ইমাম হোসেনের মাজার
ইমাম হোসাইনের মাজার | |
---|---|
![]() ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর পবিত্র রওজা শরীফ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | আহলে বায়াত |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
স্থানাঙ্ক | ৩২°৩৬′৫৯″ উত্তর ৪৪°০১′৫৬″ পূর্ব / ৩২.৬১৬৩৬৫° উত্তর ৪৪.০৩২৩১৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
Husayn ibn Ali |
---|
A series of articles on |
![]() |
জীবন |
Remembrance |
|
Perspectives |
ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর মাজার (আরবি: مقام الامام الحسين Urdu: آستان عالیہ حضرت امام حسین) হল শীয়া ইসলামের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় ইমাম হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর সমাধি যা ইরাকের কারবালায় অবস্থিত। এই মাজারটি শীয়া ইসলামের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলী, মুহাম্মাদের দ্বিতীয় দৌহিত্র, যেখানে ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত কারবালার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তার পাশেই অবস্থিত।[১][২] আহলে বায়াত অনুসরণকারীদের কাছে মক্কাও মদিনা শরীফের বাহিরে ইমাম হোসাইন ইবন আলীর মাজার একটি পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং প্রচুর অনুসারী এই মাজার জিয়ারতে আসেন। প্রতি বছর ইমাম হোসাইনের লাখো অনুসারী পবিত্র আশুরা, ইমামম হোসাইন ইবনে আলীর ওফাত বার্ষিক হিসেবে স্মরণীয়, পালন করার জন্য আশুরার দিন এখানে উপস্থিত হন। [৩] উমাইয়া ও আব্বাসিয়া খলিফারা মাজার নির্মাণের কাজে বাধা প্রদান করেছিল এবং এই মাজার জিয়ারত করাকে নিরুৎসাহিত করেছিল।[৪] মাজারটি ৮৫০-৮৫ী১ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসিয়া খলিফা আল মোতাওয়াক্কিল ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং আহলে বায়াতের সকল প্রকারের মাজার নির্মাণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু ৯৭৯-৮০ খ্রিষ্টাব্দে বুয়াইহিদ আমির আবুদ আল-দাউলা কারবালা এবং নাজাফে মাজার নির্মাণ করেছিলেন।[৫] মাজারের সীমানা দেয়াল কাঁচ দ্বারা সজ্জিত কাঠের দরজা দ্বারা বেষ্টিত করা হয়েছে। ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর রওজা একটি ধাতব-জালিকার মত আকৃতি দ্বারা আবদ্ধ করা হয়েছে এবং রওজাটি ঠিক সোনালী গম্বুজের নিচেই অবস্থিত। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ “‘জারিহ’’’ (ধাতব-জালিকার মত আকৃতি) প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয় এবং নতুন “‘জারিহ’’’ উদ্বোধন করা হয়। [৬] মাজারের পাশে আল আব্বাস মসজিদ অ বস্থিত।
কারবালার ইতিহাস[সম্পাদনা]

কারবালা, ইরাকের একটি শহর, বাগদাদের দক্ষিণ পশ্চিম থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. দূরে ৩২.৬১°উত্তর,৪৪.০৮°পূর্বে অবস্থিত। এই এলাকা পানিগে অনেক সমৃদ্ধ এবং মাটি উর্বর হওয়া সত্ত্বেও প্রথম দিকে এটি প্রায় জনশূন্য ছিল এবং সেখানতেমন কোন প্রকারের উল্লেখযোগ্য কাজ পরিলক্ষিত হত না। যখন ইমাম হোসাইন কারবালায় পৌঁছে ছিলেন এবং ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের সেনাবাহিনী তাদের ঘিরে রেখেছিল, তিনি এই জায়গাটির নাম অনুসন্ধান করেন। কেউ কেউ এটিকে আকর-যার অর্থ অনুর্বর বলে উত্তর দেন। তারপর ইমাম হোসাইন বললেন, আমরা আল্লাহর কাছে আল আকরকেই আশ্রয় হিসেবে প্রার্থনা করেছিলাম। তিনি আবারো গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করলেন। এরপর তাদের মধ্যে উপস্থিত এক অনুচারী বলল, এই গ্রামের নাম কারবালা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Shimoni & Levine, 1974, p. 160.
- ↑ Aghaie, 2004, pp. 10-11.
- ↑ Interactive Maps: Sunni & Shia: The Worlds of Islam ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, PBS, accessed 9 June 2007.
- ↑ al Musawi, 2006, p. 51.
- ↑ Litvak, 1998, p. 16.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬।