এল. পি. জয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(লক্ষ্মীদাস জয় থেকে পুনর্নির্দেশিত)
এল. পি. জয়
১৯৩৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এল. পি. জয়
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলক্ষ্মীদাস পুরুষোত্তমদাস জয়
জন্ম(১৯০২-০১-০৪)৪ জানুয়ারি ১৯০২
বোম্বে, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৯ জানুয়ারি ১৯৬৮(1968-01-29) (বয়স ৬৬)
বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত
ডাকনামলাল্লুভাই[১]
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, প্রশাসক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ১৩)
১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২০ - ১৯৪১হিন্দু
১৯২৬ - ১৯৪১বোম্বে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৭
রানের সংখ্যা ১৯ ৩,২৩১
ব্যাটিং গড় ৯.৫০ ৩১.৯৯
১০০/৫০ ০/০ ৬/১৯
সর্বোচ্চ রান ১৯ ১৫৬
বল করেছে ২১০
উইকেট
বোলিং গড় ৪৪.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ২৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জানুয়ারি ২০২০

লক্ষ্মীদাস পুরুষোত্তমদাস জয় (উচ্চারণ; মারাঠি: एल.पी. जय; জন্ম: ১ এপ্রিল, ১৯০২ - মৃত্যু: ২৯ জানুয়ারি, ১৯৬৮) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হিন্দু ও মহারাষ্ট্র দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ‘লাল্লুভাই’ ডাকনামে পরিচিত এল. পি. জয়। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৪১-৪২ মৌসুম পর্যন্ত এল. পি. জয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট আঙ্গিনায় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি। জয়ের পায়ের কারুকাজ উদাহরণস্বরূপ হয়ে থাকবে। বোম্বে দলের অন্যতম ব্যাটিং মেরুদণ্ডের অধিকারী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। দুই দশকব্যাপী খেলোয়াড়ী জীবনে ৩১-এর অল্প বেশি গড়ে তিন সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, পাঁচটি শতরানের ইনিংস রয়েছে তার। দর্শনীয় ভঙ্গীমায় ডানহাতে স্ট্রোক খেলতেন এল. পি. জয়।

সেরা ইনিংসগুলোর অধিকাংশই বোম্বে চতুর্দলীয় প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন। বোম্বে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ও প্রথমবারের মতো রঞ্জী ট্রফি চ্যাম্পিয়নশীপে দলের শিরোপায় নেতৃত্ব দেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এল. পি. জয়। ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৩২ সালে ভারত দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, রাজনৈতিক কারণে বিজয় মার্চেন্ট ও চম্পক মেহতা’র সাথে তিনিও এ সফরে যেতে রাজী হননি। এ সময়ে অধিকাংশ জাতীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন।

একমাত্রটি টেস্টটি ভারতের মাটিতে ইতিহাসের প্রথম খেলায় খেলেছিলেন। বোম্বে টেস্টে তিনি মাত্র ১৯ ও রান তুলতে পেরেছিলেন। ১৯৩৬ সালে পুনরায় ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, ভাঙ্গা আঙ্গুলের কারণে সীমিত পর্যায়ে মাঠে নেমেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৫০-এর দশকে জাতীয় দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দক্ষ ও সাহসী দল নির্বাচক ছিলেন। তবে, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলাকালীন আর্থিক মতবিরোধে পদত্যাগ করেন। রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার প্রত্যেক আসরে দ্রুতলয়ে শতরানের অধিকারী ব্যাটসম্যানকে তার নামানুসারে ট্রফি বিতরণ করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেটারদেরকে বাণিজ্যিকভাবে চুক্তিবদ্ধ করার প্রেক্ষিতে এল. পি. জয়কে ইন্ডিয়া ইম্পেরিয়াল ব্যাংকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ইন্ডিয়া স্টেট ব্যাংকে চলে যান। এখানেই তিনি জীবনের বাদ-বাকী সময় অতিবাহিত করেন। এরফলে, তার প্রিয় শখ ডাকটিকিট সংগ্রহের দিকে নিজেকে আরও যুক্ত করতে সহায়তা করে। ফলশ্রুতিতে, প্রথিতযশা ডাকটিকিট সংগ্রহকারী হিসেবে সুনাম কুড়ান। ব্যাংকে আসা প্রতিদিনের খামে আসা ডাকটিকিট তিনি করায়ত্ত্ব করতে সচেষ্ট হতেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের খামের দিকেই তার অধিক নজর ছিল।

২৯ জানুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় অবস্থানকালে হৃদযন্ত্র ক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। সেখানেই এল. পি. জয়ের দেহাবসান ঘটে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "L.P. Jai dead"। The Indian Express। ৩০ জানুয়ারি ১৯৬৮। পৃষ্ঠা 12। 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]