বাংলাদেশ স্কাউটস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′১৫.৪০″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮.৫০″ পূর্ব / ২৩.৭৩৭৬১১১° উত্তর ৯০.৪১০৬৯৪৪° পূর্ব / 23.7376111; 90.4106944
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন
নিলেশ পাল (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৭ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:
সেজদা লওহে হাজার বার আমার, হে পরওয়ার দেগার...
সেজদা লওহে হাজার বার আমার, হে পরওয়ার দেগার...


চাঁদ সুরু আর গ্রহ তারা, জ্বীন ইনসান আর ফেরেস্তারা দিন ও রজনী গাহিছে তারা....
চাঁদ সুরুজ আর গ্রহ তারা, জ্বীন ইনসান আর ফেরেস্তারা দিন ও রজনী গাহিছে তারা....


মহিমা তোমার হে পরওয়ার দেগার...
মহিমা তোমার হে পরওয়ার দেগার...

০৩:৩৭, ২০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলাদেশ স্কাউটস
সদরদপ্তর৬০, অঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোড, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
অবস্থান২৩°৪৪′১৫.৪০″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮.৫০″ পূর্ব / ২৩.৭৩৭৬১১১° উত্তর ৯০.৪১০৬৯৪৪° পূর্ব / 23.7376111; 90.4106944
দেশবাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত১৯৭২
সদস্য১৪,৭৪,৪৬০
প্রধান স্কাউটআব্দুল হামিদ
প্ৰধান জাতীয় কমিশনারমোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খাঁন
অধিভুক্তিবিশ্ব স্কাউট সংস্থা
ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ স্কাউটস
 স্কাউটিং প্রবেশদ্বার

বাংলাদেশ স্কাউটস হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্কাউট সংগঠন। এই অঞ্চলে স্কাউটিং কর্মকান্ড শুরু ১৯১৪ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসাবে। পরে পাকিস্তান বয় স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এখানে স্কাউটিংয়ের কার্যক্রম চলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্কাউট এসোসিয়েশন নামে জাতীয় পর্যায়ে স্কাউটিংয়ের সংগঠন গড়ে উঠে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক স্কাউট আন্দোলনের সদস্য হয়। পরে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউট এসোসিয়েশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। ২০১৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট স্কাউটের সংখ্যা ১,৪৭৪,৪৬০ জন।[১]

ইতিহাস

আধুনিক বাংলাদেশে স্কাউটিং আন্দোলন শুরু হয় স্কাউট এসোসিয়েশনের ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসেবে। ভারত বিভাগের পরে পাকিস্তান বয় স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এখানে স্কাউটিংয়ের কার্যক্রম চলে।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তান বয় স্কাউটের দ্বিতীয় জাতীয় জাম্বুরী ৪০০০ স্কাউট সদস্য নিয়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান বয় স্কাউটের পঞ্চম জাতীয় জাম্বুরীতে মৌচাকে অবস্থিত পূর্ব পাকিস্তান বয় স্কাউট এর নতুন ট্রেনিং সেন্টারের মাঠ ব্যবহৃত হয়।[২]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ বয় স্কাউট অ্র্যাসোসিয়েশন করা হয়।[৩] ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারাদেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ঐ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে উক্ত সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।[৪] এর আগে প্রবীণ স্কাউটার সলিমুল্লাহ ফাহমীর নেতৃত্বে ২২মে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল স্কাউট এসোসিয়েশন[৫]

বিশ্ব স্কাউট সংস্থা (WOSM) ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৫] তবে ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস[৬] মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় কাউন্সিল ১৯৯৪ সালের ২৪ মার্চ একাদশ সভায় বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন-স্কাউটিং চালু করে বাংলাদেশে।[৪][৫]

কার্যাবলি

স্কাউটদের প্রার্থনা সংগীত

বাদশা তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার হে পরওয়ার দেগার....

সেজদা লওহে হাজার বার আমার, হে পরওয়ার দেগার...

চাঁদ সুরুজ আর গ্রহ তারা, জ্বীন ইনসান আর ফেরেস্তারা দিন ও রজনী গাহিছে তারা....

মহিমা তোমার হে পরওয়ার দেগার...

তোমার নূরের রওশনি পরশি উজ্জ্বল হয় যে রবি ও শশি..রংগিন হয়ে ওঠে বিকশি... ফুল সে বাগিচার... হে পরওয়ার দেগার।।

বিশ্ব ভুবনে যা কিছু আছে... তোমার কাছে করুনা যাচে..তোমার মাঝে মরে ও বাচে.... জীবনও সবার.. হে পরওয়ার দেগার।।

বাদশা তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার... হে পরওয়ার দেগার।।।

আইন ও মূলমন্ত্ৰ

প্ৰেসিডেন্ট'স স্কাউট পদক, বাংলাদেশ স্কাউটের সর্বোচ্চ পদক
২১তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরিতে বাংলাদেশ স্কাউটস
২২তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরিতে বাংলাদেশ স্কাউটস

বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত।

  • কাব স্কাউটস - ৬ থেকে ১১ বছর।
  • স্কাউটস - ১১ থেকে ১৭ বছর।
  • রোভার স্কাউটস - ১৭ থেকে ২৫ বছর।

তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবিদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।[৪]

স্কাউট আইন

বাংলাদেশের স্কাউটদের এর ৭টি আইন মেনে চলতে হয়, এগুলো হলো -

  1. স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী,
  2. স্কাউট সকলের বন্ধু,
  3. স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত,
  4. স্কাউট জীবের প্রতি সদয়,
  5. স্কাউট সদা প্রফুল্ল,
  6. স্কাউট মিতব্যয়ী,
  7. স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল।

মূলমন্ত্র

বাংলাদেশ স্কাউটসের মূলমন্ত্র :

  • কাব স্কাউটের মূলমন্ত্র: যথাসাধ্য চেষ্টা করা
  • স্কাউটের মূলমন্ত্র: সদা প্রস্তুত
  • রোভার স্কাউটের মূলমন্ত্র: সেবা

স্কাউট প্রতিজ্ঞা

আমি আমার আত্নমর্যাদার উপর নির্ভর করে প্রতিজ্ঞা করছি যে,

  • স্রষ্টা ও আমার দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে
  • সর্বদা অপরকে সাহায্য করতে
  • স্কাউট আইন মেনে চলতে

আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

মুলনীতিসমূহ

স্কাউটিং এর মূলনীতি তিনটি -

১. স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to God)

২. অপরের প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to Others)

৩. নিজের প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to Self)

ইউনিফর্ম

বাংলাদেশ স্কাউটসের ইউনিফর্ম

যে কেউ স্কাউট আন্দোলনের শপথ নিলেই তাকে স্কাউট ইউনিফর্ম পরিধান করতে হয়। ইউনিফর্ম গণতন্ত্ৰের চিহ্ন এবং একাত্ববোধের পরিচয় বহন করে। কাব স্কাউটস, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস এবং প্ৰশিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্ৰ ইউনিফর্ম রয়েছে। ছেলেদের জন্য ছাঁই রংয়ের শার্ট এবং গাঢ় নেভি ব্লু রংয়ের ট্ৰাউজার; মেয়েদের জন্য ছাঁই রংয়ের জামা, গাঢ় নেভি ব্লু ট্ৰাউজার এবং ওড়না। মহিলা প্ৰশিক্ষক ছাঁই রংয়ের শাড়ি এবং গাঢ় নেভি ব্লু ব্লাউজ পরিধান করে থাকেন। প্ৰত্যেক স্কাউটকে কালো সু, নেভি ব্লু ক্যাপ এবং স্বতন্ত্ৰ স্কার্ফ পরিধান করতে হয়। সকল স্কাউট এর দলীয় স্কার্ফ পরিধান বাধ্যতামূলক।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

জাতীয় স্কাউট প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ (NSTC) গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত। এখানে ২০০৭সালের নভেম্বর মাসে স্কাউট জাদুঘর প্ৰতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০টি আঞ্চলিক স্কাউট প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ রয়েছে। এগুলো হলোঃ

নাম স্থান ছবি
বাহাদুরপুর (রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র), গাজীপুর বাহাদুরপুর রোভার পল্লী
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
কাপ্তাই, রাঙামাটি
দশমাইল, দিনাজপুর
সিলেট আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।, লক্ষণাবন্দ, সিলেট বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেট আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
রুপাতলি, বরিশাল
লালমাই, কুমিল্লা
পুলেরহাট, খুলনা
নওদাপুর, রাজশাহী
নওদাপাড়া, বগুড়া

জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি

নাম তারিখ স্থান
১ম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ২১–২৯ জানুয়ারি ১৯৭৮ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
২য় জাতীয় স্কাউট ও ৫ম APR জাম্বুরি ৩০ ডিসেম্বর ১৯৮০ – ৬ জানুয়ারি ১৯৮১ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৩য় জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ – ৪ জানুয়ারি ১৯৮৬ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৪র্থ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৯ – ৩ জানুয়ারি ১৯৯০ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৫ম জাতীয় স্কাউট ও ১৪তম APR জাম্বুরি ৫–১২ জানুয়ারি ১৯৯৪ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৬ষ্ঠ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ৫–১১ ফেব্ৰুয়ারি ১৯৯৯ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৭ম জাতীয় স্কাউট ও ৪র্থ সার্ক (SAARC) জাম্বুরি ৫–১২ জানুয়ারি ২০০৪ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৮ম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ১৪–২২ জানুয়ারি ২০১০ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
৯ম জাতীয় স্কাউট ও ১ম SAANSO (South Asian Association of National Scout Organization) স্কাউট জাম্বুরি ২০১৪ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর
১ম জাতীয় কমিউনিটি বেইজড স্কাউট ক্যাম্প ২০১৫ NSTC, মৌচাক, গাজীপুর

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Triennal review: Census as at 1 December 2010" (পিডিএফ)বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৩ 
  2. "Pakistan Scouts Silver Jubilee Jamboree (November 11, 1973)"। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. Keith Larson। "Bangladesh Boy Scout Mail"। Scouts on Stamps Society International। ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 
  4. "বাংলাদেশ স্কাউটস"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩১, ২০১৫ 
  5. "History of Bangladesh Scouts"। Pakistan Philatelic Net Club। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 
  6. "বাংলাদেশে স্কাউটিং"দৈনিক আমার দেশ। ৪ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্ৰিল, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ