বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রধান পাতায় "এ মাসের নির্বাচিত নিবন্ধ" বা "এ মাসের ভাল নিবন্ধ" নামে একটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এই অনুচ্ছেদে উইকিপিডিয়ার নির্বাচিত বা ভাল নিবন্ধগুলো প্রদর্শন করা হয়, অবশ্যই একসাথে নয়। প্রতি মাসে একটি করে নির্বাচিত বা ভাল নিবন্ধ এই পাতায় স্থান পায়। এ বছরের নির্বাচিত নিবন্ধের মধ্যে যেগুলো প্রধান পাতায় আসার জন্য অপেক্ষা করছে সেগুলোর তালিকা এখানে পাওয়া যাবে। প্রধান পাতায় কখন কোন নিবন্ধ আসবে তা উইকিপিডিয়ার প্রশাসকবৃন্দ নির্ধারণ করেন। আর এ বিষয়ে আলোচনা হয় প্রশাসকদের আলোচনাসভায়।
আপনি নতুন কোন নির্বাচিত নিবন্ধকে প্রধান পাতায় স্থান দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন বা অন্য নিবন্ধের এ ধরণের অনুরোধ এবং মনোনয়ন বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন। এজন আপনাকে যেতে হবে এখানে।
প্রধান পাতায় আসার জন্য একটি নিবন্ধকে প্রথমে অবশ্যই উইকিপিডিয়ার নির্বাচিত বা ভাল নিবন্ধ হতে হবে। উইকিপিডিয়ার নির্বাচিত নিবন্ধের মনোনয়ন দেয়ার জন্য উইকিপিডিয়া:প্রস্তাবিত নির্বাচিত নিবন্ধ পৃষ্টাটি ব্যবহার করা হয়। নির্বাচিত নিবন্ধ হওয়ার পাশাপাশি এতে এমন বড় একটি ভূমিকাও থাকতে হবে যা প্রধান পাতায় দেয়ার মত।
ভাষাবিজ্ঞান (ইংরেজি ভাষায়: Linguistics) বলতে একটি সংশ্রয় (system) হিসেবে ভাষার প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়। যাঁরা এই গবেষণায় রত, তাঁদেরকে বলা হয় ভাষাবিজ্ঞানী।
ভাষাবিজ্ঞানীরা নৈর্ব্যক্তিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষাকে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করেন; ভাষার সঠিক ব্যবহারের কঠোর বিধিবিধান প্রণয়নে তাঁরা আগ্রহী নন। তাঁরা বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে এদের সাধারণ উপাদানগুলো বের করার চেষ্টা করেন এবং এগুলিকে এমন একটি তাত্ত্বিক কাঠামোয় দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন, যে কাঠামো সমস্ত ভাষার বিবরণ দিতে এবং ভাষাতে কোন্ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারেও ভবিষ্যৎবাণী করতে সক্ষম। ভাষা নিয়ে গবেষণা একটি অতি প্রাচীন শাস্ত্র হলেও কেবল ১৯শ শতকে এসেই এটি বিজ্ঞানভিত্তিক "ভাষাবিজ্ঞান" নামের শাস্ত্রের রূপ নেয়। ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক দিক ও ব্যবহারিক দিক দুই-ই বিদ্যমান। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার ধ্বনিসম্ভার (ধ্বনিতত্ত্ব ও ধ্বনিবিজ্ঞান), ব্যাকরণ (বাক্যতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব) এবং শব্দার্থ (অর্থবিজ্ঞান) নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানে অনুবাদ, ভাষা শিক্ষণ, বাক-রোগ নির্ণয় ও বাক-চিকিৎসা, ইত্যাদি আলোচিত হয়। এছাড়া ভাষাবিজ্ঞান জ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে মিলে সমাজভাষাবিজ্ঞান, মনোভাষাবিজ্ঞান, গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)