বিষয়বস্তুতে চলুন

রমন সুব্বা রাও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রমন সুব্বা রাও
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রকমে সুব্বা রাও
জন্ম (1932-01-29) ২৯ জানুয়ারি ১৯৩২ (বয়স ৯২)
স্ট্রেদাম, সারে, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি উদ্বোধনী বা মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনলেগ-ব্রেক ও গুগলি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯০)
২৪ জুলাই ১৯৫৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২২ আগস্ট ১৯৬১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫১–৫৩কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৫৩–৫৪সারে
১৯৫৫–৬১নর্দাম্পটনশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ২৬০
রানের সংখ্যা ৯৮৪ ১৪১৮২
ব্যাটিং গড় ৪৬.৮৫ ৪১.৪৬
১০০/৫০ ৩/৪ ৩০/৭৩
সর্বোচ্চ রান ১৩৭ ৩০০
বল করেছে ৬২৪৩
উইকেট ৮৭
বোলিং গড় ৩৮.৬৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/২ ৫/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ১৭৬/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩ অক্টোবর ২০১৭

রমন সুব্বা রাও, সিবিই (জন্ম: ২৯ জানুয়ারি, ১৯৩২) সারের স্ট্রেদামে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, সারেনর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে কিংবা মাঝারিসারিতে মাঠে নামতেন। পাশাপাশি লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

সারের স্ট্রেদামে রমন সুব্বা রাওয়ের জন্ম। ভারতীয় বাবা পাঙ্গুলুরি ভেঙ্কট সুব্বা রাও অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা এলাকা থেকে এসেছেন। ইংরেজ মাতার সন্তান সুব্বা রাও হুইটগিফ্ট স্কুলে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।[]

১৯৫০-এর দশকের শুরুতে শক্তিধর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন।

কাউন্টি ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সারে দলের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নেয়ার পর নর্দাম্পটনশায়ারে যোগ দেন।

১৯৫৮ সালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। চার মৌসুম দলকে নেতৃত্ব দেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ সফলতা লাভ করেন। কাউন্টি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসগুলো উপহার দেন।

১৯৫৫ সালে অপরাজিত ২৬০ রান তোলার পর ১৯৫৮ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন দল সারের বিপক্ষে ওভালে ৩০০ রান তুলেন তিনি। এ সময় ষষ্ঠ উইকেটে আলবার্ট লাইটফুটের সাথে রেকর্ডসংখ্যক ৩৭৬ রান তুলেন।

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে তেরো টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন সুব্বা রাও। তন্মধ্যে, ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সময়কালে দলের ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন।

১৯৬১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মনোরম সেঞ্চুরি করেন। ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলাটিই তার সর্বশেষ টেস্ট খেলা ছিল।

১৯৬১ মৌসুমের পর আকস্মিকভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এরপর তিনি জনসংযোগ ব্যবসায় ধাবিত হন। পরবর্তী বছরগুলোয় ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সারের সভাপতি মনোনীত হন ও লর্ডসের অন্যতম প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। এছাড়াও তিনি টিসিসিবির সভাপতিসহ আইসিসি ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।

হুইটগিফ্ট স্কুলের সম্মেলন কক্ষটি তার নামে নামাঙ্কিত হয়। ১৯৯১ সালের রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় তাকে সিবিই পদবীতে ভূষিত করা হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 163আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "'Misconduct deserves match penalty'"Rediff। ১৮ জানুয়ারি ২০০৫। 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]