সেন্ট জোসেফ্স উচ্চ বিদ্যালয়
এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
সেন্ট জোসেফ্স উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা | |
---|---|
ঠিকানা | |
২৯, আহসান আহমেদ রোড , ৯১০০ বাংলাদেশ | |
তথ্য | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৪০ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় কোড | ৩৫২৬ |
ইআইআইএন | ১১৭১৪০ |
প্রধান শিক্ষক | আলফ্রেড রনজিৎ মন্ডল |
শিক্ষকমণ্ডলী | স্থায়ী: ২৯ জন খন্ডকালীন: ৬ জন |
শ্রেণি | ৩য় থেকে ১০ম |
আয়তন | ১.৩১ একর |
সেন্ট জোসেফ্স উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের খুলনা নগরীর আহসান আহমেদ সড়কে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৩৬ সালে রেভাঃ ফাঃ ই, পলেটো এস, সি, ডি, ডি কৃষ্ণনগরের বিশপের পরামর্শক্রমে খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্র আহসান আহমেদ রোডে একটি বাংলা মিডিয়াম বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। রেভাঃ ফাঃ ই, পলেটো এস, সি, ডি, ডি নিজেই ১৯৩৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে ৭ জন শিক্ষক ও ৪০ জন ছাত্র নিয়ে ১৯৪০ সালের ৬ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করেন।[১] সাধু জোসেফের নামে নামকরণ করেন 'সেন্ট জোসেফস স্কুল'। প্রথন বছরে প্রথম শ্রেণি হতে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত চালু হয় ১৯৪১ সালে ৭ম শ্রেণি চালু হয়। ১৯৪২ সালে অষ্টম শ্রেণি চালু হয়। ১৯৪৪ সালে দশম শ্রেণি চালু হয়। ১৯৪৩ সালে অত্র বিদ্যালয় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৪৫ সালে প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৮ জন ছাত্রের মধ্যে ৪ জন কৃতকার্য হন। ১৯৪৬ সালে ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ১৫ জন ছাত্র কৃতিত্বের সাথে কৃতকার্য হয়।
অবস্থান
[সম্পাদনা]সেন্ট জোসেফস্ উচ্চ বিদ্যালয় খুলনা নগরীর আহসান আহমেদ রোডে অবস্হিত। পূর্বদিকে বাবু খান রোড ও উত্তরে সেন্ট জোসেফস ক্যাথলিক চার্চ অবস্হিত।
বিদ্যালয়ের কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে এক শিফটে ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়া হয় এবং মোট পাঠরত ছাত্রসংখ্যা ১৮৫০ জন। খুলনা ধর্মপ্রদেশের বিশপ উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান চর্চা, স্কাউট কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবন, একটি অডিটোরিয়াম ও একটি শহীদ মিনার রয়েছে।
কৃতি ছাত্র
[সম্পাদনা]- এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ১৭ তম সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
- শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী
- আলমগীর সাত্তার, বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
- প্রিন্স মাহমুদ, সুরকার ও গীতিকার
- তানভীর মোকাম্মেল, খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক
- শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনা-২
- এম নুরুল ইসলাম, বরেণ্য ভাষাসৈনিক ও সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনা-৪
- মোস্তফা রশিদী সুজা, সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য, খুলনা-৪
- মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনা-২
- পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য, খুলনা-১
- আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনা-৬
- হুমায়ুন কবীর, সচিব, রেলপথ মন্ত্রনালয়
- সাইদ হাসান টিপু, প্রতিষ্ঠাতা, অবসকিওর (বাংলা ব্যান্ড)
- এম হামিদ, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)
- স ম বাবর আলী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক
- এ কে এ ফিরোজ নুন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও লেখক
- মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক সংসদ সদস্য, বরিশাল-১
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আহমেদ, কামাল (১৬ ডিসেম্বর ২০১৫)। "খুলনায় ৭৫ বছরের স্কুল: সেন্ট জোসেফস"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২২।