হাইফা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাইফা
হাইফার পতাকা
পতাকা

হাইফা (হিব্রু: χe̯fa আরবি: حيفا)[১] জেরুজালেমতেল আবিবের পর ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। হাইফা শহরটি ইসরায়েলের ২য় বা ৩য় ঘনবসতিপূর্ন শহর।[২]

নামকরন[সম্পাদনা]

হাইফা নামের উৎস এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। একটি সূত্র বলছে একজন ধর্মযাজকের নাম থেকে এই শব্দটি এসেছে। কিছু খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসী মনে করেন এটি ধর্মযাজক সেইন্ট পিটারের নাম থেকে এসেছে। আরেকটি মাধ্যম থেকে জানা যায় হাইফা শব্দটি এসেছে হিব্রু শব্দ חפה (হাফা), অর্থাৎ সুরক্ষিত।[৩] আবার অন্য আরেক সূত্র থেকে জানা যায় এটি হিব্রু শব্দ חוֹף (হোফ), অর্থাৎ কূল অথবা חוֹף יָפֶה (হোফ ইয়াফে) অর্থাৎ সুন্দর সৈকত শব্দ থেকে এসেছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্রোঞ্জ যুগঃ টেল আবু হাওয়াম[সম্পাদনা]

এই শহরটি ব্রোঞ্জ যুগে 'টেল আবু হাওয়াম' নামে পরিচিত ছিল (১৪শ' খ্রীষ্টপূর্বে)।[৪] এটি একটি বন্দর ও মাছ ধরার গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল।

হিব্রু বাইবেল[সম্পাদনা]

হাইফা শহরের 'মাউন্ট কারমেল' এবং 'কিশোন নদী'র কথা হিব্রু বাইবেলে লেখা রয়েছে।[৫][৬]

পারসিক এবং গ্রিক যুগ - শিকমোনার কাছে[সম্পাদনা]

খ্রীষ্টপুর্ব ৬ষ্ঠ শতকের পারসিক যুগে গ্রিক ভৌগোলিক স্কাইলেক্স একটি শহরের কথা উল্লেখ করে লেখেন "উপসাগর ও জিউসের ভাষ্কর্যের মধ্যে রয়েছে", যেটা সম্ভবত হাইফা শহরের শিখমোনার কথা বলা হয়েছে। [৪]

হেলেনিস্টিক যুগ থেকে জানা যায় শহরটি দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে 'বেত গালিম' এর দিকে অবস্থান নেয়। কারণ, পুরোনো বন্দর বালুর কারণে বন্ধ হয়ে যায়ে।[৪] উপকূল এলাকায় গ্রীক ভাষাভাষীর মানুষ বাস করতো, তারা বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলো।[৭]

শিখমোনা[সম্পাদনা]

হাইফা শহরটি শিখমোনা শহরের কাছে অবস্থিত ছিল এবং শিখমোনা বেত গালিম শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ছিল। .[৮]

রোমান যুগ[সম্পাদনা]

৩য় শতাব্দীতে তালমুদ সাহিত্যে এই শহরের কথা উল্লেখ করা হয়, এটি ইহুদি জেলেদের গ্রাম এবং রাব্বি আভদিমি এবং অন্যান্য ইহুদি পন্ডিতদের বাড়ি।[৪][৯]

বাইজেন্টাইন যুগ[সম্পাদনা]

বাইজেন্টাইন যুগে হাইফা শহরের উন্নতি হলেও গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিলোনা।[১০]

প্রাক- ইসলামিক যুগ[সম্পাদনা]

৬৩০-৬৪০ এ আরব কর্তৃক ফিলিস্তিন দখলের পর বন্দরনগরী 'আক্কা' শহরের জন্য উপেক্ষিত থাকে। রাশিদুন খিলাফতের সময়ে হাইফা উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

৯ম শতকে উমাইয়া খেলাফত এবং আব্বাসীয় খেলাফতের অধীনে হাইফা শহর মিশরীয় বন্দরের সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ শুরু করে এবং এই শহরে বেশ কয়েকটি জাহাজ নির্মান কারখানা নির্মান করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://books.google.com/?id=UB4uSVt3ulUC&pg=PA149
  2. https://en.wikipedia.org/wiki/Israel_Central_Bureau_of_Statistics
  3. Carmel, Alex (২০০২)। The History of Haifa Under Turkish Rule (Hebrew ভাষায়) (4th সংস্করণ)। Haifa: Pardes। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 965-7171-05-9 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; autogenerated3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. 1 Kings
  6. "Kishon"। HighBeam Encyclopedia (Colombia Encyclopedia)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০০৮ 
  7. Haifa, The Guide to Israel, Zev Vilnay, Jerusalem, 1970, p.382
  8. "Two Tombstones from Zoar in the Hecht Museum Collection" (পিডিএফ)Haifa University। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ 
  9. "Haifa"Jewish Virtual Library। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০০৮ 
  10. Negev, Avraham; Gibson, Shimon (১ জুলাই ২০০৫)। Archaeological encyclopedia of the Holy Land (4th, revised, illustrated সংস্করণ)। Continuum International Publishing Group। পৃষ্ঠা 213। আইএসবিএন 9780826485717