সিরিল মেরি
![]() ১৯৩৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সিরিল মেরি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিরিল আর্থার মেরি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্কারবোরা, টোবাগো | ২০ জানুয়ারি ১৯১১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ এপ্রিল ১৯৬৪ সেন্ট ক্লেয়ার, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | (বয়স ৫৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডেভিড মেরি (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩) | ২৪ জুন ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ আগস্ট ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৯/৩০ - ১৯৩৮/৩৯ | ত্রিনিদাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ |
সিরিল আর্থার মেরি (ইংরেজি: Cyril Merry; জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯১১ - মৃত্যু: ১৯ এপ্রিল, ১৯৬৪) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পোর্ট অব স্পেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সিরিল মেরি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত সিরিল মেরি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অনেকগুলো বছর ত্রিনিদাদীয় ক্রিকেটে প্রভাববিস্তারকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অনেকাংশেই তিনি খেলার শেষদিকে কিংবা থিতু হয়ে আসা জুটি ভাঙ্গতে তিনি বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন।
আর্চডিকন মেরি’র সন্তান তিনি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে পড়াশুনো করেন ও পরবর্তীতে কুইন্স রয়্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কলেজে থাকাকালীন ক্রিকেট ও ফুটবলে অংশ নিতেন। এরপর তিনি অনেকগুলো বছর কুইন্স পার্ক সি.সি.-তে খেলেন ও অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। শারীরিকভাবে বেশ লম্বাটে গড়নের অধিকারী ছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ দক্ষ ছিলেন। প্রায়শইঃ ফাইন অঞ্চল দিয়ে রান সংগ্রহ করতে পারঙ্গমতা দেখাতেন। পরিবর্তিত বোলারের পাশাপাশি স্লিপ অঞ্চলে চমৎকারভাবে ফিল্ডিংয়ে দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন।
১৯৩২, ১৯৩৪, ১৯৩৬ ও ১৯৩৭ সালে আন্তঃঔপনিবেশিক খেলাগুলোয় ত্রিনিদাদ দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ১৯২৯-৩০ ও ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে নিজ উপনিবেশ দলের পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমের প্রথম খেলায় ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে মনোমুগ্ধকর ৪৯ রান তুলেন। এরপূর্বে খেলার শুরুতে বল হাতে নিয়ে ডিসিএইচ টাউনসেন্ড ও আরইএস ওয়াটকে উপর্যুপরী বিদেয় করেন।
আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে বোলার হিসেবে আবির্ভূত হতেন সিরিল মেরি। ত্রিনিদাদের পক্ষে কিছু খেলায় দর্শনীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সিরিল মেরি। উভয় খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড দল। ২৪ জুন, ১৯৩৩ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১২ আগস্ট, ১৯৩৩ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩৩ সালে জিসি গ্র্যান্টের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। দলে তিনি অন্যতম আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে এজবাস্টনে ১৪০ মিনিটে রান তুলেন ১৪৬। এ পর্যায়ে জি. এ. হ্যাডলি’র সাথে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২২৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন মাত্র দুই ঘণ্টায়।
কিন্তু, টেস্ট খেলাগুলোয় সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯ ও ১ রান করেন। এরপর, ওভালে তৃতীয় টেস্টে দলে ফিরে ১৩ ও ১১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এ সফরের প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে ২৮.৫৩ গড়ে ৮৫৬ রান তুলেন।
অবসর[সম্পাদনা]
১৯৩০-এর দশকের শেষদিকে আন্তঃঔপনিবেশিক খেলাগুলোয় ত্রিনিদাদ দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। তবে, তিনি আর কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি ও টেস্টে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পোর্ট অব স্পেনভিত্তিক কুইন্স পার্ক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষেও নেতৃত্বে ছিলেন। পরবর্তীকালে ক্লাবের সম্মানীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, ত্রিনিদাদে প্রতিনিধিত্ব করেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালনপূর্বক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি সুপরিচিত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন। ১৯৫৬ সালে আইনসভায় মনোনীত হন। ১৯৫৯ সালে পদত্যাগ করে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপম্যান্ট কর্পোরেশনের সভাপতির দায়িত্ব নেন। এ পদে তিনি মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত ছিলেন। ১৯৬৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড গমন করেন। এরপর, ঐ বছরেই ব্রিটিশ সরকারের অতিথি হিসেবে একমাসের সফরে যান।
দেহাবসান[সম্পাদনা]
১৯ এপ্রিল, ১৯৬৪ তারিখে ৫৩ বছর বয়সে পোর্ট অব স্পেনের সেন্ট ক্লেয়ার এলাকায় নিজ গৃহে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে সিরিল মেরি’র দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন কুইন্স পার্ক ক্রিকেট ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন সিরিল মেরি। তার ভ্রাতা ডেভিড মেরি ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’র পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Cyril Merry"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স
- ম্যানি মার্টিনডেল
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে দুইবার ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটারদের তালিকা
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ইংরেজ ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সিরিল মেরি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সিরিল মেরি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)