দেশি বড় বাইন
দেশি বড় বাইন Anguilla bengalensis | |
---|---|
দেশি বড় বাইন | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Anguilliformes |
পরিবার: | Anguillidae |
গণ: | Anguilla |
প্রজাতি: | A. bengalensis |
দ্বিপদী নাম | |
Anguilla bengalensis (J. E. Gray, 1831) | |
Subspecies | |
প্রতিশব্দ | |
|
বড় বাইন বা বামুশা[২] বা দেশি বড় বাইন বা বাও বাইম বা রাজ বাইম বা বানেহারা বা বামোশ (বৈজ্ঞানিক নাম: Anguilla bengalensis) হচ্ছে অ্যাঙ্গিলিডি পরিবারের মাছ। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২] বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলভেদে এর স্থানীয় নাম বামাস, বামুস, বামোস, বাউস, বাওস, বানেহারা, বাউ বাইম, তেল কোমা, বাও মাছ ইত্যাদি।
উপপ্রজাতি
[সম্পাদনা]এই গণে দুটি উপপ্রজাতি আছে। সেগুলো হচ্ছে,
- Anguilla bengalensis bengalensis, ভারতীয় বড় বাইম নামেও ডাকা হয়।[৩]
- Anguilla bengalensis labiata, আফ্রিকান বড় বাইম নামেও ডাকা হয়।[৪]
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। এছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, এবং ইষ্ট ইন্ডিজেও পাওয়া যায়।[৫]
স্বভাব ও আবাসস্থল
[সম্পাদনা]সমুদ্রের এবং পানির তলদেশ দিয়ে চলাচল করে। এদের মোহনা, স্বাদুপানিতে দেখা যায়।[৫]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]এদের দেহ লম্বা, সাপের মত।
ত্বক স্যাঁতস্যাঁতে ও পিচ্ছিল। আঁইশ অতি ক্ষুদ্র, সাধারন ভাবে চোখে পড়ে না। পৃষ্ঠ গাঢ় বাদামী রঙের, উদর ও পার্শ্ব হালকা হলুদ। দেহের উপরের অংশ অসংখ্য কালচে ফোঁটায় চিত্রল। পুরুষ বাওস মাছ প্রায় চার ফুট পর্যন্ত লম্বা আর সাত কেজি পর্যন্ত ভারি হতে পারে। John McClelland ১৮৪৪ সালে এটি বিবৃত করেন। বাওস মাছ ক্রান্তীয় অঞ্চলের কিছু জায়গার স্বাদু পানিতেই দেখা যেয়ে থাকে। পূর্ব আফ্রিকা, বাংলাদেশ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার প্রভৃতি দেশের ৩ থেকে ১০ মিটার পানির গভীরতায় এরা এদের জীবনের বেশিরভাগ সময় পার করে দেয়। তবে প্রজননের সময় এরা ভারত মহাসাগরকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। বাইন বা পাঁকাল জাতীয় এই বাউস মাছ সাধারণত ছোট ছোট চিংড়ি ধরনের জলজ পোকামাকড়, এমনকি ছোট মাছ, শামুক, কেঁচো ইত্যাদি প্রাণীকুলকে খাবার হিসেবে আহার করে থাকে।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
[সম্পাদনা]এই মাছ সাধারণত এখন পাওয়া যায় না। আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংকটাপন্ন প্রাণী হিসাবে চিহ্নিত। তবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে এখনও পাওয়া যায়। তাই উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের উদ্যোগই প্রাকৃতিক পরিবেশে এই প্রজাতির সংখ্যা ধরে রাখতে সক্ষম।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ টেমপ্লেট:IUCN2014.1
- ↑ ক খ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০ ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা- ১১৮৫০২
- ↑ ফ্রোয়সে, রেইনার এবং ড্যানিয়েল পাউলি সম্পাদিত (2006)। "Anguilla bengalensis bengalensis"। ফিশবেজ। এপ্রিল 2006 সংস্করণ।
- ↑ ফ্রোয়সে, রেইনার এবং ড্যানিয়েল পাউলি সম্পাদিত (2006)। "Anguilla bengalensis labiata"। ফিশবেজ। এপ্রিল 2006 সংস্করণ।
- ↑ ক খ গ সাহা, মোঃ নাসিরুদ্দিন (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৮–৯।