সিয়াচেন দ্বন্দ্ব
সিয়াচেন দ্বন্দ্ব ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহের অধিকারের জন্য সামরিক দ্বন্দ্ব। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সফল সামরিক অভিযান অপারেশন মেঘদূতের মাধ্যমে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
দ্বন্দ্ব[সম্পাদনা]
সিয়াচেন হিমবাহ পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র,[৫][৬] যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। দুই দেশ এই স্থানে ৬,০০০ মিটার (২০,০০০ ফু) উচ্চতায় স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। এই দ্বন্দ্বের ফলে প্রায় ২০০০ মানুষ প্রচন্ড শৈত্যে ও পার্বত্য যুদ্ধের ফলস্বরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি হয়েছেন।
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত, পাকিস্তান ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ সামরিক পর্যবেক্ষক দল যুদ্ধবিরতি রেখা চুক্তিতে সই করে। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণ সিয়াচেন হিমবাহ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে।[৭] ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান এরিক শিপটনের নেতৃত্বে বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে সিয়াচেন হিমবাহ অভিযানে সম্মতি প্রদান করে।[৮] পাঁচ বছর পরে একটি জাপানী-পাকিস্তানি মিশ্র অভিযাত্রী দল সালতোরো কাংরি শৃঙ্গ অভিযান করেন।[৯] ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান চীনকে শক্সগাম উপত্যকা প্রদান করার পর পাকিস্তান কে২ পর্বতশৃঙ্গে পশ্চিমী অভিযানে সম্মতি প্রদান করে। [৭]
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ, পাকিস্তান ও অন্যন্যরা যুদ্ধবিরতি রেখা চুক্তি অনুযায়ী মানচিত্র প্রদর্শন করে। [৭] কিন্তু ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ডিফেন্স ম্যাপিং এজেন্সী কোন রকম তথ্যসূত্র ছাড়াই তাদের কৌশলগত অগ্রণী মানচিত্রে এনজে ৯৮৪২ থেকে কারাকোরাম গিরিবর্ত্মের (৫,৫৩৪ মিটার) পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলকে চীনের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। [১০]
সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলের সীমান্ত সম্বন্ধে সিমলা চুক্তিতে অস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় যে সীমান্ত এনজে ৯৮৪২ থেকে উত্তরদিকে হিমবাহের দিকে এটি বিস্তৃত থাকবে। এনজে ৯৮৪২ এর স্থানাঙ্কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অসম্পূর্ণ ভাবে সংজ্ঞায়িত মানচিত্রের ওপর মালিকানার দাবীর কারণে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।[১১]
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সিমলা চুক্তির সীমান্ত সংক্রান্ত অস্পষ্টতা এবং দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ডিফেন্স ম্যাপিং এজেন্সীর মানচিত্রে সিয়াচেন অঞ্চল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানোয় ১৯৭০ এর দশক থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত এই অঞ্চলের উঁচু শৃঙ্গগুলিতে অভিযানের জন্য পর্বতারোহী অভিযাত্রী দল পাকিস্তান সরকারের কাছে অনুমতি চাইতে থাকে এবং পাকিস্তান তাদের অনুমতিপত্রও প্রদান করে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জাপানী পর্বতারোহী কাতায়ামা বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে টেরাম কাংরি-১ (৭,৪৬৫ মি অথবা ২৪,৪৯১ ফু) ও টেরাম কাংরি-২ (৭,৪০৬ মি অথবা ২৪,২৯৮ ফু) পর্বতশৃঙ্গদ্বয় জয়ের অভিযানে পাকিস্তানের থেকে অনুমতি লাভ করে। [১২] ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে জারোস্লাভ পন্সারের নেতৃত্বে এক জার্মান অভিযাত্রী দল বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে সিয়াচেন হিমবাহে প্রবেশ করে এবং সিয়াচেন হিমবাহ ও টেরাম শেরের সংযোগস্থলে অভিযানের মূল ঘাঁটি তৈরী করে। এই সব ঘটনা পাকিস্তানকে এই সকল অঞ্চলের দাবী জানাতে উৎসাহ দেয়। [১৩]
ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী সব কিছু লক্ষ্য করে মানচিত্রটির ব্যাপারে প্রতিবাদ করে। মার্কিন মানচিত্র ও পাকিস্তানের অনুমতিপত্রের গুরুত্ব অনুভব করে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাই অল্টিচিউড ওয়ারফেয়ার স্কুলের কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল নরেন্দ্র কুমার সিয়াচেন অঞ্চলে টেরাম কাংরি-২ পর্বতশৃঙ্গে সেনা পর্বতারোহণ অভিযান করেন। [১৪]
লড়াই[সম্পাদনা]
রাউলপিন্ডির সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তানের জেনারেলরা ভারতের পূর্বে সিয়াচেন দখল করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের নিশ্চিত আগাম খবর পেয়ে ভারত ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুমায়ুন রেজিমেন্ট ও ভারতীয় বিমানবাহিনী অপারেশন মেঘদূত শুরু করে। শীঘ্রই ভারত সিয়াচেন অঞ্চল নিজেদের অধিকারে আনে। সিয়া গিরিবর্ত্ম ও বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম দ্রুত ভারতের দখলে আসে। এর সাতদিন পরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই স্থানে পৌছলেও তাদের আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনশ সেনা পর্বতের শীর্ষগুলি দখল করে নেয়।.[৩]
১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের পরে পাকিস্তান ভারতকে ঐ অঞ্চল থেকে হঠিয়ে দেওয়ার জন্য বহুবার ব্যর্থ অভিযান করে। এর মধ্যে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের আক্রমণ ছিল সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য। এই আক্রমণের নেতৃত্ব দেন পারভেজ মুশাররফ। তিনি স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের একটি সদ্য তৈরী কমান্ডো দলের ৮০০০ সৈন্যের এক বিশেষ গ্যারিসনকে বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম দখলের জন্য পাঠান। কিন্তু তীব্র যুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই বছর পাকিস্তান কায়েদ নামক তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হাতছাড়া করে। অপারেশন রাজীব নামক এই যুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ সাহসিকতার পুরস্কার পরমবীর চক্র লাভ করেন নায়েব সুবেদার বানা সিং। তিনি দিনের বেলায় ১,৫০০ ফু (৪৬০ মি) খাড়া বরফের দেওয়ালে চড়ে ২২,১৪৩ ফুট (৬,৭৪৯ মি) উঁচুতে অবস্থিত কায়েদ নামে একটি পাকিস্তানি ঘাঁটি দখল করেন। [১৫][১৬][১৭][১৮] তার নামে শৃৃৃঙ্গটির নামকরণ হয় বানা টপ৷
এর পরে পাকিস্তান ১৯৯০, ১৯৯৫, ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের লাহোর শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগে সিয়াচেন দখলের জন্য বাও বার আক্রমণ করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের আক্রমণে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের চল্লিশ জন সৈন্য নিহত হন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই-১৭ হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামানো হয়।
সামরিক অবস্থান[সম্পাদনা]
সিয়াচেন দ্বন্দ্বে ভারতের দখলে ৯০০ বর্গমাইল (২,৩০০ কিমি২) [১৯] থেকে ১,০০০ বর্গমাইল (২,৬০০ কিমি২) এলাকা চলে আসে। [২০] ফলে ভারত ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মা) দীর্ঘ সিয়াচেন হিমবাহ ও তার সমস্ত প্রশাখা হিমবাহ এবং সিয়াচেন হিমবাহের পশ্চিমদিকে অবস্থিত সালতোরো পর্বতশ্রেণীর সিয়া, বাইলাফন্ড, ও গ্যোং এই তিনটি প্রধান গিরিবর্ত্ম নিজেদের দখলে আনে। অপরদিকে পাকিস্তান সালতোরো পর্বতশ্রেণীর পশ্চিমদিকে অবস্থিত হিমবাহ উপত্যকাগুলিকে অধিকার করে। [২১][২২][২৩][২৪][২৫][২৬] ২১,০০০ ফুট উচ্চতায় পয়েন্ট সোনমে ভারত বিশ্বের উচ্চতম হেলিপ্যাড স্থাপন করেছে।
পাকিস্তান গ্যোং গিরিবর্ত্ম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত হিমবাহ উপত্যকা দখলে রাখে। কিন্তু সালতোরো পর্বতশ্রেণী আরোহণ করে তারা যেমন ভারতের দখলীকৃত এলাকায় আসতে পারেননি, ভারতও তাদের কৌশলগত সুবিধাজনক উচ্চ অবস্থান ছেড়ে যেতে পারেনি। এই দুই সেনাবাহিনীর সামরিক অবস্থানের মধ্যের সীমানারেখাকে প্রকৃত ভূমি অবস্থান রেখা বলা হয়।[২৭][২৮]
প্রতিকূল পরিবেশ[সম্পাদনা]
২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু তার আগে থেকেই এই অঞ্চলে দুই পক্ষের সৈনিকেরা প্রচন্ড প্রতিকূল পরিবেশের জন্য মারা যান। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ অব্দি দুই পক্ষের প্রায় ২০০০ জন শৈত্যজনিত জটিলতায় মারা যান। এছাড়াও এই অঞ্চলে মোট ১৫০ টি সেনা ছাউনিতে প্রতি পক্ষের ৩০০০ সৈন্যের ভরণ পোষণের জন্য ভারত বছরে তিরিশ কোটি ডলার ও পাকিস্তান কুড়ি কোটি ডলার ব্যয় করে। প্রতিকূল পরিবেশে ভারত অসুস্থ সৈনিকদের উদ্ধার ও নতুন সৈন্যদের ঐ স্থানে নিয়োগের সমস্যার সমাধানে ধ্রুব এমকে ৩ হেলিকপ্টার তৈরী করেছে। [২৯] এছাড়াও ভারত বাহিনীর সৈন্যদের নিজেদের বাড়ির সাথে সংযোগ রাখতে এই হিমবাহে পৃথিবীর উচ্চতম টেলিফোন টাওয়ার তৈরী করেছে। [৩০]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ kashmirsentinel.com [ত্রুটি: আর্কাইভের ইউআরএল অজানা] Kashmir Sentinel Siachen: The Stalemate Continues ([তারিখ অনুপস্থিত] তারিখে আর্কাইভকৃত) Published 1999 April.
- ↑ Kapur, S. Paul (Stanford University Press)। Dangerous Deterrent: Nuclear Weapons Proliferation and Conflict in South Asia। Stanford University Press। পৃষ্ঠা 118। আইএসবিএন 978-0804755504। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=(সাহায্য) - ↑ ক খ গ "War at the Top of the World"। Time। নভেম্বর ৭, ২০০৫। এপ্রিল ১২, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩।
- ↑ 846 Indian soldiers have died in Siachen since 1984 - Rediff.com News. Rediff.com. Retrieved on 2013-07-12.
- ↑ VAUSE, Mikel. Peering Over the Edge: The Philosophy of Mountaineering, p. 194.
- ↑ CHILD, Greg. Mixed Emotions: Mountaineering Writings, p. 147.
- ↑ ক খ গ Facts vs bluff on Siachen, Kayani’s suggestion worth pursuing, B.G. Verghese, Saturday, April 21, 2012, Chandigarh, India
- ↑ Himalayan Journal Vol. 21
- ↑ Himalayan Journal Vol. 25
- ↑ "2003 article about Siachen in Outside magazine"। Outsideonline.com। ২০১১-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫।
- ↑ Modern world history- Chapter-The Indian subcontinent achieves independence/The Coldest War.
- ↑ SANGAKU 71
- ↑ Dutta, Sujan (২০০৬-০৫-১৫)। "The Telegraph – Calcutta : Nation"। Calcutta, India: Telegraphindia.com। ২০১১-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫।
- ↑ "Outside magazine article about Siachen battleground"। Outsideonline.com। ২০১১-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫।
- ↑ "The Siachen Conflict: 1984 Onwards"। ১০ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ Siachen: Frozen disengagement, Maj Gen Raj Mehta (Retd), Monday, June 6, 2011, tribuneindia.com
- ↑ "Project Hope"। Rediff। ২০০১-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০।
- ↑ "Confrontation at Siachen, 26 June 1987"। Bharat Rakshak। ২০১৪-০২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০।
- ↑ Pervez Musharraf (২০০৬)। In the Line of Fire: A Memoir। Free Press। আইএসবিএন 0-7432-8344-9।(pp. 68–69)
- ↑ The Himalayas War at the Top Of the World ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে July 31, 1989 – TIME
- ↑ Wirsing, Robert। Pakistan's security under Zia, 1977–1988: the policy imperatives of a peripheral Asian state। Palgrave Macmillan, 1991। আইএসবিএন 0-312-06067-X, 9780312060671
|আইএসবিএন=এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ Child, Greg (১৯৯৮)। Thin air: encounters in the Himalayas। The Mountaineers Books, 1998। আইএসবিএন 0-89886-588-3, 9780898865882
|আইএসবিএন=এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ See http://www.bharat-rakshak.com/MONITOR/ISSUE6-1/Siachen.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুন ২০১২ তারিখে for perhaps the most detailed treatment of the geography of the conflict, including its early days, and under section "3." the current status of control of Gyong La, contrary to the oft-copied misstatement in the old error-plagued summary at http://www.globalsecurity.org/military/world/war/siachen.htm
- ↑ NOORANI, A.G. (Mar. 10, 2006)। "For the first time, the leaders of India and Pakistan seem close to finding a solution to the Kashmir problem."। A working paper on Kashmir। সংগ্রহের তারিখ April 29, 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=(সাহায্য) - ↑ "Indians have been able to hold on to the tactical advantage of the high ground..... Most of India's many outposts are west of the Siachen Glacier along the Saltoro Range. Bearak, Barry (মে ২৩, ১৯৯৯)। "THE COLDEST WAR; Frozen in Fury on the Roof of the World"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২০।
- ↑ In an academic study with detailed maps and satellite images, co-authored by brigadiers from both the Pakistani and Indian military, pages 16 and 27: "Since 1984, the Indian army has been in physical possession of most of the heights on the Saltoro Range west of the Siachen Glacier, while the Pakistan army has held posts at lower elevations of western slopes of the spurs emanating from the Saltoro ridgeline. The Indian army has secured its position on the ridgeline." Hakeem, Asad (২০০৭-০৯-০১)। "Demilitarization of the Siachen Conflict Zone" (পিডিএফ)। Sandia Report। Sandia National Laboratories, Albuquerque, NM, USA। ২০১২-০৪-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২০। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Confirm ground position line on Siachen: BJP – April 29, 2006, The Hindu
- ↑ Guns to fall silent on Indo-Pak borders November 26, 2003 – Daily Times
- ↑ Shukla, Ajai. In Siachen, Dhruv proves a world-beater, (March 7, 2011). Business Standard. New Delhi.
- ↑ "India Installs World's Highest Phone Booth Soldiers Fighting Along Kashmir Glacier Can Now Call Families, Army Says – Denver Rocky Mountain News – Highbeam Research"। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- The Coldest War ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে
- Time report ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে
- Siachen: The stalemate continues