লিওনেল বাকের

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিওনেল বাকের
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলিওনেল সিওন বাকের
জন্ম (1984-09-06) ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ (বয়স ৩৯)
মন্টসেরাট
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭১)
১১ ডিসেম্বর ২০০৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৪ মে ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৫)
১২ নভেম্বর ২০০৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৬ জুন ২০০৯ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং৪৪
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৪/০৫ - ২০১৩/১৪লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস
২০০১ - ২০০৮মন্টসেরাট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৩৪ ৩৫
রানের সংখ্যা ২৩ ১৩ ৩৭১ ১১৭
ব্যাটিং গড় ১১.৫০ ৬.৫০ ১০.৬০ ১১.৭০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৭ ১১* ৩৭ ১৮*
বল করেছে ৬৬০ ৪২৬ ৪,৭৭২ ১,৫৫৩
উইকেট ১১ ৮৭ ৪২
বোলিং গড় ৭৯.০০ ৩২.২৭ ৩১.৪৭ ৩২.০২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৩৯ ৩/৪৭ ৮/৩১ ৫/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১/– ১২/– ৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ অক্টোবর ২০২০

লিওনেল সিওন বাকের (ইংরেজি: Lionel Baker; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪) মন্টসেরাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস, মন্টসেরাট, স্ট্যানফোর্ড সুপারস্টার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন লিওনেল বাকের

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০২-০৩ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লিওনেল বাকেরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মন্টসেরাটের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব অর্জন করেন। ব্রিটিশ লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের অংশ মন্টসেরাট ক্যারিবীয় অঞ্চলের অন্যতম দূর্বলতর দল হিসেবে পরিচিত থাকা অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলার সুযোগ পান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বে তিনি মাত্র কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।

মন্টসেরাটে জন্মগ্রহণ করলেও বেশ কয়েকবছর লন্ডনে বসবাস করেছেন ও সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করেছেন।[১] ২০০৪-০৫ মৌসুমে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[২]

ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে ইংরেজ গ্রামীণ ক্লাব মারস্টন গ্রীন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। ২৭ আগস্ট তারিখে অ্যাস্টন ইউনিটি’র বিপক্ষে ২০৭ রান তুলে দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। ঐ মৌসুমে ৮১৯ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ২৭ উইকেট লাভ করেন তিনি। খেলা শেষে নিয়মিতভাবে চিংড়ি সহযোগে স্ন্যাক খেতেন।

২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ও জেলা প্রিমিয়ার লীগে ওয়ামলি দলের পক্ষে খেলেন।[১] ২০০৮ সালে অনুশীলনী খেলায় দূর্দান্ত দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালকে সামনে রেখে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে দুই বছর মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হন। ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হবার ফলে বিদেশী কিংবা কোলপ্যাক খেলোয়াড় না হওয়ায় খেলার সুযোগ পান।[১] কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তাকে কোলপ্যাক খেলোয়াড়ের মর্যাদা প্রদান করা হয়নি।[৩]

২০০৬ সাল থেকে স্ট্যানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায় মন্টসেরাটের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৮ সালে স্ট্যানফোর্ড সুপারস্টার্স দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। তবে, তিনি খেলেননি।[৩][৪]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট, দশটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও তিনটিমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন লিওনেল বাকের। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে ডুনেডিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ মে, ২০০৯ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন লিওনেল বাকের। যুবদের একদিনের আন্তর্জাতিকে ৮টি খেলায় অংশ নিয়ে ১৮.৪৭ গড়ে ১৭ উইকেট লাভ করেন তিনি। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৬/৩৯।[২] শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে এ বোলিংয়ের কারণে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৫]

১ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে পাকিস্তান গমনার্থে ওডিআই দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬] একই দিনে ব্রেন্ডন ন্যাশ, লিওন জনসনকেমার রোচের সাথে তাকেও ক্যাপবিহীন অবস্থায় নিউজিল্যান্ড সফরে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে রাখা হয়।[৬] ১২ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। এরফলে, মন্টসেরাট থেকে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড়দের দলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করেন।[৭] সালমান বাটকে বোল্ড করে নিজস্ব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। তিনি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে খেলায় তিনি ৯-০-৪৭-৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এছাড়াও, ইউনুস খানশহীদ আফ্রিদিকে আউট করলেও ঐ খেলায় তার দল চার উইকেটে পরাজয়বরণ করেছিল।[৮]

১১ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cricinfo staff (২ অক্টোবর ২০০৮), Leicestershire sign Montserrat's Baker, Cricinfo.com  Retrieved on 12 November 2008.
  2. Lionel Baker, CricketArchive.com  Retrieved on 12 November 2008.
  3. Cricinfo staff (১০ নভেম্বর ২০০৮), Leicestershire cancel Baker deal, Cricinfo.com  Retrieved on 12 November 2008.
  4. Stanford Superstars squad named, ECB.co.uk, ১৪ আগস্ট ২০০৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০০৮  Retrieved on 12 November 2008.
  5. Wisden Cricinfo staff (২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪), Baker bowls West Indies to victory, Cricinfo.com  Retrieved on 12 November 2008.
  6. Cricinfo staff (১ নভেম্বর ২০০৮), Nash in West Indies Test squad, Cricinfo.com  Retrieved on 12 November 2008.
  7. Late Show Wins It For Pakistan in Abu Dhabi, Cricketworld.com, ১২ নভেম্বর ২০০৮, ৩১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০০৮  Retrieved on 12 November 2008.
  8. Jamie Alter (১২ নভেম্বর ২০০৮), Akmal and Malik script a thriller, Cricinfo.com  Retrieved on 12 November 2008.
  9. Tony Cozier (১১ ডিসেম্বর ২০০৮), Different backgrounds, common debut, Cricinfo.com  Retrieved on 19 February 2009.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]