বীরেন শিকদার
শ্রী বীরেন শিকদার ডক্টরেট | |
---|---|
| |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মুজিবুল হক চুন্নু |
উত্তরসূরী | জাহিদ আহসান রাসেল |
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ | |
কাজের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ – ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ | |
কাজের মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | কাজী সালিমুল হক কামাল |
কাজের মেয়াদ ১৪ জুলাই ১৯৯৬ – ১৩ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | কাজী সালিমুল হক কামাল |
উত্তরসূরী | কাজী সালিমুল হক কামাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শ্রী বীরেন শিকদার আগস্ট ১৬, ১৯৪৯ মাগুরা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | শ্রীমতি শান্তিলতা শিকদার |
সন্তান |
|
পিতামাতা | বিহারী লাল শিকদার (বাবা) |
শিক্ষা | এমএ, এলএলবি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতি |
জীবিকা | আইনজীবী |
ধর্ম | সনাতন |
ড. শ্রী বীরেন শিকদার (জন্ম: অক্টোবর ১৬, ১৯৪৯ ) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১২ জানুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]বীরেন শিকদারের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৬ অক্টোবর মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সিংড়া গ্রামে। পিতার নাম বিহারী লাল শিকদার এবং মাতা শ্রীমতি সরস্বতী শিকদার। পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার হাটবারবাজার হাইস্কুল হতে এসএসসি, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ হতে এইচ এস সি ও যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]বীরেন শিকদার ১৯৬৮-৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১২ জানুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। বীরেন শিকদার ১৯৮৫ সালে শালিখা উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৬ সাল, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি তার পেশাদার জীবনে বিভিন্ন সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]বীরেন শিকদারের স্ত্রীর নাম শান্তিলতা শিকদার। ওনাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে অমিতাভ শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসন ইনষ্টিটিউট হতে এমবিএ পাস করেছেন। মেয়ে বিউটি শিকদার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করছেন।[১]
সমাজ সেবা
[সম্পাদনা]তিনি তার নিজ গ্রাম শালিখার সিংড়ায় তার মায়ের নামে সরস্বতী শিকদার স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পিতার নামে বিহারীলাল শিকদার ডিগ্রি কলেজ এবং আড়পাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। মহম্মদপুর সদরে তার নিজ নামে শ্রী বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ভিডিও বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]- শিক্ষা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার কারণে ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘বি আর আন্বেদকর পুরস্কারে’ ভূষিত করে।
- লর্ড বৌদ্ধ আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০১৫[২]
- স্পেনের মাদ্রিদে বারচেম ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও গণতন্ত্রের উপর ডক্টরেট(পিএইচডি)[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "মাননীয় প্রতিমন্ত্রী - Ministry of Youth and Sports-Government of the People's Republic of Bangladesh - যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। moysports.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "লর্ড বৌদ্ধ আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন ড. শ্রী বীরেন শিকদার"। Magura News। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Probir Sikdar। "শালিখায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা প্রদান"। Uttaradhikar71news.com। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৫।