কিশমিশ
কিশমিশ বা কিসমিস হল শুকনো আঙ্গুর। কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উত্পাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে।[১][২]
পরিচ্ছেদসমূহ
বর্ণনা[সম্পাদনা]
টি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে।[১] আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস।[৩] এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে। রয়েছে আয়রন যা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে কার্বোহাইট্রেট, যা এনার্জি জোগায়।[৪] মহিলারাই বিশেষত রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাই চিকিৎসকরা বলেন কিসমিস খাওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি।[৫]
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
সাধারণত ইরাক, ইরান, পাকিস্তান ও ভারতে জন্মে থাকে।
ব্যবহার[সম্পাদনা]
যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়।[৬] কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক।
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Dom Costello। "Kew Gardens explanation"। রয়েল বোটানিক গার্ডেন্স, কেউ। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "শক্তির উৎস কিশমিশ"। দৈনিক প্রথম আলো। ২২ জানুয়ারি ২০১৪। ২৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯।
- ↑ Chiou, Antonia; Panagopoulou, Eirini A.; Gatzali, Fotini; De Marchi, Stephania; Karathanos, Vaios T. (২০১৪)। "Anthocyanins content and antioxidant capacity of Corinthian currants (Vitis vinifera L., var. Apyrena)"। 146: 157–65। doi:10.1016/j.foodchem.2013.09.062। PMID 24176327।
- ↑ Harper, Douglas। "raisin"। Online Etymology Dictionary।
- ↑ "Types of Raisins: Currants, Golden Seedless, and More"। Berkeley Wellness। Remedy Health Media। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "কিসমিসের এই গুণগুলো জানলে অবাক হবেন !"। নিউজ ১৮ বাংলা। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ২৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯।