স্টোরগাটান, উমিয়া
স্টোরগাটান | |
---|---|
পথের তথ্য | |
দৈর্ঘ্য | ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) |
পরিচিতির কারন | বির্খআচ্ছন্ন অ্যাভিনিউ |
প্রধান সংযোগস্থল | |
থেকে: | পূর্ব |
পর্যন্ত: | পশ্চিম |
স্টোরগাটান (সুইডীয়: Storgatan, Umeå) ("মেইন স্ট্রীট" বা "গ্রেট স্ট্রীট") হল উমিয়া, সুইডেনের দীর্ঘতম রাস্তা। প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এ রাস্তা উমিয়া নদীর পূর্বদিক দিয়ে গেছে। পথটি টভারান-এর পুরাতন রাস্তা, পশ্চিমে উমিয়া পূর্ব স্টেশন এবং পূর্বে নরল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল-এর নিকটে অবস্থিত।
স্টোরগাটানের রাস্তার পাশে উমিয়া মিউনিসিপ্যালিটির একাধিক ঐতিহাসিক ভবন এবং শহরের পাঁচটি বড় পার্ক রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৮,৯০০ যান এই রাস্তার ওপর দিয়ে যায় (২০০৬)।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৬২২ সালে উমিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল উমে নদীর পূর্বপাশে এবং এটি নদীর সাথে সমান্তরাল দুটি অনুদৈর্ঘ্য রাস্তার সঙ্গে গ্রিড প্যাটার্ণে অবস্থিত ছিল। এর সাথে ছিল পাঁচটি ঋজু এদো গলি যা নদীর সাথে সমস্ত রাস্তা জুড়ে ছিল। দক্ষিণের লম্বা রাস্তা (বর্তমান স্টোরগাটান) স্টকহোম ও টর্নিওর মাঝখানের উপকূলবর্তী রাস্তার ন্যায় শহর ছাড়িয়ে চলে যায়।[২]
উপকূলবর্তী রাস্তার স্থানীয় রুট রোব্যাক থেকে ব্যাকেনকির্কান (আক্ষরিকভাবে "পাহাড়ের পাশের গীর্জা") এর উমে নদীর ফেরীর দিকে চলে গেছে, মাঝখানে ছিল উমিয়া এবং এরপরে নিডালসজোন-এর দক্ষিণের চূড়া এবং তারও সামনে ইনার্ট্যাভল।[৩]
১৭৮০ সালে স্টোরগাটানকে বাঁধানো হয় এবং ১৭৮২ সালে এর পাশের বাড়িঘরগুলো বাড়ির নাম্বার লাভ করে কারণ তখন ঠিক করা হয়েছিল যে উমিয়ার সকল বাড়ি ও ফার্মকে নাম্বার দেয়া হয়। নাম্বারটি একটি কাঠের বোর্ডের ওপর প্রকৃত প্রবেশদ্বারের ওপর পেরেক দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছিল।[৪]
১৮৬৪ সালে উমিয়া এক নতুন নগর-পরিকল্পনা লাভ করে যা নিকোলাইস্টাড (বর্তমানে ভাসা শহর) থেকে অনুপ্রাণিত হয় যা এটি ১৮৫২ সালের অগ্নিকাণ্ডের পর নতুন করে নির্মিত হয়।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তার প্রস্থ বাড়িয়ে দেয়া হয়। স্টোরগাটানের প্রস্থ প্রায় ৪-৫ মিটার থেকে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) এ উন্নীত হয়। এই পরিকল্পনা ফুটপাতের জন্য এবং রাস্তার পাশে উদ্ভিদ বেডিংও দেয়া হয়। এই উদ্ভিদের প্রস্থ ছিল আনুমানিক ৩ মিটার (১০ ফুট) যা প্রতিটি বাড়ির মালিকের নিজের টাকায় কিনতে হবে। এই উদ্ভিদগুলো ছিল প্রধানত ফুল ও গুল্ম। বাড়িওয়ালা একটি বেড়ার অর্থও লাভ করে যার মানে হল রাস্তার পাশ্ববর্তী সম্পত্তিকে অবশ্যই তক্তার প্রাচীর বা বেড়া দিয়ে ঘেরাও করতে হবে। তবে অবশ্যই একে "চিত্তাকর্ষক" রূপে নির্মাণ করতে হবে।[৫] তবে ইতোমধ্যেই উন্নত অঞ্চলসমূহে এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়নি, এর কারণটি ছিল আর্থিক।[৬]
১৮৬৬ সালে উমিয়ার জন্য নতুন ভবন অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই প্রকল্পানুযায়ী ফুটপাতের পাশে উপযুক্ত ব্রডলিফ গাছ নিয়মিত বিরতিতে লাগানো হয় এবং এভাবে উমিয়ার অরথম বির্খসম্পন্ন রাস্তা হয়ে ওঠে। এগুলো স্টোরগাটানের পশ্চিম পাশে লাগানো হয়। তবে বির্খ-রোপণ ১৮৮৮-এর অগ্নিকাণ্ডের আগ পর্যন্ত বড়ভাবে লাগানোন হয়েছিল।[৭] ১৮৯২ সালে ঠিক করা হয় যে বির্খ গাছই রাস্তার পাশে রোপণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।[৮]
১৯৫০-১৯৬০ সালের দিকে শহর-কেন্দ্রর স্থানান্তরও স্টোরগাটানের ভবনগুলোকে আক্রান্ত করে। সামাণ্যসংখ্যক পুরাতন কাঠের বাড়ি ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচতে সক্ষম হয় এবং বাকিগুলো আধুনিক ভবন দ্বারা পরিবর্তিত হয় যেমন ১৯৬৩-এর ডোমাস ডিপার্টমেন্ট স্টোর (বর্তমান এমভিজি মল) এর একটি পাশ স্টোরগাটানের পাশ দিয়ে অবস্থিত।[৯]
২০০২ সালে স্টোরগাটানের মধ্যস্থান আরো ভিন্ন চেহারা লাভের জন্য সংষ্কারকৃত হয়। রাস্তার দুইপাশেই ৬.৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট যানবাহন চলার পথ এবং ৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট বির্খ-গাছের সারি দেয়া হয়। বির্খের মাঝে পার্কিং অঞ্চল রাখা হয়।[১০]
স্টোরগাটানের কিছু চিহ্নিত ভবন
[সম্পাদনা]স্টোরগাটানে বেশকিছু চিহ্নিত ভবন রয়েছে। যেমনঃ গামলা লাসারেতেত, বাগারে থিলমানস গার্ড, গামলা স্লোজডস্কোলান, লোজতনান্ট গ্রানস গার্ড, উচ্চ নরল্যান্ড-এর জন্য আপীল বিভাগ, ফার্গারে হগল্যান্ডারস গার্ড, ভন আনস্কা ম্যাগাসিনেট, গামলা বাঙ্খুসেট ("স্মোরাস্কেন"), স্পারব্যাঙ্খুসেট, উমিয়া টাউন হল, হ্যান্ডেলসবাঙ্কেন, রিক্সবাঙ্খুসেট, মরিতজস্কা গার্ডেন, স্কারিঙ্কস্কা ভিলান, রিংসট্রান্ডস্কা ভিলান, লান্সরেসিডেন্সেট এবং উমিয়া পুরাতন কারাগার।
টীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Steckzén, Birger (1981(1922))। Umeå stads historia 1588-1888। Umeå: Två förläggare। আইএসবিএন 91-85920-05-3। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - Olofsson, Sven Ingemar (১৯৭২)। Umeå stads historia 1888-1972। Umeå: Umeå kommunfullmäktige।
- Lassila, Mauno (১৯৭২)। Vägarna inom Västerbottens län: kommunikationernas utveckling mot bakgrund av befolkning och näringsliv। Umeå: Umeå Universitet।
- Eriksson, Karin (১৯৭৫)। Studier i Umeå stads byggnadshistoria: från 1621 till omkring 1895 (PDF)। Umeå: Umeå universitetsbibliotek। আইএসবিএন 91-7174-000-7।
- Arkitekturguide Umeå (পিডিএফ)। Umeå: Stadsbyggnadskontoret, Umeå kommun। ২০০১। আইএসবিএন 91-631-0919-0। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৪।
- Nulägesbeskrivning för trafiken i centrala Umeå - Slutrapport april 2006 (PDF)। Umeå Kommun। ২০০৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]