বিষয়বস্তুতে চলুন

এম কে আনোয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২২ মে ২০০৩ – ২৮ অক্টোবর ২০০৬
প্রধানমন্ত্রীখালেদা জিয়া
পূর্বসূরীমতিউর রহমান নিজামী
উত্তরসূরীসি এম শফি সামি (উপদেষ্টা)
৭ম মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ১৯৯০ – ১০ জানুয়ারি ১৯৯১
পূর্বসূরীমুজিবুল হক
উত্তরসূরীমোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১ জানুয়ারি ১৯৩৩
হোমনা, কুমিল্লা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৪ অক্টোবর ২০১৭(2017-10-24) (বয়স ৮৪)
ঢাকা, বাংলাদেশ
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
আত্মীয়স্বজনআব্দুল লতিফ বিশ্বাস (শ্বশুর)
মন্ত্রীসভাখালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা
ধর্মইসলাম

মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার (১ জানুয়ারি ১৯৩৩ – ১৪ অক্টোবর ২০১৭)[] বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক উচ্চ-পদস্থ সরকারি আমলা। তিনি সংক্ষেপে এম. কে. আনোয়ার' নামে পরিচিত এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ-পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে জড়িয়ে তিনি পরবর্তীতে ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[]

শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

লেটার মার্কসহ ১৯৪৮ সালে মেট্রিকুলেশন, আই.এস.সি, ঢাকা কলেজ ১৯৫০ সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এস.সি (সম্মান) এবং পরিসংখ্যাণে এম.এস.সি।

পেশাগত জীবন

[সম্পাদনা]

[] ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। তার ৩৪ বছরের পেশাগত জীবনে (১৯৫৬-১৯৯০) তিনি ফরিদপুরঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জুটমিল কর্পোরেশনের সমিতি, টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ৭ম মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি প্রশাসনে বিভিন্ন উচ্চপদে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন সি.এস.পি কর্মকর্তা। তিনি তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমার এসডিও (সাব ডিভিশনাল অফিসার) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ঝিনাইদহ সরকারি কে.সি কলেজ কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এম.কে আনোয়ার ১৯৭১ সালে ঢাকার জেলা প্রশাসক ছিলেন। তার পেশাগত জীবনের এক সময় পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেঘারীর অধীনে চাকরি করেছেন।

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

যখন ঢাকা কলেজে পড়তেন তখন ছাত্র সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ফজলুল হক হলের ছাত্র থাকা অবস্থায় এম.কে আনোয়ার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।

এম.কে আনোয়ার বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে। ১৯৯৭ সালে তিনি দলের একজন অন্যতম সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের মার্চে, এম.কে আনোয়ার বেগম খালেদা জিয়ার বি.এন.পি সরকারের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ছিলেন।

তিনি বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি পুনরায় বিএনপি’র ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি সরকারের সময়ে দু’বার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

পরিবার

[সম্পাদনা]

এম.কে আনোয়ার বিবাহ করেছেন ১৯৫৬ সালে এবং তার দুই পুত্র, এক কন্যা আছে। মানিকগঞ্জের আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কন্যা তার স্ত্রী মাহমুদা আনোয়ার একজন গৃহিনী। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পাকিস্তান আমলে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রি ছিলেন এবং তিনি শেরে বাংলা ফজলুল হকের অনুসারী ছিলেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

তিনি ২৪ অক্টোবর ২০১৭ তে ৮৪ বয়সে এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাড়িতে মারা যান।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী:
মোহাম্মদ কেরামত আলী
বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী
২০ মার্চ ১৯৯১ – ২৯ জুলাই ১৯৯১
১৩ আগস্ট ১৯৯৩ – ১৮ অক্টোবর ১৯৯৫
উত্তরসূরী:
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bideshe, Deshe। "এম.কে আনোয়ার -Deshebideshe"www.deshebideshe.com। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  2. এম কে আনোয়ার বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী
  3. "এম কে আনোয়ারের জানাজা সম্পন্ন"প্রথম আলো। ২৪ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮