লেপিডোপ্টেরা
প্রজামথি (প্রজাপতি ও মথ) সময়গত পরিসীমা: early Jurassic–Holocene | |
---|---|
![]() | |
মনার্ক প্রজাপতি এবং লুনা মথ, দু'টি অতিপরিচিত প্রজামথি | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
উপশ্রেণী: | Pterygota |
অধঃশ্রেণী: | Neoptera |
মহাবর্গ: | Endopterygota |
বর্গ: | Lepidoptera লিনিয়াস, ১৭৫৮ |
Suborders | |
প্রজামথি বা লেপিডোপ্টেরা (ইংরেজি: Lepidoptera) পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল সকল প্রজাপতি ও মথ নিয়ে গঠিত বড় একটি পতঙ্গ বর্গ (প্রজামথি = প্রজাপতি + মথ)। এটি পৃথিবীর কীট বর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিচিত এবং বহুবিস্তৃত একটি বর্গ।[১] ১৭৩৫ সালে ক্যারোলাস লিনিয়াস শব্দটি উদ্ভাবন করেন যা দু’টি প্রাচীন গ্রীক শব্দ “আঁশ” এবং “পাখনা” থেকে উদ্ভূত।[২] এই বর্গে ৪৬ টি মহাগোত্রে[৩] এবং ১২৬ টি গোত্রে[৪] আনুমানিক ১৭৪,২৫০ টি প্রজাতি[৩] রয়েছে। সাম্প্রতিক অনুমান অনুসারে এই বর্গের প্রজাতির সংখ্যা পূর্বে অনুমানকৃত সংখ্যার চাইতেও অধিক।[৫] কলিওপ্টেরা বা গুবরে পোকার বর্গের পরে এই বগর্টি সবচাইতে বেশি প্রজাতিবিশিষ্ট। এরাই পৃথিবীতে র্বতমানে সবাসকারী প্রাণীর শতকরা ১০ ভাগ প্রজাতি। [১]
অন্যান্য অধিকাংশ কীটের মতো প্রজাপতি এবং মথ সম্পূর্ণ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়। এদের জীবনচক্র সাধারণত ডিম, শূককীট, পিউপা, এবং ইমাগো বা পূর্ণাঙ্গ কীট নিয়ে গঠিত।[৬] মিলন এবং ডিম পাড়ার বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ পতঙ্গের দ্বারা সম্পাদিত হয়। এর শূককীটকে সাধারণত ক্যাটারপিলার বা শুঁয়োপোকা বলা হয় যার গঠন পূর্ণাঙ্গ মথ বা প্রজাপতির গঠনের চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা। বেড়ে উঠার সাথে সাথে এসব শূককীটের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং ক্রমশ কয়েকটি দশার মধ্য দিয়ে যায় যাকে ইনস্টার বলে। পরিপক্ব হয়ে গেলে শূককীট পিউপাতে বিকশিত হয় যাকে প্রজাপতির ক্ষেত্রে ক্রিসালিস এবং মথের ক্ষেত্রে কোকুন বলে ডাকা হয়।
বিস্তার ও বৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]প্রজামথি পোকামাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত ও সফল একদল প্রাণী। তারা আন্টার্কটিকা বাদে পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশেই পাওয়া যায় এবং প্রায় সব স্থলবাসভূমিতে বাস করে। এই বাসভূমির মধ্যে রয়েছে মরুভূমি, রেইনফরেস্ট, তৃণভূমি এবং উঁচু পর্বত অঞ্চল। এরা সাধারণত উচ্চতর উদ্ভিদ, বিশেষ করে সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্ম) এর ওপর নির্ভরশীল।[৭]
সবচেয়ে উত্তরের একটি প্রজাতি হলো আর্কটিক অ্যাপোলো (Parnassius arcticus), যেটি উত্তর-পূর্ব ইয়াকুতিয়ার আর্কটিক সার্কেলের কাছাকাছি প্রায় ১,৫০০ মিটার উচ্চতায় পাওয়া যায়।[৮] আবার হিমালয়ে, Parnassius epaphus এর মতো কিছু অ্যাপোলো প্রজাতি ৬,০০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায়ও পাওয়া যায়।[৯]
প্রজামথির বিভিন্ন প্রজাতি ভিন্নধর্মী জীবনধারা অনুসরণ করে:
- সহাবস্থানমূলক (Symbiotic): যেখানে দুই জীব একে অপরের উপকার করে।
- ফোরেটিক (Phoretic): এক জীব অন্য জীবের দেহে ভ্রমণ করে কিন্তু ক্ষতি করে না।
- পরজীবী (Parasitic): এক জীব অন্য জীবের দেহে বাস করে এবং ক্ষতি করে।
এরকম একটি দৃষ্টান্ত হলো স্লথ মথ (Bradipodicola hahneli এবং Cryptoses choloepi), যারা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্লথ নামক স্তন্যপায়ীর লোমে বাস করে। কিছু Tinea মথ গরুর শিং খেয়ে থাকে। আবার কিছু প্রজাতি পেঁচার বর্জ্য, বাদুড়ের গুহা, মধুর ছাঁচ বা পঁচা ফলেও জন্মায়।[১০]
২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১,৭৪,২৫০ প্রজাতির প্রজামথির বর্ণনা করা হয়েছে।[১১] এর মধ্যে প্রায় ১৭,৯৫০টি প্রজাতি প্রজাপতি ও স্কিপার এবং বাকি সব মথ। যদিও সবচেয়ে বেশি প্রজাতি পাওয়া যায় ক্রান্তীয় অঞ্চলে, কিন্তু অন্যান্য মহাদেশেও যথেষ্ট বৈচিত্র্য দেখা যায়:
- উত্তর আমেরিকা: প্রজাপতি ৭০০ প্রজাতি, মথ ১১,০০০ প্রজাতি।[১২]
- অস্ট্রেলিয়া: প্রজাপতি ৪০০ প্রজাতি, মথ ১৪,০০০ প্রজাতি।[১৩]
বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে প্রজামথির প্রজাতির আনুমানিক সংখ্যা:
- প্যালিয়ার্কটিক (ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা): ২২,৪৬৫ প্রজাতি
- নিয়ার্কটিক (উত্তর আমেরিকা): ১১,৫৩২ প্রজাতি
- নিওট্রপিক (দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা): ৪৪,৭৯১ প্রজাতি
- আফ্রোট্রপিক (সাহারা-দক্ষিণ আফ্রিকা): ২০,৪৯১ প্রজাতি
- ইন্ডো-অস্ট্রেলিয়ান (এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ): ৪৭,২৮৭ প্রজাতি
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Powell, Jerry A. (২০০৯)। "Lepidoptera"। Resh, Vincent H.; Cardé, Ring T.। Encyclopedia of Insects (2 (illustrated) সংস্করণ)। Academic Press। পৃষ্ঠা ৫৫৭–৫৮৭। আইএসবিএন 978-0-12-374144-8। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Harper, Douglas। "lepidoptera"। The Online Etymology Dictionary।
- ↑ ক খ Mallet, Jim (২০০৭)। "Taxonomy of Lepidoptera: the scale of the problem"। The Lepidoptera Taxome Project। University College, London। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Capinera, John L. (২০০৮)। "Butterflies and moths"। Encyclopedia of Entomology। 4 (২য় সংস্করণ)। Springer। পৃষ্ঠা ৬২৬–৬৭২। আইএসবিএন 9781402062421।
- ↑ Kristensen, Niels P.; Scoble, M. J. & Karsholt, Ole (২০০৭)। "Lepidoptera phylogeny and systematics: the state of inventorying moth and butterfly diversity"। Z.-Q. Zhang & W. A. Shear। Linnaeus Tercentenary: Progress in Invertebrate Taxonomy (Zootaxa:1668) (পিডিএফ)। Magnolia Press। পৃষ্ঠা ৬৯৯–৭৪৭। আইএসবিএন 978-0-12-690647-9। ১৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Gullan, PJ and PS Cranston (২০০৪), "The insects: an outline of entomology", উইলি-ব্ল্যাকওয়েল, ৩য় সংস্করণ, পৃঃ ১৯৮-১৯৯
- ↑ Gullan, P. J.; Cranston, P. S. (২০০৫)। The insects: an outline of entomology (3rd ed সংস্করণ)। Malden, MA: Blackwell Pub। আইএসবিএন 978-1-4051-1113-3।
- ↑ "Papilionidae, Parnassius arctica Eisner, 1968"। rusinsects.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৬।
- ↑ Mani, M. S. (১৯৬৮-০৬-৩০)। Ecology and Biogeography of High Altitude Insects (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Science & Business Media। আইএসবিএন 978-90-6193-114-0।
- ↑ Rau, Phil (১৯৪১-০৬-০১)। "Observations on Certain Lepidopterous and Hymenopterous Parasites of Polistes Wasps"। Annals of the Entomological Society of America। 34 (2): 355–366। আইএসএসএন 0013-8746। ডিওআই:10.1093/aesa/34.2.355।
- ↑ "Butterfly Taxome Project: Butterfly Families"। www.ucl.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৬।
- ↑ Eaton, Eric R.; Kaufman, Kenn (২০০৭)। Kaufman Field Guide to Insects of North America (ইংরেজি ভাষায়)। Houghton Mifflin Harcourt। আইএসবিএন 978-0-618-15310-7।
- ↑ Green, Ken; Osborne, William S. (১৯৯৪)। Wildlife of the Australian Snow-country: A Comprehensive Guide to Alpine Fauna (ইংরেজি ভাষায়)। Reed Books। আইএসবিএন 978-0-7301-0461-2।