ইয়ান কলকুহন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়ান কলকুহন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামইয়ান আলেকজান্ডার কলকুহন
জন্ম(১৯২৪-০৭-০৮)৮ জুলাই ১৯২৪
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫(2005-02-25) (বয়স ৮০)
পারাপারাউমু বীচ, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬৮)
১১ মার্চ ১৯৫৫ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৫ মার্চ ১৯৫৫ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫৭
রানের সংখ্যা ৭৬৮
ব্যাটিং গড় ০.৫০ ১৪.৭৬
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১* ৪৪*
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/- ১০৮/২৮
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ জুলাই, ২০১৯

ইয়ান আলেকজান্ডার কলকুহন, কিউএসএম (ইংরেজি: Ian Colquhoun; জন্ম: ৮ জুন, ১৯২৪ - মৃত্যু: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিলেন ইয়ান কলকুহন

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

গ্ল্যাডিস ও ক্যাম্পবেল আলেকজান্ডার কলকুহন দম্পতির সন্তান ছিলেন ইয়ান কলকুহন।[৩] রঙ্গোতাই কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর ওয়েলিংটন টিচার্স কলেজ ও ডুনেডিন টিচার্স কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।[৩]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত ইয়ান কলকুহনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এগারো মৌসুম সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের সাথে যুক্ত থাকেন। প্রায়শঃই দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারের বল রক্ষাকল্পে স্ট্যাম্পের পিছনে দণ্ডায়মান থাকতেন।

বেশ বয়স নিয়ে ২৯ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন ইয়ান কলকুহন। উইকেট-রক্ষণে বিশ্বস্তভাবে দায়িত্ব পালনসহ নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপনায় তৎপরতা দেখান। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথম খেলেন। এক বছর পর নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান কলকুহন। ১১ মার্চ, ১৯৫৫ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৫ মার্চ, ১৯৫৫ তারিখে অকল্যান্ডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে লেন হাটনের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ জয় করে নিউজিল্যান্ড গমন করে। দুই টেস্টের উভয়টিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। বেশ সহজেই অতিথি দলটি সিরিজ জয় করে। তন্মধ্যে, অকল্যান্ডের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল প্রথম ইনিংসে ২০০ রান তুললেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে যায়। এটিই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংসরূপে অদ্যাবধি বিবেচিত হয়ে আসছে। কলকুহনও দ্বিতীয় খেলায় নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। উভয় ইনিংসে বব এপলইয়ার্ডের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়ে ‘কিং পেয়ার’ লাভ করেন। একই সময়ে অ্যালেক্স মইরও কোন রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ও হ্যাট্রিক রক্ষা করেন।

টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও বেশ ঘটনাবহুল ছিল। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ডুনেডিনে টেস্ট অভিষেক সম্পন্ন হবার পূর্বে স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, ইংল্যান্ড অধিনায়ক লেন হাটনকে চারবার ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন। বাস্তবিকভাবে উভয় ইনিংসেই স্বল্প সময়ে তার ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে, খেলায় তার দল আট উইকেটে পরাজিত হয়েছিল।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে ইয়ান কলকুহন তার উইকেট-রক্ষণ কর্ম চালিয়ে যান। এরপর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর টেস্ট দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। এছাড়াও, ১৯৫২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মানাওয়াতু’র সদস্যরূপে হক কাপে অংশ নিয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পালমারস্টন নর্থ বয়েজ হাই স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় ৩৬ বছর কর্মরত ছিলেন ও অল ব্ল্যাকসদেরকে রাগবি খেলায় অনুশীলন করাতেন। জনসেবায় অনবদ্য ভূমিকা রাখার প্রেক্ষিতে কুইন্স সার্ভিস পদকে ভূষিত হন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন ইয়ান কলকুহন। ১৯৪৯ সালে বেটি এলেন পেটলি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন।[৩] ৮ জুন, ১৯২৪ তারিখে ৮০ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের পারাপারাউমু বীচ এলাকায় ইয়ান কলকুহনের দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা দেখছিলেন। তার শবানুষ্ঠানে সহস্রাধিক লোকের অংশগ্রহণ ছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of New Zealand Test Cricketers
  2. "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯ 
  3. Taylor, Alister; Coddington, Deborah (১৯৯৪)। Honoured by the Queen – New Zealand। Auckland: New Zealand Who's Who Aotearoa। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 0-908578-34-2 
  4. "নং. 49970"দ্যা লন্ডন গেজেট (২য় সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৪। 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]