কর্ণপ্রয়াগ

স্থানাঙ্ক: ৩০°১৬′ উত্তর ৭৯°১৫′ পূর্ব / ৩০.২৭° উত্তর ৭৯.২৫° পূর্ব / 30.27; 79.25
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কর্ণপ্রয়াগ
করণপ্রয়াগ, কর্ণ প্রয়াগ
শহর
বাম দিক থেকে প্রবাহিত অলকানন্দা নদী পিন্ডার নদীর (মাঝের পটভূমি) সাথে মিলিত হয়েছে, কর্ণপ্রয়াগে আবার অলকানন্দা হিসাবে প্রবাহিত হুয়েছে (অগ্রভাগ)
বাম দিক থেকে প্রবাহিত অলকানন্দা নদী পিন্ডার নদীর (মাঝের পটভূমি) সাথে মিলিত হয়েছে, কর্ণপ্রয়াগে আবার অলকানন্দা হিসাবে প্রবাহিত হুয়েছে (অগ্রভাগ)
কর্ণপ্রয়াগ উত্তরাখণ্ড-এ অবস্থিত
কর্ণপ্রয়াগ
কর্ণপ্রয়াগ
কর্ণপ্রয়াগ ভারত-এ অবস্থিত
কর্ণপ্রয়াগ
কর্ণপ্রয়াগ
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩০°১৬′ উত্তর ৭৯°১৫′ পূর্ব / ৩০.২৭° উত্তর ৭৯.২৫° পূর্ব / 30.27; 79.25
দেশ ভারত
রাজ্যউত্তরাখণ্ড
জেলাচামোলি
উচ্চতা১,৪৫১ মিটার (৪,৭৬০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৬,৯৭৬
ভাষা
 • সরকারিহিন্দি, গাঢ়োয়ালি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন২৪৬৪৪৪
যানবাহন নিবন্ধনইউকে
ওয়েবসাইটuk.gov.in

কর্ণপ্রয়াগ হল ভারতের রাজ্য উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার একটি শহর এবং পৌর বোর্ড। কর্ণপ্রয়াগ হল অলকানন্দা নদীর পঞ্চ প্রয়াগের (পাঁচটি সঙ্গম) একটি, এবং অলকানন্দা এবং পিন্ডার নদী)র সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০০১ সালের আদমশুমারি হিসাবে,[১] কর্ণপ্রয়াগের জনসংখ্যা হল ৬৯৭৬। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬%, এবং নারী ৪৪%। এখানকার সাক্ষরতার হার ৭৬%, জাতীয় গড় ৫৯.৫% এর থেকে বেশি। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৯%। এই শহরর জনসংখ্যার ১৩% এর বয়স ৬ বছরের চেয়ে কম।

ভূগোল[সম্পাদনা]

কর্ণপ্রয়াগ ৩০°১৬′ উত্তর ৭৯°১৫′ পূর্ব / ৩০.২৭° উত্তর ৭৯.২৫° পূর্ব / 30.27; 79.25 অবস্থিত।[২] এর গড় উচ্চতা হল ১,৪৫১  মিটার (৪,৭৬০  ফুট)। বরফের পিন্ডারি হিমবাহ থেকে উদ্ভূত পিন্ডার নদী এবং অলকানন্দার সঙ্গম কর্ণপ্রয়াগে ঘটেছে। এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নন্দা দেবীর উচ্চতা ৭,৮১৬ মিটারেরও (২৫,৬৩৪  ফুট) বেশি এবং এর চারপাশে উজ্জ্বল শিখর সমন্বিত, ত্রিশূল, দ্রোণ গিরি, নন্দা ঘুন্টি, মৃগথুনি এবং মাইকটোলি দ্বারা বেষ্টিত।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ[সম্পাদনা]

কর্ণপ্রয়াগে অলকানন্দা নদীর পাঁচটি সঙ্গমের মধ্যে একটি ঘটেছে। পাঁচটি প্রয়াগ হল বিষ্ণুপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ এবং দেবপ্রয়াগপ্রয়াগরাজ হল এমন একটি স্থান, যেখানে গঙ্গা, যমুনা এবং পুরাণ কথিত সরস্বতীর মিলন স্থল, এবং এটি হিন্দু তীর্থস্থানগুলির অন্যতম পবিত্র স্থান। অনেকে বিশ্বাস করেন যে কর্ণপ্রয়াগে মহাভারতের কর্ণ সূর্য দেবতার উপাসনা করতে এসেছিলেন। কর্ণপ্রয়াগে উমার নামে একটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে।

কিছু কিছু গল্পে কর্ণপ্রয়াগ হল সেই স্থান যেখানে কৃষ্ণ কর্ণকে দাহ করেছিলেন। অর্জুন যখন অস্ত্রহীন কর্ণের প্রতি অঞ্জলিকা অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন, যিনি তখনও ডুবে যাওয়া রথের চাকাটি তোলার চেষ্টা করছিলেন, ভগবান কৃষ্ণ দেখতে পেয়েছিলেন যে কর্ণ গুরুতর আহত হয়েও বেঁচে আছেন। ভগবান কৃষ্ণ আবিষ্কার করেছিলেন যে ধর্ম (ধার্মিকতা) রক্ষার জন্য দায়ী ধর্ম-দেবতা কর্ণকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করছেন এবং অর্জুন দ্বারা প্রেরিত প্রতিটি তীরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছেন। দেবী নিজে কর্ণকে ব্যক্তিগতভাবে রক্ষা করছিলেন বলে, কৃষ্ণ ও অর্জুন, কর্ণকে হত্যা করা অসম্ভব বলে মনে করেছিলেন। ভগবান কৃষ্ণ অর্জুন কে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে কর্ণ তাঁর জীবদ্দশায় দান করে প্রচুর ভাল যোগ্যতা অর্জন করায় ধর্ম দেবতা নিজেই কর্ণকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এমনকি ভগবান শিবের পক্ষেও কর্ণকে হত্যা করা অসম্ভব। কৃষ্ণ বলেছিলেন ধর্ম যেখানেই উপস্থিত থাকেন, সেখানে বিজয় সম্ভব হয় আর এবার ধর্ম কর্ণের পাশে রয়েছেন। তাই কৃষ্ণ তাঁর রথ থেকে নেমে ব্রাহ্মণরূপ নেন এবং তাঁর কাছে দান হিসাবে কর্ণের পুণ্য বা সদগুণ চেয়েছিলেন। কর্ণ ব্রাহ্মণকে দান হিসাবে তাঁর পুরো গুণাবলি রক্তের আকারে দান করে দেন এবং একবার কর্ণ তাঁর জীবনের যোগ্যতা কৃষ্ণকে দান করতেই, কৃষ্ণ কর্ণকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়েছিলেন। কৃষ্ণ বলেছিলেন যে কেবল এই পথেই কর্ণকে হত্যা করা সম্ভব এবং যখন কর্ণ তাঁর জীবনের সদগুণ কৃষ্ণের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তখন ধর্ম-দেবতা তাঁকে ছেড়ে চলে যান। কর্ণ কৃষ্ণ কে একটি জনপদবিহীন স্থানে তাঁকে দাহ করতে বলেছিলেন যেখানে কেউ কখনো যায় নি। এরপরে কৃষ্ণ তাঁর রথে ফিরে গিয়ে অর্জুনকে কর্ণের মৃত্যু বাণ চালাতে বলেন। পরে কৃষ্ণ স্বয়ং কর্ণপ্রয়াগে কর্ণকে দাহ করেছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১ 
  2. Falling Rain Genomics, Inc - Karnaprayag
  3. M.P. Veerendra Kumar। Haimavatabhoovil। Mathrubhumi Books। পৃষ্ঠা 734। আইএসবিএন 978-81-8264-560-8 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]