উজবেক মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উজবেক মসজিদ
আরবি: جامع الأزبك
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
সক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানবাগদাদ,  ইরাক
স্থাপত্য
সাধারণ ঠিকাদারআবদ আল-আজিজ খান
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ০১
মিনার০১

উজবেক মসজিদ ইরাকের বাগদাদের আল-রুসুফা জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। মসজিদটির স্থাপত্য এবং ইতিহাস জানতে হলে ১৭শ শতাব্দীতে ফিরে যেতে হবে। মসজিদটি উজবেক জনগণের (যাদের জন্য মসজিদটির নাম উজবেক মসজিদ রাখা হয়েছে) যারা অভিবাসন করে বাগদাদে বসবাস করত। মসজিদটির সাথে উজবেক জনগণের সম্পর্ক রয়েছে। এটি মসজিদটির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।[১][২] শেখ জালাল আল-হানাফী ১৯৩০ এর দশকের শেষের দিকে এই মসজিদের ইমাম এবং প্রচারক ছিলেন।

ঐতিহাসিক পটভূমি[সম্পাদনা]

নির্মান কাজ, মাজার এবং তাৎপর্য[সম্পাদনা]

মসজিদের পুরানো বাহ্যিক অংশ (১৯১৭-১৯১৯)

মসজিদটির নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৬৮২ সালে। বুখারার খানাতের আমির, আবদ আল-আজিজ খান তার চাচা কুলি খানের সমাধিতে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন, যিনি ১৬৫০ সালে হজের সফরে বাগদাদে মারা যান। দুই বছর পর তার ভাই, সুবহান কুলি খান, ১৬৮০ সালে খানাতের সিংহাসন গ্রহণ করেন, আবদ আল-আজিজ খান তার চাচার সাথে থাকার জন্য মসজিদে বসতি স্থাপন করেন। উসমানীয় সুলতান, মুরাদ চতুর্থের শাসনামলে, অনেক উজবেকিস্তানিরা বাগদাদে অভিবাসন করে এবং পরবর্তীতে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। মসজিদটি সেই সময়ে শহরে বসবাসকারী উজবেকিস্তান জনগণের সমাবেশের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে যারা ধারালো তলোয়ারের ব্যবহার অনুশীলনের জন্য সুপরিচিত ছিল। ১৮১৮ সালে মামলুক শাসক দাউদ পাশার শাসনামলে মসজিদটির পতন ঘটে, পরবর্তীতে যিনি মসজিদটি সংস্কার করেন তিনি মসজিদটিতে একটি ছোট মিনার যুক্ত করেন যার জন্য মসজিদটি আরো উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে। মসজিদের এখতিয়ারের জন্য একটি মাদ্রাসাও রয়েছে যা দাউদ পাশার সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১][২][৩]

পরবর্তী বছর এবং পুনর্গঠন[সম্পাদনা]

১৯১৭ সালে, ব্রিটিশ সৈন্যরা যখন বাগদাদে প্রবেশ করে তখন মসজিদটির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়। মসজিদটি পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে নেতা আবদুল করিম কাসেমের সময়ে পুরানো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ কাজের সময় ভেঙে ফেলা হয় এবং এটি বর্তমান আকারে পুনর্নির্মাণ করা হয়।[১] এটি ভেঙে ফেলার কিছুদিন আগে, মসজিদের সর্বশেষ আলেম শেখ সালেম বিন মুস্তাফাকে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠদান বিলুপ্ত করা হয়েছিল। মসজিদটি পরবর্তীতে নেতার আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। ১৯৬৩ সালে রমজান বিপ্লবের সময় যা কাসেমের সরকারকে উৎখাত করেছিল, কাসেম গ্রেফতার হওয়ার আগে এবং মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগের একটি রাত মসজিদে কাটিয়েছিলেন। বর্তমানে, মসজিদটি সুন্নি এনডাউমেন্ট অফিস দ্বারা দেখাশোনা করা হয় এবং আল-আহমাদিয়া মাদ্রাসা মসজিদের কাছে আল-ময়দান চত্বরে অবস্থিত।[৪]

উজবেক মসজিদের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন শেখ জালাল আল-হানাফি যিনি ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে এর ইমাম এবং ইসলাম প্রচারক ছিলেন এবং ইসলামি আইনবিদ এবং পণ্ডিত আবদ আল-করিম জাইদান যিনি এই মসজিদে জনসাধারণের জন্য বক্তৃতা দিতেন।[৫]

মসজিদের বর্ণনা[সম্পাদনা]

বর্তমান মসজিদটি এর পুনর্নির্মাণের আগে থেকে ভিন্ন দেখায় এবং আগের ছোট মিনারটি এখন আর নেই।[৬] বর্তমানে মসজিদটির দুটি মিনার রয়েছে, পুরানোটির শুধুমাত্র ভিত্তিটি অবশিষ্ট রয়েছে এবং এটি বাগদাদের সবচেয়ে ছোট মিনার হিসাবে উল্লেখযোগ্য এবং নতুনটি মসজিদের ছাদে তা একটি সরু-চিকন মিনার।[৭] এই মিনারের পাশেই রয়েছে সুউচ্চ গম্বুজ রয়েছে।[৮]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. "جامع ألأزبك في بغداد بناه أمير أوزبكستان وجدده الوالي داود باشا وكان ملجاً لعبد الكريم قاسم"। ২০১৯-০৪-০৫। ২০১৯-০৪-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৩ 
  2. বাগদাদ মসজিদের ইতিহাস এবং এর পুরাকীর্তি - লেখক মাহমুদ শুকরি আল-আলুসি
  3. "الگاردينيا - مجلة ثقافية عامة - بغداد الرشيد مدينة الجوامع والمساجد / الحلقة الأولى"www.algardenia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৩ 
  4. "ضمن حملته لإعادة إعمار بيوت الله وتأهيلها.. الدكتور سعد كمبش يتفقد عددا من المساجد في منطقة الميدان ببغداد"ديوان الوقف السني (আরবি ভাষায়)। ২০২০-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৪ 
  5. "عبد الكريم زيدان"www.aljazeera.net (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৩ 
  6. الرواس, بهاء الدين محمد مهدي الخزامي/الصيادي (২০২০-০১-০১)। واردات الغيب (আরবি ভাষায়)। Dar Al Kotob Al Ilmiyah دار الكتب العلمية। আইএসবিএন 978-2-7451-9601-9 
  7. History of modern Baghdad Mosques by Yunis al-Samarrai
  8. The history of the Baghdad hospice and the Sufi sheikhdom in the Ottoman era, 2014

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]