আলাপ:ল্যেভ তল্‌স্তোয়

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শিরোনাম প্রসঙ্গ[সম্পাদনা]

আসসালামু আলাইকুম! বিদেশী ব্যক্তিদের শিরোনাম কি প্রচলিত বানানেই হওয়া উচিৎ নয়? বাংলায় প্রথম বর্ণে য-ফলার সাথে এ-কারের উদাহরণ খুব কম। আর য-ফলা এখানে কি বিশেষত্ব সৃষ্টি করছে? আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ১০:২৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
দ্র: লেভ তলস্তয়ের কোন অনুদিত বইয়েই এই বানানের ব্যবহার নেই। কিছু ওয়েবসাইট এর প্রসার চেষ্টা করলেও তা নিতান্তই অখ্যাত সাইট অথবা ব্লগসাইটের ব্যক্তিগত ব্লগার।

প্রথমত, এই ব্যক্তির সবচেয়ে প্রচলিত নামের বানান হল লিও টলস্টয়, অর্থাৎ পুরোপুরি ইংরেজি অনুসারে। কিন্তু তিনি ইংরেজ বা ইংরেজি ভাষী কেউ নন। ফলে তা শুধু ইংরেজদের সুবিধার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। ইংরেজি নিবন্ধে দেখুন লেখা রয়েছে, "usually referred to in English as Leo Tolstoy"। বাঙালি অনুবাদকগণ মূল রুশ ভাষার সাহিত্য থেকে অনুবাদ না করে ইংরেজি ভাষার অনুবাদ থেকে অনুবাদ করে থাকেন। ফলে ইংরেজিতে Leo Tolstoy ব্যবহারের কারণে লিও টলস্টয় বানানটিই তার গ্রহণ করেছেন এবং এটাই এই বানান প্রচলিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
দ্বিতীয়ত, উইকিপিডিয়ার নীতিমালা অনুসারে ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রে প্রচলিত নাম, অর্থাৎ জন্মনাম ভিন্ন অন্য নাম, যেমন ছদ্মনাম, পরিবর্তিত নাম ইত্যাদি গ্রহণের ব্যাপারে জোড় দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই সাহিত্যিকের মূল রচনায় (অর্থাৎ রুশ ভাষার রচনায়) তার নাম Л. Н. Толстой (এল. এন. তল্‌স্তোয়) দেখা যাচ্ছে। তার কয়েকটি সাহিত্যকর্মের মূল বইয়ের প্রচ্ছদ রুশ ভাষার এই নিবন্ধগুলোতে পাবেন - যুদ্ধ ও শান্তি, আন্না কারেনিনা, শৈশব, যৌবন
নিবন্ধের ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে এই নিবন্ধের মূল প্রণেতা লিও তলস্তয় নামে নিবন্ধটি শুরু করেছিলেন, পরে অর্ণব ভাই তা পরিবর্তন করে, বর্তমান নাম, অর্থাৎ ল্যেভ তল্‌স্তোয় করেছেন। এই নামটি আসলে কোন নীতিমালাই পূরণ করছে না। না ইংরেজির মত, না রুশ ভাষার মত। কারণ ইংরেজির মত করতে গেলে নামটি 'লিও টলস্টয়' করতে হবে, না হয় রুশ ভাষার মত 'এল. এন. তল্‌স্তোয়' বা 'লিয়েফ নিকলায়েভিচ তল্‌স্তোয়' করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মূল রুশ ভাষার সরাসরি বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ ও পূর্ণ নাম অর্থাৎ লিয়েফ নিকলায়েভিচ তল্‌স্তোয়-এর পক্ষে মত দিচ্ছি। ধন্যবাদ। -- ওয়াকিম (আলাপ) ১১:২৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Wakim32 এবং আ হ ম সাকিব: "ল্যেভ তল্‌স্তোয়" রুশ প্রতিবর্ণীকরণের নীতিমালা (যদিও নীতিমালাটি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হয়নি) অনুসরণ করেই দেওয়া হয়েছে। তল্‌স্তোয় অংশটি মোটামুটি সম্পূর্ণ রুশ উচ্চারণের মতোই লেখা। এটা নিয়ে খুব বেশি বিতর্কের অবকাশ নেই। এখন "ল্যেভ" অংশটি নিয়ে বলি। রুশ নামের বা নামের কোনও সিলেবলের শেষে যদি রুশ বর্ণ В থাকে, সেটির উচ্চারণ ইংরেজি v-এর মত না হয়ে ইংরেজি f-এর মত হয়। কিন্তু সিলেবলের শুরুতে রুশ В থাকলে সেটা ইংরেজি v-এর মত হয়। এখন প্রশ্ন হল আমরা এই সুক্ষ্ম পার্থক্যটা কি প্রতিবর্ণীকরণে রাখব না কি রাখব না। যদি f উচ্চারণটা দেখাতে চাই, তাহলে "ফ" দিয়ে দেখাতে হবে। তাহলে কারপফ, কাসপারফ, গর্বাচফ, রাখমানিনফ, এভাবে সব নিবন্ধ লিখতে হবে। কিন্তু এগুলি বাংলা পত্রপত্রিকায় বহু দশক যাবত "ভ" দিয়েই লেখা হয়। এই ব্যাপারটা বিবেচনা করে আমি সিলেবলের শুরুতে বা শেষে যেখানেই রুশ В বর্ণ থাকুক না কেন, সেটিকে "ভ" দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণ করার আপাতত পক্ষপাতী। অর্থাৎ শব্দের শুরুতে ভ্লাদিমির, ভাসিলিচ, ইত্যাদি, আর শব্দের/সিলেবলের শেষে কারপভ, গর্বাচভ, ইত্যাদি। একই ভাবে "ল্যেভ" বা "লিয়েভ" লিখলেই সব দিক রক্ষা পায়।

আরেকটি প্রসঙ্গ হল "ল্যেভ"-এ য-ফলা + এ-কারের ব্যবহার। বাংলায় বিদেশী নামের প্রতিবর্ণীকরণের ব্যাপারে য-ফলার ব্যবহার মোটামুটি প্রচলিত। যেমন ফরাসি প্রতিবর্ণীকরণে "ল্য" (le), "দ্য" (de) ইত্যাদি প্রায় সব ফরাসি অনুবাদ সাহিত্যেই ব্যবহার করা হয়। য-ফলা সঠিক উচ্চারণ নির্দেশনার ব্যাপারে সহায়ক হতে পারে। যেমন এক্ষেত্রে "ল্যেভ" লেখা হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য যে এটা "লে" পড়া যাবে না, "ল"-র পরে খুব দ্রুত হ্রস্ব দৈর্ঘ্যের স্বরধ্বনি "ইয়ে" যোগ করে "লিয়ে"-র মত করে পড়তে হবে, আবার দীর্ঘ করে "লিয়ে" বললেও জিনিসটা একেবারে শুদ্ধ নয়। সুতরাং য-ফলা এ-কার দিয়ে ঐ হ্রস্ব "ইয়ে" জাতীয় স্বরধ্বনিটাকে নির্দেশ করা হচ্ছে, যা মোটামুটি যথার্থ। কিন্তু এখন কথা হল, য-ফলার এই সুক্ষ্ম ব্যবহারটা কতজন পাঠক ধরতে পারবেন ও সঠিক করে পড়তে পারবেন। সেদিক চিন্তা করলে "ল্যেভ"-এর বদলে "লিয়েভ" লিখলেই পড়তে সহজ-ও হবে, আবার মূল উচ্চারণের মোটামুটি কাছাকাছিও যাওয়া যাবে। এটা একটা ভাল কম্প্রোমাইজ হবে।

যেটা করা আমার মতে উচিত নয়, তা হল উপরের সুক্ষ্ম ব্যাপারগুলি সম্পূর্ণ উপেক্ষা হাতের কাছে প্রচলিত যা আছে, যা সহজ সরল লাগে, তাই লাগিয়ে দেওয়া। এটা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অত্যন্ত অলস একটা কাজ হবে, যে কাজে ধ্বনিতাত্ত্বিক যুক্তি, উচ্চারণের যথার্থতা, এসব ব্যাপারের কোন মূল্যই নেই।

সুতরাং শেষ পর্যন্ত আমি "লিয়েভ তল্‌স্তোয়" এই প্রতিবর্ণীকরণটার পক্ষে আপাতত সমর্থন দিচ্ছি। এটা কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। রুশ প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে আলোচনা অবশ্যই শেষ হয়নি। আরও অনেক বাকী আছে। কিন্তু সবাই মিলে আলোচনা করাই ভাল। তবে আলোচনাটা যুক্তিভিত্তিক, বুদ্ধিবৃত্তিক হওয়াটা দরকার। সুক্ষ্ম ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:২৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: ভাই, এই নীতিমালার কোন উৎস? নাকি শুধু ঠিকঠাক উচ্চারণের যৌক্তিকতা?

১. বাংলা ভাষায় প্রচলিত বানানে অথবা যেকোন ভাষায় প্রচলিত বানানের বিপরীতে যাওয়া সাহিত্য বা বানানরীতির নিয়মবিরুদ্ধ।

যেকোন আকরগ্রন্থ বা রেফারেন্স গ্রন্থেরই সম্পাদকমণ্ডলী থাকে, যেখানে তারা বিদেশী শব্দের বানানের ব্যাপারে নীতি ঠিক করেন। এ ব্যাপারে কোনও সার্বজনীন অলংঘনীয় নীতিমালা নেই। উইকিপিডিয়াতে বিদেশী নামের প্রতিবর্ণীকরণের রীতি কী হবে, সেটা উইকিপিডিয়ার বাংলাভাষী সম্পাদকেরাই আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন। এ ব্যাপারে তাদের সম্পাদকীয় স্বাধীনতা আছে। বিদেশী নামের বানানের ব্যাপারে অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। বিদেশী উচ্চারণের যতদূর সম্ভব কাছাকাছি যাওয়া, ইতিমধ্যে বিদ্যমান সাহিত্যে বা পাঠ্যবস্তুতে প্রচলিত বানান, বানানের সরলতা, ইত্যাদি। এগুলির সবগুলিকেই সবসময় প্রাধান্য দেওয়া হবে না। ক্ষেত্রভেদে একেকটিকে প্রাধান্য দিতে হতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

২. লেভ তলস্তয়ের সব অনুদিত বইয়ে অনুবাদকরা লেভ তলস্তয় বানানই ব্যবহার করেছেন।

আপনি এই লেখকের বাংলায় অনূদিত সব বই পড়েছেন? আমার তো মনে হয় বিভিন্ন বানান আছে। আপনি এরকম ঢালাও করে কী করে বলতে পারেন?--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

অর্থাৎ, পাঠক (যেহেতু তিনি সাহিত্যিক ছাড়া অন্য কোন কারণে প্রসিদ্ধ নন) এই বানানেই তাকে অনুসন্ধান করবে।

প্রথমত এই লেখকের নাম এক বানানেই সর্বত্র লেখা হয়, সেটার ব্যাপারেই সন্দেহ আছে। আর পাঠক অনুসন্ধান যেকোন বানানেই করতেই পারে। হয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠক লেভ তলস্তয় দিয়ে করতেও পারে। কিন্তু বাংলা উইকিতে বিদেশী নামের বানানের নিজস্ব প্রতিবর্ণীকরণ নীতিও থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে প্রচলিত বিভিন্ন বানানের জন্য পুনর্নির্দেশ থাকতে পারে। আর মূল উইকি ভুক্তিটি উইকির নিজস্ব প্রতিবর্ণীকরণ নীতি অনুযায়ী লেখা হবে। যদি "লেভ তলস্তোয়" দিয়ে কেউ অনুসন্ধান করে, তাহলে উইকিতে ঐ নামে পুনর্নির্দেশ পাতায় এসে পৌঁছাবে এবং সেখান থেকে "লিয়েভ তল্‌স্তোয়" নামের পাতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে। কারিগরিভাবে কোনই সমস্যা নেই। আর তাছাড়া "লেভ তলস্তয়" বানানটিও টীকাতে প্রচলিত বানান হিসেবে উল্লেখ থাকতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

৩. কিছু বিদেশপড়ুয়া ব্যক্তি লিও টলস্টয়-এর যেই ব্যবহার শুরুর চেষ্টা করেছেন, তা একেবারে অপ্রতুল।

*

তাহলে আপনি স্বীকার করছেন যে সব অনূদিত বইতে লেভ তলস্তয় লেখা হয় না। ন্যূনতম দুইটি বানান পাওয়া গেছে। আমি নিশ্চিত যে আরও ঘাঁটলে আরও বানান বের হবে।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

যদি তার ভাষার হুবহু অনুসরণই করতে চান, তাহলে-
- মসজিদ কি মাসজিদ হয়ে যাবে?

কোনও ক্ষেত্রে হবে, কোনও ক্ষেত্রে হবে না। কেননা "মসজিদ" বিশেষ কোন ব্যক্তি বা বস্তুর নাম না, একটি সাধারণ বিশেষ্য হিসেবে বাংলাতে প্রবেশ করেছে। এই উদাহরণ এই আলোচনায় প্রযোজ্য নয়। তবে বিশেষ কোনও মসজিদের নাম, যা খোদ আরবে অবস্থিত, যেমন "আল-মাসজিদ আন-নাবউই" শিরোনাম হতেই পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- ইয়েমেন কি ইয়ামান হয়ে যাবে?

না। কারণ সবসময় হুবহু অনুসরণ করাটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আর তাছাড়া ইয়েমেন দেশের নাম হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রচলিত। কখনও কখনও প্রচলনকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে ইয়েমেন নিবন্ধের শুরুতেই "ইয়েমেন"-এর পাশাপাশি "আল-ইয়ামান" মূল নাম হিসেবে উল্লেখ থাকতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- আবু বকর কি আবু বাকার হয়ে যাবে?

না। কারণ বাংলায় আবু বকর প্রায় ১০০% প্রচলিত। এক্ষেত্রেও প্রচলনকেই প্রাধান্য দিতে হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- লিওনেল মেসি কি লিয়্নেল মেসসি হয়ে যাবে?

"লিওনেল মেস্সি‌" হলে খুবই ভাল হত। কিন্তু প্রচলিত "লিওনেল মেসি" বেশ কাছাকাছি। তাই আপাতত ঠিকই আছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- বারাক ওবামা কি ব্যারাক ওবামা হয়ে যাবে?

না। কেননা ওবামার নামের মূল উচ্চারণে "ব্যা" উচ্চারণ হয় না। প্রচলিত "বারাক" বানানটি মোটামুটি ভাল প্রতিবর্ণীকরণ। এক্ষেত্রেও প্রচলিত বানানকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- জেরুজালেম কি জিরুসালিম হয়ে যাবে?

"জেরুসালেম" প্রচলিত বানান, জেরুজালেম নয়। আর হিব্রুতে তো জিরুসালিম লেখা হয় না; ইয়েরুশালাইম জাতীয় কিছু উচ্চারণ করা হয়। এখানেও বহুল প্রচলিত জেরুসালেম রাখাই উচিত।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- চেচনিয়া কি শিশান হয়ে যাবে?

শিশান তো রুশ বা চেচনীয় কোনও ভাষাতেই উচ্চারণ করা হয় না। রুশ ভাষা, যা চেচনিয়ার প্রধান সরকারী ভাষা, সেটাতে মোটামুটি "চেচনিয়া"-ই উচ্চারণ করা হয়। তাই চেচনিয়া-ই ঠিক আছে।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- আমেরিকা কি এমেরিকা হয়ে যাবে?

অবশ্যই না। ইংরেজিতে তো এমেরিকা উচ্চারণ করা হয় না। ম্যারিকা-র মত শোনায় (শুরুর a প্রায় শোনাই যায় না)। এক্ষেত্রেও কূটনৈতিকভাবে প্রচলিত আমেরিকাই লেখা শ্রেয়।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

- জর্ডান কি আরদান হয়ে যাবে?

না, আরদান বলে কিছু আছে নাকি জানি না। আল-উর্দুন আছে। কিন্দু জর্দান বা জর্ডানই লেখা হবে, কেননা তা কূটনৈতিক অঙ্গনের সর্বত্র প্রচলিত বানান।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
    • আরো হাজারো উদাহরণ আছে। সুতরাং, আমাদের প্রচলিত বানানরীতির এতোটা বিরুদ্ধে যাওয়া উচিৎ নয় যে, কেউ অশুদ্ধ মনে করে ফেলবে।

ধন্যবাদ! আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ০৯:৫৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


আপনার উপরের বেশ কিছু উদাহরণ অত্যন্ত আগ্রহজনক সন্দেহ নেই। এগুলি প্রচলিত বানানকে প্রাধান্য দেওয়ার যুক্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু তার পরেও উচ্চারণের যথার্থতাকে সম্মান করে প্রতিবর্ণীকরণের ব্যাপারটা রয়েই যায়। আপনি জোর করে বানিয়ে "রীতিবিরুদ্ধ" / "অশুদ্ধ" বলে এটাকে বাদ দিতে পারবেন না। উচ্চারণের যথার্থতা, বানানের সরলতা, প্রচলিত বানান, এই সব সুক্ষ্ম ব্যাপারগুলিকে একসাথে মাথায় রেখেই আগাতে হবে। ব্যাপারটা সাদাকালো নয়, বেশ জটিল ও সুক্ষ্ম সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার মতে একটি অনলাইন রেফারেন্স গ্রন্থের সচেতন সম্পাদকমণ্ডলী হিসেবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এটিই সবচেয়ে সৎ পথ। তাছাড়া সর্বব্যাপী ইন্টারনেটের যুগে এ ব্যাপারগুলি নিয়ে আমাদেরকে আরও বেশি সুক্ষ্ম মনোযোগ দিতে হবে। কেন না বহু মানুষ তথ্যের জন্য ভবিষ্যতে উইকির উপরেই নির্ভর করবে।
আপনি বিভিন্ন ভাষার নামের উদাহরণ দিয়েছেন। উইকির সম্পাদক সম্প্রদায় হিসেবে আমাদেরকে উচ্চারণের যথার্থতা, বানানের সরলতা, প্রচলিত বানান, এই সবগুলিকে মাথায় একেকটি ভাষার প্রতিবর্ণীবর্ণকরণের পৃথক পৃথক নীতি করলে ভাল হয়। এবং সেগুলির কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এগুলি একেবারে পাথরে খোদাই করা অলঙ্ঘনীয় নিয়ম হবে না, নির্দেশনামূলক নীতি হবে, যার অনেক ব্যতিক্রম থাকতে পারে। যেমন- লন্ডন লেখা হবে, লান্‌ড্‌ন্‌ নয়। কিন্তু কোন্‌গুলি ব্যতিক্রম হবে, কোন্‌গুলিতে বিদেশী উচ্চারণকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, কীভাবে বানানের সরলতা রক্ষা করা হবে, এ ব্যাপারে ঐ প্রতিবর্ণীকরণ নীতিমালায় ব্যাপক, সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। এর পরেও অনেক বিতর্ক হতে পারে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট আলাপ পাতায় কেস বাই কেস আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। এভাবে ব্যাপারটা অনেক হুঁশিয়ারির সাথে, যত্নের সাথে ডিল করতে হবে। তারপর ঐকমত্যে আসতে হবে। কিন্তু উইকির নিজস্ব সম্পাদকীয় স্বর/নীতি থাকবে। এটাই আমার মতে আমাদের কর্মপন্থা হওয়া উচিত। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


আরেকটা ব্যাপার যোগ করছি, উইকিপিডিয়ার সব ভাষাতেই একটা নিয়ম আছে প্রসিদ্ধ শিরোনামে পাতা তৈরি করা হয়। এবং সূচনার মধ্যে মূলতঃ কী উচ্চারণ হবে সেটা ল্যাটিন উচ্চারণসহ দেওয়া হয়। এমনকি ওজিজি মিডিয়া ফাইলও যোগের উদাহরণ রয়েছে।
বাংলা উইকিপিডিয়ায় কি এই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে? অনেকে জেরুজালেমকে জেরুসালেম লিখছেন অথবা এরূপ আরো কিছুর নজীর দেখলাম। এটা কোন নীতিমালার ভিত্তিতে? আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ১০:১৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
উইকির সব ভাষার নিয়ম কী আছে, সেটা আপনি কী করে জানলেন? আপনার খুব সম্ভবত ইংরেজি উইকির নিয়মের কথা বলছেন, যেটা বাংলা উইকিতে শতভাগ অনুসরণ করার কোনই বাধ্যকতা নেই। দ্বিতীয়ত ল্যাটিন উচ্চারণ দেওয়া হয় না, আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় উচ্চারণ দেওয়া থাকে। ওজিজি ফাইল থাকলে দুই ধরনের অডিও থাকতে পারে। এক হল মূল ভাষাতে উচ্চারণ, আরেকটি হল ইংরেজি ভাষায় উচ্চারণ। আমরা অবশ্যই মূল উচ্চারণটিকে প্রাধান্য দেব। প্রথমত, ইংরেজি ভাষাতে জেরুজালেম উচ্চারণ করা হয় (ইংরেজি ধ্বনিতত্ত্বের নিয়মে দুই স্বরধ্বনির মাঝখানের s-কে z-এর মতো উচ্চারণ করা হয়; অর্থাৎ Jeruzalem-এর মত উচ্চারণ করা হয়)। কিন্তু সেটা মূল হিব্রু উচ্চারণ নয়। সুতরাং সেটা আমাদের ধর্তব্যের মধ্যেই পড়বে না (ঠিক যেভাবে "লিও টলস্টয়" ইংরেজি উচ্চারণভিত্তিক বানান)। আর দ্বিতীয়ত, বাংলাতে বহু যুগ ধরে জেরুসালেম-ই বানান হিসেবে প্রচলিত। তাই জেরুসালেমকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:২১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
জেরুসালেম বাংলা ভাষায় অধিক প্রসিদ্ধ? কি বলেন ভাই! কিভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন, সূত্রটা দিবেন?
@Zaheen: ভাই! আপনি যেটা বলছেন, মূল উচ্চারণকে ঠিক রাখা। এটা কিভাবে সম্ভব? অনেক বর্ণ বাংলায় যার প্রতিধ্বনি নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে কী করবেন?
যেমন- ইংরেজী K আর Q তে বাংলায় 'ক' ই উভয়ের প্রতিধ্বনি। অথচ ইংরেজরা এতে পার্থক্য করে থাকে। (আরবী ধরণের ভাষায় তো অভাব নেই এমন বর্ণের।আরবী- ك-ق، ت-ط، ح-ه প্রভৃতি বর্ণ)
তাই উচিৎ হবে, অধিক প্রচলিত বানান গ্রহণ করা।
আর লিউ টলস্টয়ের ব্যাপারটা হল, দৈনিক সংগ্রামে একটা নিবন্ধ দেখেছিলাম আর সামহোয়্যার ইন ব্লগে বোধহয় দেখেছিলাম এই দুই-একটাই। অনুবাদে কদাচিৎ লিও/লিয়েফ তলস্তয়ের ব্যবহার দেখেছি। লিও টলস্টয় নয়।
আর অনুদিত গ্রন্থের প্রথম পাতায় চোখ বুলানো সহজ। আমার সৌভাগ্য, রকমারি ডট কমের সৌজন্যতায় আমি সবগুলোই দেখেছি। ৭০ ভাগ বইয়েই লেভ তলস্তয় বানান। বাকি সবাই তলস্তয় ঠিক রেখেছে লেভ/লিয়েফ/লিও ব্যবহার করেছে।

কাল সারারাত ঘুম হয়নি। এখন ঘুম পাচ্ছে। তাই লেখায় ভাষাগত প্রচুর ভুল পাবেন। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমাকে জবাব দিলে অনুগ্রহ করে কমপক্ষে একবার {{Ping}} ব্যবহার করবেন।
আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ১২:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@আ হ ম সাকিব: মূল উচ্চারণকে হুবহু ঠিক রাখা প্রধান উদ্দেশ্য নয়, এখানে অনেকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করছে, মূল বিদেশী উচ্চারণ, বানানের সরলতা, প্রচলিত বানান, ইত্যাদি। আসল নীতিটা হচ্ছে মূল বিদেশী ভাষার উচ্চারণের যত কাছাকাছি থাকা যায়, ততটুক্য কাছাকাছি থেকে বাংলা বর্ণ (বাংলা বর্ণের ধ্বনিগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে) দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণ করা। এরপরেও কথা থাকে। এভাবে প্রতিবর্ণীকরণ করার পর যদি দেখা যায় যে বাংলা বানান দেখতে খানিকটা বিদ্ঘুটে হয়ে গেছে, যেমন য-ফলার আধিক্য (ল্যেভ নাকি লিয়েভ), সঠিক উচ্চারণনির্দেশক হস্‌চিহ্নের ব্যবহার (তল্‌স্‌তোয় নাকি তল্‌স্তোয়?), দুইয়ের অধিক যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ (মিস্ট্রি নাকি মিস্‌ট্রি), একই বর্ণ কিন্তু দুই রকম ধ্বনি (লিয়েভ নাকি লিয়েফ?), ইত্যাদি, তাহলে সেটিকে সরলতর বানান করে লিখতে হবে। এরপরেও কথা থাকে। যদি বাংলা সাহিত্যে বা গণমাধ্যমে অত্যন্ত প্রচলিত কোনও বানান থেকে থাকে, তাহলে ঐ প্রচলিত বানানটিকেই এক ধরনের "ব্যতিক্রম" হিসেবে রেখে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া শ্রেয়। যেমনটি এখানে হচ্ছে। হয়ত আসলেই "লেভ তলস্তয়" বেশ প্রচলিত একটি বানান (আপনার দেওয়া পরিসংখ্যান যদি ঠিক হয়)। কিন্তু উচ্চারণকে প্রাধান্য দিয়ে "লিয়েভ তল্‌স্তোয়" লিখলে একই সাথে সঠিক উচ্চারণের খুব কাছে যাওয়া যায়, আবার সরল বাংলা বানানেও প্রতিবর্ণীকরণ সমাধা হয়। এক্ষেত্রে উইকির সম্পাদকদের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন্‌টা রাখা উচিত।
প্রতিবর্ণীকরণ করার ব্যাপারে আপনার আরেকটি আশঙ্কার কোন কারণই নেই। বাংলা বর্ণ দিয়ে বেশির ভাগ বিদেশী ধ্বনিই মোটামুটি সঠিকভাবে লেখা সম্ভব। আর এ ব্যাপারে উপরে উল্লিখিত নীতি অনুসরণকারী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলে প্রতিবর্ণীকরণ প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়। সৌভাগ্যবশত ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে অনেক নির্দেশনা ও সাহায্যকারী পাতা তৈরী হয়েই আছে। এবং এগুলি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উইকিতে সহায়িকা হিসেবে আছে। আপনি হয়ত ওয়াকিবহাল নন। যেসব উইকিপিডিয়ান ভাষা, ধ্বনি এগুলি নিয়ে চর্চা করেন, তারা এগুলি জানেন। বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা পড়তে পারেন, যা দিয়ে যেকোনও ভাষার যেকোন ধ্বনি নির্দেশ করা যায়। বাংলা প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে তাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৭:৪৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
অর্ণব ভাইয়ের ভাষ্য অনুসরণ করে, অর্থাৎ "মূল বিদেশী উচ্চারণ, বানানের সরলতা, প্রচলিত বানান" অনুযায়ী যদি আমরা নামটি লিখতে চাই, তাহলেও ল্যেভ এর চেয়ে লিয়েফ সঠিক উচ্চারণ, বানানটিও সরল। এমনকি কিছু অংশে প্রচলিতও। প্রচলিত বলছি এইজন্য যে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন এমন একজন হলেন হায়াৎ মামুদ, তিনি এই লেখকের ফাদার সিয়ের্গি বইয়ের অনুবাদে লেখকের নামের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে নামটি "লিয়েফ্‌ তল্‌স্তোয়" লিখেছেন। তবে এতে লিয়েফ-এর ফ এর নিচে একটি হসন্ত ব্যবহার করেছেন উচ্চারণটি মূল বিদেশী ভাষার উচ্চারণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আবার আ হ ম সাকিব ভাই রকমারি ডট কমের একটি লিংক দিয়ে বলছেন "লেভ তলস্তয়" বানানটিই প্রচলিত, তার হয়ত একই ওয়েবসাইটের এই লিংকটি চোখ পড়ে নি। এখানে সবগুলো বইতেই লেখকের নাম "লিয়েফ্‌ তল্‌স্তোয়" রয়েছে।
@Wakim32: আমি আগেও দেখেছি। কিন্তু এখানে মাত্র দুইটি বই। বাকী বইগুলো ধারাবাহিক আকারে লিখার পর "গল্প সমগ্রে" আনা হয়েছে। আমি বলেছি, অধিক প্রচলিত কোনটি, সেটি ব্যবহার করতে। এছাড়া কিছুই নয়। আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ০৩:৪১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
আর শুরুতেই আমার প্রস্তাব ছিল নামটি রুশ ভাষা নিবন্ধের মত পূর্ণ নামে (লিয়েফ নিকলায়েভিচ তল্‌স্তোয়, হায়াৎ মামুদকে অনুসরণ করলে ও আরও সঠিকতর করলে লিয়েফ্‌ নিকলায়েভিচ তল্‌স্তোয়) দেওয়া। আমরা পূর্বেও কিছু অপ্রচলিত ও আংশিক প্রচলিত পূর্ণ নামে নিবন্ধের শিরোনাম দিয়েছি, যেমন - এইচ জি ওয়েলসের পরিবর্তে হারবার্ট জর্জ ওয়েলস; ভি এস নাইপলের পরিবর্তে বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল; জে. এম. কুতসির পরিবর্তে জন ম্যাক্সওয়েল কুতসি (নাকি কুৎজি!!), জে. এম. জি. ল্য ক্লেজিওর পরিবর্তে জঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও, আরও কিছু রয়েছে এখন ঠিক মনে পড়ছে না। পূর্ণ নামে শিরোনাম দেওয়া হলে, অর্ধেক ইংরেজি ও অর্ধেক রুশ - এই বিতর্কও থাকবে না। -- ওয়াকিম (আলাপ) ২১:১৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Zaheen: ভাই, আপনার যুক্তি হল আমাদের লোকালিটিতে যেটা প্রচলিত সেটা না করে উৎসের প্রচলনকে গ্রহণ করতে।
সেটা স্পষ্ট হয়, আপনি আমাদের দেশে প্রচলিত মসজিদে নববী রেখে আল মাসজিদ আন নাবউই ব্যবহারের পরামর্শ দেয়ায়। এছাড়াও উপরে আপনার এই প্রবণতার স্পষ্টতা রয়েছে। আপনার কাছে প্রশ্ন, বাংলা উইকিপিডিয়া বাঙ্গালী ব্যবহার করবে নাকি যাদের বা যেসবের নামে লেখা হচ্ছে তারা ব্যবহার করবে?
প্রশ্নটা @NahidSultan, আফতাবুজ্জামান, এবং Moheen: সহ সকল প্রশাসকের নিকটও যে, আমরা কোনটা প্রাধান্য দিব? এলাকায় প্রচলিতটা নাকি উৎসে ব্যবহৃতটা? আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ০৩:৪১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
প্রিয় সাকিব, আমি যতবার বলছি, বিদেশী নামের প্রতিবর্ণীকরণের ব্যাপারটা সুক্ষ্ম, জটিল, আলোচনাসাপেক্ষ, অনেক দিক চিন্তাভাবনা করে, সাবধানে, মোটামুটি কিছু সাধারণ নীতি বানিয়ে তারপরেও ব্যতিক্রম হলে কেস বাই কেস ধরে এগুলি করা উচিত, ততবারই আপনি অতিরিক্ত সরল করে ব্যাপারটা উপস্থাপন করছেন। আপনি প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে ভাষাতাত্ত্বিক, ধ্বনিতাত্ত্বিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্ত যুক্তি উপেক্ষা করছেন। আপনার আশঙ্কা অমূলক। সবকিছু বিবেচনা করে উইকিপিডিয়াতে উইকির নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি-নির্দেশনা মেনে গৃহীত বানান যদি প্রচলিত বানানের সাথে শতভাগ না মিলে, তাহলে বাংলা উইকিপিডিয়া হঠাৎ করে "দেশদ্রোহী" বা "অবাঙালি" হয়ে যাব না। আর মাঠেঘাটে প্রচলিত প্রতিবর্ণীকরণেও অনেক নৈরাজ্য আছে। উইকির কাজ হবে এই নৈরাজ্যকে উৎসাহিত করা নয়। উইকির নিজস্ব প্রতিবর্ণীকরণ নীতি থাকবে, পদ্ধতি থাকবে, সে অনুযায়ীই উইকি আগাবে। সেটাই আমার মতে শ্রেষ্ঠ পন্থা।
আর মসজিদে নববী-র প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে আমি চূড়ান্তভাবে কোনও মতামতই দেইনি। আপনার অনেকগুলি উদাহরণের প্রেক্ষিতে সাময়িক উত্তর দিয়েছিলাম। ঐ নির্দিষ্ট প্রতিবর্ণীকরণের আলোচনা এই পাতাতে এত সাধারণভাবে হবে না। আর সঠিক আরবির কাছাকাছি বানানের উদাহরণ তো হাতের কাছেই আছে। যেমন এখন "কোরান" লেখা হয় না, বরং সঠিক আরবি উচ্চারণের কাছাকাছি "আল কুরআন" লেখা হয়। যারা আল কুরআন লেখেন তারা কি আপনার যুক্তি অনুসারে "অশুদ্ধ" বানান লিখেছেন বা "অবাঙালি" হয়ে গেছেন? তাহলে ব্যাপারটা নিশ্চয়ই এতটা সাদা-কালো নয়। এগুলি সুক্ষ্ম ব্যাপার। এ ব্যাপারটাই আমি বারবার আপনাকে লক্ষ করতে বলছি। আপনি এই আলোচনার মাঝখানে রাজনীতি নিয়ে আসলে, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে যারা দ্বিমত পোষণ করছে, পরোক্ষভাবে তাদের বাঙালিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তাদেরকে স্থানীয় বাঙালি সম্প্রদায় বিরোধী বললে আলোচনাটা নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার সদিচ্ছামূলক আলোচনা করার ক্ষমতার উপর আমার আস্থা উঠে যেতে পারে। আমি জানি আপনি সেটা করছেন না। হয়ত আপনি আশঙ্কা থেকে কথাগুলি বলছেন। কিন্তু এরকম করলে তো সুন্দর করে আলোচনা আর করা যাবে না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৪৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@আ হ ম সাকিব: আমার আলোচনার উদ্দেশ্য হল যেহেতু এই নামটির একাধিক বানানভেদ (লেভ, ল্যেভ, লিয়েফ, লিয়েফ্‌, আবার অর্ণব ভাইয়ের প্রস্তাবিত লিয়েভ এবং তলস্তয়, তলস্তোয়, তল্‌স্তোয়, টলস্টয়) রয়েছে, এবং কোনটিই সার্বজনীনভাবে গৃহীত ও অলংঘনীয় নয়, সেহেতু সবচেয়ে শুদ্ধ এবং প্রতিবর্ণীকরণের নীতিমালা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য বানানটিই আমাদের নেওয়া শ্রেয়। এতে পরবর্তীতে আর কোন বিতর্কের সম্মুখীন হতে হবে না। ধন্যবাদ। -- ওয়াকিম (আলাপ) ০৯:১৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Wakim32: লিয়েফ নিয়ে আমার তেমন কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তাহলে উপরে যেভাবে বলেছি, গর্বাচফ, কার্পফ, কাসপারফ, এভাবে না লিখলে সামগ্রিকভাবে রুশ নামের প্রতিবর্ণীকরণ সামঞ্জস্যহীন, এলোমেলো হয়ে পড়বে। সেজন্যই হায়াৎ মামুদের করা প্রতিবর্ণীকরণটি সবচেয়ে কাছাকাছি হলেও সিলেবলের শেষেও "ভ" লেখার ব্যাপারে আমি প্রস্তাব করেছি। এই ঝামেলাটা শুধু রুশ ভাষাতে নয়, অন্যান্য ভাষাতেও আছে। যেমন জার্মান ভাষাতে মোৎসার্টের নামের সবচেয়ে শুদ্ধ প্রতিবর্ণীকরণ হয় "ভোল্‌ফ্‌গাংক্‌" (Wolfgang)। কিন্তু এখানে হস্‌চিহ্নের অত্যাধিক্য তো আছেই, তার সাথে g বর্ণের দুই ধরনের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে। প্রথম g টা "গ" দিয়ে, আর শব্দের শেষের g টা "ক" দিয়ে। কিন্তু এটা আমার মতে সরলীকরণ করে "ভোল্‌ফগাং" লিখলে বাংলাভাষী পাঠকের হয়ত পড়তে সুবিধা হবে।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১২:১৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Zaheen এবং Wakim32: আমার রুঢ় ভাষার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার মনে হয়, উইকিপিডিয়া:বিদেশী শব্দের শিরোনাম নীতিমালা নামে প্রকল্প পাতা খুলে তার আলোচনাপাতায় নীতিমালা প্রসঙ্গে কথা বলা যায়। সেখানকার সিদ্ধান্ত পাতায় যোগ করে দিলেই হল। সবচেয়ে ভাল হয়, কোন ভাষাবিদ বা ব্যকরণবিদের বইয়ের সাহায্য নিলে।
আমি এভাবেই ধাক্কা দিয়ে কথা বলে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। নিজের বদভ্যাসের জন্য আবারও ক্ষমা চাইছি। ধন্যবাদ! আ হ ম সাকিব (আলাপ · অবদান · ইমেইল) ০৯:৩৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@আ হ ম সাকিব: আমি তেমন কিছু মনে করিনি। আপনি যে পাতার কথা বলছেন, সেটা এক এক যুগ আগেই তৈরি করা হয়েছে: উইকিপিডিয়া:বিদেশী শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ। দেখে নিন। তখন রকমারি ডট কমও ছিল না। :)--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১২:১৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ল্যেভ তল্‌স্তোয় > লিও টলস্টয় শিরোনাম[সম্পাদনা]

উপরে দেখছি শিরোনামটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অনেকে মিলেই হয়তো @Zaheen ভাইকে বুঝাতে পারেনি। যাইহোক উইকিপিডিয়া ভাষা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়নি, কোন শব্দ কোন ভাষার বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেটাও উইকিপিডিয়া নির্ধারন করবেনা। সেটা করবে প্রতিষ্ঠান। আমাদের সেটা নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। নিবন্ধের শিরোনাম নির্ধারন হবে আঞ্চলিক প্রচলন অনুসারে, যদি একজন ব্যক্তির নাম একেক অঞ্চলে একেক নাম অনুসারে প্রচলিত থাকে। তাহলে নীতিমালা অনুসারে একেক উইকিপিডিয়ায় একেক নাম থাকবে।

উইকিপিডিয়ার নীতিমালা অনুসারে বাংলা উইকিপিডিয়া ইংরেজি ভাষাকে ফলো করবেনা, আরবি ভাষাকে ফলো করবেনা, উর্দু বা ফার্সি বা ফরাসি ভাষাকে ফলো করবেনা। বাংলা উইকিপিডিয়া ফলো করবে এই অঞ্চলের প্রচলন ও বাংলা ভাষায় লিখিত প্রামাণিক দলিলপত্র (পত্র-পত্রিকা, বই পুস্তক)। যদি এগুলো ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখা যায় ক্ষেত্র বিশেষে ইংরেজি, ক্ষেত্র বিষয়ে আরবি ভাষার প্রভাব রয়েছে। তাহলে অবস্থা অনুসারে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে।

যাইহোক, আমি ল্যেভ তল্‌স্তোয় থেকে লিও টলস্টয় শিরোনামের প্রস্তাব করছি। এবং উইকি সম্প্রদায়কে আঞ্চলিক প্রচলনের ব্যপারে নীতিমালা গ্রহণ ও ঐক্যমত হবার আহবান করছি। @আফতাবুজ্জামান, @Zaheen, @MS Sakib, @Al Riaz Uddin Ripon, @Yahya, @MdsShakil, @Factcheckerhuman, @Mehediabedin আপনারা মতামত জানাতে পারেন। Deloar Akram (আলাপঅবদানলগ) ০৯:৩০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

সমর্থন[সম্পাদনা]

বিরোধিতা[সম্পাদনা]

  • বাংলা ভাষায় আলোচ্য রুশ সাহিত্যিক নিয়ে হায়াৎ মামুদ একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। হায়াৎ মামুদ বাংলা ভাষাতে রুশ সাহিত্যের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ। তার বইগুলিতে তিনি লিয়েফ তলস্তোয় ব্যবহার করেছেন, যা আসল রুশ উচ্চারণের খুব কাছাকাছি, কেননা রুশ ভাষায় e আসলে ইয়ে এবং শব্দের শেষের vটা, f তথা ফ-য়ের মতো উচ্চারিত হয়। এছাড়া অন্য একাধিক লেখকের লেভ তলস্তোয় প্রতিবর্ণীকরণও হয়েছে। বাংলা ভাষাতে রুশ T, ত দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়। আমরা ভ্লাডিমির পুটিন লিখিনা, বরং ভ্লাদিমির পুতিন লিখি। সুতরাং বাংলা রচনাতে সঠিক রুশ উচ্চারণের কাছাকাছি তলস্তোয় তো বটেই, লিয়েফ, লেভ, ইত্যাদি নামগুলিও ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলি মোটামুটি মানসম্মত। আমি হসন্ত ও য-ফলা বাদ দিয়ে লিয়েভ তলস্তোয়, লেভ তলস্তোয় বা লিয়েফ তলস্তোয় - এই যেকোনও একটিতে স্থানান্তর করার পক্ষে সুপারিশ করছি। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৩:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
  • "লিও টলস্টয়" নামে স্থানান্তরে  বিরোধিতা: মূল প্রস্তাবে বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দ গ্রহণ করার কথা বলে "লিও টলস্টয়" নামে স্থানান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু লিও টলস্টয় ছাড়া বাকি (অধিক শুদ্ধ) বানানগুলো মোটেও বাংলায় মোটেও অপ্রচলিত নয়। এই লেখক সম্পর্কে আমি জানতে পারি অষ্টম শ্রেণিতে আনন্দপাঠ বইয়ে। বইটির সূচিপত্রে একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, এখানে লেখকের নাম হিসেবে লেখা লেভ তলস্তয়। আমার মতো এই প্রজন্মের বহু মানুষই হয়তো এই গল্পের মাধ্যমেই উক্ত লেখকের সম্পর্কে জানতে পেরেছে। ফলে এই নামটি মোটেও অপ্রচলিত হওয়ার কোনোও সুযোগ নেই। উপরে আপনি লিখেছেন, "বাংলা উইকিপিডিয়া ফলো করবে এই অঞ্চলের প্রচলন ও বাংলা ভাষায় লিখিত প্রামাণিক দলিলপত্র (পত্র-পত্রিকা, বই পুস্তক)।" (ফলো না লিখে "অনুসরণ" লিখলে ভালো হতো; এটা নিশ্চয় অপ্রচলিত নয়।) তো আপনার যুক্তি অনুসারেই আমি প্রস্তাবিত নামে স্থানান্তরে বিরোধিতা করছি। রকমারিতে তলস্তয়, লেভ, তলস্তোয় লিখে অনুসন্ধান করে দেখুন, অন্যান্য বানানও বেশ প্রচলিত। পাশাপাশি ভাষাবিদ হায়াৎ মামুদের লেখা দুটি বইও দেখতে পারেন। তাছাড়া গুগলে অনুসন্ধান করলেই শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে লিও টলস্টয় ছাড়া অন্যান্য বানান ব্যবহারের উদাহরণ পাবেন অসংখ্য।
    মূল নামের সবচেয়ে কাছাকাছি বানান হচ্ছে "লিয়েফ তল্‌স্তোয়"। তবে হসন্তের ঝামেলা বাদ দিয়ে লিয়েফ তলস্তোয় বানানের পক্ষে মত দিচ্ছি। তবে অধিক প্রচলিত হওয়ায় লিয়েভ তলস্তোয়, লেভ তলস্তোয়, লেভ তলস্তয় বানানেও কোনও আপত্তি নেই। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৬:১৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

@Zaheen:, 'লিও টলস্টয়' এই নাম প্রচলিত, বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে কখনো 'ল্যেভ তল্‌স্তোয়' এরকম লিখতে দেখিনি; যাই হোক এ নিয়ে আফতাব ভাই-এর মতামত নেওয়া উচিৎ। আর অর্ণব ভাই, 'পর্নোগ্রাফি' শব্দটি কি বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়ে গেছে না? 'অশ্লীল যৌনচিত্রণ' এরকম বাংলা একাডেমীর অভিধানে লিখা আছে (একাডেমী শব্দটাও বাংলা নয়) কিন্তু তাও পর্নোগ্রাফি শব্দটি কি বাংলা ভাষায় চালু হয়ে যায়নি? এরকম আরেকটি শব্দ হলো প্যান্টিনীরব শ (আলাপ) ০৩:৩৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আপনি কিন্তু সিস্টেম নিয়ে খেলছেন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৩:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]