Man and His Gods। Grosset & Dunlap। পৃষ্ঠা 339–40।
- ↑ ক খ Darwin 1958Desmond ও Moore 2009
- ↑ Desmond ও Moore 1991।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Browne 1995
- ↑ ক খ গ ঘ Desmond ও Moore 1991
- ↑ Browne 1995Desmond ও Moore 2009
- ↑ ক খ Smith, Homer W. (১৯৫২)। Man and His Gods। Grosset & Dunlap। পৃষ্ঠা 357–58।
- ↑ ক খ Darwin, Charles (১৯০১)। The life and letters of Charles Darwin। D. Appleton। পৃষ্ঠা 43–44। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ van Wyhe, John (সম্পাদক)। "Darwin's insects in Stephens' Illustrations of British entomology (1829–32)"। Darwin Online। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ ক খ Desmond ও Moore 1991Darwin 1958
- ↑ von Sydow 2005
- ↑ Darwin 1958
- ↑ Keynes 2000, পৃ. ix–xi
- ↑ ক খ van Wyhe 2008b, পৃ. 18–21
- ↑ Gordon Chancellor (২০০৬)। "Darwin's field notes on the Galapagos: 'A little world within itself'"। Darwin Online। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-১৬। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Browne 1995, পৃ. 183–190
- ↑ Keynes 2001, পৃ. 41–42
- ↑ Darwin 1958, পৃ. 73–74
- ↑ Browne 1995, পৃ. 223–235
Darwin 1835, পৃ. 7
Desmond ও Moore 1991, পৃ. 210 - ↑ Desmond ও Moore 1991, পৃ. 131, 159
Herbert 1991, পৃ. 174–179 - ↑ "Darwin Online: 'Hurrah Chiloe': an introduction to the Port Desire Notebook"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৪।
- ↑ Darwin 1845, পৃ. 205–208
- ↑ Keynes 2001, পৃ. 226–227
- ↑ Darwin 1835
- ↑ Owen 1840Eldredge 2006
- ↑ ক খ Keynes 2001
- ↑ Desmond ও Moore 1991Browne 1995
- ↑ "Darwin Correspondence Project – Letter 346 – Darwin, C. R. to Darwin, C. S., 27 Feb 1837"। ২৯ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৮। proposes a move on Friday 3 March 1837, Darwin's Journal (Darwin 2006) backdated from August 1838 gives a date of 6 March 1837
- ↑ UK Retail Price Index inflation figures are based on data from Clark, Gregory (২০১৭)। "The Annual RPI and Average Earnings for Britain, 1209 to Present (New Series)"। MeasuringWorth। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০২২।
- ↑ Desmond ও Moore 1991"Darwin Correspondence Project – Letter 404 – Buckland, William to Geological Society of London, 9 Mar 1838"। ২৯ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮।
- ↑ Desmond ও Moore 1991.
- ↑ Desmond ও Moore 1991Browne 1995Darwin 1958
- ↑ Desmond, Moore এবং Browne 2004
- ↑ Darwin 1859, পৃ. 434
- ↑ Darwin 1859, পৃ. 479
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;light on man
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;SS_man
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Darwin 1871, পৃ. 1
- ↑ Darwin 1874, পৃ. vi
- ↑ Darwin 1871, পৃ. 214, 232
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Anonymous (১৮৯৩)। "CHARLES ROBERT DARWIN (Obituary Notice, Friday, April 21, 1882)"। Eminent Persons; Biographies reprinted from The Times। III (1882–1886)। London and New York: Macmillan and Co & The Times Office। পৃষ্ঠা 1–11। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ – Internet Archive-এর মাধ্যমে।
- Anonymous (১৮৮২)। "Obituary: Death Of Chas. Darwin"। The New York Times (21 April 1882)। ১৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০০৮।
- Balfour, J. H. (১১ মে ১৮৮২)। "Obituary Notice of Charles Robert Darwin"। Transactions & Proceedings of the Botanical Society of Edinburgh (14): 284–298।
- Bannister, Robert C. (১৯৮৯)। Social Darwinism: Science and Myth in Anglo-American Social Thought.। Philadelphia: Temple University Press। আইএসবিএন 978-0-87722-566-9।
- Bowler, Peter J. (২০০৩)। Evolution: The History of an Idea (3rd সংস্করণ)। University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-23693-6।
- Browne, E. Janet (১৯৯৫)। Charles Darwin: vol. 1 Voyaging। London: Jonathan Cape। আইএসবিএন 978-1-84413-314-7।
- Browne, E. Janet (২০০২)। Charles Darwin: vol. 2 The Power of Place। London: Jonathan Cape। আইএসবিএন 978-0-7126-6837-8।
- Darwin, Charles (১৮৩৫)। Extracts from letters to Professor Henslow। Cambridge: [privately printed]। ৩১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৩৭)। Notebook B: (Transmutation of species)। Darwin Online। CUL-DAR121। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৩৯)। Narrative of the surveying voyages of His Majesty's Ships Adventure and Beagle between the years 1826 and 1836, describing their examination of the southern shores of South America, and the Beagle's circumnavigation of the globe. Journal and remarks. 1832–1836.। III। London: Henry Colburn। ২১ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৪২)। "Pencil Sketch of 1842"। Darwin, Francis। The foundations of The origin of species: Two essays written in 1842 and 1844.। Cambridge University Press (প্রকাশিত হয় ১৯০৯)। আইএসবিএন 978-0-548-79998-7। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০০৬।
- Darwin, Charles (১৮৪৫)। Journal of researches into the natural history and geology of the countries visited during the voyage of H.M.S. Beagle round the world, under the Command of Capt. Fitz Roy, R.N. 2d edition। London: John Murray। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Darwin, Charles; Wallace, Alfred Russel (১৮৫৮)। "On the Tendency of Species to form Varieties; and on the Perpetuation of Varieties and Species by Natural Means of Selection"। Journal of the Proceedings of the Linnean Society of London। Zoology 3। 3 (9): 46–50। ডিওআই:10.1111/j.1096-3642.1858.tb02500.x ।
- Darwin, Charles (১৮৫৯)। On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life (1st সংস্করণ)। London: John Murray। আইএসবিএন 978-1-4353-9386-8। ৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৬৮)। The Variation of Animals and Plants Under Domestication। London: John Murray। আইএসবিএন 978-1-4191-8660-8। ৩০ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৭১)। The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex (1st সংস্করণ)। London: John Murray। আইএসবিএন 978-0-8014-2085-6। ১২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৮৭২)। The Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life (6th সংস্করণ)। London: John Murray। আইএসবিএন 978-1-4353-9386-8। ৭ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০০৯।
- Darwin, Charles (১৮৭৪)। The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex (2nd সংস্করণ)। London: John Murray। আইএসবিএন 978-0-8014-2085-6। ১২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- Darwin, Charles (১৮৮৭)। Darwin, Francis, সম্পাদক। The life and letters of Charles Darwin, including an autobiographical chapter। London: John Murray। আইএসবিএন 978-0-404-08417-2। ৫ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৮।
- Darwin, Charles (১৯৫৮)। Barlow, Nora, সম্পাদক। The Autobiography of Charles Darwin 1809–1882. With the original omissions restored. Edited and with appendix and notes by his granddaughter Nora Barlow। London: Collins। ১৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- Darwin, Charles (২০০৬)। "Journal"। van Wyhe, John। Darwin's personal 'Journal' (1809–1881)। Darwin Online। CUL-DAR158.1–76। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Darwin, Charles; Costa, James T. (২০০৯)। The Annotated Origin: A Facsimile of the First Edition of On the Origin of Species Annotated by James T. Costa। Cambridge, Massachusetts, and London, England: Belknap Press of Harvard University Press। আইএসবিএন 978-0-674-03281-1।
- Desmond, Adrian; Moore, James (১৯৯১)। Darwin। London: Michael Joseph, Penguin Group। আইএসবিএন 978-0-7181-3430-3।
- Desmond, Adrian; Moore, James; Browne, Janet (২০০৪)। "Darwin, Charles Robert"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/7176। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
- Desmond, Adrian; Moore, James (২০০৯)। Darwin's sacred cause : race, slavery and the quest for human origins। London: Allen Lane। আইএসবিএন 978-1-84614-035-8।
- Dobzhansky, Theodosius (মার্চ ১৯৭৩)। "Nothing in Biology Makes Sense Except in the Light of Evolution"। The American Biology Teacher। 35 (3): 125–129। এসটুসিআইডি 207358177। জেস্টোর 4444260। ডিওআই:10.2307/4444260। সাইট সিয়ারX 10.1.1.525.3586 ।
- Eldredge, Niles (২০০৬)। "Confessions of a Darwinist"। The Virginia Quarterly Review (Spring 2006): 32–53। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৮।
- FitzRoy, Robert (১৮৩৯)। Voyages of the Adventure and Beagle, Volume II। London: Henry Colburn। ৫ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৮।
- Freeman, R. B. (১৯৭৭)। The Works of Charles Darwin: An Annotated Bibliographical Handlist। Folkestone: Wm Dawson & Sons Ltd। আইএসবিএন 978-0-208-01658-4। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৮।
- Freeman, R. B. (২০০৭)। Charles Darwin: A companion (2nd online সংস্করণ)। The Complete Works of Charles Darwin Online। পৃষ্ঠা 107, 109। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪।
- Herbert, Sandra (১৯৮০)। "The red notebook of Charles Darwin"। Bulletin of the British Museum (Natural History), Historical Series (7 (24 April)): 1–164। ১১ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০০৯।
- Herbert, Sandra (১৯৯১)। "Charles Darwin as a prospective geological author"। British Journal for the History of Science। 24 (2): 159–192। ডিওআই:10.1017/S0007087400027060। ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Huxley, Julian; Kettlewell, H.B.D. (১৯৬৫)। Charles Darwin and His World। New York: the Viking Press।
- Keynes, Richard (২০০০)। Charles Darwin's zoology notes & specimen lists from H.M.S. Beagle। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-46569-4। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Keynes, Richard (২০০১)। Charles Darwin's Beagle Diary। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-23503-7। ৪ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৮।
- Kotzin, Daniel (২০০৪)। "Point-Counterpoint: Social Darwinism"। Columbia American History Online। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Larson, Edward J. (২০০৪)। Evolution: The Remarkable History of a Scientific Theory। Modern Library। আইএসবিএন 978-0-679-64288-6।
- Leff, David (২০০০)। "AboutDarwin.com" (2000–2008 সংস্করণ)। ২৮ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Leifchild (১৯ নভেম্বর ১৮৫৯)। "Review of 'Origin'"। Athenaeum (1673)। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Miles, Sara Joan (২০০১)। "Charles Darwin and Asa Gray Discuss Teleology and Design"। Perspectives on Science and Christian Faith। 53: 196–201। ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Moore, James (২০০৫)। "Darwin – A 'Devil's Chaplain'?" (পিডিএফ)। American Public Media। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Moore, James (২০০৬)। "Evolution and Wonder – Understanding Charles Darwin"। Speaking of Faith (Radio Program)। American Public Media। ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Owen, Richard (১৮৪০)। Darwin, C. R., সম্পাদক। Fossil Mammalia Part 1। The zoology of the voyage of H.M.S. Beagle। London: Smith Elder and Co।
- Paul, Diane B. (২০০৩)। "Darwin, social Darwinism and eugenics"। Hodge, Jonathan; Radick, Gregory। The Cambridge Companion to Darwin। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 214–239। আইএসবিএন 978-0-521-77730-8।
- Radick, Gregory (২০১৩)। "Darwin and Humans"। Ruse, Michael। The Cambridge Encyclopedia of Darwin and Evolutionary Thought। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 173–181।
- Smith, Charles H. (১৯৯৯)। "Alfred Russel Wallace on Spiritualism, Man, and Evolution: An Analytical Essay"। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Sulloway, Frank J. (১৯৮২)। "Darwin and His Finches: The Evolution of a Legend" (পিডিএফ)। Journal of the History of Biology। 15 (1): 1–53। এসটুসিআইডি 17161535। ডিওআই:10.1007/BF00132004। সাইট সিয়ারX 10.1.1.458.3975 । ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Sweet, William (২০০৪)। "Herbert Spencer"। Internet Encyclopedia of Philosophy। ২৮ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Wilkins, John S. (১৯৯৭)। "Evolution and Philosophy: Does evolution make might right?"। TalkOrigins Archive। ১৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৮।
- Wilkins, John S. (২০০৮)। "Darwin"। Tucker, Aviezer। A Companion to the Philosophy of History and Historiography। Blackwell Companions to Philosophy। Chichester: Wiley-Blackwell। পৃষ্ঠা 405–415। আইএসবিএন 978-1-4051-4908-2।
- van Wyhe, John (২৭ মার্চ ২০০৭)। "Mind the gap: Did Darwin avoid publishing his theory for many years?"। Notes and Records of the Royal Society। 61 (2): 177–205। এসটুসিআইডি 202574857। ডিওআই:10.1098/rsnr.2006.0171। ১১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- van Wyhe, John (২০০৮)। "Charles Darwin: gentleman naturalist: A biographical sketch"। Darwin Online। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০০৮।
- van Wyhe, John (২০০৮b)। Darwin: The Story of the Man and His Theories of Evolution। London: Andre Deutsch Ltd (প্রকাশিত হয় ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। আইএসবিএন 978-0-233-00251-4।
- von Sydow, Momme (২০০৫)। "Darwin – A Christian Undermining Christianity? On Self-Undermining Dynamics of Ideas Between Belief and Science" (পিডিএফ)। Knight, David M.; Eddy, Matthew D.। Science and Beliefs: From Natural Philosophy to Natural Science, 1700–1900। Burlington: Ashgate। পৃষ্ঠা 141–156। আইএসবিএন 978-0-7546-3996-1। ২৬ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮।
- Yates, Simon (২০০৩)। "The Lady Hope Story: A Widespread Falsehood"। TalkOrigins Archive। ১২ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০০৬।
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ব্যক্তি অসম্পূর্ণ
- ১৮০৯-এ জন্ম
- ১৮৮২-এ মৃত্যু
- ইংরেজ জীববিজ্ঞানী
- বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী
- কপলি পদক বিজয়ী
- ইংরেজ অজ্ঞেয়বাদী
- ক্রাইস্ট কলেজ, কেমব্রিজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- চার্লস ডারউইন
- ইংরেজ শান্তির বিচারপতি
- ইংরেজ প্রকৃতিবিদ
- রয়েল সোসাইটির সভ্য
- মানব বিবর্তন
- মার্কিন ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সদস্য
- রয়্যাল নেদারল্যান্ডস কলা ও বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য
- রয়েল সুয়েডীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য
- রয়েল পদক বিজয়ী
- ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে সমাধিস্থ