ডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াস
জন্ম৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৭
প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮৫)
৮ মার্চ ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২১ আগস্ট ২০০৩ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৭
রানের সংখ্যা ২২ ৫০৮
ব্যাটিং গড় ৭.৩৩ ৯.৭৬
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪৩
বল করেছে ৫৭০ ১১৪১৩
উইকেট ২৩১
বোলিং গড় ৭১.৬৬ ২৭.৪০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/১১৫ ৬/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ১৬/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ অক্টোবর ২০২০

ডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াস (ইংরেজি: Dewald Pretorius; জন্ম: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৭) ট্রান্সভাল প্রদেশের প্রিটোরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ফ্রি স্টেট এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অনাথ ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। উচ্চমানের ছন্দোবদ্ধ ভঙ্গীমায় স্ট্যাম্প বরাবর বোলিংকর্মে অগ্রসর হতে তিনি।

ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে তিনি কেন্টের বিপক্ষে লিস্ট এ-এর খেলায় ব্যক্তিগত সেরা ৫/৩২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ২০০৩ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডারহামের পক্ষে খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডিওয়াল্ড প্রিটোরিয়াস। ৮ মার্চ, ২০০২ তারিখে কেপ টাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ আগস্ট, ২০০৩ তারিখে লিডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ২০০১-০২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি।

মার্চ, ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাকে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, তার এ অভিষেক পর্ব মোটেই সুখকর হয়নি। জোহেন্সবার্গে সিরিজের ঐ টেস্টে তার দল ইনিংস ও ৩৬০ রানে পরাভূত হয়। পরাজয়ের দিক দিয়ে এটি টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবধান ছিল। অ্যালান ডোনাল্ডের অবসর গ্রহণের খেলায় তাকেও দলের বাইরে রাখা হয়।

ইংল্যান্ড গমন[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে তিনি কিছু কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হন। তবে, তিনি বেশ প্রতিকূল পরিবেশে ও সমস্যা সঙ্কুল শৈশবকাল অতিবাহিত করেছিলেন।[১] এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ও নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা সফলতা পান। ওভারে উপর্যুপরী ১৫৬ রানে মাইকেল ভনকে কট বিহাইন্ড ও ৩৮ রানে ইন-সুইঙ্গিং ইয়র্কারে অ্যালেক স্টুয়ার্টকে বিদেয় করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে তিনি তার সেরা বোলিং করেন ৪/১১৫।[২]

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে তাকে দলে রাখা হয়। চার উইকেট লাভ করেন তিনি ও ঐ খেলার পর নাসের হুসেনকে অধিনায়কত্ব ত্যাগ করতে হয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]