বাংলাদেশে শিখধর্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশী শিখ
প্রতিষ্ঠাতা
গুরু নানক
ধর্মগ্রন্থ
গুরু গ্রন্থ সাহেব
ভাষা
বাংলাপঞ্জাবী

শিখধর্ম হলো একটি সর্বেশ্বরবাদী[১] ভারতীয় ধর্ম। খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে গুরু নানক এই ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। এই ধর্মের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।[৩][৪]

বাংলাদেশে শিখধর্মের যাত্রা শুরু হয় ১৫০৩ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] বাংলাদেশে একসময় ১৮ টি গুরুদুয়ারা ছিল, যার মাত্র ৭ টি বর্তমানে অবশিষ্ট আছে।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৫০৪ সালে গুরু নানক বাংলাদেশে আসেন এবং কিছু গুরুদুয়ারা স্থাপন করেন।[৭] গুরুদুয়ারা নানকশাহী বাংলাদেশের প্রধান গুরুদুয়ারা। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান সাতটি গুরুদুয়ারার মাঝে সর্ববৃহৎ। ভারতভাগের পর শিখ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ভারতে চলে যায়।[৭]বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শিখ সেনারা বাংলাদেশে অবস্থিত গুরুদুয়ারাগুলোর সংস্কারে অংশ নিয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. W.Owen Cole, Piara Singh Sambhi (১৯৯৩)। Sikhism and Christianity: A Comparative Study (Themes in Comparative Religion)। Wallingford, United Kingdom: Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা ১১৭। আইএসবিএন 0333541073 
  2. Singh, Patwant; (2000). The Sikhs. Alfred A Knopf Publishing. Pages 17. আইএসবিএন ০-৩৭৫-৪০৭২৮-৬.
  3. "Sikhism: What do you know about it?"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ 
  4. Zepps, Josh। "Sikhs in America: What You Need To Know About The World's Fifth-Largest Religion"Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ 
  5. "Prayers from Punjab"The Daily Star। ২০১৯-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২০ 
  6. https://www.thedailystar.net/in-focus/rare-images-dhakas-gurdwara-1388014
  7. নাসরীন আক্তার (২০১২)। "শিখ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743