বাংলাদেশে শিখধর্ম
প্রতিষ্ঠাতা | |
---|---|
গুরু নানক | |
ধর্মগ্রন্থ | |
গুরু গ্রন্থ সাহেব | |
ভাষা | |
বাংলা ও পঞ্জাবী |
শিখধর্ম হলো একটি সর্বেশ্বরবাদী[১] ভারতীয় ধর্ম। খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে গুরু নানক এই ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। এই ধর্মের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।[৩][৪]
বাংলাদেশে শিখধর্মের যাত্রা শুরু হয় ১৫০৩ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] বাংলাদেশে একসময় ১৮ টি গুরুদুয়ারা ছিল, যার মাত্র ৭ টি বর্তমানে অবশিষ্ট আছে।[৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৫০৪ সালে গুরু নানক বাংলাদেশে আসেন এবং কিছু গুরুদুয়ারা স্থাপন করেন।[৭] গুরুদুয়ারা নানকশাহী বাংলাদেশের প্রধান গুরুদুয়ারা। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান সাতটি গুরুদুয়ারার মাঝে সর্ববৃহৎ। ভারতভাগের পর শিখ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ভারতে চলে যায়।[৭]বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শিখ সেনারা বাংলাদেশে অবস্থিত গুরুদুয়ারাগুলোর সংস্কারে অংশ নিয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ W.Owen Cole, Piara Singh Sambhi (১৯৯৩)। Sikhism and Christianity: A Comparative Study (Themes in Comparative Religion)। Wallingford, United Kingdom: Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা ১১৭। আইএসবিএন 0333541073।
- ↑ Singh, Patwant; (2000). The Sikhs. Alfred A Knopf Publishing. Pages 17. আইএসবিএন ০-৩৭৫-৪০৭২৮-৬.
- ↑ "Sikhism: What do you know about it?"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Zepps, Josh। "Sikhs in America: What You Need To Know About The World's Fifth-Largest Religion"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "Prayers from Punjab"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৯-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২০।
- ↑ https://www.thedailystar.net/in-focus/rare-images-dhakas-gurdwara-1388014
- ↑ ক খ নাসরীন আক্তার (২০১২)। "শিখ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।