রায়ান অস্টিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রায়ান অস্টিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরায়ান অ্যান্থনি অস্টিন
জন্ম (1981-11-15) ১৫ নভেম্বর ১৯৮১ (বয়স ৪২)
অ্যারিমা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭৪)
৯ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টেস্ট১৭ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০–০৭বার্বাডোস
২০০৮–বর্তমানকম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৮
রানের সংখ্যা ৩৯ ৬৯১
ব্যাটিং গড় ৯.৭৫ ১১.৩২
১০০/৫০ ০/০ ০/১ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৯ ৫৬* ৫*
বল করেছে ৩২৬ ৯,৮৯১ ১১৪
উইকেট ১৮২
বোলিং গড় ৫১.৬৬ ২৫.৩৫ ২০.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৯ ৭/৪২ ২/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ২০/– ১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ অক্টোবর ২০২০

রায়ান অ্যান্থনি অস্টিন (ইংরেজি: Ryan Austin; জন্ম: ১৫ নভেম্বর, ১৯৮১) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর অ্যারিমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস, কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রায়ান অস্টিন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রায়ান অস্টিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৮-০৯ মৌসুমের ঘরোয়া আসরে বেশ সফল ছিলেন। ২৪.০৬ গড়ে ৬০ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।

নিচেরসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি অফ স্পিন বোলার রায়ান অস্টিন ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। এছাড়াও, ২০০৩-০৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি-এর পক্ষে পাঁচটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১] ২০০১-০২ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত বুস্টা কাপের ঐ খেলায় বার্বাডোসের প্রতিপক্ষ উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের কাছে তার দল পরাজিত হয়েছিল।[২] চারবার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট লাভ করেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে ক্রাব হিলে অনুষ্ঠিত ক্যারিব বিয়ার কাপের খেলায় লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬/৮৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা সাফল্য ছিল। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রায়ান অস্টিন। সবগুলো টেস্টই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৭ জুলাই, ২০০৯ তারিখে সেন্ট জর্জেসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় রায়ান অস্টিনের। দূর্বলমানের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলেন তিনি। ঐ দলের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়জন খেলোয়াড়েরই একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে। সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্টিনসহ সাতজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড় প্রথম অংশ নেন। তন্মধ্যে, দলনায়ক ফ্লয়েড রেইফারই দশ বছর পূর্বে চার টেস্ট খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আর্থিক সংঘাতের কারণে প্রথম একাদশ খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে।[৪]

ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে নিয়ে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়। দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ৫১.৬৬ গড়ে মাত্র তিন উইকেট লাভে সমর্থ হয়েছিলেন। ব্যাট হাতে নিয়ে কিছুটা দৃঢ়তা দেখাতে সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু, আটকিয়ে খেলার মনোভাব ও প্রতিপক্ষের আক্রমণে তার স্থিরতা সাময়িক সময়ের জন্যে ছিল। এরপর, ওডিআই সিরিজে তাকে রাখা হয়নি এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি উপেক্ষিত থাকেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "First-Class Matches Played by Ryan Austin"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২৩ 
  2. "Barbados v Windward Islands, Busta Cup, 2001-02"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২৪ 
  3. "Barbados v Leeward Islands, Carib Beer Cup, 2006-07"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২৪ 
  4. Cricinfo staff (৮ জুলাই ২০০৯)। "West Indies name replacement squad"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১০ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]