আমানউল্লাহ আমান
আমান উল্লাহ আমান | |
---|---|
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ১৯৯৬ | |
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ অক্টোবর ২০০১ – ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
ঢাকা-৩ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ২৮ অক্টোবর ২০০৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা | ২৫ জানুয়ারি ১৯৬২
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
আমান উল্লাহ আমান একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
আমান ১৯৬২ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম মেঘু মিয়া ও মাতার নাম করিমন নেসা।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে আমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি বিএনপির ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমান নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন।[২] এছাড়া ১৯৯০-৯১ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সর্বশেষ নির্বাচনে ছাত্রদলে নেতা হিসেবে তিনি সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।[৩][৪]
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমান উল্লাহ আমান বিএনপির মনোনয়নে ঢাকা-৩ আসন থেকে নির্বাচন করে ৯৭,২৯৯ লাভ করেন ও তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে পরাজিত করে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৫][৬] ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একদলীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়[৭] ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে ১,২৪,০৯৬ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের শাহজাহানকে পরাজিত করেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৬][৮] ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদকে পরাজিত করে ১,৬৯,৯৮০ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হন।[৬][৯][১০]
১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার গঠন করলে আমান প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।[৩] ২০০১ পুনরায় তার দল সরকার গঠন করার পর তাকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় যা তিনি ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পালন করেন।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ কল্লোল, কাদির (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "জাতীয় কমিটির সভা: কোন পথে যাবে বিএনপি"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "বিএনপির ভরসা আমান তৎপর আরও পাঁচজন"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ নির্ঝর, উম্মে হাবিবা ও তারেক হাসান; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "ডাকসু নির্বাচন সবাই চায়, তবুও হচ্ছে না"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ "ঢাকা-৩"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "দেখে নিন পূর্ববর্তী ফলাফল"। বিবিসি বাংলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।