সরকারি ভাষা আন্দোলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সরকারি ভাষা আন্দোলন (আসাম)
অসমীয়া ভাষা আন্দোলন-এর অংশ
সরকারি ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রঞ্জিত বরপূজারী
তারিখ১৯৬০-৬১
অবস্থান
কারণঅসমীয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি
প্রক্রিয়াসমূহবিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লাঠি ও গুলি

সরকারি ভাষা আন্দোলন বা সংক্ষেপে ভাষা আন্দোলন ১৯৬০-৬১ সালে আসাম জুড়ে সংঘটিত একটি ভাষাগত আন্দোলন। স্বাধীনতার পর থেকেই অসমীয়া ভাষাকে আসামের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। ১৯৬০ সালে এই দাবিতে সমর্থন ও বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা আসাম। মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা এই অশান্তির পরিবেশ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিধানসভায় আসাম সরকারি বিল বিল দাখিল করেছিলেন এবং এটি আইনে পরিণত হয়েছিল;[১] যার মাধ্যমে অসমীয়া ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[২] এদিকে এই আইনের বিরোধিতা করে বরাক উপত্যকায় প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলেন বাংলাভাষীরা। বাংলা ভাষাভাষীদের দাবি, অসমীয়ার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকেও সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে। অবশেষে ১৯৬১ সালে সরকারি ভাষা আইন সংশোধন করে অবিভক্ত কাছাড় জেলার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা ভাষা।[৩]

পটভূমি[সম্পাদনা]

তালিকা-১: আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী আসামের জনসংখ্যা বন্টন: ভাষাগত শতাংশ (১৯২১-৫১)[১]

ভাষা ১৯২১ ১৯৩১ ১৯৪১ ১৯৫১
অসমীয়া ৩৩.৪৩% ৩২.৩২% ৫৬.২৯% ৫৭.১৪%
বাংলা ২৭.৬০% ২৭.৫৬% ১৯.৬৪% ১৭.৩৬%

আসাম একটি বহুভাষিক রাজ্য। ১৯২১ সালের আদমশুমারিতে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার জনসংখ্যা ছিল অসমীয়া ভাষাভাষী, যদিও অসমীয়া জনসংখ্যা শতাংশের দিক থেকে মাত্র ৩৩.৪৩ শতাংশ ছিল। ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাভাষীরা। ১৯৪১ ও ১৯৫১ সালের আদমশুমারিতে অসমীয়া ভাষাভাষী জনসংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশেরও বেশি।[৪] সমান্তরালভাবে বাংলাভাষী মানুষের শতকরা হার কমে যায়। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসবাসকারী বাঙালি মুসলমানরা[৫][৪] এবং চা-তাঁতিরা আদমশুমারিতে অসমীয়া ভাষায় নিজেদের নথিভুক্ত করায় অসমীয়া ভাষাভাষী জনসংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছিল।[৬] অন্যদিকে আসামের অন্যতম প্রধান জেলা সিলেটও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল কারণ ভারত বিভক্ত হয়েছিলো। এর একটি অংশ পূর্ব পাকিস্তানে পড়ে এবং অন্য অংশটি কাছাড় জেলার সাথে একীভূত হয়, যে কারণে ১৯৫১ সালের আদমশুমারিতে আসামে বাংলাভাষীদের শতকরা হার সামান্য হ্রাস পায়।

স্বাধীনতার পর থেকেই অসমীয়া ভাষাকে আসামের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ওঠে। ১৯৫০ সালে অসমীয়া ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় আসাম সাহিত্য সভায়[৭] রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ সংসদে পাস হওয়ার পরে সরকারি ভাষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।[৮]

ঘটনাক্রম[সম্পাদনা]

১৯৫৯ সালের ২২ শে এপ্রিল, আসাম রাজ্য কংগ্রেস কমিটি কাছাড় ও পার্বত্য জেলাগুলো ব্যতীত আসামের বাকি অংশে অসমীয়া ভাষাকে সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেস কমিটির এই প্রস্তাব রাজ্যের সমস্ত অংশকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়।[৯] আসাম সাহিত্য সভা একই বছরের ৯ই সেপ্টেম্বরকে রাজ্য ভাষা দিবস হিসাবে পালন করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর নিকট গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসমীয়াকে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করে। ছাত্র সংগঠনগুলো এর সমর্থনে মিছিল, হরতাল, সভা ইত্যাদি করে। ১৯৬০ সালের বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক বিধায়ক বিধানসভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠরা এটিকে সমর্থন করেন।[১]

কিন্তু অসমীয়া ছাত্র সংগঠন, অসমীয়া বিধায়ক, অসমীয়া রাজ্য কংগ্রেস কমিটি এবং আসাম সাহিত্য সভা কর্তৃক উত্থাপিত সরকারি ভাষা হিসাবে অসমীয়া ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির বিশেষ বিরোধিতা করে উভয় পক্ষই। বিরোধিতায় প্রথম দিকে ছিল 'অল পার্টি হিল লিডারস কনফারেন্স' ও আসামের পার্বত্য জেলাগুলোয় সক্রিয় অন্যান্য আদিবাসী সংগঠন। 'অল পার্টি হিল লিডারস কনফারেন্স'-এর বিধায়করা বিধানসভায় এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন। তাদের যুক্তি ছিল, অসমীয়াকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি তাদের ইংরেজি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। অ-অসমীয়া ছাত্ররা শিলংয়ে সমাবেশ করে ও অসমীয়াদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।[১]

বিরোধিতায় অন্য পক্ষ ছিলো বাঙালিরা। তাঁদের দাবি ছিল অসমীয়া ভাষার পাশাপাশি বাংলাকে আসামের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এই দাবিতে সাড়া দিয়ে উজানি আসামে অসমীয়া ও বাঙালির মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এই সংঘাত আসামের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এদিকে, গত ২ ও ৩ জুলাই শিলচরে পশ্চিমবঙ্গের এক সাংসদ চপলাকান্ত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে নিখিল আসাম বাংলা ভাষী সম্মেলনে আসামকে দ্বিভাষিক রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। রাজ্যের আইন-বিধির চূড়ান্ত অবনতির জেরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে শিলচর ও করিমগঞ্জের বার অ্যাসোসিয়েশন প্রস্তাব গ্রহণ করে।[১]

১৯৬০ সালের ৪ জুলাই গুয়াহাটিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও গুলি চালালে কটন কলেজের রঞ্জিত বরপূজারী নামক এক ছাত্র নিহত ও আরও ছয় জন ছাত্র আহত হয়। বরপূজারীকে সরকারি ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১] এদিকে পশ্চিমবঙ্গে আসামের ভাষা আন্দোলনের প্রভাব পড়ায় কলকাতায় লাচিত বরফুকন নামক চলচ্চিত্রের শুটিং সেরে বিমানে অসমে ফিরে আসেন অন্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা, কিন্তু ছবির অভিনেতা সূর্য বরা ট্রেনেই ফিরে আসেন। তিনি শিলিগুড়িতে এলেই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে হত্যা করে।[১০]

সরকারি ভাষা আইন গৃহীত[সম্পাদনা]

বিমলা প্রসাদ চলিহার নেতৃত্বাধীন আসাম সরকার ১৯৬০ সালের ১০ই অক্টোবর আসাম জুড়ে সহিংসতা ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ মোকাবেলার জন্য আসাম সরকারি ভাষা বিল, ১৯৬০ বিধানসভায় দাখিল করে।[১১] উত্তর করিমগঞ্জ কেন্দ্রের তৎকালীন বিধায়ক রণেন্দ্র মোহন দাস বলেন, এই বিলের ব্যাপারে ভাষাগত সমস্যা স্থায়ী ভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। যথেষ্ট বিরোধিতা সত্ত্বেও বিলটি ২৪ শে অক্টোবর[১২] পাস হয়েছিল এবং রাজ্যপাল স্বাক্ষর করার পরে এটি আইনে পরিণত হয়।[২]

আসাম সরকারি ভাষা আইন, ১৯৬০-এর ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে ভারতীয় সংবিধানের ৩৪৬ ও ৩৪৭ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে আসামের সরকারি কার্যাবলীতে অসমীয়া ভাষা ব্যবহার করা হবে। সমস্ত অধ্যাদেশ, রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া সমস্ত আইন, বিধানসভায় সংশোধনীর জন্য দায়ের করা সমস্ত বিল, রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা সমস্ত আদেশ, প্রবিধান, বিধি ও উপ-আইন, পাশাপাশি সংসদের তৈরি আইনগুলো অসমীয়া ভাষায় প্রকাশিত হবে। অন্যদিকে সরকারি কাজে ইংরেজি ভাষার প্রয়োগও অনুমোদন পাবে। ইংরেজির বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকারের সচিবালয় ও বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়েও হিন্দি ভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে।[২]

উল্লিখিত আইনের ৫ম ধারা অনুযায়ী, বাংলা অধ্যুষিত অবিভক্ত কাছাড় জেলায় (বর্তমান কাছাড়, করিমগঞ্জহাইলাকান্দি) প্রশাসনিক ও সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা যাবে। তবে এর আগে জেলার মহকুমা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ বৈঠকে ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোন ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।[২]

প্রতিবাদ ও ভাষা আইনের সংশোধন[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালের ১৯ মার্চ শিলচর শহরে শহীদদের স্মরণে সান্ধ্য আইন লঙ্ঘন করা হয়

আসাম সরকারি ভাষা আইন, ১৯৬০ অবিভক্ত কাছাড় জেলার বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। নিখিল আসাম বাংলাভাষী কমিটি বাংলাকে রাজ্যের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কাসার গণসংঘর্ষ পরিষদ গঠিত হয়। গত ১৪ এপ্রিল সংকল্প দিবস পালন করেন জেলার বাসিন্দারা। গত ২৪ এপ্রিল গণ সংগ্রাম পরিষদ জেলায় জেলায় এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে একটি পদযাত্রা শুরু করে। ২ মে শিলচরে মিছিল শেষ হয়।[১]

১৯ মে হরতাল ডাকা হয়। এ দিন আড়াইটে নাগাদ ন'জন সত্যাগ্রহীকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের ট্রাকটি শিলচর রেলস্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্টেশনে পিকেটিং করা আন্দোলনকারী ট্রাকটিকে আটকায় ও ট্রাক পাহারারত পুলিশকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পরেই স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধা সামরিক বাহিনীর লাঠিচার্জ ও গুলি চলে। আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়।[১] তাঁরা হলেন কানাইলাল নিয়োগী, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, হিতেশ বিশ্বাস, সত্যেন্দ্র দেব, কুমুদ রঞ্জন দাস, সুনীল সরকার, শচীন্দ্ৰ চন্দ্ৰ পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুকমল পুরকায়স্থ ও কমলা ভট্টাচার্য[১৩]

গুলি চালনার ঘটনার প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার ৬ বিধায়ক পদত্যাগ করেন। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য একটি শান্তি সূত্র প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু শাস্ত্রীর এই সূত্র খারিজ করে দেয় সংগ্রাম পরিষদ। অন্যদিকে, অসমীয়া ভাষাকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে রাখার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয় অবাঙালি মুসলিম, মণিপুরী ও আদিবাসী কাছাড়িদের নিয়ে গঠিত শান্তি কমিটি। ১৯৬১ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর আসাম মন্ত্রিসভা শাস্ত্রী সূত্র অনুসরণ করে সরকারি ভাষা আইনের খসড়া সংশোধনী বিলের অনুমোদন দেয়। ১৯৬১ সালের ৭ অক্টোবর বিধানসভায় বিলটি পাস হয়।[১]

আসাম সরকারী ভাষা (সংশোধিত) আইন, ১৯৬১ এর মাধ্যমে মূল আইনের ৫ম ধারা সংশোধন করে বাংলা ভাষাকে কাছাড় জেলার সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ৫ম অনুচ্ছেদের সংক্ষিপ্ত সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে:

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bonti Hazarika, Porismita Bora, Monoranjan Neog (২০২০)। "POLITICS AND LANGUAGE: A STUDY ON LANGUAGE MOVEMENT IN ASSAM" (পিডিএফ)। JOURNAL OF CRITICAL REVIEWSː VOL 7, ISSUE 6, 2020। ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ 
  2. "The Assam Language Act, 1960" (পিডিএফ)। GOVERNMENT OF ASSAM LEGISLATIVE। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ 
  3. "The Assam Official Language (Amendment) Act, 1961" (পিডিএফ)। GOVERNMENT OF ASSAM LEGISLATIVE। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ 
  4. Chubbra K. M. L, Assam Challenge, Konark Publishers Pvt. Ltd, Delhi, 1992.
  5. "CAUSES OF LANGUAGE CONFLICTS IN ASSAM" (পিডিএফ)shodhganga.inflibnet.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৬ 
  6. Barpujari H.K. ed: North-East India, Problem Prospect and Politics, Spectrum Publishers, Guwahati, 1998.
  7. Times of India, Delhi, 20 May 1961.
  8. "Explainer: The reorganization of states in India and why it happened"
  9. Deka, M. (১৯৯৬)। Student Movements inAssam। Vikas Publishing House। 
  10. দাস, অৰুণলোচন (২০০১)। এবাৰ উভতি চাওঁ। শিশুসাৰথি প্ৰকাশন, গুৱাহাটী। 
  11. "The Assam Official Language Act,1960"India Code 
  12. Chowdhury, Ranajit (19 May 2013). "বিস্মৃত বলিদান". Ei Samay (in Bengali). Retrieved 22 May 2013.
  13. "শিলচৰেৰ ভাষা শহীদ দিৱস আজ"। banglanews24.com। মে ১৯, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১