কার্ল বাফিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কার্ল বাফিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকার্ল এডউইন বাফিন
জন্ম১৯ আগস্ট, ১৯৭৩
ব্লেনিম, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১০)
২৫ মার্চ ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই৩১ মে ১৯৯৯ বনাম স্কটল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২২ ৫৩
রানের সংখ্যা ৩৩৮ ৩২২
ব্যাটিং গড় ৯.০০ ১৩.০০ ১৪.৬৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৭* ৪৭ ৫৯*
বল করেছে ১০২ ৩,১২১ ২,৪০৭
উইকেট - ৫০ ৬৬
বোলিং গড় - ৩২.৫২ ২৭.৫১
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৫/৫৩ ৩/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৫/০ ১০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

কার্ল এডউইন বাফিন (ইংরেজি: Carl Bulfin; জন্ম: ১৯ আগস্ট, ১৯৭৩) ব্লেনিম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন কার্ল বাফিন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত কার্ল বাফিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া একদিনের খেলাসহ ক্রিকেট ম্যাক্স প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী খেলার পর নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান। ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের কারণে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এক সময় দল নির্বাচকমণ্ডলী দেশের দ্রুততম বোলার হিসেবে বিবেচনায় এনেছিলেন। ১৯৯৬ সালে নবপ্রবর্তিত সুপার ম্যাক্স ক্রিকেটে দূরন্ত খেলেন। পরবর্তী তিন বছর দলের এক নম্বর খেলোয়াড় ছিলেন। এরপর তিনি সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ছেড়ে ওয়েলিংটনের দিকে পা বাড়ান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন কার্ল বাফিন। কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি তার। ২৫ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে নেপিয়ারে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ মে, ১৯৯৯ তারিখে এডিনবরায় স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের শুরুতে সাইমন ডৌলের অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ তিনটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। কিন্তু, পেস বোলিং ও সঠিক জায়গায় বল ফেলার ন্যায় নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে ব্যর্থ হন। ১১ ওভারে ৭৮ রান দেন।

তাসত্ত্বেও নির্বাচকমণ্ডলী বিশ্বকাপের জন্যে তাকে রাখেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঘোষিত ১৯ সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় তাকে ঠাঁই দেয়া হয়। এরপর, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের খেলায় অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নেন।

অবসর[সম্পাদনা]

কিন্তু আঘাতের কারণে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অঙ্গনে আর দেখা যায়নি। দুই মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর কারণে খেলার জগৎ থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। ২০০০ সালে ক্রমাগত আঘাতের কারণে জোরপূর্বক খেলার জগৎ থেকে বিদেয় নিতে হয়। এরপর তিনি গৃহ রংমিস্ত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়াও, ব্লেনিম এলাকায় তরুণ বোলারদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Players / New Zealand / ODI caps"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. "New Zealand ODI Batting Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "New Zealand ODI Bowling Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]