লশকর-ই-তাইয়েবা
অবয়ব
প্রতিষ্ঠা | ১৯৯০[১][২][৩]–বর্তমান |
---|---|
বিচরন | পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ[৪] |
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড | কার্গিল যুদ্ধ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ২০০৮ মুম্বাই হামলা ২০০১ ভারতীয় সংসদ ভবন হামলা |
মিত্র | আল-কায়েদা হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামী তাহরিক-ই-নাফজ-ই-শরিয়াত-ই-মহাম্মদী তালিবান জইশে মুহাম্মদ হিজবুল মুজাহিদীন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন হারকাতুল জিহাদ আল ইসলামি এইড অর্গানাইজেশন অব দ্য ওলামা মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন টাইগার্স অব আসাম |
প্রতিদ্বন্দ্বী | ভারত সরকার ভারতের সামরিক বাহিনী রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) মার্কিন সৈন্য বল সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেস এজেন্সি (CIA) |
লশকর-ই-তাইয়েবা (উর্দু: لشکرطیبہ [ˈləʃkər eː ˈt̪ɛːjbaː]; অর্থে মঙ্গলের সৈন্য অনুবাদ অর্থে ন্যায়নিষ্ঠার সৈন্য, অথবা নিষ্পাপ সৈন্য)[২][৫][৬] এছাড়া লস্কর-ই-তাইয়েবা, লস্কর-ই-তাইয়িবা দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অন্যতম বৃহত্তম ইসলামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ।[৭]
১৯৯০ সালে হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ, আবদুল্লাহ ইউসুফ আযযাম[৮][৯][১০] ও জাফর ইকবাল[১১][১২] আফগানিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠা করেন[১৩]। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের নিকটে মুরিদকে নামক জায়গায় এর সদর অবস্থিত।[৫] এই দলটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিভিন্ন ক্যাম্প চালনা করে।[৩]
নেতৃত্ব
[সম্পাদনা]- হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ - পাকিস্তানে থাকেন -জামাত-উদ-দাওয়ার আমির।[১৪] তবে মুম্বাই হামলার ব্যাপারে তার জড়িত থাকার জন্য অস্বীকার করে বলেন, আমি লস্করের প্রধান নই।[১৫]
- আবদুল রেহমান মক্কী - পাকিস্তানে থাকেন। এই গোষ্টীর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। সাঈদের শ্যালক।[১৬] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে কিংবা অবস্থান বলতে পারলে ২ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।[১৭][১৮]
- জাকিউর রহমান লকভি - পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হেফাজতে আটক আছেন।[১৯] লস্করের সিনিয়র নেতা। তার বিরুদ্ধে মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।[২০][২১]
- ইউসুফ মুজাম্মিল - অপর সিনিয়র নেতা। মুম্বাই হামলায় আজমল কাসাভের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে লিপ্ত হন। তিনিও পাক-সামরিক বাহিনীর হেফাজতে আটক আছেন।[২০]
- জাফর শাহ - পাকিস্তানে আটক আছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তিনি আইএসআই’র সাথে লস্করের লিয়াজোঁ করে মুম্বাইয়ে, হামলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।[২২][২৩]
- মুহাম্মদ আশরাফ - লস্করের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা, মুম্বাই হামলায় তারও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘের তালিকায় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তার স্থান রয়েছে।[২৪] এর আগের জিও টিভি এক প্রতিবেদনে বলে- ছয় বছর আগে আশরাফ মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন।[২৫][২৬]
- মাহমুদ মোহাম্মদ আহমেদ বাহাজিক - লস্করের সৌদি আরব শাখার নেতা এবং অন্যতম অর্থ যোগানদাতা। তার নামও জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় রয়েছে।[২৪][২৬]
- নাসের জাভেদ - কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনাকারীদের মধ্যে সিনিয়র। [২৭] যুক্তরাজ্যে বোমা হামলার সাথে তার যোগসুত্র রয়েছে এবং নিষিদ্ধ।"[২৮]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;reuters20090706
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ "Lashkar-e-Toiba 'Army of the Pure'"। South Asia Terrorism Portal। ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২১।
- ↑ ক খ Kurth Cronin, Audrey (৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "Foreign Terrorist Organizations" (PDF)। Congressional Research Service। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Harvey
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ Jayshree Bajoria (১৪ জানুয়ারি ২০১০)। "Profile: Lashkar-e-Taiba (Army of the Pure) (a.k.a. Lashkar e-Tayyiba, Lashkar e-Toiba; Lashkar-i-Taiba)"। Council on Foreign Relations। ২০১০-০৬-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১১।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;bbcprofile
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Basset, Donna (২০১২)। Peter Chalk, সম্পাদক। Encyclopedia of Terrorism। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 978-0313308956।
- ↑ "Deadly Embrace: Pakistan, America and the Future of Global Jihad"। Brookings.edu। ২০১২-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৮।
- ↑ "Deadly Embrace: Pakistan, America and the Future of Global Jihad, transcript" (পিডিএফ)। Brookings.edu। ২০১১-১০-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৮।
- ↑ "The 9/11 Attacks' Spiritual Father"। Brookings.edu। ২০১২-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৮।
- ↑ "The 15 faces of terror"। Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৮।
- ↑ "Who is Lashkar-e-Tayiba"। Dawn। ৩ ডিসেম্বর ২০০৮। ২০১৭-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৩।
- ↑ Ashley J. Tellis (১১ মার্চ ২০১০)। "Bad Company – Lashkar-e-Tayyiba and the Growing Ambition of Islamist Mujahidein in Pakistan" (পিডিএফ)। Carnegie Endowment for International Peace। ১৬ মে ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩।
The group's earliest operations were focused on the Kunar and Paktia provinces in Afghanistan, where LeT had set up several training camps in support of the jihad against the Soviet occupation.
- ↑ "We didn't attack Mumbai, says Lashkar chief"। The Times of India। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮। ২০১৩-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২৫।
- ↑ "Jamat-ud-Dawah, Hafiz Saeed, Zaki-ur-Rehman, Haji Ashraf added to UN terror list | English"। The Nation। Pakistan। ১১ ডিসেম্বর ২০০৮। ২০১২-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৭।
- ↑ Parashar, Sachin (৫ এপ্রিল ২০১২)। "Hafiz Saeed's brother-in-law Abdul Rehman Makki is a conduit between Lashkar-e-Taiba and Taliban"। The Times of India। ১ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১২।
- ↑ "Hafiz Abdul Rahman Makki"। Articles। Rewards for Justice Website। ২৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১২।
- ↑ Walsh, Declan (৩ এপ্রিল ২০১২)। "U.S. Offers $10 Million Reward for Pakistani Militant Tied to Mumbai Attacks"। The New York Times।
- ↑ Rondeaux, Candace (৯ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Pakistan Arrests Suspected Mastermind of Mumbai Attacks"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৭।
- ↑ ক খ "Lakhvi, Yusuf of LeT planned Mumbai attack"। Associated Press। ৪ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৫।
- ↑ Buncombe, Andrew (৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। "'Uncle' named as Mumbai terror conspirator"। The Independent। London। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৭।
- ↑ Schmitt, Eric (৭ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Pakistan's Spies Aided Group Tied to Mumbai Siege, Eric Schmitt, et al., NYT, 07-Dec-2008"। The New York Times। Mumbai (India);Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৭।
- ↑ Oppel, Richard A. (৩১ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Pakistani Militants Admit Role in Siege, Official Says, Richard Oppel, Jr., NYT, 2008-12-31"। The New York Times। India;Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৭।
- ↑ ক খ Worth, Robert F. (১০ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Indian Police Name 2 More Men as Trainers and Supervisors of Mumbai Attackers"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২২।
- ↑ Vinayak, Ramesh (১২ ডিসেম্বর ২০০৮)। "One of four LeT leaders banned by the UN is long dead"। India Today। ২০০৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২২।
- ↑ ক খ "Four Pakistani militants added to UN terrorism sanctions list"। UN News Centre। ১১ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২২।
- ↑ Slack, James; Boden, Nicola (৬ মে ২০০৯)। "Jacqui Smith's latest disaster: Banned U.S. shock jock never even tried to visit Britain – now he's suing"। Daily Mail। London। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৬।
- ↑ "Home Office name hate promoters excluded from the UK"। Press Release। UK Home Office। 5.5.9। ২০০৯-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2009-05-06। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Profile of Lashkar-e-Taiba, Washington Post, 2008-12-05
- Profile: Lashkar-e-Taiba – BBC News
- Report on the Lashkar-e-Toiba by the Anti-Defamation League
- Report on Lashkar-e-Toiba by the South Asia Terrorism Portal
- Should Mohd. Afzal Guru be executed? International Terrorism Monitor—Paper # 132.
- Islamist Militancy in Kashmir: The Case of the Lashkar-i Tayyeba ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে – by Prof. Yoginder Sikand
- Background on the fidayeen tactics of Lashkar-e-Toiba
- PBS report about Jamat-ud-Dawa's relief work in Kashmir
- San Francisco Chronicle article about the Ad-Dawa relief work ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
- ইসলামি সংস্থা
- ইসলামি গোষ্ঠী
- ইসলামি সন্ত্রাসবাদ
- উগ্রপন্থী সংগঠনসমূহ
- জিহাদি সংগঠন
- ১৯৮৭-এ পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত
- পাকিস্তান কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- আহলে হাদিস
- আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট দল
- আফগানিস্তানের জিহাদি দল
- ভারতের জিহাদি দল
- পাকিস্তানের জিহাদি দল
- অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- ভারত কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- যুক্তরাজ্য কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- কানাডা কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- রাশিয়া কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন
- এশিয়া ভিত্তিক সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত সংগঠন
- ১৯৮৭-এ প্রতিষ্ঠিত সংগঠন
- ভারতে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা
- জাপান কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সংগঠন