বিষয়বস্তুতে চলুন

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাননীয়
র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীশরীফ আহমেদ (প্রতিমন্ত্রী)
উত্তরসূরীআদিলুর রহমান খান (উপদেষ্টা)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০১১ – ৬ আগস্ট ২০২৪
সংখ্যাগরিষ্ঠবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1955-03-01) ১ মার্চ ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তান১ মেয়ে
পেশারাজনীতি
জীবিকাপরামর্শক

র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৫৫) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[] তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[] ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[]

তিনি নবম জাতীয় সংসদে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন।

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

এক ভাই এক বোনের মধ্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পিতা-মাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ তৎকালীন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[][] তার পিতার নাম মোঃ আব্দুর রউফ চৌধুরী এবং মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী।[] তাছাড়া তিনি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভগ্নিপতি।

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

মোকতাদির চৌধুরী প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন চিনাইর ও নারায়ণগঞ্জে। এরপর মাদ্রাসা-ই-আলীয়া ঢাকা থেকে ফাজিল পাস করার পর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রথম সাধারণ সম্পাদক।[]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মুজিব বাহিনীর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং  ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

১৯৭৫ সনে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলে তিনি দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্রআন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।

১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সনের অক্টোবরে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ২ বছর কারাবরণ করেন এবং ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান।

১৯৮৩ সনের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার একান্ত-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সনে খালেদা জিয়া কর্তৃক একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অফিসারদের নিয়ে গঠিত জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।[]

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুইবার সদস্য মনোনীত হন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ২০১৯ সালের ২৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মনোনীত হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  2. "হবিগঞ্জে বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগ জয়ী"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ জানুয়ারি ২০১১। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. বাংলাদেশ গেজেট: অতিরিক্ত সংখ্যা (পিডিএফ)ঢাকা: নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ। ৮ জানুয়ারি ২০১৪। পৃষ্ঠা ২২৬। ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  4. জনকণ্ঠ, দৈনিক। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬ 
  5. "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা - জনপ্রতিনিধি : র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী"www.brahmanbaria.gov.bdমন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Constituency 245_10th_Bn"www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  7. "এমপি মোকতাদির চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি"jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  8. বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রতিদান পেলেন মোকতাদির, হচ্ছেন মন্ত্রী, কালের কণ্ঠ, ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  9. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হলেন মোকতাদির চৌধুরী | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]