রঘুরাম ভাট
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এদাই রঘুরাম ভাট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৮ পুত্তুর, মহীশূর, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, আম্পায়ার, প্রশাসক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৫) | ৫ অক্টোবর ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ অক্টোবর ১৯৮৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ আগস্ট ২০২০ |
এদাই রঘুরাম ভাট (কন্নড়: ರಘುರಾಮ್ ಭಟ್; জন্ম: ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৮) মহীশূর রাজ্যের পুত্তুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, আম্পায়ার, প্রশাসক ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শুরুরদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রঘুরাম ভাট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]বিদ্যালয় ও কিশোর পর্যায়ের ক্রিকেটে দূর্দান্ত আধিপত্যবাদ গড়ে তুলেছিলেন রঘুরাম ভাট। কয়েকটি খেলায় ভালোমানে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ রঞ্জী ট্রফিতে খেলার সুযোগ লাভ করেন।
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত রঘুরাম ভাটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে এম. চীন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে কর্ণাটকের সদস্যরূপে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[১] বেশ ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ঐ খেলায় তিনি কেবলমাত্র একটি উইকেটের সন্ধান পান। এর পরপরই সফলতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। দেবাঙ্গেরেতে নিজস্ব ষষ্ঠ খেলায় কেরালার বিপক্ষে নয় উইকেট লাভ করেন।[২] পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলায় নয় উইকেট নিয়ে কর্ণাটক দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান।
স্বর্ণালী মুহূর্ত
[সম্পাদনা]১৯৮১-৮২ মৌসুমে বোম্বের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে কর্ণাটকের বিজয়ে অবিস্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের কারণে তিনি মূলতঃ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শক্তিধর বোম্বের বিপক্ষে সুনীল গাভাস্কার টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ে নামেন।
গুলাম পার্কারকে সাথে নিয়ে গাভাস্কার উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান তুলেন। ৪১ রানে গাভাস্কারকে আউট করেন। দিলীপ বেঙ্গসরকারকে ৮ রানে বিদেয় করেন। পার্কার ও সন্দ্বীপ পাতিলের মধ্যকার ১০১ রানে জুটিতে পার্কারকে এলবিডব্লিউ, অশোক মানকড়কে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের স্লিপ কট ও সুরু নায়ককে আউট করে হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। ঐ ইনিংসে তিনি ৮/১২৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। বোম্বে দল ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়।[৩] এম. সুধাকর রাওয়ের সেঞ্চুরি ও ব্রিজেশ প্যাটেলের ৭৮ রানের কল্যাণে কর্ণাটক দল এগিয়ে যায়। নিচেরসারিতে সৈয়দ কিরমানী ও রঘুরাম বাটের ব্যাটিংয়ের ফলে কর্ণাটক ৪৭০ রান তুলে।[৪]
দ্বিতীয় ইনিংসে বেঙ্গসরকারকে আউট করেন ও সুরু নায়কের ফিরতি ক্যাচে বোম্বে দলের সংগ্রহ ১০৭/২ হয়। বি. বিজয়কৃষ্ণার সহায়তায় বোম্বের মাঝারিসারিতে ফাটল ধরলে ১৬০/৬ হয়। সুনীল গাভাস্কার ৮ নম্বরে নামেন ও ৬০ মিনিটের অধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করে দলের সংগ্রহকে ২০০/৯ নিয়ে যান। তবে, প্রথম ইনিংসে বড় ধরনের সংগ্রহ করায় কর্ণাটক ফাইনালে যায়। খেলায় রঘুরাম বাট ১৩ উইকেট দখল করেন।[৫]
চূড়ান্ত খেলায় প্রথম ইনিংসে ৭০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করালেও দিল্লি দলের কাছে পরাজিত হয় কর্ণাটক দল।[৬] পরের মৌসুমে রঘুরাম বাট বেশ সুন্দর খেলেন। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে বোম্বে দলকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয় করে। চূড়ান্ত খেলায় ৪ উইকেট পান।[৭] ঐ বছরে তিনি ইরানি ট্রফিতে খেলেন। খেলায় তিনি ৭ উইকেট পান।[৮] অনিন্দ্যসুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে ঐ মৌসুমে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলার জন্যে মনোনীত হয়।
কেবলমাত্র উপযোগী পিচের মধ্যেই তার বোলিংয়ের সফলতা বিদ্যমান ছিল। অনুকূল পরিবেশে বলকে বেশ বাঁক খাওয়াতে পারতেন ও প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট নাজেহাল করতে পারতেন। তবে, সকল ধরনের পরিবেশেই বলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক নিশানায় বলকে ফেলতেন। রঞ্জী ট্রফিতে সব মিলিয়ে ৩৪৩ উইকেট পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রঘুরাম ভাট। ৫ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে নাগপুরে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২১ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে কানপুরে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে রঘুরাম ভাটকে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন কেবলমাত্র পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উপর্যুপরী দুই টেস্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম টেস্টে অংশ নেন তিনি। জাভেদ মিয়াঁদাদকে আউট করে প্রথম টেস্ট সাফল্য পান। এরপর, মুদাসসর নজরের উইকেটও করায়ত্ত্ব করেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হবার পাশাপাশি সিরিজও ড্র হয়।[৯] কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ক্লাইভ লয়েড ও গাস লোগি’র উইকেট পান তিনি। তবে, ঐ টেস্টটিতে স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৮৩ রানে পরাভূত হয়।[১০] এরপর আর তাকে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি।
অবসর
[সম্পাদনা]কর্ণাটক দলের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন রঘুরাম ভাট। কর্ণাটকের বোলিং আক্রমণকার্য পরিচালনায় বি. বিজয়কৃষ্ণাকে সাথে নিয়ে অগ্রসর হতেন। রঞ্জী ট্রফিতে সব মিলিয়ে ৩৪৩ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনাল পূর্ববর্তী খেলা শেষে অবসর নেন।[১১]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর তরুণ সুনীল জোশীকে কর্ণাটক দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। আম্পায়ার, প্রশাসক ও কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জুলাই, ২০১১ সালে গোয়া ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[১২]
কানাড়া চলচ্চিত্র গণেশনা মাদুভেতে বামহাতে ব্যাটিংরত অবস্থায় সুনীল গাভাস্কার ও রঘুরাম ভাটের মধ্যকার ঘটনা ধারণ করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Scorecard of Karnataka vs Tamil Nadu
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Kerala
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Bombay
- ↑ 'Sunny was middling the ball, no edges, no tension'
- ↑ When Sunny batted left handed
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Delhi
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Bombay
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Rest of India
- ↑ Scorecard of India vs Pakistan
- ↑ Scorecard of India vs West Indies
- ↑ Scorecard of Karnataka vs Madhya Pradesh
- ↑ Raghuram Bhat appointed Coach of Goa
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- অরবিন্দ আপ্তে
- লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণান
- ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রঘুরাম ভাট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রঘুরাম ভাট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)