কালিম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কালিম
Common Mormon
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: সন্ধিপদী
শ্রেণী: পতঙ্গ
বর্গ: লেপিডোপ্টেরা
পরিবার: Papilionidae
গণ: Papilio
প্রজাতি: P. polytes
দ্বিপদী নাম
Papilio polytes
Linnaeus, 1758
Subspecies

many, see text

কালিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Papilio polytes(Linnaeus)) এক প্রজাতির বড় আকারের প্রজাপতি।[১] এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং সমগ্র এশিয়া মহাদেশ জুড়েই এর বিস্তার।

উপপ্রজাতি[সম্পাদনা]

স্ত্রী কালিম এর রোমুলাস দশা

কালিমের উপপ্রজাতিগুলি হল[২] ঃ-

  • P. p. alcindor Oberthür, 1879 – Buton, Salayer & Sulawesi
  • P. p. alphenor Cramer, [1776] – Philippines
  • P. p. javanus Felder, 1862 – Bali, Bangka, Biliton, Java & southern Sumatra
  • P. p. ledebouria Eschscholtz, 1821 – Philippines
  • P. p. liujidongi Huang, 2003 – Yunnan
  • P. p. mandane Rothschild, 1895 – western China
  • P. p. messius Fruhstorfer, 1909 – Lombok
  • P. p. nicanor C. & R. Felder, 1865 – Bachan, Halmahera, Morotai, Obi & Ternate
  • P. p. nikobarus C. Felder, 1862 – Nicobar Islands
  • P. p. pasikrates Fruhstorfer, 1908 – Philippines (Batanes) & Taiwan
  • P. p. perversus Rothschild, 1895 – Sangir & Talaud
  • P. p. polycritos Fruhstorfer, 1902 – Banggai, Sula Is.
  • P. p. polytes Linnaeus, 1758 – Indo-China, China & Taiwan
  • P. p. romulus Cramer, [1775] – India, Burma & Ceylon
  • P. p. sotira Jordan, 1909 – Sumbawa
  • P. p. steffi (Page & Treadaway, 2003) – Bongao, Sibutu & Tawitawi in the Philippines
  • P. p. stichioides Evans, 1927 – South Andamans
  • P. p. theseus Cramer, [1777] – Sumatra & Borneo
  • P. p. timorensis C. & R. Felder, 1864 – Babar Islands, Wetar, Leti, & possibly Timor
  • P. p. tucanus Jordan, 1909 – Tukangbesi Islands
  • P. p. vigellius Fruhstorfer, 1909 – Bawean

আকার[সম্পাদনা]

কালিমের প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৯০-১০০ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়।[৩]

বিস্তার[সম্পাদনা]

সমগ্র এশিয়া মহাদেশ তথা পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়নামার, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ এবং পশ্চিম চীনদেশ, তাইওয়ান, হংকং, জাপান, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্বোডিয়া, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব মালয়েশিয়ার দ্বীপ সমূহ, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশ, ফিলিপাইন্স এবং উত্তর মেরিয়ানা (সাইপান) অঞ্চল এই প্রজাপতির প্রাপ্তিস্থল।[৪] ভারতবর্ষের জয়ন্তী নদীর চরে এবং সুন্দরবনের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এদের দেখতে পাওয়া যায়।[৫]

বিবরণ[সম্পাদনা]

এদের রং ঘন কালো হয় এবং নিচের ডানার মধ্যবর্তী অংশ বরাবর সাদা দাগের সারি দেখা যায়। এদের আকার সাধারণত ৯০-১০০ মিমি. হয়ে থাকে।

পুরুষ[সম্পাদনা]

পুরুষ প্রজাপতিদের শুধুমাত্র একক রূপান্তর হয়ে থাকে। এদের রং সাধারণত গাঢ় হয়। ডানার পেছনের প্রান্তের সঙ্গে সোয়ালো পাখির ল্যাজের সাদৃশ্য আছে । উপরের ডানার কৌণিক প্রান্ত বরাবর সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায় এবং এগুলোর আকার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। নিচের ডানার প্রক্ষিপ্ত অংশে সম্পূর্ণ চাক্তির মত লম্বাটে সাদা পটি দেখতে পাওয়া যায়। প্রান্তীয় অর্ধচন্দ্রাকৃতি লাল দাগ কখনো কখনো দেখা যায়। পুরুষরা স্ত্রীদের থেকে আকারে সাধারণত ছোট হয়, যদিও এর ব্যাতিক্রম আছে। জলবায়ু অঞ্চলের উপর নির্ভর করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের আকারেই যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

স্ত্রী[সম্পাদনা]

স্ত্রী প্রজাপতিদের ক্ষেত্রে একাধিক রূপান্তর হয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায়, সাধারণত তিন ধরনের রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়।

সাইরাস রূপ[সম্পাদনা]

এই রূপান্তরটি পুরুষদের অনুরূপ হয়ে থাকে। পার্থক্য শুধুমাত্র লাল অর্ধচন্দ্রাকৃতি দাগের মাধ্যমে যা অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। তিন ধরনের রূপের মধ্যে এদের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এরা সাধারণত সেই সব জায়গায় থাকে যেখানে আলতে বা আলসিন্দুরা থাকে না। হিমাচল প্রদেশের সিমলা সংলগ্ন অঞ্চলে এদের বিশেষভাবে দেখা যায়। যদিও যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রে এদের সঙ্গে রোমুলাস রূপের প্রজাপতির দেখাও পাওয়া গেছে।

স্টিচিয়াস রূপ[সম্পাদনা]

এদের সাধারণত আলতের অনুকরণকারী হিসাবে দেখা যায়। যেখানে আলতেরা উড়ে বেড়ায় সেখানে এদের দেখা পাওয়া যায়।

রোমুলাস রূপ[সম্পাদনা]

এদের আবার আলসিন্দুরা প্রজাপতিদের অনুকরণকারী হিসাবে দেখা যায় । যদিও এই ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় না কারণ পূর্ববর্তী রূপটি তার অনুকরণীয় প্রজাপতির থেকে নিষ্প্রভ। শরীরের রঙের ভিত্তিতে খুব সহজেই এদের আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে মডেল গুলির দেহ লাল রঙের এবং এদের অনুকরণকারীদের দেহের রং হয় কালচে ।

আচরণ[সম্পাদনা]

পুরুষ প্রজাপতিরা স্ত্রী প্রজাপতিদের থেকে তুলনামূলকভাবে দ্রুত বেগে ওড়ে। এদের সাধারনত দলবদ্ধ ভাবে স্যাঁতস্যাঁতে মাটি থেকে রস আহরণ করতে দেখা যায়। ডানা মেলে এরা সূর্যের তাপ আহরণ করে । ফুলের মধু এদের বিশেষ পছন্দ। কালিম সাধারণত স্বল্প বৃক্ষাচ্ছাদিত অঞ্চলে থাকা পছন্দ করে। পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষত কমলালেবু এবং লাইম এর বাগানে বর্ষা এবং বর্ষা-পরবর্তী মাসগুলিতে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। [৬]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kunte, Krushnamegh (২০১৩)। Butterflies of The Garo Hills। Dehradun: Samrakshan Trust, Titli Trust and Indian Foundation of Butterflies। পৃষ্ঠা 148। 
  2. Savela, Marrku (১৬ ফেব্রু ২০০৮)। "Papilio polytes"Lepidoptera and some other life forms। nic.funet.fi। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩ 
  3. বসু রায়, অর্জন; বৈদ্য, সারিকা; রায়, লিপিকা। সুন্দরবনের কিছু পরিচিত প্রজাপতি (মার্চ ২০১৪ সংস্করণ)। সুন্দরবন জীবপরিমণ্ডল। 
  4. "Papilio"http://www.nic.funet.fi। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৬  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  5. Pratap Singh, Arun (২০১১)। Butterflies of India (1st সংস্করণ)। Utter Pradesh: Om Books International। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-93-80069-60-9 
  6. A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা ২৭। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]