বিষয়বস্তুতে চলুন

বাহাই ধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
42.0.4.253-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Seat of the House of Justice.jpg|thumb|300px|সিট অফ দ্য [[ইউনিভার্সাল হাউস অফ জাস্টিস]], বাহাইদের পরিচালনা পর্ষদ, [[হাইফা]], [[ইসরাইল]]।]]
যরর
[[চিত্র:051907 Wilmette IMG 1404 The Greatest Name.jpg|thumb|300px|সর্বশ্রেষ্ঠ নামের (বাহা) ক্যালিগ্রাফি।]]
'''বাহাই ধর্ম''' বা '''বাহাই বিশ্বাস''' হচ্ছে [[বাহাউল্লাহ]] কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] একটি ধর্ম বা বিশ্বাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতে [[ইরান|পারস্যে]] (বর্তমানে [[ইরান]]) এই ধর্মের উৎপত্তি। মূলত মানবজাতির আত্মিক ঐক্য হচ্ছে এই ধর্মের মূল ভিত্তি।<ref>{{Harvnb|Houghton|2004}}</ref> বিশ্বে বর্তমানে ২০০-এর বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ধর্মের আনুমানিক প্রায় ৬০ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।<ref name="statistics">See [[Bahá'í statistics#Worldwide figures|Bahá'í statistics]] for a breakdown of different estimates.</ref><ref name="eor">{{Harvnb|Hutter|2005|pp=737–740}}</ref>

বাহাই বিশ্বাস অনুসারে ধর্মীয় ইতিহাস স্বর্গীয় দূতদের ধারাবাহিক আগমণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। এইসব দূতদের প্রত্যেকে তাদের সময়কার মানুষদের সামর্থ্য ও সময় অনুসারে একটি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সকল স্বর্গীয় দূতদের মাঝে আছেন [[ইব্রাহিম]], [[গৌতম বুদ্ধ]], [[যীশু]], [[মুহাম্মাদ]] ও অন্যান্যরা। সেই সাথে খুব সাম্প্রতিককালে [[বাব]] ও [[বাহাউল্লাহ]]। বাহাই ধর্ম মতে এসকল দূতগণ প্রত্যেকেই তাদের পরবর্তী দূত আসার ব্যাপারে, ও তাদেরকে অনুসরণ করতে বলে গেছেন। এবং বাহাউল্লার জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে দূতগণের এই ধারা ও পূববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলোর অঙ্গীকার সম্পূর্ণ হয়েছে। মানবতা সমষ্টিগত বিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ধরা হয়েছে, এবং বৈশ্বিক মাপকাঠিতে সার্বিকভাবে শান্তি, সুবিচার ও ঐক্য প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয়তা।<ref name="PSmith107">{{Harvnb|Smith|2008|pp=107–109}}</ref>

‘বাহাই’ ({{lang|en|উচ্চারণ: bəˈhaɪ}})<ref>In English {{pron-en|bəˈhaɪ}} with two syllables, in Persian {{lang-fa|بهائی}} {{IPA2|bæhɒːʔiː}} with three syllables. The exact realization of the English pronunciation varies. The [[Oxford English Dictionary]] has {{IPA-en|bæˈhɑːiː|}} {{respell|ba|HAH|ee}}, [[Merriam-Webster]] has {{IPA-en|bɑːˈhɑːiː|}} {{respell|bah|HAH|ee}}, and the [[Random House Dictionary]] has {{IPA-en|bəˈhɑːiː|}} {{respell|bə|HAH|ee}}. See [http://www.bahaistudy.org/mp3/Bahai-Glossary1.mp3 Amin Banani: A Baha'i Glossary and Pronunciation Guide] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090326080603/http://www.bahaistudy.org/mp3/Bahai-Glossary1.mp3 |তারিখ=২৬ মার্চ ২০০৯ }} and [http://bahai-library.com/wttp/programs.html Darius Shahrokh: Windows to the Past Series] – A Guide to Pronunciation part 1 and 2, for more pronunciation instructions</ref> শব্দটি একটি বিশেষণ হিসেবে বাহাই বিশ্বাস বা ধর্মকে নির্দেশ করতে বা বাহাউল্লার অনুসারীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি উদ্ভূত হয়েছে আরবি ''বাহা’'' থেকে, যার অর্থ ‘মহিমা’ বা ‘উজ্জলদীপ্তি’।<ref>Bahá'ís prefer the orthographies "Bahá'í", "Bahá'ís", "the Báb", "Bahá'u'lláh", and "`Abdu'l-Bahá", using a [[Bahá'í orthography|particular transcription]] of the [[Arabic language|Arabic]] and [[Persian language|Persian]] in publications. "Bahai", "Bahais", "Baha'i", "the Bab", "Bahaullah" and "Baha'u'llah" are often used when diacriticals are unavailable.</ref> ধর্মটিকে নির্দেশ করতে পূর্বে ''বাহাইজম'' বা ''বাহাইবাদ'' পরিভাষাটি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে ধর্মটির সঠিক নাম বাহাই বিশ্বাস।<ref>{{Harvnb|Hatcher|Martin|1998|pp=xiii}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = A Journalist's Guide to the Baha'i Faith | লেখক = Centre for Faith and the Media | অবস্থান = Calgary, Alberta | ইউআরএল = http://www.faithandmedia.org/cms/uploads/files/8_guide-bahai.pdf | প্রকাশক = Centre for Faith and the Media | পাতা = 3 | সংগ্রহের-তারিখ = ৪ আগস্ট ২০১০ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20120425091536/http://www.faithandmedia.org/cms/uploads/files/8_guide-bahai.pdf | আর্কাইভের-তারিখ = ২৫ এপ্রিল ২০১২ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>

== বিশ্বাস ==
বাহাই শিক্ষা ও মতবাদের ভিত্তি তিনটি মূল নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে [[বাহাই ধর্মে ঈশ্বর|ঈশ্বরের ঐক্য]], [[বাহাই ধর্ম ও ধর্মীয় ঐক্য|ধর্মীয় ঐক্য]], এবং [[বাহাই ধর্ম ও মানবতার ঐক্য|মানবজাতির ঐক্য]]।<ref name="eor" /> এসকল স্বীকার্য থেকে এই বিশ্বাসটি অর্জিত হয় যে, ঈশ্বর নির্দিষ্ট সময় পর পর তাঁর ইচ্ছা স্বর্গীয় দূতদের মাধ্যমে ব্যক্ত করেন। আর এসকল দূতগণের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানবজাতির চরিত্র পরিবর্তন ও উন্নয়ন। এছাড়াও যাঁরা এতে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের কল্যাণ, এবং নৈতিক ও আত্মিক গুণের বিকাশ। এর ফলে ধর্মের ধারণাটি পরিবর্তিত হয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক, একত্রীকৃত, ও বিকাশমান একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, যা যুগ থেকে যুগে পরিবর্তিত হয়।<ref name="PSmith108">{{Harvnb|Smith|2008|pp=108–109}}</ref>

=== ঈশ্বর ===
{{মূল নিবন্ধ|বাহাই ধর্মে ঈশ্বর}}
[[চিত্র:Bahai Temple (6587046741).jpg|thumb|200px|বাহাই মন্দির, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া]]
[[চিত্র:Wilmette how side.jpg|thumb|200px|যুক্তরাষ্ট্রের ইলিননয় অঙ্গরাজ্যের উইলমেটে [[বাহাই হাউস অফ ওরশিপ|বাহাই হাউস অফ ওরশিপের]] গাঁথুনিতে বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক]]

বাহাইদের ধর্মীয় পুস্তকে ঈশ্বর হচ্ছেন একক, ব্যক্তিগত, অগম্য, সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী, অক্ষয়, এবং অবিনশ্বর একটি স্বত্বা, যিনি বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা।<ref name="PSmith106">{{Harvnb|Smith|2008|p=106}}</ref><ref>{{Harvnb|Effendi|1944|p=139}}</ref> ঈশ্বরের ও [[মহাবিশ্ব|মহাবিশ্বের]] উপস্থিতিকে চিরকালব্যাপী মনে করা হয়, যার কোনো সূচনা বা পরিণতি নেই।<ref name="britannica">{{Harvnb|Britannica|1992}}</ref> যদিও সরাসরিভাবে ঈশ্বরকে অনুভব করা সম্ভব নয়, তবে তাঁকে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে স্বজ্ঞা দ্বারা অনুভব করা সম্ভব। আর এজন্য ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন, যা প্রকাশ পায় দূতগণের পরিভাষায় [[ঈশ্বরের সুস্পষ্টকরণ|ঈশ্বরের সুস্পষ্টকরণের]] মাধ্যমে।<ref name="PSmith106">{{Harvnb|Smith|2008|pp=106–107}}</ref><ref name="PSmith111">{{Harvnb|Smith|2008|pp=111–112}}</ref>

=== ধর্ম ===
{{মূল নিবন্ধ|বাহাই ধর্ম ও ধর্মের ঐক্য}}

বাহাই ধর্ম বিশ্বের প্রায় সকল ধর্মের বৈধতায় বিশ্বাস করে, এবং সকল ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে ঈশ্বরের প্রতিনিধি। ধর্মীয় ইতিহাস হচ্ছে ধর্মগুলোর ধারাবাহিক বণ্টন। এখানে প্রত্যেকে ধর্মের প্রত্যেক প্রতিনিধি ঐ সময় ও স্থানের জন্য আরও ব্যাপক ও প্রাগ্রসর ধারণার প্রবর্তন করেন।<ref name="britannica" /> সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় সামাজিক শিক্ষাগুলো (যেমন: প্রার্থনার নিয়ম, মৃত্যুপরবর্তী নিয়মকানুন ইত্যাদি) বর্তমান বা পরবর্তী দূতের মাধ্যমে পরবর্তিত হতে পারে। এভাবে পরবর্তী সময় ও স্থানের জন্য প্রযোজ্য আরও সঠিক একটি নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য, সুনির্দিষ্ট কিছু সাধারণ নীতি (যেমন: প্রতিবেশীর প্রতি আচরণ, দাতব্য কর্মকাণ্ড ইত্যাদি) রয়েছে যেগুলো সর্বজনীন ও স্থায়ী। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে সদা অগ্রসরমানতার এই প্রক্রিয়া কখনও শেষ হবে না, যদিও বিশ্বাস করা হয় এটি চক্রাকারে ফিরে আসে। এছাড়া বাহাইরা তাঁদের বর্তমান দূত বাহাউল্লাহ’র আবির্ভাবের ১০০০ বছরের মধ্যে ঈশ্বরের আর কোনো দূতের আবির্ভাবে বিশ্বাস করে না।<ref>{{harvnb|McMullen|2000| |p=7}}</ref><ref>{{harvnb|`Abdu'l-Bahá|1978|p=67}}</ref>

=== মানবজাতি ===
[[চিত্র:Ringstone.svg|200px|thumb|[[বাহাই প্রতীক#রিংস্টোন প্রতীক|রিংস্টোন প্রতীক]] ঈশ্বর ও মানবতার মধ্যে সংযোগ প্রদর্শন করে]]
{{মূল নিবন্ধ|বাহাই ধর্ম ও মানবতার ঐক্য}}

বাহাই পুস্তক বলে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটি ‘বিচাবুদ্ধিক্ষম সত্ত্বা’ রয়েছে, যা এই প্রজাতিকে ঈশ্বরকে চেনার এবং মানবতার সাথে এর স্রষ্টার সম্পর্ককে বোঝার একটি নিখুঁত সামর্থ্য প্রদান করেছে। প্রত্যেক মানুষের কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্বও রয়েছে। যার মধ্যে আছে ঈশ্বর কর্তৃক প্রবর্তিত দূতগণের মাধ্যমে ঈশ্বরকে চেনা ও তাঁদের প্রদত্ত শিক্ষাকে গ্রহণ করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=Michael D. |শেষাংশ=McMullen |বছর=2000 |শিরোনাম=The Baha'i: The Religious Construction of a Global Identity |প্রকাশক=Rutgers University Press |অবস্থান=Atlanta, Georgia |আইএসবিএন= 0813528364 |পাতাসমূহ= 57–58}}</ref> বাহাই পুস্তক অনুসারে, এই পরিচয় ও আনুগত্যের মাধ্যমে, এবং মানবতার জন্য কাজ করা ও নিয়মিত প্রার্থনার ফলে মানুষ ঈশ্বরের আরও নিকটবর্তী হতে থাকে। এটি বাহাই বিশ্বাসের একটি আধ্যাত্মিক লক্ষ্য। যখন কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করে, আত্মা পরবর্তী জগতে পদার্পণ করে। সেখানে কোনো আত্মার আত্মিক উন্নয়ন সম্ভব, যা নির্ভর করে পার্থিব জীবনের কৃত কর্মকাণ্ডের ওপর। পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ডকে ভিত্তি করেই পরবর্তী আধ্যাত্মিক জীবনের বিচার নির্ধারিত হয়। স্বর্গলোক ও মর্তলোককে আধ্যাত্মিকভাবে যথাক্রমে ঈশ্বরের নিকটবর্তী ও দূরবর্তী একটি অবস্থান হিসেবে ধরা হয়। এর মাধ্যমে পার্থিব ও পরবর্তী জীবনের মধ্যে সম্পর্ক সাধিত হয়। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে মৃত্যুর পর কোনো পুরস্কার বা শাস্তি প্রদানের বিধান নেই।<ref name="lafd">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Life After Death: A study of the afterlife in world religions | শেষাংশ = Masumian | প্রথমাংশ = Farnaz | প্রকাশক = Oneworld Publications | অবস্থান = Oxford | বছর = 1995 | আইএসবিএন = 1-85168-074-8}}</ref>


== অনুশাসন ==
== অনুশাসন ==
{{মূল নিবন্ধ|বাহাই অনুশাসন}}
{{মূল নিবন্ধ|বাহাই অনুশাসন}}
=== সারসংক্ষেপ ===
ধরয
১৯২১ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত বাহাই ধর্মের প্রধান ধর্মীয় নেতা [[শোঘি এফেন্দি]] নিচে বর্ণিত সারসংক্ষেপটি লিখেছিলেন, যাকে বাহাউল্লাহর প্রবর্তিত অনুশাসনের পার্থক্যসূচক একটি নীতিমালা হিসেবে ধরা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, [[কিতাব-ই-আকদাস|কিতাব-ই-আকদাসে]] প্রবর্তিত আইন ও বিধিমালা অনুসারে বাহাই ধর্মের মূল ত্বত্ত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে:


{{quote|{{lang|en|The independent search after truth, unfettered by superstition or tradition; the oneness of the entire human race, the pivotal principle and fundamental doctrine of the Faith; the basic unity of all religions; the condemnation of all forms of prejudice, whether religious, racial, class or national; the harmony which must exist between religion and science; the equality of men and women, the two wings on which the bird of humankind is able to soar; the introduction of compulsory education; the adoption of a universal auxiliary language; the abolition of the extremes of wealth and poverty; the institution of a world tribunal for the adjudication of disputes between nations; the exaltation of work, performed in the spirit of service, to the rank of worship; the glorification of justice as the ruling principle in human society, and of religion as a bulwark for the protection of all peoples and nations; and the establishment of a permanent and universal peace as the supreme goal of all mankind—these stand out as the essential elements [which Bahá'u'lláh proclaimed].}}<ref>{{বই উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=Shoghi |শেষাংশ=Effendi |লেখক-সংযোগ=Shoghi Effendi |বছর=1944 |শিরোনাম=God Passes By |প্রকাশক=Bahá'í Publishing Trust |অবস্থান=Wilmette, Illinois, US |আইএসবিএন=0877430209 |ইউআরএল=http://reference.bahai.org/en/t/se/GPB/gpb-20.html#gr7 | পাতাসমূহ=281–2}}</ref>}}
ররমযর


=== সামাজিক নীতিমালা ===
থদ
নিচের নীতিমালাগুলো বাহাই অনুশাসনের উল্লেখ করতে গিয়ে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। এগুলো এসেছে বাহাই ধর্মগুরু [[আবদুল-বাহা]]’র বক্তৃতা থেকে। ১৯১২ সালে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা সফরকালে তিনি এই নীতিমালাগুলোর উল্লেখ করেছিলেন।<ref name="PSmith52">{{Harvnb|Smith|2008|pp=52–53}}</ref><ref name="bcom">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Principles of the Bahá'í Faith | প্রকাশক= bahai.com | তারিখ=2006-03-26 | ইউআরএল = http://www.bahai.com/Bahaullah/principles.htm | সংগ্রহের-তারিখ = 2006-06-14}}</ref> এই তালিকাটি কোনো কর্তৃপক্ষীয় নীতিমালা হয়, এবং এধরনের আরও কিছু তালিকা প্রচলনও রয়েছে।<ref name="bcom" /><ref name="EoI" /><ref name="iranica2">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি |বিশ্বকোষ= Encyclopædia Iranica |বছর= 1989 |নিবন্ধ=Bahai Faith | প্রথমাংশ = Juan | শেষাংশ = Cole | লেখক-সংযোগ = Juan Cole | ইউআরএল = http://www.iranica.com/newsite/articles/v3f4/v3f4a100a.html}}</ref>

* [[বাহাই ধর্মে ঈশ্বর|ঈশ্বরের ঐক্য]]
* [[বাহাই ধর্ম ও ধর্মের ঐক্য|ধর্মের ঐক্য]]
* [[বাহাই ধর্ম ও মানবতার ঐক্য|মানবতার ঐক্য]]
* [[বাহাই ধর্ম ও লিঙ্গের সমতা|নারী-পুরুষ সমতা]]
* [[বাহাই ধর্ম ও মানবতার ঐক্য|সকল রীতি ও সংস্কার বর্জন]]
* [[বৈশ্বিক শান্তি]]
* [[বাহাই ধর্ম ও বিজ্ঞান|ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে সাদৃশ্য]]
* সত্যের স্বাধীন অনুসন্ধান
* [[বাহাই ধর্ম ও শিক্ষা|বৈশ্বিকভাবে বাধ্যতামূলক শিক্ষা]]
* [[বাহাই ধর্ম ও সহায়ক ভাষা|বৈশ্বিকভাবে সহায়ক ভাষা]]
* সরকারের প্রতি আনুগত্য ও গোঁড়া রাজনীতি থেকে দূরে থাকা<ref>See for example: [http://www.bahaistudies.net/nonpolitical.html Political Non-involvement and Obedience to Government - A compilation of some of the Messages of the Guardian and the Universal House of Justice] (compiled by Dr. Peter J. Khan)</ref>
* অতিরিক্ত সম্পদ ও দারিদ্র বর্জন

<!-- === আধ্যাত্মিক অনুশাসন ===
=== আইনত চুক্তিনামা ===

== ধর্মগ্রন্থ ==
== ইতিহাস ==
=== দ্য বাব ===
=== বাহাউল্লাহ ===
=== আবদুল-বাহা ===
=== বাহাই প্রশাসন ===
=== আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা === -->
== জনপরিসংখ্যান ==
{{মূল নিবন্ধ|দেশ অনুযায়ী বাহাই ধর্ম}}
{{আরো দেখুন|বাহাই পরিসংখ্যান}}
{{আরো দেখুন|বাহাইদের তালিকা}}

[[চিত্র:New delhi temple.jpg|thumb|250px|ভারতের দিল্লিতে [[বাহাই হাউস অফ ওরশিপ]], ভারতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লক্ষ দর্শনার্থী এটি পরিদর্শন করেন। এটি [[পদ্ম মন্দির]] নামে জনপ্রিয়]]
বাহাইদের প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুসারে ১৯৮৬ সালে বিশ্বে বাহাই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ছিলো ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার, এবং বৃদ্ধির হার ছিলো ৪.৪%।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Dr. Rabbani | প্রথমাংশ = Ahang | coauthors = Department of Statistics at the Bahá'í World Centre in Haifa, Israel | শিরোনাম = Achievements of the Seven Year Plan | সংবাদপত্র = Bahá'í News | অবস্থান = Bahá'í World Center, Haifa | ভাষা = | প্রকাশক = Bahá'í International Community | তারিখ = July 1987| ইউআরএল = http://ahang.rabbani.googlepages.com/Rabbani_Achievements_of_the_Seven_Year_Plan.pdf | পাতাসমূহ = 2–7| সংগ্রহের-তারিখ = 2009-10-04}}</ref> বাহাই সূত্রমতে ১৯৯১ পর্যন্ত সারা বিশ্বে বাহাই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Statistics |লেখক=Bahá'í International Community | প্রকাশক = Bahá'í International Community |বছর = 2010 |সংগ্রহের-তারিখ = 2010-03-05 |ইউআরএল= http://news.bahai.org/media-information/statistics/}}</ref> ''ওয়ার্ল্ড ক্রিশ্চিয়ান এনসাইক্লোপিডিয়া'', ২০০১ সালের এক জরিপে ([http://www.bible.ca/global-religion-statistics-world-christian-encyclopedia.htm পৃ. ৪]) প্রকাশ করে যে, ২০০০ সালে বিশ্বে বাহাই অনুসারীর ছিলো সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ ১০ হাজার, এবং ২১৮টি দেশে এদের অনুসারী রয়েছে।

বাহাই ধর্মের উৎপত্তিস্থল [[পারস্য সাম্রাজ্য|পারস্য]] ও [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয়]] সাম্রাজ্য পেরিয়ে, বিশ শতকের দিকে [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ]] ও [[দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া]], [[ইউরোপ]], ও [[উত্তর আমেরিকা|উত্তর আমেরিকায়]] কিছু সংখ্যক ধর্মান্তরিত বাহাইয়ের অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু ১৯৫০ থেকে ১৯৬০-এর দশকের মধ্যে বাহাই গোষ্ঠীর বড় ধরনের ধর্মীয় প্রচারণার ফলে বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ও অঞ্চলে এই ধর্মের অনুসারীরা ছড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০-এর দশকে বাহাইরা নিজেদের মধ্যে একতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বড় ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ২১ শতকের গোড়ার দিকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় অঙ্কের মানুষ এ ধর্ম গ্রহণ করে। বর্তমানে বাহাই ধর্ম ইরানের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়।<ref name="fdih1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | তারিখ = 2003-08-01 | শিরোনাম = Discrimination against religious minorities in Iran | লেখক = International Federation for Human Rights | প্রকাশক = fdih.org | সংগ্রহের-তারিখ = 2006-10-20|ইউআরএল = http://www.fidh.org/IMG/pdf/ir0108a.pdf|বিন্যাস=[[PDF]]}}</ref>

''[[ওয়ার্ল্ড অ্যালামনাক|দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যালামনাক অ্যান্ড বুক অফ ফ্যাক্টস ২০০৪]]'' অনুসারে:
{{quote|{{lang|en|The majority of Bahá'ís live in Asia (3.6 million), Africa (1.8 million), and Latin America (900,000). According to some estimates, the largest Bahá'í community in the world is in India, with 2.2 million Bahá'ís, next is Iran, with 350,000, and the US, with 150,000. Aside from these countries, numbers vary greatly. Currently, no country has a Bahá'í majority.}}<ref>{{বই উদ্ধৃতি |বছর = 2004 |শিরোনাম = World Almanac and Book of Facts |প্রকাশক = World Almanac Books |অবস্থান = New York, United States |আইএসবিএন = 0886879108 |লেখক = edited by Ken Park. }}</ref>}}

''দ্য ব্রিটানিকা বুক অফ দ্য ইয়ার'' (১৯৯২-বর্তমান) বইটি ২০০২ সালে দেশের উপস্থিতির সংখ্যাকে ভিত্তি করে ধর্মের বর্ধনশীলতার একটি হার প্রকাশ করেছে। এই জরিপ অনুসারে বাহাই ধর্ম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বর্ধনশীল স্বাধীন ধর্ম। ব্রিটানিকা দাবি করেছে বিশ্বের ২৪৭টি দেশ ও স্থানে এই ধর্মের অস্তিত্ব আছে। সেই সাথে বিশ্বে প্রায় ২,১০০ জাতিগত, বর্ণভিত্তিক, ও উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধর্মের অনুসারী রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের প্রায় ৮০০টি ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে এই ধর্মের অস্তিত্ব বিদ্যমান, এবং সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী এই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ।<ref name="britannica_stats">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Worldwide Adherents of All Religions by Six Continental Areas, Mid-2002 |লেখক=Encyclopædia Britannica | প্রকাশক = Encyclopædia Britannica |বছর = 2002 |সংগ্রহের-তারিখ = 2006-05-31 |ইউআরএল= http://web.archive.org/web/20071212134124/http://www.britannica.com/eb/table?tocId=9394911}}</ref>

২০০৭ সালে এফপি ম্যাগাজিনের এক জরিপ অনুসারে বিশ্বে বাহাই ধর্মের অনুসারী বৃদ্ধির হার ১.৭%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | লেখক = FP Magazine | প্রকাশক = FP |শিরোনাম = The List: The World’s Fastest-Growing Religions | তারিখ =2007-05-01 | সংগ্রহের-তারিখ = 2008-05-05 | ইউআরএল = http://www.foreignpolicy.com/story/cms.php?story_id=3835}}
</ref>

<!-- == সামাজিক চর্চা ==
=== আইন ===
=== বিয়ে ===
=== কর্ম ===
=== তীর্থস্থান ===
=== বর্ষপঞ্জি ===
=== প্রতীক ===
=== আর্থসামাজিক উন্নয়ন ===
=== জাতিসংঘ === -->

== হয়রানি ==
[[চিত্র:Cemetery of yazd.jpg|thumb|250px|সরকার কর্তৃক গুড়িয়ে দেবার পর ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে বাহাইদের একটি কবরস্থান]]
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে বাহাইরা বারবার হয়রানি ও নানাবিধ প্রতিকূলতার শিকার হয়ে আসছে।, কারণ মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বাহাই ধর্মকে একটি স্বাধীন ধর্ম হিসেবে মানেন না। বাহাইদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় মাপের হয়রানিগুলো সংগঠিত হয়েছে ধর্মটির উৎসভূমি ইরানে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৮ সালের মধে সেখানে ২০০ জনেরও বেশি বাহাইকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।<ref name="fdih1"/> এছাড়া বাহাইদের ধর্মীয় অধিকার আরও অনেক দেশেই বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝে চালিত হয়। এসকল দেশের মধ্যে আছে [[আফগানিস্তান]],<ref name="afghan">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2009/127362.htm |শিরোনাম= Afghanistan: International Religious Freedom Report |লেখক=United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor |প্রকাশক=U.S. State Department |সংগ্রহের-তারিখ=2010-04-20|তারিখ=October 26, 2009
}}</ref> [[আলজেরিয়া]], [[ইন্দোনেশিয়া]],<ref name="indonesia1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2001/5686.htm |শিরোনাম=Indonesia: International Religious Freedom Report |লেখক=United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor |প্রকাশক=U.S. State Department |সংগ্রহের-তারিখ=2007-03-03 |তারিখ=2001-10-26}}</ref><ref name="indonesia2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2009/127271.htm |শিরোনাম=Indonesia: International Religious Freedom Report |লেখক=United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor |প্রকাশক=U.S. State Department |সংগ্রহের-তারিখ=2010-04-19|তারিখ=October 26, 2009
}}</ref> [[ইরাক]],<ref name="Iraq">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2009/127348.htm |শিরোনাম= Iraq: International Religious Freedom Report |লেখক=United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor |প্রকাশক=U.S. State Department |সংগ্রহের-তারিখ=2010-04-20|তারিখ=October 26, 2009
}}</ref> [[মরক্কো]],<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.unhchr.ch/tbs/doc.nsf/(Symbol)/22916182b5219ed6c1256b58004f363e?Opendocument|শিরোনাম=Concluding observations of the Committee on the Elimination of Racial Discrimination : Morocco |প্রকাশক=Office of the High Commissioner for Human Rights |তারিখ=1994-04-03 |সংগ্রহের-তারিখ=2007-03-03 |লেখক=Committee on the Elimination of Racial Discrimination}} see paragraphs 215 and 220.</ref> এবং [[সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা|সাহারা-নিম্ন আফ্রিকার]] বিভিন্ন দেশ।<ref name="smith">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bahai-library.com/momen_smith_developments_1957-1988 |শিরোনাম=The Bahá'í Faith 1957-1988: A Survey of Contemporary Developments |প্রথমাংশ=Peter |শেষাংশ=Smith |সাময়িকী=Religion |বছর=1989 |খণ্ড=19 |পাতাসমূহ=63–91 |ডিওআই=10.1016/0048-721X(89)90077-8 |সূত্র=harv}}</ref>

<!-- === ইরান ===
=== মিশর ===
=== প্রতিবাদ ===
== আরও দেখুন == -->


== টীকা ==
== টীকা ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
{{সূত্র তালিকা|2}}


== তথ্যসূত্র ==
লল
<div class="references-small">
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=`Abdu'l-Bahá
|লেখক-সংযোগ=`Abdu'l-Bahá
|বছর=1978
|সম্পাদক-শেষাংশ = Gail
|শিরোনাম=Selections From the Writings of `Abdu'l-Bahá
|প্রকাশক=Bahá'í Publishing Trust
|স্থান=Wilmette, Illinois, US
|আইএসবিএন=0853980845
|ইউআরএল=http://reference.bahai.org/en/t/ab/SAB/
|লেখক=compiled by the Research Department of the Universal House of Justice ; translated by a committee at the Baháʼí World Centre and by Marzieh Gail. | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=`Abdu'l-Bahá
|লেখক-সংযোগ=`Abdu'l-Bahá
|সম্পাদক-শেষাংশ=Browne
|সম্পাদক-প্রথমাংশ=E.G.
|বছর=1891
|শিরোনাম=A Traveller's Narrative: Written to illustrate the episode of the Bab
|প্রকাশক= Cambridge University Press
|ইউআরএল= http://www.h-net.org/~bahai/diglib/books/A-E/B/browne/tn/hometn.htm | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=`Abdu'l-Bahá
|লেখক-সংযোগ=`Abdu'l-Bahá
|বছর=1921
|প্রকাশনার-তারিখ=1992
|শিরোনাম=The Will And Testament of ‘Abdu’l-Bahá
|প্রকাশক=Bahá'í Publications Australia
|স্থান=Mona Vale, NSW, Australia
|আইএসবিএন=0909991472
|ইউআরএল=http://reference.bahai.org/en/t/ab/WT/ | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Britannica
|বছর = 1992
|অবদান = The Bahá'í Faith
|শিরোনাম = Britannica Book of the Year
|স্থান = Chicago
|আইএসবিএন = 0852294867
|লেখক = editors, Daphne Daume, Louise Watson.
|প্রকাশক = Encyclopaedia Britannica
|অবস্থান = Chicago | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
| প্রথমাংশ = Juan
| শেষাংশ = Cole
| বছর = 1982
| শিরোনাম = The Concept of Manifestation in the Bahá'í Writings
| সাময়িকপত্র = Bahá'í Studies
| খণ্ড = monograph 9
| পাতাসমূহ = 1–38
| ইউআরএল = http://bahai-library.com/cole_concept_manifestation | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|প্রথমাংশ=Shoghi
|শেষাংশ=Effendi
|লেখক-সংযোগ=Shoghi Effendi
|বছর=1944
|প্রকাশনার-তারিখ= 1979
|শিরোনাম=God Passes By
|প্রকাশক=Bahá'í Publishing Trust
|স্থান=Wilmette, Illinois, US
|আইএসবিএন=0877430209
|ইউআরএল=http://reference.bahai.org/en/t/se/GPB/gpb-9.html#gr26 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Esslemont
|প্রথমাংশ= John
|বছর= 1923
|প্রকাশনার-তারিখ=1980
|শিরোনাম= Bahá'u'lláh and the New Era
|সংস্করণ= 5th
|প্রকাশক=Bahá'í Publishing Trust
|স্থান=Wilmette, Illinois, US
|আইএসবিএন= 0877431604
|ইউআরএল= http://reference.bahai.org/en/t/je/BNE/ | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Hatcher
|প্রথমাংশ= John S.
|বছর= 2005
|শিরোনাম= Unveiling the Hurí of Love
|সাময়িকপত্র=Journal of Bahá'í Studies
|খণ্ড=15
|সংখ্যা নং= 1
|পাতাসমূহ = 1–38 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=Hatcher
|প্রথমাংশ=W.S.
|শেষাংশ২=Martin
|প্রথমাংশ২=J.D.
|বছর= 1998
|শিরোনাম=The Bahá'í Faith: The Emerging Global Religion
|প্রকাশক=Harper & Row
|অবস্থান=New York, NY
|আইএসবিএন= 0060654414 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Heggie
|প্রথমাংশ=James
|বছর= 1986
|শিরোনাম= Bahá'í References to Judaism, Christianity and Islam
|প্রকাশক= George Ronald
|অবস্থান=Oxford, UK
|আইএসবিএন= 0853982422 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Houghton
|বছর = 2004
|অবদান = Bahaism
|শিরোনাম = The American Heritage Dictionary of the English Language
|সংস্করণ = 4th
|প্রকাশক = Houghton Mifflin Company
|ইউআরএল = http://dictionary.reference.com/browse/bahaism | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=Lewis
|প্রথমাংশ=Bernard
|বছর=1984
|শিরোনাম=[[The Jews of Islam]]
|প্রকাশক=Princeton University Press
|স্থান=Princeton
|আইএসবিএন=0691008078 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Hutter
|প্রথমাংশ = Manfred
|সম্পাদক-শেষাংশ = Jones
|সম্পাদক-প্রথমাংশ = Lindsay
|শিরোনাম = Encyclopedia of Religion
|অবদান = Bahā'īs
|সংস্করণ = 2nd
|বছর = 2005
|প্রকাশক = Macmillan Reference US
|খণ্ড = 2
|স্থান = Detroit
|আইএসবিএন = 0028657330
|পাতাসমূহ = 737–740 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|প্রথমাংশ=Michael D.
|শেষাংশ=McMullen
|বছর=2000
|শিরোনাম=The Baha'i: The Religious Construction of a Global Identity
|প্রকাশক=Rutgers University Press
|স্থান=Atlanta, Georgia
|আইএসবিএন= 0813528364 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Momen
|প্রথমাংশ = Moojan
|সম্পাদক-শেষাংশ = Partridge
|সম্পাদক-প্রথমাংশ = Christopher H.
|শিরোনাম = New Lion Handbook: The World's Religions
|অবদান = The Bahá'í Faith
|সংস্করণ = 3rd
|বছর = 2007
|প্রকাশক = Lion Hudson Plc
|স্থান = Oxford, UK
|আইএসবিএন = 0745952666 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Momen
|প্রথমাংশ=Moojan
|বছর= 1994
|শিরোনাম= Buddhism and the Bahá'í Faith
|প্রকাশক= George Ronald
|স্থান=Oxford, UK
|আইএসবিএন= 0853983844 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Momen
|প্রথমাংশ=Moojan
|বছর= 1990
|শিরোনাম= Hinduism and the Bahá'í Faith
|প্রকাশক= George Ronald
|স্থান=Oxford, UK
|আইএসবিএন= 0853982996 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Momen
|প্রথমাংশ=Moojan
|বছর= 2000
|শিরোনাম= Islam and the Bahá'í Faith, An Introduction to the Bahá'í Faith for Muslims
|প্রকাশক=George Ronald
|স্থান=Oxford, UK
|আইএসবিএন= 0-853984468 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ=Motlagh
|প্রথমাংশ=Hudishar
|বছর=1992
|শিরোনাম=I Shall Come Again
|প্রকাশক=Global Perspective
|আইএসবিএন=0-937661-01-5 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Schaefer
|প্রথমাংশ = Udo
|লেখক-সংযোগ = Udo Schaefer
|বছর = 2000
|শিরোনাম = Making the Crooked Straight: A Contribution to Bahá'í Apologetics
|প্রকাশক = George Ronald
|স্থান = Oxford, UK
|আইএসবিএন = 0-85398-443-3
|ইউআরএল = http://openlibrary.org/b/OL22492199M/Making-the-crooked-straight
|সূত্র = harv
}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}
* {{বই উদ্ধৃতি
| শেষাংশ = Smith
| প্রথমাংশ = Peter
| বছর = 2008
| শিরোনাম = An Introduction to the Baha'i Faith
| প্রকাশক = Cambridge University Press
| স্থান = Cambridge
| ইউআরএল = http://books.google.com/?id=z7zdDFTzNr0C
| আইএসবিএন=0521862515 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ = Smith
|প্রথমাংশ = P.
|বছর = 2000
|শিরোনাম = A Concise Encyclopedia of the Bahá'í Faith
|প্রকাশক = Oneworld Publications
|অবস্থান = Oxford, UK
|আইএসবিএন = 1851681841
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
| অধ্যায় = The Baha'is of the United States
| প্রথমাংশ = Robert H.
| শেষাংশ = Stockman
| শিরোনাম = Introduction to New and Alternative Religions in America: Asian Traditions
| খণ্ড =4
| সম্পাদক-প্রথমাংশ = Eugene V.
| সম্পাদক-শেষাংশ = Gallagher
| সম্পাদক২-প্রথমাংশ= W. Michael
| সম্পাদক২-শেষাংশ = Ashcraft
| আইএসবিএন= 0-275-98712-4
| বছর = 2006
| প্রকাশক = Greenwood Press
| অবস্থান = Westport, Conn. | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|প্রথমাংশ=George
|শেষাংশ=Townshend
|লেখক-সংযোগ=George Townshend (Bahá'í)
|বছর=1966
|শিরোনাম=Christ and Bahá’u’lláh
|প্রকাশক=George Ronald
|স্থান=Oxford, UK
|আইএসবিএন=0853980055 | সূত্র = harv
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|শেষাংশ= Universal House of Justice
|লেখক-সংযোগ= Universal House of Justice
|বছর= 2001
|শিরোনাম= Century of Light
|প্রকাশক=Bahá'í Publishing Trust
|স্থান=Wilmette, Illinois, US
|আইএসবিএন= 0877432945
|ইউআরএল= http://reference.bahai.org/en/t/bic/COL/ | সূত্র = harv
}}
</div>

== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Bahá'í Faith|বাহাই ধর্ম}}
* [http://www.bahai.org/ The Bahá'í Faith] - The international website of the Bahá'ís of the world


[[বিষয়শ্রেণী:বাহাই ধর্ম]]
যথৎথৎথৎৎ
[[বিষয়শ্রেণী:একেশ্বরবাদী ধর্ম]]

১৫:৫৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিট অফ দ্য ইউনিভার্সাল হাউস অফ জাস্টিস, বাহাইদের পরিচালনা পর্ষদ, হাইফা, ইসরাইল
সর্বশ্রেষ্ঠ নামের (বাহা) ক্যালিগ্রাফি।

বাহাই ধর্ম বা বাহাই বিশ্বাস হচ্ছে বাহাউল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একেশ্বরবাদী একটি ধর্ম বা বিশ্বাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পারস্যে (বর্তমানে ইরান) এই ধর্মের উৎপত্তি। মূলত মানবজাতির আত্মিক ঐক্য হচ্ছে এই ধর্মের মূল ভিত্তি।[১] বিশ্বে বর্তমানে ২০০-এর বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ধর্মের আনুমানিক প্রায় ৬০ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।[২][৩]

বাহাই বিশ্বাস অনুসারে ধর্মীয় ইতিহাস স্বর্গীয় দূতদের ধারাবাহিক আগমণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। এইসব দূতদের প্রত্যেকে তাদের সময়কার মানুষদের সামর্থ্য ও সময় অনুসারে একটি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সকল স্বর্গীয় দূতদের মাঝে আছেন ইব্রাহিম, গৌতম বুদ্ধ, যীশু, মুহাম্মাদ ও অন্যান্যরা। সেই সাথে খুব সাম্প্রতিককালে বাববাহাউল্লাহ। বাহাই ধর্ম মতে এসকল দূতগণ প্রত্যেকেই তাদের পরবর্তী দূত আসার ব্যাপারে, ও তাদেরকে অনুসরণ করতে বলে গেছেন। এবং বাহাউল্লার জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে দূতগণের এই ধারা ও পূববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলোর অঙ্গীকার সম্পূর্ণ হয়েছে। মানবতা সমষ্টিগত বিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ধরা হয়েছে, এবং বৈশ্বিক মাপকাঠিতে সার্বিকভাবে শান্তি, সুবিচার ও ঐক্য প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয়তা।[৪]

‘বাহাই’ (উচ্চারণ: bəˈhaɪ)[৫] শব্দটি একটি বিশেষণ হিসেবে বাহাই বিশ্বাস বা ধর্মকে নির্দেশ করতে বা বাহাউল্লার অনুসারীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি উদ্ভূত হয়েছে আরবি বাহা’ থেকে, যার অর্থ ‘মহিমা’ বা ‘উজ্জলদীপ্তি’।[৬] ধর্মটিকে নির্দেশ করতে পূর্বে বাহাইজম বা বাহাইবাদ পরিভাষাটি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে ধর্মটির সঠিক নাম বাহাই বিশ্বাস।[৭][৮]

বিশ্বাস

বাহাই শিক্ষা ও মতবাদের ভিত্তি তিনটি মূল নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঈশ্বরের ঐক্য, ধর্মীয় ঐক্য, এবং মানবজাতির ঐক্য[৩] এসকল স্বীকার্য থেকে এই বিশ্বাসটি অর্জিত হয় যে, ঈশ্বর নির্দিষ্ট সময় পর পর তাঁর ইচ্ছা স্বর্গীয় দূতদের মাধ্যমে ব্যক্ত করেন। আর এসকল দূতগণের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানবজাতির চরিত্র পরিবর্তন ও উন্নয়ন। এছাড়াও যাঁরা এতে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের কল্যাণ, এবং নৈতিক ও আত্মিক গুণের বিকাশ। এর ফলে ধর্মের ধারণাটি পরিবর্তিত হয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক, একত্রীকৃত, ও বিকাশমান একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, যা যুগ থেকে যুগে পরিবর্তিত হয়।[৯]

ঈশ্বর

বাহাই মন্দির, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিননয় অঙ্গরাজ্যের উইলমেটে বাহাই হাউস অফ ওরশিপের গাঁথুনিতে বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক

বাহাইদের ধর্মীয় পুস্তকে ঈশ্বর হচ্ছেন একক, ব্যক্তিগত, অগম্য, সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী, অক্ষয়, এবং অবিনশ্বর একটি স্বত্বা, যিনি বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা।[১০][১১] ঈশ্বরের ও মহাবিশ্বের উপস্থিতিকে চিরকালব্যাপী মনে করা হয়, যার কোনো সূচনা বা পরিণতি নেই।[১২] যদিও সরাসরিভাবে ঈশ্বরকে অনুভব করা সম্ভব নয়, তবে তাঁকে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে স্বজ্ঞা দ্বারা অনুভব করা সম্ভব। আর এজন্য ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন, যা প্রকাশ পায় দূতগণের পরিভাষায় ঈশ্বরের সুস্পষ্টকরণের মাধ্যমে।[১০][১৩]

ধর্ম

বাহাই ধর্ম বিশ্বের প্রায় সকল ধর্মের বৈধতায় বিশ্বাস করে, এবং সকল ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে ঈশ্বরের প্রতিনিধি। ধর্মীয় ইতিহাস হচ্ছে ধর্মগুলোর ধারাবাহিক বণ্টন। এখানে প্রত্যেকে ধর্মের প্রত্যেক প্রতিনিধি ঐ সময় ও স্থানের জন্য আরও ব্যাপক ও প্রাগ্রসর ধারণার প্রবর্তন করেন।[১২] সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় সামাজিক শিক্ষাগুলো (যেমন: প্রার্থনার নিয়ম, মৃত্যুপরবর্তী নিয়মকানুন ইত্যাদি) বর্তমান বা পরবর্তী দূতের মাধ্যমে পরবর্তিত হতে পারে। এভাবে পরবর্তী সময় ও স্থানের জন্য প্রযোজ্য আরও সঠিক একটি নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য, সুনির্দিষ্ট কিছু সাধারণ নীতি (যেমন: প্রতিবেশীর প্রতি আচরণ, দাতব্য কর্মকাণ্ড ইত্যাদি) রয়েছে যেগুলো সর্বজনীন ও স্থায়ী। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে সদা অগ্রসরমানতার এই প্রক্রিয়া কখনও শেষ হবে না, যদিও বিশ্বাস করা হয় এটি চক্রাকারে ফিরে আসে। এছাড়া বাহাইরা তাঁদের বর্তমান দূত বাহাউল্লাহ’র আবির্ভাবের ১০০০ বছরের মধ্যে ঈশ্বরের আর কোনো দূতের আবির্ভাবে বিশ্বাস করে না।[১৪][১৫]

মানবজাতি

রিংস্টোন প্রতীক ঈশ্বর ও মানবতার মধ্যে সংযোগ প্রদর্শন করে

বাহাই পুস্তক বলে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটি ‘বিচাবুদ্ধিক্ষম সত্ত্বা’ রয়েছে, যা এই প্রজাতিকে ঈশ্বরকে চেনার এবং মানবতার সাথে এর স্রষ্টার সম্পর্ককে বোঝার একটি নিখুঁত সামর্থ্য প্রদান করেছে। প্রত্যেক মানুষের কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্বও রয়েছে। যার মধ্যে আছে ঈশ্বর কর্তৃক প্রবর্তিত দূতগণের মাধ্যমে ঈশ্বরকে চেনা ও তাঁদের প্রদত্ত শিক্ষাকে গ্রহণ করা।[১৬] বাহাই পুস্তক অনুসারে, এই পরিচয় ও আনুগত্যের মাধ্যমে, এবং মানবতার জন্য কাজ করা ও নিয়মিত প্রার্থনার ফলে মানুষ ঈশ্বরের আরও নিকটবর্তী হতে থাকে। এটি বাহাই বিশ্বাসের একটি আধ্যাত্মিক লক্ষ্য। যখন কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করে, আত্মা পরবর্তী জগতে পদার্পণ করে। সেখানে কোনো আত্মার আত্মিক উন্নয়ন সম্ভব, যা নির্ভর করে পার্থিব জীবনের কৃত কর্মকাণ্ডের ওপর। পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ডকে ভিত্তি করেই পরবর্তী আধ্যাত্মিক জীবনের বিচার নির্ধারিত হয়। স্বর্গলোক ও মর্তলোককে আধ্যাত্মিকভাবে যথাক্রমে ঈশ্বরের নিকটবর্তী ও দূরবর্তী একটি অবস্থান হিসেবে ধরা হয়। এর মাধ্যমে পার্থিব ও পরবর্তী জীবনের মধ্যে সম্পর্ক সাধিত হয়। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে মৃত্যুর পর কোনো পুরস্কার বা শাস্তি প্রদানের বিধান নেই।[১৭]

অনুশাসন

সারসংক্ষেপ

১৯২১ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত বাহাই ধর্মের প্রধান ধর্মীয় নেতা শোঘি এফেন্দি নিচে বর্ণিত সারসংক্ষেপটি লিখেছিলেন, যাকে বাহাউল্লাহর প্রবর্তিত অনুশাসনের পার্থক্যসূচক একটি নীতিমালা হিসেবে ধরা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, কিতাব-ই-আকদাসে প্রবর্তিত আইন ও বিধিমালা অনুসারে বাহাই ধর্মের মূল ত্বত্ত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে:

The independent search after truth, unfettered by superstition or tradition; the oneness of the entire human race, the pivotal principle and fundamental doctrine of the Faith; the basic unity of all religions; the condemnation of all forms of prejudice, whether religious, racial, class or national; the harmony which must exist between religion and science; the equality of men and women, the two wings on which the bird of humankind is able to soar; the introduction of compulsory education; the adoption of a universal auxiliary language; the abolition of the extremes of wealth and poverty; the institution of a world tribunal for the adjudication of disputes between nations; the exaltation of work, performed in the spirit of service, to the rank of worship; the glorification of justice as the ruling principle in human society, and of religion as a bulwark for the protection of all peoples and nations; and the establishment of a permanent and universal peace as the supreme goal of all mankind—these stand out as the essential elements [which Bahá'u'lláh proclaimed].[১৮]

সামাজিক নীতিমালা

নিচের নীতিমালাগুলো বাহাই অনুশাসনের উল্লেখ করতে গিয়ে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। এগুলো এসেছে বাহাই ধর্মগুরু আবদুল-বাহা’র বক্তৃতা থেকে। ১৯১২ সালে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা সফরকালে তিনি এই নীতিমালাগুলোর উল্লেখ করেছিলেন।[১৯][২০] এই তালিকাটি কোনো কর্তৃপক্ষীয় নীতিমালা হয়, এবং এধরনের আরও কিছু তালিকা প্রচলনও রয়েছে।[২০][২১][২২]

জনপরিসংখ্যান

ভারতের দিল্লিতে বাহাই হাউস অফ ওরশিপ, ভারতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লক্ষ দর্শনার্থী এটি পরিদর্শন করেন। এটি পদ্ম মন্দির নামে জনপ্রিয়

বাহাইদের প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুসারে ১৯৮৬ সালে বিশ্বে বাহাই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ছিলো ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার, এবং বৃদ্ধির হার ছিলো ৪.৪%।[২৪] বাহাই সূত্রমতে ১৯৯১ পর্যন্ত সারা বিশ্বে বাহাই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি।[২৫] ওয়ার্ল্ড ক্রিশ্চিয়ান এনসাইক্লোপিডিয়া, ২০০১ সালের এক জরিপে (পৃ. ৪) প্রকাশ করে যে, ২০০০ সালে বিশ্বে বাহাই অনুসারীর ছিলো সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ ১০ হাজার, এবং ২১৮টি দেশে এদের অনুসারী রয়েছে।

বাহাই ধর্মের উৎপত্তিস্থল পারস্যউসমানীয় সাম্রাজ্য পেরিয়ে, বিশ শতকের দিকে দক্ষিণদক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ, ও উত্তর আমেরিকায় কিছু সংখ্যক ধর্মান্তরিত বাহাইয়ের অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু ১৯৫০ থেকে ১৯৬০-এর দশকের মধ্যে বাহাই গোষ্ঠীর বড় ধরনের ধর্মীয় প্রচারণার ফলে বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ও অঞ্চলে এই ধর্মের অনুসারীরা ছড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০-এর দশকে বাহাইরা নিজেদের মধ্যে একতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বড় ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ২১ শতকের গোড়ার দিকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় অঙ্কের মানুষ এ ধর্ম গ্রহণ করে। বর্তমানে বাহাই ধর্ম ইরানের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়।[২৬]

দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যালামনাক অ্যান্ড বুক অফ ফ্যাক্টস ২০০৪ অনুসারে:

The majority of Bahá'ís live in Asia (3.6 million), Africa (1.8 million), and Latin America (900,000). According to some estimates, the largest Bahá'í community in the world is in India, with 2.2 million Bahá'ís, next is Iran, with 350,000, and the US, with 150,000. Aside from these countries, numbers vary greatly. Currently, no country has a Bahá'í majority.[২৭]

দ্য ব্রিটানিকা বুক অফ দ্য ইয়ার (১৯৯২-বর্তমান) বইটি ২০০২ সালে দেশের উপস্থিতির সংখ্যাকে ভিত্তি করে ধর্মের বর্ধনশীলতার একটি হার প্রকাশ করেছে। এই জরিপ অনুসারে বাহাই ধর্ম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বর্ধনশীল স্বাধীন ধর্ম। ব্রিটানিকা দাবি করেছে বিশ্বের ২৪৭টি দেশ ও স্থানে এই ধর্মের অস্তিত্ব আছে। সেই সাথে বিশ্বে প্রায় ২,১০০ জাতিগত, বর্ণভিত্তিক, ও উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধর্মের অনুসারী রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের প্রায় ৮০০টি ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে এই ধর্মের অস্তিত্ব বিদ্যমান, এবং সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী এই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ।[২৮]

২০০৭ সালে এফপি ম্যাগাজিনের এক জরিপ অনুসারে বিশ্বে বাহাই ধর্মের অনুসারী বৃদ্ধির হার ১.৭%।[২৯]


হয়রানি

সরকার কর্তৃক গুড়িয়ে দেবার পর ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে বাহাইদের একটি কবরস্থান

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে বাহাইরা বারবার হয়রানি ও নানাবিধ প্রতিকূলতার শিকার হয়ে আসছে।, কারণ মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বাহাই ধর্মকে একটি স্বাধীন ধর্ম হিসেবে মানেন না। বাহাইদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় মাপের হয়রানিগুলো সংগঠিত হয়েছে ধর্মটির উৎসভূমি ইরানে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৮ সালের মধে সেখানে ২০০ জনেরও বেশি বাহাইকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।[২৬] এছাড়া বাহাইদের ধর্মীয় অধিকার আরও অনেক দেশেই বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝে চালিত হয়। এসকল দেশের মধ্যে আছে আফগানিস্তান,[৩০] আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া,[৩১][৩২] ইরাক,[৩৩] মরক্কো,[৩৪] এবং সাহারা-নিম্ন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ।[৩৫]


টীকা

  1. Houghton 2004
  2. See Bahá'í statistics for a breakdown of different estimates.
  3. Hutter 2005, পৃ. 737–740
  4. Smith 2008, পৃ. 107–109
  5. In English ইংরেজি উচ্চারণ: /bəˈhaɪ/ (অসমর্থিত টেমপ্লেট) with two syllables, in Persian ফার্সি: بهائی আ-ধ্ব-ব: [bæhɒːʔiː] with three syllables. The exact realization of the English pronunciation varies. The Oxford English Dictionary has /bæˈhɑːiː/ ba-HAH-ee, Merriam-Webster has /bɑːˈhɑːiː/ bah-HAH-ee, and the Random House Dictionary has /bəˈhɑːiː/ bə-HAH-ee. See Amin Banani: A Baha'i Glossary and Pronunciation Guide ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ মার্চ ২০০৯ তারিখে and Darius Shahrokh: Windows to the Past Series – A Guide to Pronunciation part 1 and 2, for more pronunciation instructions
  6. Bahá'ís prefer the orthographies "Bahá'í", "Bahá'ís", "the Báb", "Bahá'u'lláh", and "`Abdu'l-Bahá", using a particular transcription of the Arabic and Persian in publications. "Bahai", "Bahais", "Baha'i", "the Bab", "Bahaullah" and "Baha'u'llah" are often used when diacriticals are unavailable.
  7. Hatcher ও Martin 1998, পৃ. xiii
  8. Centre for Faith and the Media। A Journalist's Guide to the Baha'i Faith (পিডিএফ)। Calgary, Alberta: Centre for Faith and the Media। পৃষ্ঠা 3। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১০ 
  9. Smith 2008, পৃ. 108–109
  10. Smith 2008, পৃ. 106 উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "PSmith106" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  11. Effendi 1944, পৃ. 139
  12. Britannica 1992
  13. Smith 2008, পৃ. 111–112
  14. McMullen 2000, পৃ. 7
  15. `Abdu'l-Bahá 1978, পৃ. 67
  16. McMullen, Michael D. (২০০০)। The Baha'i: The Religious Construction of a Global Identity। Atlanta, Georgia: Rutgers University Press। পৃষ্ঠা 57–58। আইএসবিএন 0813528364 
  17. Masumian, Farnaz (১৯৯৫)। Life After Death: A study of the afterlife in world religions। Oxford: Oneworld Publications। আইএসবিএন 1-85168-074-8 
  18. Effendi, Shoghi (১৯৪৪)। God Passes By। Wilmette, Illinois, US: Bahá'í Publishing Trust। পৃষ্ঠা 281–2। আইএসবিএন 0877430209 
  19. Smith 2008, পৃ. 52–53
  20. "Principles of the Bahá'í Faith"। bahai.com। ২০০৬-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৬-১৪ 
  21. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; EoI নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  22. Cole, Juan (১৯৮৯)। "Bahai Faith"। Encyclopædia Iranica 
  23. See for example: Political Non-involvement and Obedience to Government - A compilation of some of the Messages of the Guardian and the Universal House of Justice (compiled by Dr. Peter J. Khan)
  24. Dr. Rabbani, Ahang (জুলাই ১৯৮৭)। "Achievements of the Seven Year Plan" (পিডিএফ)Bahá'í News। Bahá'í World Center, Haifa: Bahá'í International Community। পৃষ্ঠা 2–7। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-০৪  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  25. Bahá'í International Community (২০১০)। "Statistics"। Bahá'í International Community। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৫ 
  26. International Federation for Human Rights (২০০৩-০৮-০১)। "Discrimination against religious minorities in Iran" (PDF)। fdih.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২০ 
  27. edited by Ken Park. (২০০৪)। World Almanac and Book of Facts। New York, United States: World Almanac Books। আইএসবিএন 0886879108 
  28. Encyclopædia Britannica (২০০২)। "Worldwide Adherents of All Religions by Six Continental Areas, Mid-2002"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৫-৩১ 
  29. FP Magazine (২০০৭-০৫-০১)। "The List: The World's Fastest-Growing Religions"। FP। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-০৫ 
  30. United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor (অক্টোবর ২৬, ২০০৯)। "Afghanistan: International Religious Freedom Report"। U.S. State Department। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  31. United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor (২০০১-১০-২৬)। "Indonesia: International Religious Freedom Report"। U.S. State Department। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-০৩ 
  32. United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor (অক্টোবর ২৬, ২০০৯)। "Indonesia: International Religious Freedom Report"। U.S. State Department। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-১৯ 
  33. United States Bureau of Democracy, Human Rights, and Labor (অক্টোবর ২৬, ২০০৯)। "Iraq: International Religious Freedom Report"। U.S. State Department। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  34. Committee on the Elimination of Racial Discrimination (১৯৯৪-০৪-০৩)। "Concluding observations of the Committee on the Elimination of Racial Discrimination : Morocco"। Office of the High Commissioner for Human Rights। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-০৩  see paragraphs 215 and 220.
  35. Smith, Peter (১৯৮৯)। "The Bahá'í Faith 1957-1988: A Survey of Contemporary Developments"Religion19: 63–91। ডিওআই:10.1016/0048-721X(89)90077-8 

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ