সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম | |
---|---|
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৩ আগস্ট ২০০৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১২ ডিসেম্বর ১৯৫৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
জীবিকা | বিচারক |
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১][২]
জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]
জিয়াউল করিম ১৯৫৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি রসায়নে স্নাতক, আইনে স্নাতক, স্নাতকোওর ও পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
জিয়াউল করিম ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালতে আইনী অনুশীলন শুরু করেন।[৩]
১৯৮৮ সালের ১৮ এপ্রিল জিয়াউল করিম হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[৩] ১৯৯৬ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে আপিল বিভাগে যোগদান করেন।[৩]
জিয়াউল করিম ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন, পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট স্থায়ী বিচারক হন।[৩]
জিয়াউল করিম ও বিচারপতি এএনএম বশিরুল্লাহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের সময় ভাঙচুরের মামলায় ২১ জুন ২০১১ তারিখে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি সহ দলটির ১৩ জন নেতাকর্মীকে জামিন দেন।[৪]
২০১৪ সালের ২৪ জুলাই, জিয়াউল করিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানার মালিক বজলুস সামাদ আদনানের জামিনের শুনানিতে একটি বিভক্ত রায় দেন[৫] জিয়াউল করিম অভিযুক্তদের জামিনের পক্ষে ও আশীষ রঞ্জন দাস জামিনের বিরোধিতা করেন।[৫]
জিয়াউল করিম ও শেখ মোঃ জাকির হোসেন ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চার রাজনীতিবিদ আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমানুল্লাহ আমান, এম কে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলামকে ৫৬টি মামলায় জামিন দেন।[৬]
২০১৭ সালের ৫ জুন, জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০০৩ সালে এমভি নাসরিন-১ ডুবে মারা যাওয়া ১০০ জনের পরিবারকে ১৭.১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন।[৭] আগস্ট মাসে, তাকে বরিশাল জেলা, ভোলা জেলা ও ঝালকাঠি জেলার জেলা আদালত পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।[৮]
২০২২ সালের ২৩ মার্চ, জিয়াউল করিম ও বিচারপতি সরদার মোঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর কবিরুল ইসলাম বড়োশার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেন। কবিরুল ইসলাম বড়োশা জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে এবং তার ভাইকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন, তিনি মামলায় জামিন পাওয়ার পর পালিয়ে ছিলেন।[৯] জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার একই বছরের ২০ এপ্রিল একদিনে ২৪৪টি মামলার শুনানি করেন।[১০][১১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ BSS, Dhaka (২০২১-০২-২৭)। "9 High Court benches to conduct physical courts from tomorrow"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ "11 High Court benches formed to hear death reference cases | News"। BSS। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ "Law and Our Rights"। www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ ক খ Staff Correspondent (২০১৪-০৭-২৪)। "HC bench splits over bail for factory owner"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ "High Court grants anticipatory bails to four BNP leaders in 56 cases"। Dhaka Tribune। ২০১৫-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ Report, Star Online (২০১৭-০৬-০৫)। "Give Tk 17.11cr to 2003 launch capsize victims, HC to govt"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ sun, daily। "High Court judges start visiting courts in 31 districts | Daily Sun"। daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ Report, Star Digital (২০২২-০৩-২৩)। "HC confirms death for ex-JP lawmaker's son for killing brother"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ Express, The Financial। "HC bench passes order on 1501 cases in a single day"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।
- ↑ Staff Correspondent। "HC upholds death penalty of Kabirul Bharasha over brother's murder"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৩।