শহীদ নাজির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শহীদ নাজির
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামশহীদ নাজির
জন্ম (1977-12-04) ৪ ডিসেম্বর ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
ফয়সালাবাদ, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৯)
১৭ অক্টোবর ১৯৯৬ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টেস্ট২৬ জানুয়ারি ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১০৭)
১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০০ বনাম শ্রীলঙ্কা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ১৭
রানের সংখ্যা ১০৯ ২৫
ব্যাটিং গড় ৯.০৮ ২৫.০০
১০০/৫০ –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ৪০
বল করেছে ১৯৯৪ ৮১০
উইকেট ৩৪ ১৯
বোলিং গড় ৩১.৮৮ ৩৪.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৫৩ ৩/১৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

শহীদ নাজির (উর্দু: شاہد نذیر‎‎; জন্ম: ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৭) পাঞ্জাবের ফয়সালাবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, লাহোর বাদশাহ, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ইংরেজ ক্রিকেটে নর্দাম্বারল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শহীদ নাজিরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ফজল-ই-আকবরের ন্যায় বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থাতেই ফাস্ট-মিডিয়াম পেসার হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত প্রতাপে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সফলতা নিয়ে ক্রিকেটবোদ্ধাদের কোন সন্দেহ ছিল না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেরোটি টেস্ট ও সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন শহীদ নাজির। ১৭ অক্টোবর, ১৯৯৬ তারিখে শেখুপুরায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে কেপ টাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম খেলতে নামেন। ১৯৯৬ সালে শেখুপুরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক খেলায় সাত উইকেট পান। তবে, ওয়াসিম আকরামের ২৫৭ রানের কল্যাণে তার সাফল্য ম্লান হয়ে পড়ে। স্থানীয় দর্শকদের প্রিয়পাত্র আকিব জাভেদের পরিবর্তে তার অন্তর্ভূক্তিতে বেশ সমালোচিত হন। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভের ফলে দ্রুত দর্শকদের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পান।[১] এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের প্রধান সফলতা ছিল। পরবর্তী ৩ বছর পাকিস্তানের পক্ষে আরও কয়েকটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের ফলে, ১৯৯৯ সালে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।

তার পেসে সুইং ও বলকে সিম করার ক্ষমতা ছিল। উপযোগী পরিবেশে বিশেষতঃ ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের ত্রিদেশীয় কার্লটন ও ইউনাইটেড সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে, এ পর্যায়ে উদীয়মান মোহাম্মদ জাহিদের সাফল্যে ঢাকা পড়ে যায়।

দলে প্রত্যাবর্তন[সম্পাদনা]

পাতানো খেলায় জড়ানো, ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের খেলার মান নিচের দিকে চলে যাবার পাশাপাশি আকিব জাভেদের দূর্বল ক্রীড়াশৈলী ও দলে ভাঙনের ফলে শহীদ নাজিরের দলে স্থান লাভের সেরা সুযোগ এনে দেয়। তবে, তিনি এ সুযোগ নিতে পারেননি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরতে তৎপরতা দেখান। কিছু সময়ের জন্যে তার এ খ্যাতির কারণে ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর আঘাতে জর্জড়িত দলে প্রথম পছন্দের পেস আক্রমণের ভূমিকায় তাকে নজরে রাখা হয়। ২০০৫ সালে তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছু সময় তিনি কোন ভূমিকাই রাখতে পারেননি।

৮ জুন, ২০০৬ তারিখে পাকিস্তান দলে তাকে খেলার জন্যে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইংল্যান্ড সফরে শীর্ষসারির তিনজন পেসারের অনুপস্থিতিতে তাকে সবসময়ই দলে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছিল। এ পর্যায়ে পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড গমন করে ও তিনি শোয়েব আখতারের আঘাতপ্রাপ্তিতে স্থলাভিষিক্ত হন।[২] হেডিংলিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। সর্বশেষ টেস্ট খেলার পর সাত বছরের মধ্যে এটিই প্রথম ছিল।

অবসর[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন তিনি। তবে, পাঁচ খেলায় তিনি মাত্র তেরো উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। মোহাম্মদ আসিফ ও উমর গুলের আবির্ভাবে তার দলে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণের ফলে তার খেলোয়াড়ী জীবন কার্যত শেষ হয়ে যায়।

২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন ও লাহোর বাদশাহের পক্ষে খেলেন। জানুয়ারি, ২০০৭ সালের পর থেকে তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "1st Test: Pakistan v Zimbabwe at Sheikhupura, Oct 17–21, 1996"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৮ 
  2. "Shahid Nazir named in Pakistan squad" 
  3. "Shahid Nazir"Cricinfo 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]