হাইল হাওর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হাইল হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজারহবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশে অবস্থিত একটি বৃহদায়তন জলাভূমি

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

হাইল হাওর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার সদরশ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত।;[১] এতে রয়েছে ১৪ টি বিল এবং পানি নিস্কাশনের ১৩ টি নালা।[২] এই হাওরটির মোট আয়তন ১০ হাজার হেক্টর; যার ৪ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমি, ৪ হাজার ৫১৭ হেক্টর হাওর, ১ হাজার ৪০০ হেক্টর বিল, ৪০ হেক্টর খাল এবং ৫০ হেক্টর নদী।[৩]

নামকরণ[সম্পাদনা]

জীববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও অন্যান্য প্রাণী দেখা যায় এখানে; এদের মধ্যে কুড়া পাখি প্রধান।[২]

মৎস্যসম্পদ[সম্পাদনা]

হাইল হাওরে পূর্বে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবস থাকলেও বর্তমানে এদের মধ্যে ২১ প্রজাতি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো ১১ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মাছগুলো হলো: বাচা, ঘারুয়া, ছেপচালা, বাঘাইড়, ঢেলা, রিটা, বাঁশপাতা, রানী, নাফতানি, নাপিত কই, তারা বাইম, বামোশ, বড় বাইম, তিতপুঁটি, নামা চান্দা, একথুটি, চাকা, শ্বেত সিংগি, শ্বেত মাগুর মাছ; পক্ষান্তরে, বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলো হলো: পাবদা, আইড়, বেদা, মিনি, ফলি, গজার, গুলশা, দাড়কিনি, চিতল, টাটকিনি ও তারা বাইন।[৩]

উদ্ভিদবৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এম. মছব্বির আলী (৫ মার্চ ২০১৩)। "হাইল হাওরের ওপর নির্ভরশীল ২৫ হাজার মানুষ" (ওয়েব)জুড়ী নিউজ। মৌলভীবাজার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. এম,এ,আহমদ আজাদ (৩ অক্টোবর ২০১১)। "হাইল হাওর পারের ৫০ হাজারের বেশি মৎস্যজীবি পরিবার নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত" (ওয়েব)বিএনপি নিউজ24। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  3. সম্পাদক: মাহমুদুর রহমান (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ"দৈনিক আমার দেশ। ঢাকা। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (ওয়েব) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]