রেগ সিনফিল্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Reg Sinfield থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রেগ সিনফিল্ড
১৯৩৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে রেগ সিনফিল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরেজিনাল্ড আলবার্ট সিনফিল্ড
জন্ম২৪ ডিসেম্বর, ১৯০০
বেনিংটন, স্টিভেনেজ, হার্টফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৭ মার্চ, ১৯৮৮
হ্যাম গ্রীন, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩০১)
১০ জুন ১৯৩৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৩০
রানের সংখ্যা ১৫৬৭৪
ব্যাটিং গড় ৬.০০ ২৫.৬৯
১০০/৫০ -/- ১৬/৬৩
সর্বোচ্চ রান ২০৯*
বল করেছে ৩৭৮ ৭৪৫৫৬
উইকেট ১১৭৩
বোলিং গড় ৬১.৫০ ২৪.৪৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ৬৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৫১ ৯/১১১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ১৭৮/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

রেজিনাল্ড আলবার্ট সিনফিল্ড (ইংরেজি: Reg Sinfield; জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯০০ - মৃত্যু: ১৭ মার্চ, ১৯৮৮) হার্টফোর্ডশায়ারের বেনিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রেগ সিনফিল্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২৪ ডিসেম্বর, ১৯০০ তারিখে হার্টফোর্ডশায়ারের বেনিংটন এলাকায় রেগ সিনফিল্ডের জন্ম। ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত রেগ সিনফিল্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। হার্টফোর্ডশায়ারের পক্ষে প্রথম অংশ নেন। মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে বিশাল রান সংগ্রহকারী সি. এইচ. টিচমার্শের ব্যাটিং কৌশল সম্পর্কে অবগত হন। খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম ছয় ইনিংসে তিনি মাত্র ৩ রান তুলতে পেরেছিলেন। তন্মধ্যে, জোড়া শূন্য রান করেছিলেন। তবে, তার জেদী মনোভাবে শুরুরদিকের ব্যর্থতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে আনেন।

খেলোয়াড়ী জীবনের পুরোটা সময়ই ওয়াল্টার হ্যামন্ডের সাথে খেলেছেন। ওয়ালি হ্যামন্ড যদি কেন্দ্রে অবস্থান করতেন, তখন সিনফিল্ড আদর্শ মঞ্চ ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি প্রস্তুতিপর্ব সেড়ে রাখতেন ও কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকতেন। মাঝারিসারিতে ব্যাটিংকালে অন্যান্যদের আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতেন।

১৯২১ সালের শুরুতে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতেন। তবে, ১৯২৪ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তেমন ভালোমানের খেলা উপহার দিতে পারেননি। এ পর্যায়ে তিনি আবাসকালীন শর্ত পূরণের মাধ্যমে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।

১৯২৬ সালে ঐ কাউন্টির পক্ষে চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নিতে থাকেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ইনিংসে শতরান করেন। পরের বছরগুলো গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে নিয়মিতভাবে আল্ফ ডিপারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। এরপর থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত বার্নেটের সাথে সুন্দর বোঝাপড়ায় জুটি গড়েন। এছাড়াও, স্লো-মিডিয়াম অফ-কাটার সহযোগে দ্রুত গতিতে কিন্তু গডার্ডের তুলনায় কম আলতো শূন্যে ভাসিয়ে বোলিং করতেন। এ বছর নিজ নামের পাশে ৮৮৫ রান ও ৪৮ উইকেট নেন। এভাবেই তার কার্যকর অল-রাউন্ডার হিসেবে বেড়ে উঠা। টানটনে সমারসেটের বিপক্ষে ১০১ রানের প্রথম-শ্রেণীর প্রথম শতরানের সন্ধান পান। এরপর, ট্রেন্ট ব্রিজে অপরাজিত ১১২ রান তুলে কাউন্টি ক্যাপ লাভের অধিকারী হন। উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, এ পর্যায়ে তিনি স্ট্রোকের সাহায্যে রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান, তবে, খুব কমই এর সদ্ব্যবহার করেছেন। মনোযোগ ও জিদের কারণে তাকে পরিচিতি এনে দেয়।

তেমন স্মরণীয় ভূমিকা রাখতে না পারলেও তিনি বেশ স্থিরলয়ে খেলতে ১৯২৭ থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমেই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ সময়কালে পাঁচবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৩১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে দলের সংগৃহীত ৩৭৪ রানের বিপক্ষে তিনি ১৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

অল-রাউন্ডারের মর্যাদাপ্রাপ্তি[সম্পাদনা]

ধীরগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে রেগ সিনফিল্ডের প্রতিভার বিকাশ ১৯৩১ সালের পূর্ব-পর্যন্ত চার্লি পার্কার ও গডার্ডের কারণে পরিস্ফূটিত হয়নি। ১৯৩০ সালে বিশের কম গড়ে নব্বুই উইকেট পান। তবে, ১৯৩৪ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে বোলার হিসেবে পরিচিত করেনি। ঐ বছর তিনি গ্লুচেস্টারশায়ারের বোলিং গড়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। পিচের সহযোগিতায় তিনি বিধ্বংসীরূপ ধারণ করেন। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে তেরো উইকেট পান ও লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৮/৪০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। পরের বছর প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে নিজের সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। রক্ষণাত্মক ধাঁচে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পাশাপাশি স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটানোর কারণেই তিনি এ সফলতা পান। ঐ বছরের আগস্ট মাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ২০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর, বল হাতে নিয়ে ৯/১০৩ পান।

১৯৩৬ সালে বোলার হিসেবে নিজের ব্যাপক উত্তরণ ঘটান। কাউন্টি দলের পক্ষে সর্বাধিক ওভার বোলিং করেন। প্রতিযোগিতা শেষ হবার পূর্বের দ্বিতীয় খেলায় আঙ্গুলে আঘাত পাবার পূর্ব-পর্যন্ত এসেক্সের বিপক্ষে একাধারে খেলেন। নিখুঁত বোলিং করে ১৬০টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, শীতকালে অ্যাশেজ সফরে অন্যতম খেলোয়াড়ে পরিণত হন। লর্ডসে মিডলসেক্সের আক্রমণধর্মী ব্যাটিংয়ের বিপরীতে তিনি ৯/১১১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, স্থিরতাসূচক বোলিংয়ের অপূর্ব নিদর্শন দেখিয়েছেন তিনি। কেবলমাত্র গডার্ড তার সবগুলো উইকেট লাভে ব্যাঘাত ঘটান। সহজাত ভঙ্গীমায় ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন ও নিচেরদিকের ব্যাটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। অল্পের জন্যে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি রেগ সিনফিল্ড। পরের বছরও তিনি ক্লান্তিহীন অবস্থায় বোলিং করেন ও ব্যাট হাতে কিছুটা ছন্দ ধরে রাখেন। চার অঙ্কের কোটা স্পর্শ করেন। তবে, ১৯৩৮ সালে বোলার হিসেবেই তিনি খেলেন। ব্যাট হাতে বেশ দূর্বলমানের খেলা উপহার দেন ও দশ নম্বরে তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়। কোন ইনিংসেই তিনি চল্লিশ রানের কোটা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। বল হাতে তিনি বেশ ভালো অবস্থানে ছিলেন।

আলফ্রেড ডিপার ও পরবর্তীতে চার্লস বার্নেটের সাথে দুই নম্বরে ব্যাটিংসহ বিভিন্ন অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯২৭ থেকে ১৯৩৭ সময়কালের এগারো মৌসুমের দশটিতেই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৯৩৭ সালে সহস্র রান স্পর্শ করার সাথে সাথেই দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল লাভ করেন। ১৯৩৫ সালে ৩৫.৫১ গড়ে ১৭৪০ রান সংগ্রহ করেন। ঐ মৌসুমে কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ২০৯ রান তুলেন। এ পর্যায়ে বার্নেটের সাথে প্রথম উইকেট জুটিতে ২৫০ রান সংগ্রহ করেন। ঐ সময়ে এটি গ্লুচেস্টারশায়ারের রেকর্ড ছিল। একই খেলায় তিনি নয় উইকেট পেয়েছিলেন।

স্বর্ণালী সময়[সম্পাদনা]

তার বোলিং সংখ্যা চার্লস পার্কার, টম গডার্ডের সাথে অনেকগুলো বছর নির্ভরশীলতার পরিচয় এনে দেয়। পরবর্তীতে দুই মৌসুম পার্সি মিলসের সাথে কার্যকারিতা আনেন। ত্রিশের মাঝামাঝি সময়কালে ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলারদের শক্তিমত্তা কমে গেলে সঞ্চিত বোলার হিসেবে সিনফিল্ড তার দক্ষতা প্রদর্শনে এগিয়ে আসেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ১,৫০১ ওভার বোলিং করে ১৬১ উইকেট পান। তার এ সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ অস্ট্রেলিয়ায় এমসিসি দলের সফরের জন্যে মনোনয়ন এনে দেয়।

ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের মতে, তিনি প্রকৃতমানসম্পন্ন অফ স্পিনার ছিলেন না। বলকে উভয় দিক দিয়েই সিম উপযোগী কাট করাতে পারতেন। শূন্যে ভাসিয়ে ও সাধারণত মিডিয়াম পেসের চেয়ে কিছুটা নিচু আকৃতির অত্যন্ত সোজা বল ছুঁড়তেন। তার এ কৌশল অনেকটা ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা আয়ত্ত্ব করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় ও কব্জি অবধি শার্টের হাতা ভাজ করা অবস্থায় বোলিংকর্মে অগ্রসর হতেন। ১৯৩৪ সালের শুষ্ক গ্রীষ্মে ১২২ উইকেটসহ প্রথম ডাবল পান। সবমিলিয়ে চারবার ডাবল লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। গডার্ডের সাথে দুইবার খেলায় ঊনিশটি উইকেট লাভ করেন। উভয় ক্ষেত্রেই তার দল ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করে। প্রায়শঃই তিনি তার সেরা খেলাগুলো সফররত দলগুলোর জন্যে তুলে রাখতেন। ২৩ ইনিংসে ৩৬.৭৭ গড়ে ৮০৯ রান ও ৪৩৬.৩ ওভারে ২০.৯৮ গড়ে ৫৮ উইকেট নিয়েছেন। ১৯৩৮ সালে একমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার পূর্বে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ৪৭০ ওভারে ৫২ উইকেট পান ও ব্রিস্টলে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে ৮/৬৫ পান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রেগ সিনফিল্ড। ১০ জুন, ১৯৩৮ তারিখে নটিংহামে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট খেলেন ট্রেন্ট ব্রিজে। ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানকে আউট করে নিজের প্রথম উইকেট লাভের কারণে স্মরণীয় হয়ে আছেন। গডার্ডের অনুপস্থিতিতে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট করেন তিনি। উভয় ইনিংসেই তিনি অ্যামিসকে কট ও পরবর্তীতে স্কয়ার-লেগ আম্পায়ারের কাছে আবেদনের মাধ্যমে স্ট্যাম্পিং করেন। তবে, ব্র্যাডম্যানের উইকেট ব্যতীত তিনি সফল হননি ও তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।

অবসর[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফল ছিলেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত উইকেটে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১১০ রান খরচায় ১৪ উইকেট পান। ১৯২১ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে বেশ নিষ্ঠার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করে গেছেন। পেশাদারী পর্যায়ে ইংরেজ ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সালে রেগ সিনফিল্ডকে কম বোলিং করার সুযোগ দেয়া হয়। ব্রিস্টলের টার্ফ উইকেটে গডার্ডের পূর্ণাঙ্গ উত্থান পর্ব শুরু হয়। তবে, সিনফিল্ড ব্যাট হাতে তার দক্ষতা প্রদর্শনে সচেষ্ট হবার চেষ্টা চালান। ৮৩৫ রানের পাশাপাশি ৬৬ উইকেট লাভ করেন তিনি।

তবে, উচ্চস্তরের প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশগ্রহণের পূর্বে তাকে অনেকগুলো বছর গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলতে হয়েছিল। ওয়ালি হ্যামন্ড ও চার্লি বার্নেটের ন্যায় ব্যাটসম্যানের আক্রমণধর্মী খেলার বিপরীতে স্থিরতাসূচক খেলা উপহার দিতেন কিংবা টম গডার্ডের ন্যায় বোলারের বিপরীতে স্থিরতাসূচক বোলিং কৌশল অবলম্বন করতেন তিনি।

যুদ্ধের পূর্বেকার বছরগুলো গডার্ড ও সিনফিল্ড আক্রমণাত্মক জুটি হিসেবে ছিলেন। তবে, বিশ বছর পূর্বেকার জিম লেকারটনি লক জুটির চেয়ে তারা কিছুটা কম ছিলেন। সবমিলিয়ে ৪৩০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ষোলোটি শতক সহযোগে ২৫.৬৯ গড়ে ১৫,৬৭৪ রান এবং ২৪.৪৯ গড়ে ১,১৭৩ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৩৬ সালে লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৯/১১১ দাঁড় করান।

বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু হলে গডার্ড কয়েকবছর তার দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে ব্যস্ত থাকলেও সিনফিল্ড ক্লিফটন কলেজ ও কোলস্টন্স স্কুলে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন। এ সময়কালে তিনি ক্রিস ব্রডের ন্যায় ভবিষ্যতের টেস্ট ক্রিকেটারদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে আশির মাঝামাঝি বয়সে অবসর গ্রহণ করেন।

১৭ মার্চ, ১৯৮৮ তারিখে ৮৭ বছর বয়সে ব্রিস্টলের হ্যাম গ্রীন এলাকায় রেগ সিনফিল্ডের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন তিনি ইংল্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর আর. ই. এস. ওয়েট এ সম্মাননায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]